বাংলাদেশের বিরোধীদলের সমর্থক হিসেবে পরিচিত ‘আমার দেশ' পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমান জামিনে মুক্তি পেয়েছেন৷ রাষ্ট্রদ্রোহিতা এবং ধর্মীয় অস্থিরতা সৃষ্টিতে উস্কানির অভিযোগে তিন বছরেরও বেশি সময় তিনি কারাবন্দি ছিলেন৷
বিজ্ঞাপন
৬৩ বছর বয়সি মাহমুদুর রহমানের বিরুদ্ধে গাড়ি ভাংচুর থেকে শুরু করে প্রধানমন্ত্রীর পুত্রকে হত্যার পরিকল্পনাসহ বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে৷ ২০১৩ সালের এপ্রিলে বিরোধীদলের নেতাকর্মীদের ব্যাপক ধরপাকড় শুরুর সময় তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়৷ রহমানের আইনজীবী জয়নাল আবেদিন মেসবাহ বলেন, ‘‘তাঁর বিরুদ্ধে করা ৭৮টি মামলার শেষেরটিতে জামিন পাওয়ায় আজ তাঁকে মুক্তি দেয়া হয়েছে৷''
মাহমুদুর রহমান দৈনিক ‘আমার দেশ' পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন৷ পত্রিকাটি সরকার বন্ধ করে দিয়েছে৷ রহমানের বিরুদ্ধে মিথ্যা এবং মর্যাদাহানীকর তথ্য প্রকাশের মাধ্যমে ধর্মীয় অস্থিরতা সৃষ্টির চেষ্টার অভিযোগ রয়েছে৷ তাঁর পত্রিকায় সেক্যুলার ব্লগারদের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয় যাতে তাদের ইসলামধর্ম বিরোধী হিসেবে তুলে ধরা হয়েছিল৷
আরেক বিরোধীদলের সমর্থক সম্পাদকের কারামুক্তির প্রায় দুই মাস পর মাহমুদুর রহমানও মুক্তি পেলেন৷ ৮১ বছর বয়সি ব্রিটিশ নাগরিক শফিক রেহমান বাংলাদেশের প্রধান বিরোধী দলীয় নেত্রী খালেদা জিয়ার ‘স্পিচরাইটার' ছিলেন৷ এর আগে পাঁচমাস কারাভোগের পর তিনিও মুক্তি পান৷
এআই/এসিবি (এএফপি)
যে দেশের গণমাধ্যমের কোনো স্বাধীনতা নেই
না দেশটা বাংলাদেশ নয়৷ তবে বাংলাদেশের অবস্থা যে খুব একটা সুবিধাজনক তাও নয়৷ চলুন দেখে নেই, প্রেস ফ্রিডম ইনডেক্স অনুযায়ী কোন দেশের গণমাধ্যম কতটা স্বাধীন৷
ছবি: DW/D. Olmos
ইরিত্রিয়া
রিপোটার্স উইদাউট বর্ডার্সের প্রকাশিত ২০১৬ প্রেস ফ্রিডম ইনডেক্স অনুযায়ী, যে দেশটিতে গণমাধ্যমের কোনোই স্বাধীনতা নেই, সেটি হচ্ছে ইরিত্রিয়া৷ গত ২০ বছরের বেশি সময় ধরে স্বৈরশাসকের কবলে থাকে দেশটির কমপক্ষে ১৫ সাংবাদিক এই মুহূর্তে জেলে আছেন৷ প্রেস ফ্রিডম ইনডেক্সে ১৮০টি দেশের মধ্যে সবার নীচে আছে ইরিত্রিয়া৷
ছবি: Getty Images/AFP/P. Lopez
উত্তর কোরিয়া
ইরিত্রিয়ার পরই নীচের দিক থেকে দ্বিতীয় অবস্থানে আছে উত্তর কোরিয়া৷ কিম জুন-উনের নেতৃত্বাধীন দেশটি গত ১৫ বছর ধরেই প্রেস ফ্রিডম ইনডেক্সের একেবারে নীচের দিকে অবস্থান করছে৷ দেশটিতে বিদেশি সাংবাদিকদের ভিসা তেমন দেয়া হয় না, যদিও বা কেউ ভিসা পান, তাঁকে রাখা হয় কড়া নজরদারিতে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/Yonhap/Kcna
তুর্কমেনিস্তান
এই দেশটিকে বলা হয় পৃথিবীর অন্যতম তথ্য কৃষ্ণ গহ্বর৷ স্বাধীনভাবে কোনো সাংবাদিক কাজ করতে চাইলে তাঁর জন্য মোটামুটি কারাভোগ এবং নির্যাতন নিশ্চিত দেশটিতে৷ ইনডেক্সে তাদের অবস্থান নীচের দিক থেকে তৃতীয়৷
ছবি: Stringer/AFP/Getty Images
ফিনল্যান্ড
এবার যাওয়া যাক, তালিকার উপরের দিকের অবস্থা৷ গত পাঁচবছর ধরেই প্রেস ফ্রিডম ইনডেক্সের শীর্ষে অবস্থান করছে ফিনল্যান্ড৷ দেশটির গণমাধ্যম সবচেয়ে বেশি স্বাধীনতা উপভোগ করে৷ তবে সেদেশের অধিকাংশ পত্রিকা দু’টি মিডিয়া গ্রুপের মালিকানায় রয়েছে৷
ছবি: Getty Images/AFP/van Weel
নেদারল্যান্ডস
প্রেস ফ্রিডম ইনডেক্সে গত একবছরে দু’ধাপ এগিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে চলে এসেছে নেদারল্যান্ডস৷ দেশটির গণমাধ্যমের স্বাধীনতা আইনিভাবে নিশ্চিত করা হয়েছে৷
ছবি: Imago/SylviaxLederer
বাংলাদেশ
বাংলাদেশে গতবছর চারজন ব্লগার এবং প্রকাশক খুন হওয়ার পরও প্রেস ফ্রিডম ইনডেক্সে কিঞ্চিৎ উন্নতি ঘটেছে৷ আগের বছরের তুলনায় দুই ধাপ এগিয়ে দেশটির অবস্থান এখন ১৪৪তম, তবে গ্লোবাল স্কোর কমেছে মাইনাস ২ দশমিক ৯৯ শতাংশ৷