খাগড়াছড়ির নয় মাইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী কৃর্তিকা ত্রিপুরা পূর্ণাকে ধর্ষণ ও হত্যার প্রতিবাদে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে সাধারণ মানুষের মাঝে৷ এমন নৃশংস হত্যার বিচারের দাবি উঠেছে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে৷
বিজ্ঞাপন
শনিবার দীঘিনালায় ১০ বছরের পূর্ণার ক্ষত-বিক্ষত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ৷ সে নয়মাইল ত্রিপুরাপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী৷ রবিবার সদর হাসপাতালে ময়নাতদন্তের পর পূর্ণার লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়৷
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, প্রতিদিনের মত শনিবার ওই ছাত্রীর মা জুমচাষে (পাহাড়ে চাষাবাদ) বেরিয়ে পড়ে আর পূর্ণা স্কুলে গিয়েছিল৷ দুপুরে টিফিনের ছুটি পেয়ে বাড়িতে খেতে এসে পূর্ণা আর স্কুলে ফিরে যায়নি৷ তার মা জুম থেকে ফিরে বাড়ি এসে মেয়েকে না দেখে খুঁজতে থাকেন৷ পরে রাত ১১টায় বাড়ির পাশের ছড়ার জঙ্গল থেকে রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করা হয়৷
সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে পূর্ণার বিভৎস মৃতদেহের ছবি শেয়ার করেছেন অনেকে৷ জানিয়েছেন নিজেদের প্রতিক্রিয়া৷শামীম আরা নীপা লিখেছেন,
তিনি লিখেছেন, ‘‘বিশ্বাস করেন, এই দেশে আমার আর বাঁচার ন্যূনতম ইচ্ছা নাই৷ রাগে দুঃখে লজ্জায় ক্ষোভে অসহায়ত্বে অপারগতায় আমার ভেতরের সবকিছু বের হয়ে আসতে চাচ্ছে৷ কার কাছে বিচার চাবো, কার কাছে বিচার দিবো, কে করবে প্রতিরোধ?''
যৌন হয়রানির হাত থেকে কীভাবে বাঁচাবেন শিশুকে
শিশুরা বিকৃতকাম মানুষের সহজ শিকার৷ সারল্যের সুযোগ নিয়ে সহজে ভোলানো যায় তাদের৷ অনেক সময় শিশুরা বুঝতে পারে না, চিনতে পারে না পিশাচের থাবা৷ আর বুঝলেও করতে পারে না প্রতিবাদ, প্রতিরোধ৷ শুধু একটা অস্বস্তি থেকে যায় সারাটা জীবন৷
ছবি: picture alliance/abaca
ভয়াবহ অবস্থা ভারতে
ভারতের জাতীয় ক্রাইম রেকর্ড ব্যুরোর পরিসংখ্যান অনুযায়ী, দেশের অর্ধেকেরও বেশি বাচ্চা যৌন নিগ্রহের শিকার৷ তবে সবচেয়ে ভয়ংকর সত্য হলো, নাবালিকা বা শিশুর ওপর যৌন হেনস্থার ঘটনা সবচেয়ে বেশি ঘটছে পরিবারের মধ্যে, পরিবারেরই কোনো মানসিক বিকারগ্রস্ত সদস্যের হাতে৷ তাই সে সব ঘটনা পুলিশের কাছে পৌঁছাচ্ছে না, হচ্ছে না কোনো ডাইরি অথবা মামলা৷
ছবি: Fotolia/Gina Sanders
হারিয়ে যাচ্ছে শৈশব
এভাবে প্রতিদিন বিকৃত যৌন নির্যাতনে হারিয়ে যাচ্ছে অগুন্তি শৈশব৷ অনেকক্ষেত্রেই শিশুরা বুঝে উঠতে পারছে না, বলে উঠতে পারছে না তাদের অমানবিক সেই সব অভিজ্ঞতার কথা৷ তাই শিশুদের প্রতি যৌনাসক্ত, বিকৃত মানুষগুলো থেকে যাচ্ছে লোকচক্ষুর আড়ালে৷ সমাজবিদরা বলছেন, এ জন্য আগাম সতর্কতার দায়িত্ব নিতে হবে অভিভাবক এবং স্কুলের৷ শিশুকে দিতে হবে তার প্রাপ্য শৈশব৷
ছবি: Fotolia/Kitty
যেভাবে বোঝাবেন বাচ্চাদের
সহজ ভাষায় খেলা বা গল্পচ্ছলে শিশুদের এ বিষয়ে একটা ধারণা গড়ে তোলা যেত পারে৷ বাচ্চাদের বলতে হবে যে, তাদের শরীরটা শুধুমাত্র তাদের৷ অর্থাৎ কেউ যেন তাদের ‘গোপন’ জায়গায় হাত না দেয়৷ তাই কোনো আত্মীয় বা পরিচিত ব্যক্তির আচরণ অস্বস্তিকর ঠেকলে, কেউ তাদের জোর ঘরে কোনো ঘরে নিয়ে গেলে, খেলার ছলে চুমু দিলে বা শরীরের কোথাও হাত দিলে – তা যেন মা-বাবাকে জানায় তারা৷
ছবি: picture-alliance/dpa
চিনিয়ে দিন যৌনাঙ্গ
অনেক বাবা-মা নিজ সন্তানের সঙ্গে যৌনাঙ্গ নিয়ে কথা বলতে কুণ্ঠা বোধ করেন৷ কিন্তু এই লজ্জা কাটিয়ে উঠতে হবে এবং খুব ছোটবেলাতেই ছবি এঁকে অথবা গল্পে-গানে বাচ্চাকে তার শরীরের অন্য সব অঙ্গের মতো যৌনাঙ্গ, লিঙ্গ ইত্যাদি চিনিয়ে দিতে হবে৷ এমনটা করলে কেউ যদি তাদের সঙ্গে পিশাচের মতো ব্যবহার করে, তাহলে শিশুরা সহজেই বলতে পারবে কে, কখন, কোথায় হাত দিয়েছিল৷
ছবি: DW/S.Rahman
শিশুর কথা শুনুন, তার পক্ষ নিন
শিশু যাতে আপনাকে বিশ্বাস করতে পারে, বন্ধুর মতো সবকিছু খুলে বলতে পারে – সেটা নিশ্চিত করুন৷ আপনার বাচ্চা যদি পরিবারের কাউকে বা আপনার কোনো বন্ধুকে হঠাৎ করে এড়িয়ে যেতে শুরু করে অথবা আপনাকে খুলে বলে বিকৃত সেই মানুষের কৃতকর্মের কথা, তবে সময় নষ্ট না করে শিশুটির পক্ষ নিন আর তিরস্কার করে বাড়ি থেকে বার করে দিন ঐ ‘অসুস্থ’ লোকটাকে৷
ছবি: Fotolia/pegbes
স্কুলেরও দায়িত্ব আছে
বাচ্চারা দিনের অনেকটা সময় স্কুলে কাটায়৷ তাই যৌন শিক্ষার ক্ষেত্রে স্কুলের একটা বড় দায়িত্ব থেকে যায়৷ তবে স্কুলের মধ্যে, বিদ্যালয় চত্বরেও ঘটতে পারে শিশু নির্যাতনের ঘটনা৷ তাই স্কুল থেকে ফেরার পর বাচ্চা যদি অতিরিক্ত চুপচাপ থাকে, একা একা সময় কাটায় বা পড়াশোনা করতে না চায়, তাহলে ওর সঙ্গে কথা বলুন৷ জানতে চান কী হয়েছে, প্রয়োজনে স্কুল কর্তৃপক্ষকেও জানান৷
ছবি: picture-alliance/blickwinkel
ছেলে-মেয়ে সমান!
আমাদের সমাজে ছোট থেকেই মেয়েদের সঙ্গে বৈষম্যমূলক আচরণ করা হয়৷ মেয়ে হলেই হাতে একটা পুতুল আর ছেলে হলে ধরিয়ে দেয়া হয় বল বা খেলনার পিস্তল৷ ছেলের পাতে যখন তুলে দেয়া হয় মাছের বড় টুকরোটা, তখন মেয়েটির হয়ত এক গ্লাস দুধও জোটে না৷ এ বৈষম্য বন্ধ করুন৷ বাবা-মায়ের চোখে ছেলে-মেয়ে সমান – সেভাবেই বড় করুন তাদের৷ তা না হলে নারীর ক্ষমতায়ন হবে কীভাবে? কীভাবে কমবে শিশু নির্যাতন?
ছবি: picture alliance/abaca
7 ছবি1 | 7
এরপর অন্য একটি পোস্টে তার হাহাকার, ‘‘পূর্ণার মায়ের কথা ভাবছি না, ভাবতে পারছি না – উনাদের ব্যথা বোঝার ক্ষমতা আমার নাই.... পাহাড়ে খুন-ধর্ষণ-নৃশংসতা বন্ধ করতে হবে৷''
‘‘পাড়ার লোকেরা মিলে অনেকক্ষণ খোঁজা-খুজির পর অবশেষে রাত ১১টা নাগাদ বাড়ির নীচের জঙ্গলে পাওয়া গেল পূর্ণার ক্ষতবিক্ষত লাশ৷ শরীরের সব জায়গায় আঘাতের চিহ্ন৷ হয়ত দুর্বল দু'টো হাত দিয়ে নিজেকে রক্ষা করার শেষ চেষ্টা করেছিল পূর্ণা৷ কিন্তু শেষ রক্ষা আর হয়নি৷ পূর্ণার মা স্বামী হারানোর শোক কাটিয়ে এসেছে প্রায়, তার মাঝেই নিজের মেয়ের ক্ষতবিক্ষত লাশ! আর কত কষ্ট বহন করবে? এভাবে পূর্ণার মায়েরা মনের জখম নিয়ে বিচার খুঁজে বেড়ায় দিকবিদিক!! আজকে কালকে করে পার পেয়ে যায় এই নর ঘাতকরা৷ দুর্বল রাষ্ট্র ব্যবস্থার সঠিক বিচারের অভাবে সাহস বাড়তে থাকে পশুগুলোর৷ সুবিচার কি আসলেই আশা করতে পারব আমরা!''
‘‘আদিবাসী পূর্ণা ত্রিপুরাকে ধর্ষণের পর হত্যা করা ৪ নরপিশাচরা হলো –
১. নয়ন হোসেন (২৬), বাড়ি: মেরুং ২ নং হেডকোয়াটার
২. নয়ন ইসলাম (২৮), বাড়ি: মেরুং ২ নং হেডকোয়াটার
৩. ভান্ডারি মোটর গাড়ি ড্রাইভার, বাড়ি: মেরুং ২ নং হেডকোয়াটার!
৪ নজরুল ইসলাম (২৭), বাড়ি: মধ্য বোয়ালখালি
এই চারজন নরপিশাচ পূর্ণা ত্রিপুরাকে ধর্ষণ করার পর নির্মমভাবে হত্যা করে৷ একটি স্বাধীন দেশে আর কত মা-বোন, নারী-শিশু নরপশুদের লালসার শিকার হয়ে খুন হবে? এই প্রশ্নের উত্তর কি কারো জানা আছে?''
‘‘রাস্তার পাশে তার বাড়ি৷ স্কুল বিরতিতে বাড়িতে খেতে আসছিলো৷ কিন্তু তাকে আর স্কুলে যেতে দেয়নি জানোয়াররা৷ একদম পিচ্চি একটা মেয়ে৷ তার বাবা বেঁচে নেই, মা-ই সবকিছু৷ দরিদ্র পরিবার৷ প্রায় ২/৩ ঘটিকার সময় একটি ট্রাক তাদের বাড়ির সামনে রাস্তার ধারে থামে৷ তিন জন বাঙালিকে যেতে দেখা যায় তাদের বাড়ির দিকে৷ মা বিকালে বাড়িতে এসে ছোট্ট মেয়েটির খোঁজ করে৷ খুঁজতে খুঁজতে তার ছোট্ট মেয়ে পূর্ণা'র লাশ পাওয়া যায় তাদের বাড়ির নিচে যেখানে ছোট্ট ছড়া৷ সান্ত্বনার কোনো ভাষা নেই, প্রতিবাদেরও কোনো ভাষা নেই৷ জানি, ধর্ষকদের বিচার হবে না৷ কোনো শাস্তি দেবে না রাষ্ট্র৷''
শিশুদের নিয়ে মন খারাপ করা কিছু খবর
বাংলাদেশে ২০১৩ সালে প্রণীত শিশু আইন অনুযায়ী, ১৮ বছর বয়স পর্যন্ত সকলকে শিশু বলে গণ্য করা হয়৷ শিশুদের নিয়ে ছবিঘরে থাকছে এমন কিছু তথ্য, যা পড়ে আপনার মন খারাপ হতে বাধ্য৷
ছবি: picture-alliance/dpa
সাত মাসে ৬১ গণধর্ষণ
শিশু অধিকার নিয়ে কাজ করে এমন ২৬৭টি সংগঠনের সমন্বয়ে গঠিত ‘বাংলাদেশ শিশু অধিকার ফোরাম’ এর হিসেবে, চলতি বছরের প্রথম সাত মাসে ৬১টি শিশু গণধর্ষণের শিকার হয়েছে৷ সংবাদপত্রে প্রকাশিত সংবাদের ভিত্তিতে এই তথ্য জানায় ফোরামটি৷ একই সময়ে ধর্ষণ, উত্ত্যক্তসহ যৌন সহিংসতার শিকার হয় ৩৪৭টি শিশু৷ এর মধ্যে চারটি ছেলেশিশুও রয়েছে৷
ছবি: Getty Images/A. Joyce
বয়স ১৫ হওয়ার আগেই বিয়ে
আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস ওয়াচের হিসেব অনুযায়ী, বাংলাদেশে গড়ে ২৯ শতাংশ মেয়ের বিয়ে হয় তাদের বয়স ১৫ পার হওয়ার আগে৷ আর ৬৫ শতাংশের বিয়ে হয় বয়স ১৮ পার হওয়ার আগে৷
ছবি: Getty Images/A. Joyce
ঝুঁকিপূর্ণ কাজে শিশু
সরকারি তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশে ৪৫ লাখেরও বেশি শিশু ঝুঁকিপূর্ণ কাজে নিয়োজিত৷ এর মধ্যে প্রায় ১৭ লাখেরও বেশি শিশুর বাস খোদ ঢাকা শহরে৷ বাংলাদেশ সরকার ঝুঁকিপূর্ণ ৩৮টি কাজে শিশুশ্রম নিষিদ্ধ করলেও আদতে তা মানা হচ্ছে না৷ সরকারিভাবে নেই কোনো নজরদারির ব্যবস্থা৷
ছবি: Mustafiz Mamun
কিশোর অপরাধী
পুলিশ সদর দপ্তরের হিসাব অনুযায়ী, বাংলাদেশে গড়ে প্রতিবছর কমপক্ষে দুই হাজার শিশুকে নানা অপরাধে আটক করা হয়৷ শিশু অধিকার ফোরামের হিসেবে, চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসে ২৭৬ জন শিশুকে অস্ত্র ও মাদক বহনসহ নানা অভিযোগে আটক করা হয়৷
ছবি: bilderbox
মাত্র তিনটি
আইন অনুযায়ী শিশু-কিশোর অপরাধীদের বিচার করা হয় কিশোর আদালতে৷ এরপর বিচার শেষে শাস্তি ভোগের জন্য তাদের শিশু-কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রে পাঠানোর কথা৷ কিন্তু বাংলাদেশে এমন কেন্দ্র আছে মাত্র তিনটি৷ গাজীপুরে দু’টি এবং যশোরে একটি৷ এর মধ্যে গাজীপুরের একটি মেয়েদের জন্য৷ সব মিলিয়ে এই তিনটির ধারণ ক্ষমতা ৬০০৷ অর্থাৎ আটক শিশুদের বড় একটি অংশের জায়গা উন্নয়ন কেন্দ্রে হয় না৷ ফলে তাদের কারাগারে থাকতে হয়৷
ছবি: picture-alliance/dpa
5 ছবি1 | 5
নন্দিতা তালুকদার কেয়া লিখেছেন, ‘‘ফেসবুকে বড় বড় কথা না বলে, রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ করেন৷ আমাদের দেশের আইন কি ঘুমিয়ে আছে! যতসব জানোয়ারগুলো বসে আছে আইন বিচার ব্যবস্থাপনায়৷ আর ওইসব ধর্ষকগুলোকে জনসম্মুখে জবাই দেওয়া উচিত৷''
কা মি লাই পাহাড়ে বাঙালিদের অত্যাচারের কথা লিখেছেন৷ তিনি লিখেছেন, ‘‘১০ বছরের পূর্ণা ত্রিপুরাকে ৪ জন সেটেলার বাঙালি ধর্ষণ করেছে৷ শুধু ধর্ষণ করেই ক্ষান্ত হয়নি সেটেলার বাঙালি নামক জানোয়ারের বাচ্চারা, হাত দু'টি শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে, যৌনাঙ্গ ক্ষত বিক্ষত করে দিয়েছে৷ কি রকম পাষণ্ড হলে এমনটি করা যায় ভাবতে পারেন? ধর্ষণ ও হত্যার দায়ে পুলিশ চারজন সেটেলারকে আটক করেছে৷ পাহাড়ে এখন প্রতি মাসেই সেটেলার বাঙালি কতৃক পাহাড়ি নারী ও শিশু ধর্ষিত হচ্ছে৷ এসব ঘটনার কোন বিচার আদৌ হয়েছে কি? হয়নি ! যতক্ষন পর্যন্ত পাহাড়ি নারী ও শিশুদের ধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ডের বিচারের দাবিকে গণ আন্দোলনে রূপ দেওয়া যাবে না ততক্ষণ পর্যন্ত পাহাড়ি নারী ও শিশু ধর্ষণের বিচার পাওয়া যাবে না৷''
পল্লব রাঙ্গেই লিখেছেন, ‘‘পূর্ণা, বোন আমার তোমার জন্য হৃদয় আমার উথাল পাথাল! তোমার রক্তাক্ত নিথর ছবি দেখে আমার রক্ত হিম হয়ে আসে, হৃদপিণ্ডের স্পন্দন থেমে যায়৷ তোমার এই অবেলা নৃশংস চির বিদায় আমাকে ‘জানোয়ার' হতে উদ্বুদ্ধ করে!''