1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

আমস্টারডামের নতুন আকর্ষণ ‘নেক্সট’ মিউজিয়াম

২৯ অক্টোবর ২০২০

আমস্টারডাম শহরের নানা মিউজিয়াম পর্যটক ও বিশেষজ্ঞদের কাছে অত্যন্ত জনপ্রিয়৷ এবার নতুন এক মিউজিয়াম ইনস্টলেশন আর্টের মাধ্যমে ভবিষ্যৎ পৃথিবীর নানা সম্ভাব্য চিত্র তুলে ধরছে৷ দর্শকরা সেই জগতে কার্যত ডুব দিতে পারছেন৷

ছবি: DW

আমস্টারডাম শহরে ডিজিটাল শিল্পের নতুন মিউজিয়ামের নাম ‘নেক্সট’৷ দর্শকরা সেখানে মাল্টিমিডিয়া ও ইন্টারঅ্যাক্টিভ অভিজ্ঞতার স্বাদ পেতে পারেন৷ প্রথম প্রদর্শনীতে সাতটি সৃষ্টিকর্ম তুলে ধরা হয়েছে৷ মুখচ্ছবি শনাক্ত করার প্রযুক্তি, ডিজিটাল নজরদারি অথবা জলবায়ু পরিবর্তনের পরিণামের মতো বিষয় তাতে উঠে এসেছে৷

আমাদের প্রাকৃতিক পরিবেশ ধ্বংস হয়ে গেলে কী অবশিষ্ট থাকবে? প্রযুক্তি ও প্রাকৃতিক উপাদানে ভরা এক ইন্টারঅ্যাকটিভ শিল্পের জগত কি আসল প্রকৃতির মতো অনুভূতি সৃষ্টি করতে পারে?

নেদারল্যান্ডসের শিল্পী হেলেন ব্লানকেন-এর ‘হ্যাবিটাট’ নামের ইনস্টলেশন ঠিক সেই প্রশ্নেরই জবাব খোঁজার আহ্বান জানাচ্ছে৷ হেলেন বলেন, ‘‘শুনছি, মানুষ কখনো ৫০ মিনিট ধরে বসে থাকছে৷ এই সৃষ্টিকর্মের মধ্যে ডুবে গিয়ে তারা যেন প্রকৃতিকেই দেখতে পাচ্ছে৷ অর্থাৎ এটা একটা অসাধারণ ফল বলে আমি মনে করি৷’’

ইন্টারঅ্যাক্টিভ অভিজ্ঞতার স্বাদ নেয়ার মিউজিয়াম

03:24

This browser does not support the video element.

আড়াই বছর আগে মেরেল ফান হেল্সডিংখেনের মাথায় এই মিউজিয়াম তৈরির আইডিয়া আসে৷ আমস্টারডাম শহরের উত্তরে তিনি সেই প্রকল্পের জন্য আদর্শ জায়গা খুঁজে পান৷ অতীতে সেটা ছিল এক টেলিভিশন স্টুডিও৷ বিপণন বিশেষজ্ঞ হিসেবে এবং ‘নিউ মিডিয়া আর্ট' সম্পর্কে উৎসাহ সম্বল করে তিনি অসংখ্য বিনিয়োগকারীর সাহায্যে নিজের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে পেরেছিলেন৷ মেরেল বলেন, ‘‘আমার ধারণা, মানুষ ভবিষ্যৎ ও প্রযুক্তি নিয়ে অত্যন্ত মাতামাতি করছে এবং নতুন প্রযুক্তির দ্রুত বিকাশ ঘটছে৷ আমরা প্রযুক্তিগত উদ্ভাবন, শিল্প, বিজ্ঞান, সংগীত – এ সব নিয়ে মিলিয়ে মিশিয়ে একই ছাঁচে গড়ে তুলতে চাই এবং দর্শকদের ভবিষ্যতের অভিজ্ঞতা, ভবিষ্যতের বিষয়গুলির স্বাদ দিতে চাই৷’’

পরিবেশ শিল্পী টাইস বিয়ার্স্টেকারের ‘ইকন্টিনাম’ নামের ইনস্টলেশন মাটির নীচে দুটি গাছের মধ্যে সংলাপ দৃশ্যমান করে তুলছে৷ সেই সিমুলেশনের মাধ্যমে দর্শকদের উপস্থিতির কারণে সৃষ্ট কার্বন নির্গমন, কম্পন বা বেড়ে চলা তাপমাত্রার প্রতিক্রিয়া দেখা যায়৷ টাইস বলেন, ‘‘শিল্পের ক্ষেত্র হিসেবে ডিজিটাল আর্ট উঠে আসছে৷ এর মাধ্যমে মানুষ যে শুধু বিজ্ঞান ও অন্যান্য তথ্যপ্রবাহ আরও ভালোভাবে বুঝতে পারছে তাই নয়, ডিজিটাল আর্ট এই প্রজন্মের নতুন রং৷’’

প্রদর্শনীতে এমন সাতটি ইনস্টলেশন তুলে ধরা হচ্ছে, যেগুলি স্পেস ভরিয়ে দেয় এবং সব ইন্দ্রিয় সজাগ করে তোলে৷ সেগুলির মাঝে বিশ্রামের জায়গা৷ সুইজারল্যান্ডের শিল্পী বেনইয়ামিন মুৎসিনের অ্যানিমেশন সেই খালি অংশে দর্শকদের স্নায়ু কিছুটা শিথিল করে পরের ইনস্টলেশনের জন্য প্রস্তুত করে তুলছে৷ একজন বললেন, অসাধারণ অভিজ্ঞতা৷ ঠিক যেন কোনো শিল্পকর্মের মধ্যে থাকার অনুভূতি৷ আরেকজনের কাছে বিশাল আকার বিস্ময়কর৷ নেপথ্যের কাহিনির মাধ্যমে তাঁর অসাধারণ অভিজ্ঞতা হচ্ছে৷ এক নারী জানালেন, ইন্টারঅ্যাক্টিভ অভিজ্ঞতা ছাপিয়ে সত্যি তাঁকে স্পর্শ করে৷ বিশ্বে খুব বেশি এমন জায়গা নেই, যেখানে এভাবে শিল্প দেখার অভিজ্ঞতা সম্ভব৷

ভবিষ্যতে সত্যি কী হবে, নেক্সট মিউজিয়ামের ইনস্টলেশনগুলি তার নিখুঁত পূর্বাভাষ দিতে পারে না৷ তবে আমস্টারডামের নতুন এই মিউজিয়ামে ভবিষ্যতের বিভিন্ন সম্ভাবনার জগতে ডুব মারার সুযোগ রয়েছে৷

পিয়ের প্রেচ/এসবি

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ