আমিরাতের প্রেসিডেন্ট হলেন শেখ মোহাম্মেদ
১৬ মে ২০২২গত শনিবার আমিরাতের সাতটি শেখ নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলের নেতারা মতৈক্যের ভিত্তিতে শেখ মোহাম্মেদকে প্রেসিডেন্ট হিসাবে বেছে নিয়েছেন।
দুবাইয়ের নেতা শেখ মোহাম্মেদ বিন রশিদ আল মুক্তৌম বিবৃতিতে বলেছেন, ''আমরা তাকে অভিনন্দন জানাচ্ছি। আমি এবং দুবাইয়ের সাধারণ মানুষ তার প্রতি অনুগত থাকব।''
প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর শেখ মোহাম্মেদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ান বলেছেন, ফেডারেল সুপ্রিম কাউন্সিলের সদস্যরা তার প্রতি যে আস্থা জানিয়েছেন, তাতে তিনি আপ্লুত।
তৃতীয় শাসক
১৯৭১ সালে সংযুক্ত আরব আমিরাত বা ইউএই-র প্রতিষ্ঠা করেন সাবেক প্রেসিডেন্ট শেখ জায়েদ বিন সুলতান আল নাহিয়ান। তিনি ছিলেন শেখ মোহাম্মেদ বিন জায়েদের(এমবিজেড) বাবা। ২০০৪ সালে তার মৃত্যু হয়।
৬১ বছর বয়সি এমবিজেড হলেন আমিরাতের তৃতীয় শাসক। তিনি প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর আমিরাতের নীতি-পরিবর্তনের কোনো সম্ভাবনা নেই। কারণ, সাবেক প্রেসিডেন্ট খালিফা বিন জায়েদ আল নাহিয়ান বেশ কিছুদিন ধরে অসুস্থ ছিলেন। তখন থেকে শেখ মোহাম্মেদই আসলে আমিরাত শাসন করে আসছেন।
আমিরাত এখন ইয়েমেনে হুতি বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে সৌদির নেতৃত্বাধীন জোটের শরিক। তারা ইসরায়েলের সঙ্গেও কূটনৈতিক সম্পর্ক স্বাভাবিক করেছে। এর পিছনে এমবিজেডের অবদান বিশাল।
বিশ্ব নেতাদের প্রতিক্রিয়া
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন জানিয়েছেন, তিনি এমবিজেডকে স্বাগত জানাচ্ছেন এবং ভবিষ্যতে দুই দেশের সম্পর্ক আরো জোরালো করার লক্ষ্যে কাজ করতে চান।
মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস বলেছেন, তিনি সোমবার আমিরাত যাচ্ছেন। তিনি খালিফার মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করবেন। সেই সঙ্গে এমবিজেডের সঙ্গেও দেখা করবেন।
ওমানের সুলতান শনিবারই আমিরাত পৌঁছেছেন। ফরাসি প্রেসিডেন্ট মাক্রোঁ, যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন এবং ইসরায়েলের প্রেসিডেন্ট রোববার পৌঁছেছেন।
জিএইচ/এসজি (এপি, এএফপি, রয়টার্স)