আমার শিল্পকর্মে আমারই স্বকীয়তা প্রকাশিত : এলিনা বনিক
৩১ মে ২০১১মহিলাদের বয়স জিজ্ঞেস করতে নেই৷ সেটা অভদ্রতা৷ করিনি৷ তাঁর বায়োডাটা বা সংক্ষিপ্ত পরিচয়পত্রে কোথাও উল্লেখিত হয়নি কবে জন্মগ্রহন করেন এলিনা বনিক৷ অথচ বায়োডাটায় ফিরিস্তি আছে বিশ্বভারতীর কলাভবন থেকে ফাইন আর্টস-এ প্রথম হয়েছেন তিনি৷ যুক্তরাজ্যের গ্লাসগো স্কুল অব আর্ট-এ লেখাপড়া করেছেন৷ কত পুরস্কার এবং স্কলারশিপ পেয়েছেন৷ কবে প্রথম প্রদর্শনী করেছেন৷ কোন-কোন দেশে করেছেন৷ ভারতে ও ইউরোপের কোথায়, কোন সংগ্রহশালায় বা মিউজিয়ামে তাঁর ছবি আছে৷ আরো কত কি!
শিল্পীর বয়স নেই, বয়স হয় না৷ - এই জ্ঞানেই বোধকরি, চিত্রী এলিনা বনিকও দর্শকের উপরেই ছেড়ে দেন তাঁর ছবি দেখে তাঁকে বুঝে নেবার গরজ৷ এলিনা বনিকের ছবির জগত গাঢ় লাল-নীল রঙের বাহারি জৌলুসে ভরপূর৷
আছে ফুল৷ পাখি৷ প্রকৃতি৷ সেকেলে পেশীবহুল প্রিমিটিভ মানুষ৷ আদি জীবজন্তু৷ সাম্প্রতিককালের ভাঙাচোরা, দুঃখক্লিষ্ট, যন্ত্রণাগ্রস্থ, জরাজীর্ণ নাগরিকের মুখমন্ডলির সমারোহ৷ মানুষের মুখের সাঁচ নিজস্ব আঙ্গিকে ঢেলে সাজিয়েছেন এলিনা৷
তাঁর রঙে এই উজ্জ্বলতা কেন? এ বিষয়ে শিল্পীর কথা, ‘‘আমার নিজস্ব অভিজ্ঞতা থেকেই রঙের ব্যবহার৷'' এলিনা অকপটে স্বীকার আরো করেন, তাঁর ছবিতে রবীন্দ্রনাথের প্রভাব নানামাত্রায় মিশ্রিত৷ আছে যোগেন চৌধুরীর প্রভাবও৷ আবার জার্মান এক্সপ্রেসনিস্ট শিল্পীদের কাজের ধারাও প্রভাবিত করেছে তাঁকে৷ তিনি অবশ্য এও বলেন, ‘‘প্রভাব মানে এই নয় যে, তাঁদেরই আঁকা ছবি একেঁছি৷ আমার শিল্পকর্মে আমারই স্বকীয়তা প্রকাশিত৷''
প্রতিবেদন: দাউদ হায়দার, বার্লিন
সম্পাদনা: দেবারতি গুহ