1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তি

৩১ ডিসেম্বর ২০১৩

চলমান মধ্যপ্রাচ্য শান্তি আলোচনার অংশ হিসেবে তৃতীয় দফায় আরও ২৬ জন ফিলিস্তিনি বন্দিকে মঙ্গলবার মুক্তি দিয়েছে ইসরায়েল৷ আলোচনার মধ্যস্থতাকারী যুক্তরাষ্ট্র এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে৷

ছবি: Reuters

যুক্তরাষ্ট্রের উদ্যোগে চলতি বছরের জুলাইয়ে মধ্যপ্রাচ্য শান্তি আলোচনা আবারো শুরু হওয়ার পর, এ নিয়ে তৃতীয় দফায় ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তি দেয়া হলো৷ আগামী এপ্রিল নাগাদ আরও একদফা বন্দি মুক্তি দেয়ার কথা রয়েছে ইসরায়েলের৷ সব মিলিয়ে ১০৪ জন ফিলিস্তিন বন্দিকে ছাড়ার অঙ্গীকার করেছে ইসরায়েল৷

উল্লেখ্য, এপ্রিলের মধ্যেই আলোচনা শেষ করে ঐ অঞ্চলের সমস্যার একটি স্থায়ী সমাধানের পরিকল্পনা করেছে যুক্তরাষ্ট্র৷ এ লক্ষ্যে আরও আলোচনা করতে বুধবার ইসরায়েল সফরে যাচ্ছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি৷

মুক্তিপ্রাপ্তদের সংবর্ধনা

ইসরায়েলের জেল থেকে ছাড়া পাওয়া ১৮ জনকে ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট ভবনে সংবর্ধনা জানানো হয়েছে৷ অধিকাংশ ফিলিস্তিনির কাছে তাঁরা ‘নায়ক' হিসেবে বিবেচিত, কারণ ইসরায়েলি দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে লড়তে গিয়ে তাঁরা বন্দি হয়েছিলেন, বলে মনে করেন ফিলিস্তিনিরা৷ ১৯৯৩ সালে অসলো চুক্তির আগে মুক্তি পাওয়া বন্দিদের আটক করা হয়েছিল৷ ঐ চুক্তির মাধ্যমেই আনুষ্ঠানিকভাবে মধ্যপ্রাচ্য শান্তি প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল৷

তবে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস বলেছেন, সকল বন্দিকে মুক্ত না করা পর্যন্ত কোনো ধরণের চূড়ান্ত চুক্তিতে যাবে না ফিলিস্তিন৷

ফিলিস্তিনিদের মুক্তি দেয়ার প্রতিবাদ জানিয়েছে ইসরায়েলিদের একটি অংশছবি: picture-alliance/dpa

ইসরায়েলে বিক্ষোভ

ফিলিস্তিনিদের মুক্তি দেয়ার প্রতিবাদ জানিয়েছে ইসরায়েলিদের একটি অংশ৷ বিশেষ করে মুক্তি পাওয়া ফিলিস্তিনিদের আক্রমণে যেসব ইসরায়েলি সৈন্য বা সাধারণ নাগরিক নিহত হয়েছিলেন, তাঁদের পরিবারের সদস্যরা ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীর এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়েছে৷

এদিকে, চরমপন্থি ইহুদিরা পশ্চিম তীরে আরবদের তিনটি গাড়িতে আগুন দিয়ে এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে৷

বসতি স্থাপন

ফিলিস্তিনিদের মুক্তি দেয়ার সিদ্ধান্তের পর অধিকৃত পশ্চিম তীরে নতুন বসতি স্থাপনের সিদ্ধান্ত জানাতে পারে ইসরায়েল৷ কেননা এর আগে আরও দুবার যখন বন্দি মুক্তি দেয়া হয়েছে তখনো নতুন বসতি স্থাপনের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করা হয়েছিল৷

ইতোমধ্যে জর্ডান ভ্যালিতে নতুন বসতি স্থাপন সংক্রান্ত একটি বিল রবিবার ইসরায়েলের মন্ত্রিসভায় পাস হয়েছে৷ এর তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস৷ তিনি বলেছেন, ‘‘এটা ফিলিস্তিনের এলাকা৷'' উল্লেখ্য, ফিলিস্তিনিরা মনে করে, ভবিষ্যত ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের পূর্বাঞ্চলীয় সীমান্ত হবে এই জর্ডান ভ্যালি৷''

জেডএইচ/ডিজি (এএফপি, এপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ