1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সারা পৃথিবীর সংহতি

১২ জানুয়ারি ২০১৫

ডয়চে ভেলে-র মহাপরিচালক পেটার লিমবুর্গ একটি বিশেষ বিবৃতিতে লিখেছেন, ‘‘এই আক্রমণ সংবাদপত্রের স্বাধীনতা এবং ইউরোপে ইহুদি জীবনযাত্রাকে লক্ষ্য করে৷ অর্থাৎ এ অপরাধ আমাদের মূল্যবোধের বিরুদ্ধে৷''

Paris Charlie Hebdo Terroranschlag Hommage Frankreich Trauer
ছবি: picture-alliance/dpa

আগামীতেও যে সাংবাদিকদের সন্ত্রাস এবং অপরাপর বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সম্মুখীন হতে হবে, তা জেনেও আমাদের ধীর-স্থির থাকতে হবে এবং নিজেদের কাজ করে যেতে হবে – লিখেছেন লিমবুর্গ৷ ‘‘আমরা মতপ্রকাশের স্বাধীনতা রক্ষা করব,'' মহাপরিচালকের ঘোষণা৷ ‘‘ডয়চে ভেলে মতামতের আদানপ্রদান এবং বিভিন্ন সংস্কৃতি ও ধর্মের মধ্যে মধ্যস্থতার একটি ফোরাম'' বলে তিনি গণ্য করেন৷ সেই কারণেই এই সংকটের মুহূর্তে আমাদের কাজের গুরুত্ব আরো বৃদ্ধি পেয়েছে, বলে লিমবুর্গের অভিমত৷

ফ্রান্স নিরাপত্তা আরো জোরদার করছেছবি: Getty Images/D. Kitwood

প্যারিস থেকে বাংলাদেশ

গত শুক্রবারই জুম্মার নামাজের পর গোটা ফ্রান্স জুড়ে মসজিদের ইমামরা শার্লি এব্দোর উপর আক্রমণের তীব্র নিন্দা করেছেন এবং বলেছেন, আততায়ীরা ‘‘অপরাধী, মুসলিম নয়''৷ টঙ্গির বিশ্ব ইজতেমাতেও মোহাম্মেদ ফইয়াজ, মোহাম্মেদ জাকারিয়া-র মতো মৌলানা ও ইমাম-রা প্যারিসে ‘‘সন্ত্রাসবাদীদের'' কার্যকলাপের নিন্দা করেছেন৷

নয়তো শার্লি এব্দো হত্যাকাণ্ড নিয়ে বিশ্বব্যাপী মিডিয়া এবং সোশ্যাল মিডিয়া-তে যে বিস্তারিত বিবরণ, প্রতিক্রিয়া ও মন্তব্য প্রকাশিত হয়েছে, তা বস্তুত মতপ্রকাশের স্বাধীনতার সীমা এবং অপরকে অবমাননা করার অধিকার আছে কি নেই, এই দুইয়ের টানাপড়েনে এক ব্যাপক বিতর্কে পর্যবসিত হয়েছে৷ রাশিয়া, চীন, মালয়েশিয়া এবং অন্যত্র বিভিন্ন প্রকাশনা এই মত প্রকাশ করেছে যে, শার্লি এব্দো ইসলাম-কে ব্যঙ্গ করা কার্টুন ছেপে ভুল করেছে৷ এ জন্য অবশ্যই সমালোচনার ঝড় উঠেছে৷

ঘটনাবলী

তুর্কি পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন, প্যারিস হত্যাকাণ্ডের এক মহিলা সহযোগী হায়াৎ বুমেদিয়েন দৃশ্যত গত বৃহস্পতিবার ৮ই জানুয়ারি তারিখে তুরস্ক থেকে সিরিয়ায় প্রবেশ করে৷ অপরদিকে ফ্রান্স সারা দেশে ৭০০ ইহুদি স্কুলের সুরক্ষার জন্য প্রায় পাঁচ হাজার সৈন্য ও পুলিশ নিয়োগ করেছে৷ মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি জানিয়েছেন যে, তিনি আগামী বৃহস্পতিবার ফ্রান্সে যাচ্ছেন সহিংস উগ্রপন্থিদের রোখার পন্থা নিয়ে আলাপ-আলোচনার জন্য – যেখানে মার্কিন প্রশাসন এখন সমালোচনার মুখে কেননা প্যারিসের ঐক্য সমাবেশে যুক্তরাষ্ট্র থেকে কোনো উচ্চপদস্থ প্রতিনিধিকে পাঠানো হয়নি৷

হাঙ্গেরি-র প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর ওর্বান রবিবার প্যারিসের ব়্যালি-তে ছিলেন এবং সেদিন সন্ধ্যাতেই মন্তব্য করেছেন যে, ইউরোপ অভিমুখে অভিবাসন মূলত বন্ধ করে দেওয়া উচিত৷ ওর্বান প্যারিস হত্যাকাণ্ডের প্রতি ইউরোপীয় ইউনিয়নের জোরালো প্রতিক্রিয়া দাবি করেছেন৷ সে তুলনায় সাবেক ফরাসি প্রেসিডেন্ট নিকোলা সারকোজি এই মত প্রকাশ করেছেন যে, অভিবাসন সন্ত্রাসবাদের সঙ্গে যুক্ত না হলেও, পরিস্থিতি আরো জটিল করে তোলে বৈকি৷

এসি/এসবি (ডিডাব্লিউ, এএফপি, ডিপিএ)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ