ঝড় মানেই মৃত্যু, বাস্তুহারা মানুষের মিছিল৷ উপকূল জুড়ে হাহাকার৷ এই প্রাকৃতিক নির্মমতা শুধু ঝড় আর মৃত্যুতেই সীমাবদ্ধ নয়৷ এর রেশ থেকে যায়, প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে৷
বিজ্ঞাপন
ছোটবেলার ঝড়ের স্মৃতি মানেই কালবৈশাখি৷ মফস্বলের বাড়ির উঠোন কালো করে ঝড় আসত৷ দূরে পুরোনো সরকারি ক্যাম্প৷ তার সামনের মাঠের ওপারে বড় বড় নারকেল গাছগুলো মাথা ঝাঁকাতো মাতালের মতো৷ মনে হতো গল্পের বইয়ের একেকটা ডাইনি পাগলের মতো করছে৷
ঝড়ের সঙ্গে ঝুম বৃষ্টি৷ বাতাসের তোপ কিছুটা কমলে বৃষ্টিতে ভিজে আম কুড়ানো৷ কী অদ্ভুত জীবন ছিল!
তবে কখনো কখনো ঝড়ের তোপ এতটাই থাকত যে, দরজা, জানালা পর্যন্ত খোলা যেত না৷ সব বন্ধ করে বসে বসে আকাশের গুড়গুড় শব্দ শোনা৷ টিনের চালে শিলা পড়ার শব্দ৷ এ সবই শৈশব-কৈশোরের স্মৃতি৷ তখন ঝড় মানেই ছিল এই৷ আর যে দৃশ্য মনে পড়ে তা হলো, পরদিন সকালে দীঘির পড়ে গাছ উপড়ে পড়ে থাকা কিংবা ডাল ভেঙে পড়ার দৃশ্য৷ এসবই শৈশবের রোম্যান্টিকতা৷
পরে একটু বড় হয়ে জানলাম ঝড়ের আরেক দিকের কথা৷ জানলাম, ঝড়ে মানুষ মরে৷ ঘর বাড়ি উজার হয়৷ ঝড়ের বন্যায় নদীর পাড় ভাঙ্গে৷ ভেসে যায় গ্রামের পর গ্রাম৷
বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় বন্যার পানিতে আটকে পড়া মানুষদের ত্রাণ দিতে যাওয়াকে একটা বড় কাজ হিসেবেই দেখতাম৷ নৌকায় করে পানিবদ্ধ মানুষদের কাছে কাছে যাওয়া, ত্রাণের জন্য মুখিয়ে থাকা মানুষগুলোর মুখ দেখে বড় মায়া হতো৷ আমরা ত্রাণ দিতাম শুকনো খাবার, কাপড় আর ঔষধ৷
নৌকায় একেক ধরনের ত্রাণের জন্য একেক জনের ওপর দায়িত্ব থাকতো৷ একবার হয়েছে কী, আমার ওপর দায়িত্ব পড়ল ঔষধ বিলি করার৷ খুবই সাধারণ ঔষধ – পানি পরিষ্কার করার ট্যাবলেট, প্যারাসিটামল, স্যালাইন – এগুলোই৷
সাইক্লোন সিডর
ছবি: DW
বাজার আর চেনা যায়না
এটি একটি গ্রাম্যবাজারের চিত্র৷ সাইক্লোনের ঠিক তিনদিন পরের৷ স্থানীয়দের দাবি, এই বাজারের কিছুই অবশিষ্ট নেই৷ সব নিয়ে গেছে সিডর, এক ছোবলেই জীবনাবসান ...
ছবি: DW
ডাইনোসরের হেঁটে চলা
সাইক্লোন সিডরের পর দক্ষিণাঞ্চলের একটি গ্রামের ছবি এটি৷ সব বড় গাছগুলো মাথা নুইয়ে আছে বিশৃংখলভাবে৷ মনে হচ্ছে প্রাগঐতিহাসিক যুগের কোন ডাইনোসর বুঝি হেঁটে গেছে এই গাছগুলোর উপর থেকে ...
ছবি: DW
অস্থায়ী আবাসন
আধা পাকা রাস্তার দুপাশে সারি সারি অস্থায়ী আবাসন৷ সিডরের পর দক্ষিণাঞ্চলের অনেকর স্থানে দৃশ্য ছিল এমন৷ সেই অস্থায়ী আবাসনে শুয়ে এই ছোট্ট মেয়েটি বলছিলো, সাইক্লোনের রাতের কথা৷ কিভাবে বেঁচে গেছে সে, সেই বয়ান৷
ছবি: DW
কার্নিশ ছাড়া ছাদ
চর কলাগাছিয়া৷ পটুয়াখালীর উপকুলীয় অঞ্চলে জেগে ওঠা এই চরে নেই কোন বেড়িবাধ৷ আর তাই সবাই বলে এ যেন, কার্নিশ ছাড়া ছাদ৷ সাইক্লোন সিডরের ফলে এই চরের বহু মানুষ তাদের স্বজন হারিয়েছে, হারিয়েছে জীবন জীবিকার সম্বল৷ বাংলাদেশ সরকার কি সাইক্লোন বা জলোচ্ছাসের হাত থেক এই চর রক্ষায় কোন উদ্যোগ নেবে?
ছবি: DW
মারা পড়েছিলো অগনিত পশু পাখি
সাইক্লোন সিডরে মারা পড়া মানুষের সংখ্যা, সরকারী হিসেবে সাড়ে তিন হাজার৷ বেসরকারী হিসেবে এই সংখ্যা আরো অনেক বেশি৷ তবে পশুপাখির সংখ্যা? এই হিসেব কারো কাছে নেই৷ রাখা সম্ভবও নয়৷ সাইক্লোনের পর সুন্দরবনের কাছের একটি ছোট্ট খালে এভাবেই ভেসে থাকতে দেখা গেছে অগনিত পশুপাখির মরদেহ ...
ছবি: DW
নদীই জীবন, নদীই মরন
নদীমাতৃক বাংলাদেশের নদীগুলোর অবস্থা এখন বেশ বেহাল৷ খড়ার মৌসুমি নদীতে থাকে না পানি, আর বর্ষাকালে টুইটুম্বুর পানিতে৷ সাইক্লোন সিডরের পর পরই পটুয়াখালীর একটি নদীর ছবি এটি৷
ছবি: DW
বাবা, কয়ডা টাহা দেবা ...
এই ছবিটিও স্বরণখোলা থেকেই তোলা৷ সিডর থেকে বেঁচে যাওয়া বর্ষীয়ান এই নারী সাহায্য চান৷ তিনি হারিয়েছেন তাঁর প্রিয়জনকে ...
ছবি: DW
সাহায্য চাই
বাংলাদেশের পল্লী অঞ্চলের মেয়েরা খানিকটা লাজুক প্রকৃতির৷ ভিনদেশী বা শহুরে মানুষদের সামনে যেতে খানিকটা বিব্রত তারা৷ কিন্তু সিডর যে কেড়ে নিয়েছে সবকিছু৷ তাই সাহায্যের জন্য আবেদন, তবে সেটা খানিকটা আড়ালে থেকে৷ এই মেয়েটির অবস্থাও তাই ...
ছবি: DW
আমাগো কিচ্ছু নাই ...
স্বরনখোলা৷ সুন্দরবনের গা ঘেষা এক ছোট্ট ইউনিয়ন৷ সেই ইউনিয়নের একটি গ্রাম খুড়িয়াখালি৷ সাইক্লোন সিডরের পর সেখানে গিয়ে দেখা মিললো আতংকিত চোখ নিয়ে ঘুরে ফেরা কিছু মানুষের৷ পর্যাপ্ত সাইক্লোন সেল্টার নেই সেই এলাকায়৷ আর তাই কেউবা গাছে চড়ে আবার কেউবা টিনের চালার উপর উঠে বাঁচিয়েছে নিজেকে৷ যারা প্রকৃতির সঙ্গে যুদ্ধে টিকতে পারেনি তারা মারা পড়েছে৷ বেঁচে যাওয়া অনেকেই হয়েছে আহত, আর তাই আকুতি, কিছুটা সাহায্য কি পাওয়া যাবে? ছেলেটার চিকিত্সা দরকার ...
ছবি: DW
আলৌকিকভাবে বেঁচে থাকা
দুই ভাই, ওবায়দুল (ডানে) আর জাহিদুল৷ সাত বছরের ওবায়দুলকে বলা হয় মিরাকল বয়৷ সাইক্লোন সিডরের রাতে চর কলাগাছিয়া থেকে প্রায় ২৫ কিলোমিটার দুরের আরেকটি চর পর্যন্ত ভেসে গিয়েছিলো সে৷ সঙ্গে ছিলো তার মা৷ সকাল বেলা যখন তাকে নদীর কিনারা থেকে উদ্ধার করা হয় ততক্ষনে তার মা আর বেঁচে নেই৷ তবে বেঁচে যায় ওবায়দুল৷ জানতে চেয়েছিলাম, কিভাবে বেঁচে গেছো? উত্তর, মায়ে বাঁচাইছে৷ আলোকচিত্র: আরাফাতুল ইসলাম
ছবি: DW
10 ছবি1 | 10
নৌকা ভেড়াতেই অনেকে ভাবল আমি ডাক্তার৷ এসে নানান অসুখের কথা বলা শুরু করলো৷ যাই হোক, কোনোমতে কিছু ঔষধ বিলি করে পার পেলাম৷ কিন্তু ফিরতে ফিরতে মনে হলো, একজন ডাক্তার নেয়া যেত৷
২০০৭ সালে ঘূর্ণিঝড় সিডর এলো৷ আমার পেশা সাংবাদিকতা৷ উপকূল এলাকায় গেলেন আমার সহকর্মীরা৷ তাদের ক্যামেরায় দেখলাম এর ভয়াবহতা৷ শত শত মানুষ মরে পড়ে আছেন উপকূলজুড়ে৷ এ দৃশ্য দেখা যায় না৷
একবার এক সিনিয়র সহকর্মী প্রশ্ন করেছিলেন, প্রকৃতি কখন সুন্দর? আমি উত্তর দিতে পারিনি৷ তখন তিনি বললেন, যখন সে শান্ত থাকে৷ কিন্তু এই শান্ত সুন্দর প্রকৃতির মাঝেই কী ভয়াবহতা লুকিয়ে আছে, তা না দেখলে কেউই বিশ্বাস করবে না৷ ঠিক তাই৷
দু'বছর পর এলো সাইক্লোন আইলা৷ এবার আমি ক্যামেরা ইউনিট নিয়ে নিজেই ছুটে চললাম উপকূলে৷ যত কাছে এগোই ততই যেন প্রকৃতির কাঁপন টের পাই৷ রাতভর গাড়িতে করে ছুটে চলেছি৷ দু'পাশে নেই আলো৷ বড় বড় গাছগুলো যেন প্রকৃতির কাছে নুয়ে সেলাম ঠুকছে৷
আইলায় সিডরের মতো দশ হাজার মানুষ মারা না গেলেও প্রাণ হারিয়েছিলেন কয়েকশ' জন৷ কিন্তু পানির উচ্চতা ছিল অনেক বেশি৷ জলোচ্ছ্বাসে ধ্বংস হয়ে যায় উপকূলের ৭৬ কিলোমিটারেরও বেশি বাঁধ৷ আরো সাড়ে তিনশ' কিলোমিটার বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়৷ তিন লাখেরও বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়৷ দু'লাখ একর কৃষিজমি তলিয়ে যায় নোনা পানিতে৷
পটুয়াখালির আন্ধার মানিক নদীর ভয়াবহতা আমি দেখেছি স্বচক্ষে৷ কালো কালো পাহাড়ের মতো ঢেউ৷ বাঁধ ভেঙ্গে আততায়ীর মতো ঢুকে পড়ে ভাসিয়ে নিয়েছে গ্রামের পর গ্রাম৷
ট্রলারে করে অনেক জায়গায় গিয়েছি৷ দেখেছি পানিবন্দি মানুষের কী নির্মম পরিণতি৷ নিরাপদ নয়, তাই অনেক দুর্গম জায়গায় যেতেই পারিনি, বা আমাকে যেতে দেননি স্থানীয় সহকর্মীরা৷ যত দুর্গম, ভয়াবহতা তত বেশি৷ সাহায্য পাবার সম্ভাবনাও তত কম৷ কী যে এক দুর্বিষহ ব্যাপার৷ খুলনা, সাতক্ষীরা সব জায়গাতেই মানুষের পরিণতি কত নির্মম৷
পরের বছর আবার গেলাম৷ সিডর ও আইলায় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোতে৷ বাগেরহাটের শরণখোলায় বেড়িবাঁধ ধরে হেটে গিয়েছি মাইলের পর মাইল৷ নোনা বাতাসে শরীরে সাদা সাদা ছোপ পড়ে গেছে৷ সেখানে গিয়ে টের পেলাম একটা ঝড়ের ভয়াবহতা শুধু মানুষের মৃত্যুর মাঝেই সীমাবদ্ধ নয়৷ ঝড়ের তাণ্ডবে স্বজনহারা মানুষগুলোর মন যেন কুঁকড়ে গেছে৷
একজন বলছিলেন কিভাবে তিনি সন্তানকে বাঁচাতে গিয়ে পানির তোড়ে ভেসে যাওয়া তাঁর স্ত্রীর হাত ধরতে পারেননি৷ কয়েক ঘণ্টা একটা খুঁটিকে একহাত দিয়ে এবং আরেকহাত দিয়ে শিশু সন্তানকে বুকে চেপে ধরে ছিলেন৷ ঝড়ের তাণ্ডব শেষ হলে দেখতে পান শিশু সন্তানটিও বেঁচে নেই৷ এমন সব নির্মম ঘটনা ঘরে ঘরে৷
এ তো গেল মানসিক ক্ষতি৷ কিন্তু অর্থনৈতিক ক্ষতির পরিমাণটিও কম নয়৷ ঘুরতে ঘুরতে এক জেলেমাঝির সঙ্গে দেখা হলো৷ তিনি বললেন, সিডরে তাঁর আয়ের একমাত্র পথ, একমাত্র সম্বল নৌকাটি ভেঙে যায়৷ এরপর ক্ষুদ্র ঋণ নিয়ে আরেকটি নৌকা বানান৷ কিন্তু আইলায় সেটাও ভেসে যায়৷ এখন না খেয়ে হলেও ২০ ভাগের চড়াসুদে নেয়া সেই ঋণ তো পরিশোধ করতেই হবে৷ আবার আয়ের পথটিও বন্ধ৷
এমন ঘটনা এসব এলাকায় ভুড়ি ভুড়ি৷ এক বাড়িতে তালাবন্ধ দেখে কৌতূহল হলো৷ প্রতিবেশীরা জানালেন, ঋণদাতার কিস্তি পরিশোধের ভয়ে বাড়ি ছেড়ে পালিয়েছেন সবাই৷ আরেক নারীর স্বামী পালিয়েছেন৷ কিন্তু তিন শিশু সন্তানকে নিয়ে পালাতে পারেননি সেই নারী৷ তাঁকে এখন যে করেই হোক ঋণ পরিশোধ করতে হবে৷ কারণ মানবিক সহায়তার নাম করে চড়া সুদে যারা ঋণ দিচ্ছেন, তাঁরা ছাড়বার পাত্র নন৷
এ সব দেখে শৈশবের ঝড়ের রোমান্টিকতা কবেই উবে গেছে৷ হাজারো লাশ আর পরিবেশ শরণার্থীর মিছিল কোনোভাবেই আম কুড়ানোর রোম্যান্টিকতাকে মনে ঠাঁই দিতে দেয় না৷
ইতিহাসের সবচেয়ে বিধ্বংসী আটটি ঝড়
ছবিঘরে ইতিহাসের সবচেয়ে বিধ্বংসী আটটি ঝড়ের কথা উল্লেখ করা হলো, যেগুলো অ্যাটলান্টিকের হারিকেন, প্রশান্ত মহাসাগরের টাইফুন এবং ভারত মহাসাগরের সাইক্লোন নামে পরিচিত৷ সবচেয়ে বিধ্বংসী ঝড় আঘাত হেনেছে বাংলাদেশে৷
ছবি: Getty Images
২০০৮: নার্গিস (মিয়ানমার)
দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড়গুলোর মধ্যে একটি হলো নার্গিস৷ ২০০৮ সালের মে মাসে যেটি মিয়ানমারে আঘাত হানে৷ এতে প্রাণ হারায় ১ লাখ ৪০ হাজারেরও বেশি মানুষ৷ ৪ লাখ ৫০ হাজার ঘর-বাড়ি পুরোপুরি বিধ্বস্ত হয়৷
ছবি: Hla Hla Htay/AFP/Getty Images
১৯৯১ সাল: বাংলাদেশ
বাংলাদেশের ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড়গুলোর মধ্যে সবচেয়ে বিধ্বংসী ১৯৯১ সালের ঘূর্ণিঝড়, যেটি ২৯শে এপ্রিল ঘণ্টায় ২৩৫ কিলোমিটার বেগে উপকূলে আঘাত হেনেছিল৷ সমুদ্রের পানির উচ্চতা পৌঁছে গিয়েছিল সাত মিটার উঁচুতে৷ এতে প্রাণ হারিয়েছিল উপকূলের অন্তত ১ লাখ ৪০ হাজার মানুষ৷
ছবি: AFP/Getty Images
১৮৭৬: দ্য গ্রেট বাকেরগঞ্জ সাইক্লোন, বাংলাদেশ
১৮৭৬ সালের অক্টোবরে ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানে বরিশালের বাকেরগঞ্জে৷ সে সময় ব্রিটিশ শাসনামল চলছিল৷ ভয়াবহ ঐ ঝড়ে প্রাণ হারিয়েছিল অন্তত ২ লাখ মানুষ৷
ছবি: Getty Images/AFP
১৯৭৫: নিনা টাইফুন, চীন
যদিও চীনে টাইফুন বা ঘূর্ণিঝড় খুবই স্বাভাবিক ঘটনা, তবুও ১৯৭৫ সালের ৩১ শে জুলাই চীনের হেনান প্রদেশে টাইফুন নিনার ভয়াবহতা সব ঝড়কে পেছনে ফেলে দেয়৷ ভয়াবহ ঐ ঝড়ে প্রাণ হারায় ২ লাখ ৩১ হাজার মানুষ৷ ক্ষতিগ্রস্ত হয় ১ কোটি ১০ লাখ মানুষ৷
ছবি: picture-alliance/dpa/S. Zc
১৮৮১ সাল: হাইফোং, ভিয়েতনাম
১৮৮১ সালের অক্টোবর মাসে ভিয়েতনামের হাইফোং শহরে ভয়াবহ টাইফুন আঘাত হানে৷ এতে প্রাণ হারায় ৩ লাখ মানুষ৷
ছবি: Getty Images/J. Aznar
১৯৩৭ এবং ১৮৩৯ সাল: ভারত
১৭৩৭ সালের অক্টোবর মাসে বঙ্গোপসাগরের উপর দিয়ে ধেয়ে এসে কলকাতায় আছড়ে পড়েছিল ঘূর্ণিঝড়৷ বেশিরভাগ ইউরোপীয় গণমাধ্যমে বলা হয়েছিল, ঐ ঝড়ে প্রাণ হারিয়েছিল প্রায় তিন লাখ মানুষ৷ কিন্তু সেসময় কলকাতায় মাত্র ১০ হাজার মানুষ বসবাস করত৷ তাই এই সংখ্যাটি নিয়ে অনেকের সংশয় রয়েছে৷ ১৮৩৯ সালের নভেম্বরে অন্ধ্রপ্রদেশের কোরিঙ্গা এলাকায় বিধ্বংসী ঝড়ে প্রাণ হারিয়েছিলেন অন্তত তিন লাখ মানুষ৷ নষ্ট হয়েছিল ২৫ হাজার জাহাজ৷
ছবি: Reuters
১৯৭০ সাল: ভোলা সাইক্লোন, বাংলাদেশ
বিশ্ব ইতিহাসের ভয়ংকর প্রাকৃতিক দুর্যোগগুলোর মধ্যে অন্যতম বলা হয় ভোলা সাইক্লোনকে৷ ১৯৭০ সালের ১৩ই নভেম্বর তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের উপর দিয়ে ঘণ্টায় ২০৫ কিলোমিটার বেগে বয়ে যায় সাইক্লোন৷ ঐ ঝড়ে প্রাণ হারায় অন্তত পাঁচ লাখ মানুষ, যাদের মধ্যে এক লাখই ছিলেন জেলে৷
ছবি: Getty Images
7 ছবি1 | 7
ঝড় নিয়ে আপনার কোনো স্মৃতি মনে পড়ে? লিখুন নীচের ঘরে৷