বাংলাদেশে সমুদ্র সৈকত ক'টি? উত্তরে বেশিরভাগ মানুষই বলবেন কক্সবাজার, টেকনাফ, সেন্ট মার্টিন, পতেঙ্গা বা কুয়াকাটার নাম৷ অথচ দেশের পুরো দক্ষিণ দিক জুড়ে রয়েছে বেশ কিছু সমুদ্র সৈকত৷ সেগুলোর খোঁজেই বেড়িয়েছিলাম আমি...৷
বিজ্ঞাপন
টেকনাফের শামলাপুর, শিলখালি আর হাজামপাড়া – প্রায় গায়ে গা লাগানো এই তিনটি সমুদ্র সৈকত নতুন চালু হওয়া কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভের পাশ দিয়ে চলে গেছে৷ আগে এ সৈকত তিনটিতে মানুষের বিশেষ আনাগোনা ছিল না৷ অবশ্য আগে তেমন সুযোগ-সুবিধাও ছিল না৷ কিন্তু মেরিন ড্রাইভ চালু হবার পর, এই সৈকতগুলোতেও এখন পর্যটকের ঢল নামে, নিয়মিতই৷
২০০৯ সালে প্রথম গিয়েছিলাম শামলাপুর সৈকতে৷ টেকনাফের গেম রিজার্ভে বুনো হাতি দেখতে গিয়েছিলাম৷ টেকনাফের হোয়াইখং থেকে তৈঙ্গা পাহাড় অতিক্রম করে রাতের অন্ধকারে এসে তাঁবু গেড়েছিলাম শামলাপুর সৈকতের বেলাভূমিতে৷ হাতির ভয়ও ক্লান্তি তাড়াতে পারেনি৷ নির্জন সৈকতে সেই তাঁবুর মধ্যে মগ্ন হয়েছিলাম গভীর ঘুমে৷ সকালে ঘুম ভেঙেছিল একদল কৌতূহলী মানুষের হল্লায়৷
সেবারের দেখা শামলপুর সৈকত মনে ধরেছিল খুব৷ কক্সবাজার গেলেই নানান উৎরাই পেরিয়ে তাই চলে যেতাম জায়গাটিতে৷ এরপর একবার শামলাপুর বেড়াতে গিয়ে দেখা পাই শিলখালি আর হাজামপাড়া সৈকতের৷ একবার শিলখালি সৈকতেও তাঁবুবাসের সুযোগ হয়েছিল৷ ঘুম ভেঙে দেখেছিলাম তাঁবুর চারপাশটায় লাল কাঁকড়ারা কিলবিল করছে৷ হাজামপাড়া সৈকত দেখে তো প্রথমে ভ্রমই হয়েছিল, সেন্ট মার্টিনে এসে পড়েছি না তো!
কক্সবাজারে আরো তিনটি অপূর্ব সমুদ্র সৈকত দেখেছি৷ মানুষজন খুবই কম যান জায়গা দু'টিতে৷ এর একটি সোনাদিয়া দ্বীপ৷ যাতায়াত কষ্টসাধ্য বলেই পর্যটকরা তেমন ভেড়েন না ঐ দিকে৷ শীতের মৌসুমে ‘স্পিডবোট'-এ সোনাদিয়া যাওয়া যায়৷ তখনো মহেশখালী চ্যানেল আর সমুদ্রের মোহনায় বিস্তর ঢেউ থাকে৷ বর্ষা মৌসুমে তো মহেশখালী যাওয়াই বন্ধ হয়ে যায়৷ মনে আছে ২০০৮ সালে প্রথমবারের মতো গিয়েছিলাম সেই দ্বীপে৷ খুবই নির্জন সৈকতে নানান পাখির বিচরণ দেখেছিলাম সেবার৷ এরপরও কয়েকবার গেছি দ্বীপটায়৷ মহেশখালীর ধলঘাটা সমুদ্র সৈকতের নাম হয়ত শুনেননি অনেকেই৷
সাগরকন্যা কুয়াকাটার মোহনীয় নৈসর্গিক দৃশ্য
বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলে সাগরকন্যা খ্যাত ভ্রমণ গন্তব্য কুয়াকাটা৷ পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার লতাচাপালী ইউনিয়নে এর অবস্থান৷ এখান থেকে সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তের দৃশ্য দেখা যায় বলে অন্যান্য সমুদ্র সৈকত থেকে এর গুরুত্ব আলাদা৷
ছবি: DW/M.M. Rahman
কুয়াকাটার কুয়া
এই কুয়া বা পানির কূপকে ঘিরেই কুয়াকাটার নামকরণ৷ কথিত আছে ১৭৮৪ সালে বর্মী রাজা রাখাইনদের মাতৃভূমি আরাকান দখল করলে, বহু রাখাইন আরাকান ছেড়ে নৌকাযোগে অজানার উদ্দেশ্যে বেড়িয়ে পড়ে৷ চলতে চলতে তারা বঙ্গোপসাগরের তীরের রাঙ্গবালি দ্বীপ খুঁজে পেয়ে সেখানে বসতি স্থাপন করে৷ সাগরের লোনা পানি ব্যবহারের অনুপযোগী বলে মিষ্টি পানির জন্য তারা এখানে একটি কূপ খনন করে এবং এ স্থানের নাম দেয় কুয়াকাটা৷
ছবি: DW/M.M. Rahman
কুয়াকাটার সমুদ্র সৈকত
প্রায় ১৮ কিলোমিটার দীর্ঘ কুয়াকাটার সমুদ্র সৈকত৷ এ সৈকতের পূর্বে গঙ্গামতি আর পশ্চিম প্রান্তে বিশাল জেলে পল্লী৷
ছবি: DW/M.M. Rahman
সৈকতজুড়ে নারিকেল বিথী
সৈকত লাগোয়া এত নারিকেল বাগান বাংলাদেশের কম সমুদ্র সৈকতেই দেখা যায়৷ কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে বেশিরভাগ জায়গাতেই নারিকেল বাগান এ সৈকতের সৌন্দর্য বহুগুণে বাড়িয়েছে৷
ছবি: DW/M.M. Rahman
হুমকির মুখে নারিকেল বাগান
জোয়ারের ঢেউয়ে বিলীন হতে বসেছে কুয়াকাটার সমুদ্র সৈকতের নারিকেল বাগান৷ প্রতিবছরই বহু সংখ্যক নারিকেল গাছ বিলীন হচ্ছে সমুদ্র গর্ভে৷ গাছগুলোকে ঢেউ থেকে বাঁচানোর উদ্যোগ না নিলে দ্রুতই নারিকেল বাগান শূন্য হবে কুয়াকাটার সমুদ্র সৈকত৷
ছবি: DW/M.M. Rahman
সৈকতে সূর্যোদয়
কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে সূর্যোদয়৷ ভালভাবে সূর্যোদয় দেখার জন্য সৈকতের পূর্ব পাশে গঙ্গামতির বাঁক আদর্শ জায়গা৷
ছবি: DW/M.M. Rahman
সৈকতে সূর্যাস্ত
কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে সূর্যাস্তের দৃশ্য৷ সৈকতে পশ্চিম প্রান্তের নারিকেল বাগান এলাকায় সূর্যাস্ত দেখার ভালো জায়গা৷
ছবি: DW/M.M. Rahman
সীমা বৌদ্ধ মন্দির
কুয়াকাটার প্রাচীন কুয়াটির সামনেই সীমা বৌদ্ধ মন্দির৷ প্রাচীন এই মন্দিরে রয়েছে প্রায় ৩৭ মন ওজনের অষ্টধাতুর তৈরি ধ্যানমগ্ন বুদ্ধের মূর্তি৷
ছবি: DW/M.M. Rahman
ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী রাখাইন সম্প্রদায়
সীমা বৌদ্ধ মন্দিরের পাশেই রাখাইন আদিবাসীদের পল্লি কেরানিপাড়া৷ এখানকার রাখাইন নারীদের প্রধান কাজ কাপড় বুনন৷ এদের তৈরি শীতের চাদর বেশ আকর্ষণীয়৷
ছবি: DW/M.M. Rahman
শুঁটকি পল্লি
কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতের পশ্চিম প্রান্তে বিশাল শুঁটকি পল্লি৷ শীত মৌসুমে জেলেরা পল্লিতে আসেন মাছের শুঁটকি তৈরি করতে৷
ছবি: DW/M.M. Rahman
বিদেশে রপ্তানি
কুয়াকাটার শুঁটকি দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশে রপ্তানিও হয়৷
ছবি: DW/M.M. Rahman
গঙ্গামতির বন
কুয়াকাটা সুমুদ্র সৈকত পূর্ব দিকে শেষ হয়েছে গঙ্গামতির খালে গিয়ে৷ আর এখান থেকেই শুরু হয়েছে গঙ্গামতির বা গজমতির জঙ্গল৷ বিভিন্ন রককম গাছপালা ছাড়াও এই জঙ্গলে দেখা মিলতে পারে বন মোরগ, বানর ও নানা রকম পাখির৷ হিংস্র কোনো বন্যপ্রাণী নেই এ বনে৷
ছবি: DW/M.M. Rahman
ফাতরার বন
কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতের পশ্চিম প্রান্তে নদী পার হলেই সুন্দরবনের মতোই শ্বাসমূলীয় বন ‘ফাতরার বন’৷ অবিকল সুন্দরবনের মতো হলেও এ বনে হিংস্র বন্যপ্রাণি নেই বললেই চলে৷ বন মোরগ, বানর আর বিভিন্ন রকম পাখিই এ বনে বেশি দেখা যায়৷
ছবি: DW/M.M. Rahman
12 ছবি1 | 12
কক্সবাজার জেলার আরেক দ্বীপ কুতুবদিয়া৷ দ্বীপটির পশ্চিমপ্রান্তজুড়ে পুরোটাই সমুদ্র সৈকত৷ বন্ধুর বাড়ি থাকার সুবাদে বহুবার যাওয়া হয়েছে জায়গাটিতে৷ এ সমুদ্র সৈকতেও পর্যটকদের খুব একটা দেখা পাইনি৷ সুন্দর দ্বীপ কুতুবদিয়া৷ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যের পাশাপাশি এখানকার মানুষের জীবনযাত্রাও বিচিত্র৷ প্রাকৃতির নানা বিপর্যয়ের বিরুদ্ধে আজন্ম লড়াই করে বেঁচে থাকা মানুষগুলোর জীবনযাত্রা উপভোগ করা যায় ছোট্ট এই দ্বীপে৷ আগে অবশ্য হোটেল রেস্তোরাঁ ছিল না এখনে৷ তবে এখন সেসব হয়েছে৷ প্রাচীন বাতিঘর, বায়ু বিদ্যুৎ কেন্দ্র, শুঁটকি কেন্দ্র, সৈকতজুড়ে ঝাউবনসহ আরো অনেক কিছুই আছে এই দ্বীপে৷
নোয়াখালীর হাতিয়ায় অবস্থিত নিঝুম দ্বীপ৷ এক সময়ে প্রচুর হরিণ দেখা যেত এ দ্বীপের প্যারাবনে৷ আমিও ছোট্ট এ দ্বীপে গিয়েছিলাম হরিণ দেখতে৷ বনে বনে ঘোরার পর গিয়েছিলাম এখানকার সমুদ্র সৈকত দেখতেও৷ সত্যিই বিমোহিত হয়েছিলাম৷ নিঝুম দ্বীপের গোটা দক্ষিণ প্রান্তজুড়ে বিস্তীর্ণ বেলভূমি৷ সেখানে লাল কাঁকড়া আর সামুদ্রিক পাখিদের নির্ভয় বিচরণ৷ নিঝুম দ্বীপের সৈকতে দেখা সূর্যাস্তের সেই মায়াময় রূপভোলা সম্ভব নয় কখনোই৷
পটুয়াখালী জেলার গলাচিপা উপজেলার একেবারে দক্ষিণপ্রান্তে সোনারচর৷ গলাচিপা উপজেলা সদর থেকে দশ কিলোমিটার দূরের পানপট্টি থেকে ছোট লঞ্চে চেপেছিলাম তাপসী দ্বীপের উদ্দেশ্যে৷ পথে আগুনমুখো মোহনার ভয়াবহতা টের পেয়েছিলাম৷ তাপসী দ্বীপে নেমে ঘণ্টাখানেক হেঁটে পৌঁছেছিলাম সোনারচরে৷ কিন্তু সৈকতে পা ফেলেই দীর্ঘ ভ্রমণের সব ক্লান্তি ভুলেছিলাম সেদিন৷ প্রায় দশ কিলোমিটার দীর্ঘ সমুদ্র সৈকতে মানুষের ছিটফোটা নেই৷ সদ্য জোয়ারে ধুয়ে যাওয়া বেলাভূমিতে একদল জেলের জাল তোলা দেখে কাছে গিয়েছিলাম৷ জানতে পেরেছিলাম এ সৈকতে দাঁড়িয়ে সূর্যোদয় এবং সূর্যাস্ত – দু'টোই দেখা যায়৷ তবে সময় স্বল্পতায় তার কিছুই দেখা হলো না৷ দিনে দিনেই যে ফিরতে হয়েছিল সেবার...৷
বরগুনার লালদিয়া সুমদ্র সৈকতও কম সুন্দর নয়৷ হরিণঘাটা জঙ্গলের শেষ প্রান্তে এই সমুদ্র সৈকত৷ বন ধরে হেঁটে গেলে সমুদ্রে পৌঁছাতে সময় লাগে ঘণ্টা দুয়েক৷ এ সমুদ্র সৈকতটি খুব দীর্ঘ নয়৷ কিন্তু সৌন্দর্যের যেন কোনো কমতি নেই!
বাংলাদেশের সুন্দরবন লাগোয়াও বেশ কয়েকটি সমুদ্র সৈকত আছে৷ নির্জনতা, বাঘের ভয়, সুন্দরী-গড়ান-কেওড়ার জড়াজড়ি মিলিয়ে অন্যরকম এক জায়গা৷ অতিপ্রাকৃত, অপার্থিব৷ পক্ষির চর থেকে ডিমের চর, কচিখালী থেকে জামতলা, টিয়ার চর থেকে দুবলার চর আর মান্দারবাড়িয়া থেকে পুটনি দ্বীপ৷ একেকটি সমুদ্র সৈকত যে একেকটি বিশ্ময়৷ সুন্দরবনে দীর্ঘ দেড় যুগেরও বেশি সময় কাজ করার সুবাধে সবগুলো সৈকতেই যাওয়ার সৌভাগ্য হয়েছে, তাও আবার বারবার৷ কোনো কোনো সৈকতে দিনভর বেড়িয়েছি, অথচ বেশিরভাগ সময়ই কোনো মানুষের দেখা পাইনি৷
আমার দেখা বাংলাদেশের এ সব ‘অচেনা' সমুদ্র সৈকতগুলিতে খুবই কম সংখ্যক পর্যটক যান৷ এই না যাওয়ার প্রধান কারণ মনে হয় অবকাঠামোগত উন্নয়নের অভাব৷ এ সব সৈকতগুলোতে যাতায়াত ব্যবস্থা যেমন খুবই খারাপ, তেমনি অভাব আছে হোটেল-মোটেলেরও৷ তাই দেশের দক্ষিণ দিকজুড়ে প্রকৃতির অমূল্য দান এ সব সমুদ্র সৈকতে পর্যটক টানতে হলে সবার আগে এগিয়ে আসতে হবে সরকারকে৷ কারণ উন্নত যাতায়াত ব্যবস্থাই পর্যটন উন্নয়নের পূর্বশর্ত৷ পাশাপাশি হোটেল-মোটেল নির্মাণে এগিয়ে আসতে হবে বেসরকারি উদ্যেক্তাদেরও৷
সৈকত শহর কক্সবাজার
দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত, দিগন্ত বিস্তৃত নীল সমুদ্র, আকাশ ছোঁয়া পাহাড়সহ বেশ কিছু আকর্ষণীয় স্থান রয়েছে বাংলাদেশের পর্যটন রাজধানী কক্সবাজারে৷ ঢাকা থেকে সড়ক ও আকাশ পথে সরাসরি যাওয়া যায় এ সৈকত শহরে৷
ছবি: DW/M. Mamun
দীর্ঘতম সমুদ্রসৈকত
বিস্তীর্ণ বেলাভূমি, সারি সারি ঝাউবন, সৈকতে আছড়ে পড়া বিশাল ঢেউ৷ এসব সৌন্দর্য্যের পসরা নিয়ে বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্ব উপকূলে প্রকৃতি রচনা করেছে পৃথিবীর দীর্ঘতম সমুদ্রসৈকত৷ ১২০ কিলোমিটার বিস্তৃত এ অবিচ্ছিন্ন সৈকত কক্সবাজার শহর থেকে শুরু করে টেকনাফের বদরমোকাম পর্যন্ত একটানা প্রায় ১২০ কিমি. পর্যন্ত দীর্ঘ৷
ছবি: DW/M. Mamun
পরিচ্ছন্ন সৈকত
পর্যটকদের কাছে কক্সবাজারের সমুদ্রসৈকতটি জনপ্রিয় হওয়ার অন্যতম কারণ এর পরিচ্ছন্ন পরিবেশ৷
ছবি: DW/M. Mamun
ছুটিতে ভিড় বেশি
এই সময় কক্সবাজারে পর্যটকদের উপচে পড়া ভিড় থাকে৷ প্রচুর হোটেল আর রিসোর্ট থাকা সত্ত্বেও সেই সময় রাত যাপনের জায়গা পাওয়া কঠিন হয়ে যায়৷
ছবি: DW/M. Mamun
হোটেল, রিসোর্ট
কক্সবাজার শহরের কলাতলী সৈকত এলাকায় পাঁচ তারকা মানের একটি হোটেল৷ এই সৈকত শহরে পাঁচ তারকা থেকে শুরু করে বিভিন্ন মানের অনেক হোটেল আর রিসোর্ট আছে৷ এ সব হোটেলে ধরনভেদে ৫০০ থেকে ৩০,০০০ টাকা পর্যন্ত ভাড়ায় রাত যাপনের ব্যবস্থা আছে৷
ছবি: DW/M. Mamun
লাইফ গার্ড
লাবনী, সুগন্ধা ও কলাতলী পয়েন্টে সমুদ্র স্নানে নামা পর্যটকদের উপর সর্বক্ষণ নজর রাখেন লাইফ গার্ডের সদস্যরা৷
ছবি: DW/M. Mamun
সূর্যাস্ত
কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে মনোরম সূর্যাস্তের দৃশ্য৷
ছবি: DW/M. Mamun
ফিশারি ঘাট
বাঁকখালী নদীর তীরে অবস্থিত এই ঘাট৷ নানা ধরণের সামুদ্রিক মাছ দেখতে হলে যেতে হবে সেখানে৷ জেলেরা সমুদ্র থেকে মাছ ধরে এনে এখানেই জড়ো করেন বিক্রির জন্য৷
ছবি: DW/M. Mamun
নাজিরারটেক শুঁটকি কেন্দ্র
বঙ্গোপসাগর আর বাঁকখালী নদীর মোহনায় কক্সবাজারের নাজিরারটেকে দেশের সবচেয়ে বড় এই শুঁটকি কেন্দ্রটি অবস্থিত৷ সেখানে শুঁটকি তৈরির মূল মৌসুম অক্টোবর থেকে এপ্রিল পর্যন্ত৷ সেখানকার মাছের শুঁটকি বিদেশে রপ্তানিও হয়৷
ছবি: DW/M. Mamun
সৈকতে ঘুড়ি উৎসব
কক্সবাজার সৈকতে বর্ণিল ঘুড়ি উৎসবে মেতেছেন পর্যটকরা৷ প্রতিবছর জানুয়ারির শেষ কিংবা ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহে বাংলাদেশ ঘুড়ি ফেডারেশন আকর্ষণীয় এই ঘুড়ি উৎসবের আয়োজন করে৷
ছবি: DW/M. Mamun
মেরিন ড্রাইভ রোড
কক্সবাজার শহর থেকে সমুদ্র লাগোয়া মেরিন ড্রাইভ রোড চলে গেছে টেকনাফ পর্যন্ত৷ সড়কটি ৮০ কিলোমিটার দীর্ঘ৷
ছবি: DW/M. Mamun
হিমছড়ি
কক্সবাজার থেকে প্রায় বারো কিলোমিটার দূরে অবস্থিত হিমছড়ি সমুদ্রসৈকত৷ পাহাড় আর সমুদ্রের মিতালি পর্যটকদের খুব প্রিয়৷
ছবি: DW/M. Mamun
লাল কাঁকড়া
হিমছড়ির সৈকতে লাল কাঁকড়া৷ ভাটার সময় শুকিয়ে যাওয়া সৈকতে দলে দলে বেড়াতে আসা লাল কাঁকড়াদের দেখা যায় হিমছড়িতে৷
ছবি: DW/M. Mamun
ইনানী সমুদ্রসৈকত
কক্সবাজার থেকে প্রায় বিশ কিলোমিটার পূর্ব দিকে অবস্থিত আরেকটি আকর্ষণীয় সমুদ্রসৈকত ইনানী৷ এখানে রয়েছে বিস্তীর্ণ পাথুরে সৈকত৷ সমুদ্র থেকে ভেসে এসে এখানকার বেলাভূমিতে জমা হয়েছে প্রচুর প্রবাল পাথর৷ ইনানীর সৈকতের সঙ্গে মিল খুঁজে পাওয়া যায় সেন্টমার্টিন সৈকতের৷
ছবি: DW/M. Mamun
আরেকটি পাথুরে সৈকত
ইনানী সৈকতের মতো আরেকটি পাথুরে সৈকত হাজামপাড়া৷ কক্সবাজার শহর থেকে মেরিন ড্রাইভ রোড ধরে প্রায় ৬০ কিলোমিটার দূরের এ সমুদ্রসৈকতে পর্যটকের আনাগোনা খুবই কম থাকে৷
ছবি: DW/M. Mamun
বর্ণিল সৈকত
বাংলাদেশের বর্ণিল সমুদ্রসৈকত টেকনাফ৷ কক্সবাজার থেকে মেরিন ড্রাইভ সড়ক ধরে প্রায় ৮০ কিলোমিটার দূরে এ সৈকতের অবস্থান৷ এখানকার সৈকতে জেলে নৌকাগুলো বর্ণিল পতাকা আর রঙে সাজিয়ে রাখেন জেলেরা৷