কবি ফরিদ কবির বাংলা ভাষার শব্দে সাম্প্রদায়িকতা, রাজনীতি, অর্থনীতি, বর্ণবাদসহ আরো নানা দিক নিয়ে কথা বলেছেন ডয়চে ভেলের সঙ্গে৷
বিজ্ঞাপন
ডয়চে ভেলে: এখন ‘জান ও জবানের স্বাধীনতা’ শব্দ গুচ্ছ নিয়ে নানা কথা হচ্ছে৷ বাংলা ভাষায় অন্য ভাষা বা বাইরের শব্দ প্রবেশে রাজনীতি, ধর্ম বা সাম্প্রদায়িকতা যা-ই বলুননা কেন কতটা প্রভাব রাখছে?
ফরিদ কবির: দেশের মানুষের মধ্যে দুই শ্রেণির মানুষ আছে৷ সেটা ভারত ভাগের পর থেকেই আছে৷ একটা সাম্প্রদায়িক শক্তি, সব সময়ই তারা সক্রিয় ছিল৷ আবার একটি অসাম্প্রদায়িক চেতনার বিষয়টিও সক্রিয় ছিল৷ যে কারণে আমরা দেখি ১৯৪৭ সালে ভারত ভাগ হয়ে পাকিস্তান হওয়া৷ পাকিস্তানে উর্দু রাষ্ট্রভাষা ঘোষণা দেয়া৷ তারপরে এই দেশের মানুষের মাতৃভাষার প্রতি ভালোবাসা, ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ সব কিছু মিলিয়ে ভাষা আন্দোলন ও স্বাধীন দেশের প্রতি যাত্রা৷ এই পুরো ইতিহাস যদি আমরা দেখি তাহলে আমরা দেখবো এখানে সাম্প্রদায়িক শক্তি সক্রিয় ছিল এবং অসাম্প্রাদায়িক শক্তিও বড় রকমের সক্রিয় ছিল৷ সাম্প্রদয়িক শক্তির দৈনন্দিন জীবনের যে চর্চা, ভাষায় তো তার প্রভাব পড়বেই৷ বাঙালি মুসলমানদের যারা আরবি-ফার্সির চর্চা একটু বেশি করেন, তাদের মাধ্যমে আমাদের ভাষায় আরবি-ফারসি ঢুকেছে৷ আবার ইংরেজি ও হিন্দি শব্দের ব্যবহারও আমরা লক্ষ্য করি৷ ভাষা একটি বহতা নদীর মতো ৷ তাই আপনি চাইলেই ভিনদেশি শব্দ বের করে দিতে পারবেন না৷ এরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে ঢুকে পড়ে৷ এটাই ভাষার সৌন্দর্য৷
‘অনেকে মনে করেন, বাংলার সাথে ইংরেজি মেশালে হয়তো একটু স্মার্ট লাগবে, একটু শিক্ষিত মনে হবে’
চাপিয়ে দেয়ার প্রবণতা আছে ?ইনশাল্লাহ, মাশাল্লাহ নিয়ে পক্ষে-বিপক্ষে কথা আছে৷ আবার হিন্দির প্রবেশ নিয়েও কথা হয়৷ এখানে অনকাঙ্খিত কোনো প্রবণতা আছে বলে মনে করেন?
আমার ব্যক্তিগতভআবে মনে হয় না যে, চাপিয়ে দেয়া কোনো কিছু কোনো ভাষা কখনো গ্রহণ করে৷ আমি হিন্দুদেরও মাশাল্লাহ বলতে শুনেছি৷ কোলকাতায় বলে মাশাল্লাহ খুব ভালো৷ তখন এটার ভিতরে কিন্তু আর ধর্মীয় বিষয় থাকে না৷ হিন্দি সিনেমায়ও হিন্দু ক্যারেক্টার মাশাল্লাহ বলে৷ আবার মুসলমানরাও আদাব বলে৷ এটা আত্মীকরণ৷ চাপিয়ে দেয়া হলে ভাষা তা নেয় না৷
বাংলা বলতে গিয়ে অনেক ইংরেজি শব্দের মিশ্রণ বাংলা ভাষার কোনো ক্ষতি করে কিনা...
এটা হীনমন্যতা থেকে হয়৷ অনেকে মনে করেন, বাংলার সাথে ইংরেজি মেশালে হয়তো একটু স্মার্ট লাগবে, একটু শিক্ষিত মনে হবে৷ একটা ঔপনিবেশিক মানসিকতা তো আমাদের মধ্যে আছে৷ যেকোনো ভাষা দাঁড়ায় তার অর্থনৈতিক শক্তির ওপর৷ ভাষার রাজনৈতিক দিক যেমন থাকে৷ তার একটি অর্থনৈতিক দিক আছে৷ জাপানিদের অর্থনীতি শক্তিশালী৷ তাদের ইংরেজি বা অন্য ভাষা না শিখলেও চলে৷ আবার কেউ কেউ নিজের ভাষাকে মর্যাদা দিতে জানে৷ যেমন তামিলরা৷ ভারতে হিন্দি যত শক্তিশালীই হোক না কেন, তারা কিন্তু তামিল ভাষার বাইরে বলবে না৷ আমাদের বাঙালিদের মধ্যে আমার মনে হয়, যে কারণেই হোক, ভাষার প্রতি যে প্রেম, দেশের প্রতি যে প্রেম, সেটা কিছুটা কম আছে৷
ভাষা নিয়ে সাত মজার তথ্য
ইউনেস্কোর হিসেবে পৃথিবীর মানুষ প্রায় ছয় হাজার ভাষায় কথা বলে৷ এর মধ্যে ৯০ শতাংশ ভাষায় কথা বলা মোট মানুষের সংখ্যা এক লাখেরও কম৷
মোট ভাষা
ইউনেস্কো বলছে, পৃথিবীর মানুষ প্রায় ছয় হাজার ভাষায় কথা বলে৷ এর মধ্যে কমপক্ষে ৪৩ শতাংশ ভাষা বিলুপ্তির আশঙ্কায় রয়েছে৷ আরেক হিসেব বলছে, ছয় হাজার ভাষার মধ্যে ৯০ শতাংশ ভাষায় কথা বলা মোট মানুষের সংখ্যা এক লাখেরও কম হতে পারে৷ যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক এসআইএল ইন্টারন্যাশনালের প্রকাশনা ‘এথনোলোগ’-এর হিসেবে, বিশ্বে বর্তমানে ভাষার সংখ্যা ৭,১৩৯৷
ছবি: picture-alliance/AP Photo/M. Meissner
সবচেয়ে বেশি ভাষার দেশ
পাপুয়া নিউ গিনির জনসংখ্যা প্রায় আশি লাখ৷ এথনোলোগের হিসেবে, সে দেশের মানুষ ৮৪০ ভাষায় কথা বলে! তবে অফিসিয়াল ভাষা তিনটি- ইংরেজি, টক পিসিন ও হিরি মটু৷ এই তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে থাকা ইন্দোনেশিয়ায় ভাষার সংখ্যা ৭১২৷ এরপর ক্রমান্বয়ে আছে নাইজেরিয়া (৫২২), ভারত (৪৫৪) ও যুক্তরাষ্ট্র (৩২৬)৷
ছবি: picture- alliance/AP Photo/UN/S. Aupong
মহাকাশে ঘুরছে বাংলা
সৌরজগৎ নিয়ে গবেষণা করতে ১৯৭৭ সালে নাসা ভয়েজার ১ ও ২ মহাকাশযান প্রেরণ করে৷ প্রতিটিতে একটি করে সোনালি ডিস্ক রয়েছে৷ এতে পৃথিবীর বিভিন্ন শব্দ ছাড়াও আছে ৫৫ ভাষায় বলা শুভেচ্ছা বার্তা৷ এরমধ্যে বাংলাও আছে৷ সুব্রত মুখার্জি বলছেন, ‘‘নমস্কার, বিশ্বের শান্তি হোক৷’’ মহাকাশযান দুটি এখনও মহাকাশে সক্রিয় আছে৷
ছবি: picture alliance/Jet Propulsion Lab via AP/dpa
ইংরেজি ভাষায় সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত বর্ণ
২০১৮ সালে রিডার্স ডাইজেস্টের এক প্রতিবেদন জানায়, ‘কনসাইস অক্সফোর্ড ইংলিশ ডিকশনারি’তে থাকা প্রায় ২৪ হাজার শব্দে যত বর্ণ ব্যবহৃত হয়েছে তার মধ্যে ‘ই’ বর্ণের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি, প্রায় ১১ শতাংশ৷ এরপরেই আছে ‘এ’৷ ‘ই’ এর চেয়ে প্রায় ছয় হাজার শব্দে পিছিয়ে আছে ‘এ’ বর্ণ৷ নরওয়েজিয়ান, ফিনিশ, ফ্রেঞ্চ ও ইটালিয়ান ভাষায়ও ‘ই’ এর অনেক ব্যবহার আছে৷
সবচেয়ে নতুন ভাষা লাইট ওয়ার্লপিরি
অস্ট্রেলিয়ার উত্তরাঞ্চলে ওয়ার্লপিরি আদিবাসী গোষ্ঠীর বাস৷ তারা ‘ওয়ার্লপিরি’ ভাষায় কথা বলে৷ তাদের সংখ্যা ৩-৪ হাজার৷ ৭০/৮০-র দশকে ওয়ার্লপিরি বাবা-মা সন্তানদের সঙ্গে কথা বলার সময় ইংরেজি ও ‘ক্রিয়ল’ ভাষার শব্দ ব্যবহার করতেন৷ এই তিন ভাষা শোনা বাচ্চারা নিজেদের মধ্যে কথা বলার সময় আলাদা এক ভাষার জন্ম হয়, যা ‘লাইট ওয়ার্লপিরি’ নাম পেয়েছে৷ ঐ বাচ্চারা এতদিনে বড় হয়েছে৷ এখন তাদের সন্তানরাও এই ভাষা ব্যবহার করছে৷
জার্মানির ‘লাইবনিৎস ইনস্টিটিউট ফর দ্য জার্মান ল্যাঙ্গুয়েজ’ জানিয়েছে, ২০২০ সালে প্রায় ১,২০০ নতুন জার্মান শব্দ তৈরি হয়েছে৷ সাধারণত গড়ে প্রতিবছর প্রায় ২০০ নতুন জার্মান শব্দ তৈরি হয়৷ কিন্তু করোনার কারণে গতবছর রেকর্ড সংখ্যক শব্দ পাওয়া গেছে৷ যেমন করোনাম্যুডে (করোনায় ক্লান্ত), করোনাফ্রিজুয়া (করোনা হেয়ারস্টাইল), ইম্ফনাইড (টিকা পাওয়া ব্যক্তিদের প্রতি ঈর্ষা) ইত্যাদি৷
ছবি: Jürgen Fromme/firo/picture alliance
বানানো ভাষা
গেম অফ থ্রোনসের যাযাবর গোষ্ঠী ডোথরাকির সদস্যরা ডোথরাকি ভাষায় কথা বলেন৷ এই টিভি সিরিজের জন্য ডোথরাকি ভাষাটি তৈরি করেন ল্যাঙ্গুয়েজ ক্রিয়েটর ডেভিড পিটারসন৷ এমন প্রায় দুশোর মতো ভাষার সন্ধান পাওয়া যায় যেগুলো বিভিন্ন বই, ফিল্ম ও টিভি সিরিজের প্রয়োজনে বানানো হয়েছে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/Sky
7 ছবি1 | 7
বিদেশি শব্দ আমরা বাংলায় কিভাবে নেবো, কতটা নেবো এর কি কোনো নিয়ম আছে? বাংলা একাডেমির অভিধানের কি কোনো নিয়ম আছে এ ব্যাপারে?
বাংলা ভাষার অভিধান তো বাংলা ভাষারই অভিধান৷ তবে বিদেশি ভাষা কতটা, কীভাবে নেয়া হবে, তার কোনো নিয়ম আছে কিনা তা আমি বলতে পারবো না৷ এটা ভাষা বিজ্ঞানীরাই ভালো বলতে পারবেন৷ তবে বাংলা ভাষা, ভাষা হিসেবে স্বয়ংসম্পূর্ণ৷ হাজার বছরের বাংলা ভাষা নানা চড়াই-উৎড়াই পাড়ি দিয়ে, নানা পরীক্ষা-নিরীক্ষার মধ্য দিয়ে এই পর্যায়ে এসেছে৷ ভাষা নিজেই বদলায় নিজেকে৷
এক সময় উর্দু হরফে বাংলা লেখার চেষ্টা হয়েছে৷ এখন রোমান হরফের বাংলা লেখা হচ্ছে৷ বিশেষ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বাংলা ইংরেজি মিলিয়ে লেখার প্রবণতা...
বাংলা ভাষার প্রতি প্রেম না থাকলে এরকম হয়৷ এখন ইউনিকোডে এত রকম ব্যবস্থা আছে যে, আপনি চাইলে বাংলাই লিখতে পারেন৷
আঞ্চলিক ভাষা কি মান বাংলা ভাষার পথে কোনো বাধা?
আমি মনে করি, আমাদের প্রতিটি আঞ্চলিক ভাষাই আলাদা বৈশিষ্ট্যের এবং আলাদা মর্যাদার৷ তবে যখন আমরা সবার জন্য বলবো তখন একটা মান ভাষা থাকবে৷
ভাষায় বর্ণবাদ, লিঙ্গ বৈষম্য, সাম্প্রদায়িকতা এগুলো কি ভাষার সমস্যা?
না, এগুলো মানুষের সমস্যা৷ ব্যবহারের সমস্যা৷ কয়েক দিন ধরে ফেসবুক গরম হয়ে উঠেছে প্রথম আলোর একটি শিরোনা নিয়ে- ‘কালো, তবু সুন্দর’৷ এটা তো ব্যবহারের সমস্যা৷ কারণ, এটা যিনি ব্যবহার করলেন তার মধ্যে বর্ণবাদ বিষয়টি রয়ে গেছে৷ বিশেষ বর্ণের প্রতি তার ভালোবাসা, তার প্রেম, এটা বোঝা যায়৷ আবার এটা থেকে বিশেষ বর্ণের প্রতি তার অনাগ্রহ, অপ্রেম-এটাও বোঝা যায়৷
বাংলা ভাষা কি এখন আধিপত্যবাদী? এখানে তো অনেক ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর ভাষা আছে৷ তাদের ওপর কি বাংলা আধিপত্য বিস্তার করছে?
এটা আমি ভাষার সমস্যা মনে করি না৷ এই সমস্যা রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গির৷ কারণ, ভাষারও তো একটা রাজনীতি আছে৷ যেমন, এব সময় উর্দু আমাদের ওপর চাপিয়ে দেয়ার চেষ্টা হয়েছে৷ আমরাও চাইছি এখন বাংলা ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীসহ সবার ওপর চাপিয়ে দিতে৷ যারা সংখ্যাগরিষ্ঠ, তারা চায় তাদের ভাষা, ধর্ম, সংস্কৃতি অন্যের ওপর চাপিয়ে দিতে৷ এটা করা হয় আধিপত্যবাদী মানসিকতা থেকেই৷ কিন্তু এটা হওয়া উচিত না৷ প্রতিটি ভাষাকে বাঁচিয়ে রাখতে হবে৷ আমাদের ভাষা আন্দোলন তো মাতৃভাষার জন্য আন্দোলন৷ তাই সব মাতৃভাষার প্রতিই আমাদের দরদ দেখতে হবে৷ তাদের সক্রিয় রাখা আমাদের দায়িত্ব৷
অ্যালকোহল থেকে কফি: ইংরেজি শব্দের আরবি মূল
কট্টরপন্থি দলগুলো জার্মানিতে ইসলামের কোনো জায়গা নেই বলে বিতর্কে মেতেছে৷ অথচ ভাষাগত দিক থেকে জার্মানির সঙ্গে আরবি ভাষার সম্পর্কটা পুরোনো৷ নিত্যদিনের ব্যবহারকৃত ইংরেজি ও জার্মান শব্দে রয়েছে আরবি ভাষা থেকে নেয়া শব্দ৷
ছবি: HappyAlex/Fotolia.com
অ্যালকোহল
আরবি শব্দ ‘আল-কুহিল’ থেকে ইংরেজি শব্দ অ্যালকোহলের উৎপত্তি৷ ‘কুহিল’ শব্দের অর্থ চোখে কাজল দেয়ার জন্য এক ধরনের প্রাকৃতিক খনিজ পদার্থের নির্যাস৷ ইউরোপে রসায়নবিদদের মতে, যে কোনো পদার্থের নির্যাসই হলো অ্যালকোহল৷
ছবি: Karlosk - Fotolia.com
কফি
অনেকেরই ধারণা কফি শব্দটি ইটালি ভাষা কাফে থেকে এসেছে৷ তুরস্কে কফিকে বলা হয় ‘কাহুয়া’, যেটা আরবি শব্দ ‘কাহুহ’ থেকে এসেছে৷ এর অর্থ ওয়াইন বা মদ৷ অথচ ইসলামে মদ্যপান নিষিদ্ধ৷ তাই কফিকে বলা হয় ‘ওয়াইন অফ ইসলাম’৷
ছবি: Imago/Levine-Roberts
সুগার
কফিকে মিষ্টি বানাতে হলে আপনার দরকার চিনির৷ কয়েক শত বছর আগে আরব ব্যবসায়ীরা নিজ দেশ থেকে ইউরোপের দেশগুলোতে চিনি সরবরাহ করত, যাকে তারা বলত ‘শার্কারা’ যার অর্থ কণা বা বালি৷
ছবি: picture-alliance/dpa/Bildagentur-online
সোফা
হাতে মিষ্টি কফি নিয়ে কোথায় বসবেন? নিশ্চয়ই সোফায়? আরব বিশ্বে সোফাকে বলা হয় ‘সুফহা’, মূলত কোনো স্থানে কার্পেটিং করে তার উপর বসার স্থান৷
ছবি: picture-alliance/Bildagentur-online/Tetra
ম্যাট্রেস
‘মাত্রাহুন’ শব্দের অর্থ কুশন বা কার্পেট৷ এটি ল্যাটিনে রূপান্তরিত হয়ে মাটেরাসিয়াম হয়েছে, পরবর্তীতে ইটালীয় ও অন্যান্য ইউরোপীয় ভাষায় পরিবর্তিত হয়ে ম্যাট্রেসে রূপ নিয়েছে৷
ছবি: Colourbox/Maxx-Studio
ম্যাগাজিন
আরবি শব্দ ‘মাকজিন’-এর অর্থ হলো স্টোর হাউস বা গুদাম ঘর৷ এটি ইটালীয় ভাষায় মাগাৎসিনো এবং ফরাসিতে ম্যাগাসঁ-এ রূপান্তরিত হয়েছে, যার অর্থ দোকান৷ ইংরেজি ভাষায় গিয়ে এটি ম্যাগাজিনে রূপান্তরিত হয়েছে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/Bildagentur-online
জিরাফ
আরবি শব্দ ‘সারাফা’ ইটালি হয়ে ইংরেজিতে গিয়ে জিরাফে রূপান্তরিত হয়েছে৷