1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

আমি তাঁকে বলব মিরাকল ম্যান: আমজাদ আলী খান

অরুণ শঙ্কর চৈধুরী১৪ ডিসেম্বর ২০১২

প্রয়াত পণ্ডিত রবি শঙ্কর সম্পর্কে অনুরূপ আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন সরোদিয়া ওস্তাদ আমজাদ আলী খান ডয়চে ভেলে’কে ই-মেল মারফত যে বিবৃতি পাঠিয়েছেন, তাতে মিশে রয়েছে শ্রদ্ধা ও অতীত স্মৃতি৷

ছবি: Getty Images

ওস্তাদ আমজাদ আলী খান লিখেছেন:

‘‘পণ্ডিত রবি শঙ্কর, যাঁকে আমি দাদা বলতাম, তিনি যে আর নেই, এটা আমার কাছে অবিশ্বাস্য৷ তাঁর চলে যাওয়ার ফলে যে যুগটা শেষ হল, তা ছিল সত্যিই এক জাদুকরি যুগ৷ সংগীতের জন্য তিনি যা করেছেন, তা ছিল অনন্য৷

‘‘আমার বাবা ওস্তাদ হাফিজ আলী খান এবং রবি'জির গুরু ওস্তাদ আলাউদ্দীন খান একই গুরুর কাছ থেকে শিখেছিলেন: ওস্তাদ ওয়াজির আলী খান, যিনি সেনিয়া বীণকার ঘরানার ছিলেন৷ বলতে কি, রবি'জি আমাকে একবার একটা বার্তা পাঠিয়েছিলেন এই মর্মে যে, আমাদের সেনিয়া বীণকারের ধ্বজা উড়িয়ে রাখতে হবে৷

সুকন্যা'জির সঙ্গে পণ্ডিত’জির বিয়ের রিসেপশনে গিয়েছিলেন আমজাদ আলী খান...ছবি: Getty Images

‘‘তিনি যেভাবে সেতার বাজাতেন তাতে ছিল নতুনত্ব এবং একটা আলাদা ঝঙ্কার৷ তাঁর সংকল্প ও কঠিন পরিশ্রম তাঁকে একজন আন্তর্জাতিক সুপারস্টারের মর্যাদা এনে দিয়েছিল৷ ভারতীয় মার্গসংগীতের ক্ষেত্রে তিনি ছিলেন সর্বাধিক ভাগ্যবান এবং সফল শিল্পীদের মধ্যে একজন৷ আমি তাঁকে বলবো ‘মিরাকল ম্যান', যিনি বিশ্বে ভারতীয় মার্গসংগীতের ভাবমূর্তি পাল্টে দিয়েছেন৷ আমি রবি'জির অনেক জলসায় উপস্থিত ছিলাম, যেখানে তিনি কিশন মহারাজ, ওস্তাদ আল্লা রাখা, চতুর লাল এবং কানাই দত্তের মতো তবলিয়াদের সঙ্গে বাজিয়েছেন৷ আমি চিরকালই রাগ ও তালের প্রতি তাঁর মনোভাবের ভক্ত৷ উনি যেভাবে ওনার সংগীত পরিবেশন করতেন, তা থেকে সব সময় কত কি যে শেখার ছিল৷ কয়েকবার উনি কলকাতা, যুক্তরাজ্যের বার্মিংহ্যাম, নিউ ইয়র্ক কি নতুন দিল্লিতে আমার জলসায় উপস্থিত ছিলেন৷ দাদা যে আমার জলসা শুনছেন, এটা ছিল আমার কাছে প্রতিবারই একটা বিরাট সম্মান৷

Week 50/12 LS4-Music : Week 15/ LS2 Culture: Ravi Shankar - MP3-Mono

This browser does not support the audio element.

‘‘আমাদের দুই পরিবার খুব কাছের ছিল এবং আমাদের সাক্ষাতে চিরকালই খুব হাসাহাসি হতো এবং গানবাজনা নিয়ে আলোচনা হতো৷ ১৯৭৭ সালে রবি'জি প্রথম আমাদের বাড়িতে আসেন৷ আমানের বয়স তখন তিন মাস৷ আমরা ১৯৯০ সালে দিল্লিতে সুকন্যা'জির সঙ্গে তাঁর বিয়ের রিসেপশনে গিয়েছিলাম৷ সুকন্যা'জি আমার স্ত্রী শুভলক্ষ্মীর ভরতনাট্যম নাচ খুব পছন্দ করতেন৷ সুকন্যা'জি আমার স্ত্রীকে ‘আক্কা' বা বড়দি বলেন, তাঁর জন্যই আমাদের দুই পরিবার আরো ঘনিষ্ঠ হয়৷ আমি ১৯৯০ সালে দিল্লিতে রবি'জির সত্তর বছর পূর্তি অনুষ্ঠানে এবং পরে লস এঞ্জেলেসে তাঁর পঁচাত্তর বছর পূর্তি অনুষ্ঠানে বাজিয়েছি৷ তিনি ২০০৮ সালে নতুন দিল্লিতে আমার কনিষ্ঠ পুত্র আয়ানের বিয়ের রিসেপশনে এসেছিলেন৷ আমাদের শেষবার দেখা হয় ২০১০ সালে, আমার বাড়িতে৷

‘‘আমি তাঁকে খুবই মিস করব এবং তাঁর আত্মার শান্তি কামনা করব৷ মানুষ কোনোদিন তাঁকে ভুলে যাবে না৷''

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ