যুদ্ধাপরাধের বিচার
২২ আগস্ট ২০১২ট্রাইবুনালের আদেশের কপি হাতে পাওয়ার পরই, পুলিশ মাওলানা এটিএম আজহারুল ইসলামের মগবাজারের বাসা ঘেরাও করে৷ আর দুপুরের পর তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়৷ ঢাকা মহানগর পুলিশের রমনা জোনের উপ-কমিশনার নুরুল ইসলাম জানান, তাঁকে আপাতত ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা কার্যালয়ে রাখা হচ্ছে৷ আগামীকাল ট্রাইবুনালে হাজির করা হবে৷
গ্রেপ্তারের সময় প্রিজন ভ্যানের ফাঁক দিয়ে মাওলানা আজহারুল কথা বলেন সাংবাদিকদের সঙ্গে৷ তিনি দাবি করেন যে, তাঁকে অন্যায়ভাবে গ্রেপ্তার করা হয়েছে৷
এদিকে সকালে ট্রাইবুনালে তাঁকে গ্রেপ্তারের আবেদন জানানো হলে, বিচারপতি নিজামুল হক নাসিমের নেতৃত্বে ট্রাইবুনাল-১ তাঁকে গ্রেপ্তার করে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে হাজির করার নির্দেশ দেয়৷ প্রসিকিউটর জেয়াদ আল মালুম বলেন, তাঁর শারীরিক অবস্থা বিবেচনা করেই গ্রেপ্তারের নির্দেশ দেয়া হয়৷ তিনি তদন্ত কাজে বাধা দেয়ার চেষ্টা করছিলেন৷ তাঁর বিরুদ্ধে তদন্ত শেষ পর্যায়ে রয়েছে৷
প্রসিকিউটর নুরজাহান মুক্তা জানান, একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে তিনি রংপুরে জামায়াতে ইসলামীর তখনকার ছাত্র সংগঠন ইসলামি ছাত্র সংঘের সভাপতি ছিলেন৷ তিনি নিজের মটরবাইকে পাকিস্তানি পতাকা উড়িয়ে চলাফেরা করতেন৷ রংপুরের কারমাইকেল কলেজের শিক্ষক এবং রংপুর বারের আইনজীবীসহ ১২০০ মানুষকে হত্যার অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে৷ তবে মাওলানা আজহারুলের আইনজীবী ফরিদ উদ্দিন খান এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন৷
মাওলানা এটিএম আজহারুল ইসলামকে নিয়ে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে মোট সাত জন শীর্ষ জামায়াত নেতাকে গ্রেপ্তার করা হল৷ অন্যরা হলেন গোলাম আযম, মতিউর রহমান নিজামী, আলি আহসান মুহাম্মদ মুজাহিদ, দেলোয়ার হোসেন সাঈদী, কাদের মেল্লা ও কামারুজ্জামান৷
প্রতিবেদন: হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা
সম্পাদনা: দেবারতি গুহ