লকডাউনে বাংলাদেশে রাজধানীর দিন আন দিন খাওয়া মানুষেরা চরম বিপদে পড়েছেন৷ কাজ নেই আবার কোনো সহায়তাও পচ্ছেন না৷ রিকশা চললেও যাত্রী না থাকায় চালকরা দিশেহারা, কাজহীন দিনমজুর ও নির্মাণ শ্রমিকরা৷
বিজ্ঞাপন
কঠোর লকডাউনেও রবিবার বৃষ্টি থামার পর দুপরের দিকে মৎস্য ভবনের সড়কের ফুটপাথে একটি কাঠের বাক্সের ওপর চা, বিস্কুটসহ আরো কিছু পণ্য সাজিয়ে বসেন লাবনী বেগম৷ কথা বলতে গেলে ইতস্তত বোধ করেন৷ যেন কিছুটা ভয় পেয়েছেন৷ সব কিছু গুটিয়ে চলে যেতে চান৷ তবে সাংবাদিক পরিচয় দিলে কিছুটা আশ্বস্ত হন৷ প্রশ্ন করি লকডাউনে তো এরকম রাস্তার পাশে দোকান দেয়া যাবে না৷ বাইরে বের হওয়া নিষেধ৷ কেন বের হয়েছেন? জবাবে জানালেন, তার স্বামী মারা গেছেন৷ একটি ছেলে আছে যে কিডনি রোগে আক্রান্ত৷ সন্তানের চিকিৎসা থেকে শুরু করে সমস্ত ব্যয় তাকে একাই সামলাতে হয়৷ ‘‘আমার কোন উপায় নেই৷ কারণ এই চা সিগারেট বিক্রির টাকা দিয়েই বাচ্চার চিকিৎসা চলে৷ আমার ছেলের প্রতিদিন রাতে ৩৬০ টাকান ওষুধ লাগে,’’ বলেন লাবনী৷
তারপরও ঠিকমত বসতে পারেন না৷ পুলিশ এসে তুলে দেয়৷ মালপত্র ফেলে দেয়৷ আরেক জায়গায় গিয়ে বসেন৷ জীবন বাঁচাতে তিনি এখন চোর-পুলিশ খেলতে বাধ্য হচ্ছেন৷
বাংলাদেশে করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে বৃহস্পতিবার থেকে সাত দিনের জন্য ‘কঠোর লকডাউন’ শুরু হয়েছে৷ জরুরি সেবা, শিল্প কারখানা, পণ্য পরিবহনের যানবাহন ও রিকশা ছাড়া আর সব কিছু বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয়া হয়েছে৷ জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে বের হওয়া নিষেধ৷
তবে লকডাউনের চতুর্থ দিনে রাস্তায় ব্যক্তিগত যানবাহন একটু বেশি দেখা গেছে৷ লোকজনও কিছুটা বেশি৷ দুপুরে বৃষ্টি থামার পর শ্রমজীবী মানুষকে কাজের আশায় সড়কের মোড়ে মাড়ে দঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়৷ রিকশা চালকরা বিভিন্ন মোড়ে যাত্রীর জন্য অপেক্ষা করলেও যাত্রী তেমন মিলছে না৷বাংলা মোটর মোড়ে কথা হয় রিকশা চালক সাদেক মিয়ার মঙ্গে বিকাল তিনটার দিকে৷ তিনি আড়াই ঘণ্টা রিকশা চালিয়ে মাত্র ৫০ টাকা রোজগার করেছেন৷ কী করবেন ভেবে পাচ্ছিলেন না৷ তিনি জানান, তার চারজনের পরিবারের খাবারসহ অন্যান্য খরচ মেটাতে প্রতিদিন কমপক্ষে পাঁচ-ছয়শো টাকা লাগে৷ স্বাভাবিক সময়ে তিনি প্রতিদিন ছয়-সাতশো টাকা আয় করতে পারেন৷ কিন্তু এখন তিন-চারশো ঢাকার বেশি হয় না৷ এরমধ্যে মালিককে দিতে হয় ১০০ টাকা৷ ‘‘ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে থেকেও যাত্রী পাই না৷ সরকারের দিক থেকে কেনো সহায়তাও পাইনি৷ লকডাউনে কীভাবে সংসার চালাব জানি না৷ সবাইকে না খেয়ে থাকতে হবে,’’ বলেন তিনি৷
‘টাকা জোগাড় করতে না পারলে ছেলেকে বাঁচাতে পারব না’
নির্মাণ শ্রমিকসহ আরো যারা দিন মজুরের কাজ করেন তারাও পড়েছেন চরম বিপাকে৷ সোনারগাঁও রোডে এরকম কয়েকজন দুপুরে দাঁড়িয়ে ছিলেন কাজের আশায়৷ তাদেরই একজন মফিজুর রাহমান বলেন, ‘‘লকডাউনেও বের হচ্ছি কাজের আশায়৷ কিন্তু কাজ পাচ্ছি না৷ পরিবার পরিজন নিয়ে না খেয়ে থাকতে হচেছ৷’’
লকডাউনের সময় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের ৩৩৩-এ ফোন করলে সহায়তা পাওয়ার কথা৷ কিন্তু তাদের কেউই এই খবর জানেন না, ফোন করা তো দূরের কথা৷ তারা বলেন, এলাকার ওয়ার্ড কাউন্সিলরের কাছেও গিয়েছিলেন কোনো সহায়তা পাননি৷
হোটেল খোলা আছে৷ কিন্তু সেখান থেকে খাবার নেয়া যাবে, বসে খাওয়া যাবে না৷ বাংলা মোটরের আমজাদ হোটেলের মালিক আমজাদ মিয়া জানান, ‘‘সব কিছু বন্ধ থাকায় ক্রেতা নাই৷ যা বিক্রি হয় তা দিয়ে কর্মচারীদের বেতন দেয়া সম্ভব নয়৷ আবার সামনে কোরবানি৷ বোনাস দেব কীভাবে বুঝতে পারছি না৷’’ কষ্টে আছেন পরিবহন শ্রমিকরাও৷
বাংলাদেশে করোনার সময় দারিদ্র্য বেড়ে গেছে৷ এখন কমপক্ষে সাড়ে পাঁচ কোটি মানুষ দারিদ্রসীমার নিচে বাস করছেন৷ নতুন দরিদ্রদের অধিকাংশই ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী , হোটেল কর্মচারী, রিকশা চালক ও ভাসমান শ্রমিক৷ এই লকডাউনে তারাই সবচেয়ে বিপদে আছেন৷ অর্থনীতিবিদ ড. নাজনীন আহমেদ বলেন, ‘‘তাদের খাদ্য সহায়তা খুবই জরুরি৷ নগদ সহায়তাও প্রয়োজন৷ তা না হলে এই লকডাউনে তারা বিপন্ন হয়ে পড়বেন৷’’
সহায়তার জন্য ৩৩৩
ডা. এনামুর রহমান
তবে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান জানান, করোনার সময়ে এই লকডাউনে জরুরি সহায়তা অব্যাহত আছে৷ ৩৩৩-এ ফোন করে করোনার শুরু থেকে এ পর্যন্ত ১৪ লাখেরও বেশি মানুষকে খাদ্য সহায়তা পেয়েছেন৷ তিনি বলেন, ‘‘যারা লজ্জায় হাত পাততে পারেন না তারা এখানে ফোন করলে সহায়তা পান৷ তাদের বাড়িতে খাবার পৌঁছে দেয়া হয়৷ চাল, ডাল, বাচ্চার দুধ যে যেরকম সহায়তা প্রয়োজন সেরকম সহায়তা দেয়া হয়৷ আর প্রচলিত যে সহায়তা জেলা উপজেলা পর্যায়ে তা অব্যাহত আছে৷’’
তিনি জানান, ৩৩৩-এর জন্য রবিবার ১৪ হাজার ১০০ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে৷ আর প্রত্যেক জেলায় দুই লাখ ৫০ হাজার থেকে এক লাখ ৫০ হাজার টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে৷ ঈদের জন্য সারাদেশে এক লাখ ১৭৬ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ করা হয়েছে এক কোটি ১০ হাজার ৬৫১ পরিবারের জন্য৷ ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ এবং চট্টগ্রাম ও রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনে ৫০ লাখ টাকা করে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে৷ চাল দেয়া হয়েছে ১০০ টন করে৷ অন্যান্য সিটি কর্পোরেশনকে ২৫ লাখ টাকা ও ৫০ টন করে চাল দেয়া হয়েছে৷ ৩২৮ পৌরসভার প্রত্যেকটিতে ১০ মেট্রিক টন চাল ও এক লাখ করে টাকা দেয়া হয়েছে৷
এই সহায়তা সরকারের বিভন্ন সহায়তা কর্মসূচির আওয়তায় যারা তালিকাভুক্ত তারাই পাবেন৷ কিন্তু যারা নতুন করে দরিদ্র হয়েছেন, যারা ভাসমান, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী তারা পাচ্ছেন না৷ শহুরে দরিদ্র রিকশা চালক, দিনমজুর, বস্তিবাসী তারাও হচ্ছেন বঞ্চিত৷
১ জুলাইর ছবিঘরটি দেখুন...
করোনার ‘শাটডাউন’ শুরু
১ জুলাই থেকে দেশব্যাপী শাটডাউন কার্যকর করতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশাপাশি মাঠে ছিল সেনাবাহিনী এবং বিজিবি। কেমন ছিল ঢাকার প্রথমদিনের শাটডাউন? চলুন দেখে নেওয়া যাক ছবিঘরে...
ছবি: Munir Uz/AFP
নেই কোন মুভমেন্ট পাস
গত এপ্রিলে সরকার কঠোর লকডাউন ঘোষণা দেওয়ায় জরুরি প্রয়োজনে যারা বের হবেন, তাদের জন্য মুভমেন্ট পাস এর ব্যবস্থা থাকলেও এবারের শাটডাউনের সেরকম কোন সুযোগ রাখা হয়নি। মানুষ যেন নিতান্ত প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হতে না পারে, সেজন্য এবার এ ব্যবস্থা রাখা হয়নি বলে জানায় সংশ্লিষ্ট সূত্র।
ছবি: Mortuza Rashed
সেনাবাহিনী মোতায়েন
গতবছরের মার্চে ঘোষিত লকডাউনের ন্যায় এবারের শাটডাউনেও সাতদিনের জন্য সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। মন্ত্রীপরিষদের প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়, জনগণের স্বার্থে “ইন এইড টুঁ সিভিল পাওয়ার” বিধানের আওতায় মাঠ পর্যায়ে কার্যকর টহল নিশ্চিত করতে সশস্ত্র বাহিনী প্রয়োজনীয় সেনা মোতায়েন করবে।
ছবি: BDNEWS24.com
খোলা আছে পোশাকশিল্প ও কলকারখানা
এবারের শাটডাউনে সরকারি, বেসরকারি এবং স্বায়ত্ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলেও খোলা রাখা হয়েছে তৈরি পোশাক শিল্পের কারখানা এবং অনান্য কারখানা। সেক্ষেত্রে তৈরি পোশাকশিল্পের মালিকেরা দাবি করেন, পোশাক শ্রমিকেরা আশেপাশেই থাকেন বলে এই লকডাউনে তাদের যাতায়াতের তেমন কোনো সমস্যা হবে না।
ছবি: Mortuza Rashed
খেটে খাওয়া মানুষদের ক্ষোভ
ঢাকার আগারগাঁও এ “লেবার মার্কেট” এ শাটডাউনের সকালে দেখা গেল ৫০ জনের বেশি দিনমজুর কাজের অপেক্ষায় বসে আছেন। রং মিস্ত্রী অলি মিয়া ক্ষোভের সুরে বলেন, “আমরা খাইটা খাওয়া মানুষ। করোনার পর থেকা আমাগো প্যাটে ভাত নাই। সরকার আমাগো খাওয়ার ব্যবস্থা না কইরা দুইদিন পরপর এমনে লকডাউন দিলে আমাগের পরিবারসহ আমরা খাবো কী? সরকার আমাগের রুটিরুজির ব্যবস্থা কইরা যত মনে চায় লকডাউন দিক, আমাগো কোন আপত্তি নাই।”
ছবি: Mortuza Rashed
রিক্সাভাড়া দ্বিগুণ, সাথে ভোগান্তি
জরুরি প্রয়োজনে বের হওয়া একাধিক ব্যক্তির সাথে কথা বলে জানা যায়, গত সোমবার থেকে রিক্সাওয়ালাদের যেন ঈদ লেগেছে। অন্যান্য সব গণপরিবহন বন্ধ থাকায় নিতান্ত বাধ্য হয়ে মানুষ রিক্সায় চড়ছে এবং এতেই ভাড়া বেড়েছে প্রায় দ্বিগুণ। একে তো রিক্সার সংখ্যা কম, তার উপর এই অতিরিক্ত ভাড়া সাধারণ মানুষের প্রতি মরার উপর খাঁড়ার ঘা হয়ে এসেছে বলে একমত প্রকাশ করেন অনেকেই।
ছবি: Abdul Halim
মোটরবাইকে দুইজন নয়
ঢাকার বিজয়স্মরণিসহ পুলিশের একাধিক চেকপোস্টে গিয়ে দেখা গেল, সেখানে মোটরবাইকে ২ জন থাকলেই ১ জনকে নামিয়ে দেওয়া হচ্ছে। কেন এমন করা হচ্ছে জানতে চাইলে একজন কর্তব্যরত পুলিশ সদসে জানান, তাঁদেরকে এমন নির্দেশনা ই দেওয়া হয়েছে যেন ১ জনের বেশি মোটরবাইকে চলতে দেওয়া না হয়।
ছবি: Mortuza Rashed
কাঁচাবাজার খোলা আট ঘণ্টা
ঢাকার কারওয়ান বাজারসহ অন্যান্য কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রায় সবগুলোতেই টুকটাক বেচাকেনা হচ্ছে। তবে এতে অসন্তুষ্ট বিক্রেতারা। কতক্ষণ বাজার খোলা রাখার অনুমতি আছে জানতে চাইলে একজন বিক্রেতা জানান, সকাল নয়টা থেকে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত তাঁদের ব্যবসা করার অনুমতি আছে।
ছবি: Abdul Halim
জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নেওয়া হচ্ছে
ঢাকার বিজয়স্মরণি মোড়ে পুলিশের একটি চেকপোস্টে গিয়ে দেখা গেল সেখানে মোটরবাইক থেকে নামিয়ে দুইজনকে পুলিশ ভ্যানে তোলা হচ্ছে। কারণ জানতে চাওয়ায় একজন ট্রাফিক সার্জেন্ট জানালেন, তারা বাসা থেকে বের হওয়ার কোন উপযুক্ত কারণ দেখাতে পারেননি বিধায় থানায় নিয়ে তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। তবে এটিকে গ্রেপ্তার বলছেন না তিনি।
ছবি: Mortuza Rashed
বন্ধ সবরকম যান্ত্রিক গণপরিবহন
সর্বাত্মক শাটডাউনে সরকার সড়ক, নৌ, রেল, এবং অভ্যন্তরীণ উড়োজাহাজসহ সবরকমের গণপরিবহন বন্ধ রেখেছে। এতে সাধারণ মানুষের চলাচলে কিছুটা সমস্যা হলেও করোনাভাইরাসের সংক্রমণরোধে এ পদ্ধতি অনেকটাই কার্যকর ভূমিকা পালন করবে বলে জানান সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
ছবি: Abdul Halim
জরুরি পরিষেবা বিধিনিষেধের আওতামুক্ত
১ জুলাই থেকে চালু হওয়া শাটডাউনের ২১ দফায় বলা হয়েছে জরুরি পরিষেবা যেমন ত্রাণ, খাদ্যদ্রব্য পরিবহন, স্বাস্থ্যসেবা, চিকিৎসা সামগ্রী, গণমাধ্যম ইত্যাদি বিধিনিষেধের আওতামুক্ত থাকবে। তবে ঝামেলা এড়াতে সকলকে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের আইডি কার্ড সঙ্গে রাখতে বলা হয়েছে।
ছবি: Mortuza Rashed
ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা
ঢাকার শাহবাগ মোড়ে র্যাব কর্তৃক ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার চিত্র পাওয়া গেল। র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পলাশ কুমার বসু জানান, জনগণকে সচেতন করাই তাঁদের মূল উদ্দেশ্য। বেলা ১২ টা পর্যন্ত স্বাস্থ্যবিধি না মেনে বাসা থেকে বের হওয়ায় চারজনকে মোট ১১০০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
ছবি: Mortuza Rashed
ব্যাংক বন্ধ সপ্তাহে তিনদিন
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে সরকার প্রদত্ত ৭ দিনের শাটডাউনে ব্যাংকসমূহ সপ্তাহে দুইদিনের পরিবর্তে তিনদিন তথা শুক্রবার, শনিবার এবং রোববার বন্ধ থাকবে। যেসব দিনে ব্যাংক খোলা থাকবে, সেসব দিনে সকাল দশটা থেকে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনা করা যাবে।
ছবি: Mortuza Rashed
বিধিনিষেধ বাড়ানো হতে পারে আরও ৭ দিন
দেশব্যাপী করোনার ঊর্ধ্বমুখী সংক্রমণ রোধ করতে বৃহস্পতিবার ১ জুলাই থেকে কার্যকর হওয়া শাটডাউন আরও একসপ্তাহ বাড়ানো হতে পারে বলে জানিয়েছেন সরকারের সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। এক্ষেত্রে দৈনিক মৃত্যু এবং সংক্রমণের হার দেখে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলেও জানান একাধিক সূত্র।