1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

আরবি পোশাক, কপালে টিপ সবই চলুক

২ জানুয়ারি ২০২০

খুলনার একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছেলেরা শিক্ষাজীবনের শেষে আরবের পোশাক পরেছে বলে আমরা সবাই দুশ্চিন্তা করছি৷ কেন তারা এইটা করলো, করে কী বুঝাতে চাইলো, আমরা কোন দিকে যাচ্ছি আর তা ভালো কি মন্দ এই ভাবনায় এখন আমাদের দশদিক থেমে আছে৷

Bengalische Frauen
ছবি: Zaman/AFP/GettyImages

আসুন আমরা একটা একটা করে প্রশ্ন বা প্রস্তাবগুলো দেখি৷ কুয়েট-এর একটি বিভাগের ছেলেরা ঠিক করল, সবাই মিলে আরবের পোশাক পরবে, আরেকটি বিভাগের সবাই পরবে তামিল পোশাক৷ ছবি দেখে যা বুঝলাম আরো অন্তত দুই প্রকার পোশাক পরে তারা শিক্ষাজীবনের শেষ দিন উদযাপন করেছে৷৷

প্রশ্ন হচ্ছে, কেন তারা আরব পোশাক পরলেন? সংস্কৃতির দোহাই তুলে যারা প্রশ্ন করছেন তাদেরও পশ্চিমা পোশাকেই দেখতে পাচ্ছি৷ বোঝা যাচ্ছে, পশ্চিমা পোশাক নিয়ে আমাদের অসুবিধা নেই, আমাদের সংকট আরবীয় পোশাকে৷ কিন্তু কেন? প্রিয় কাওসার শাকিল ফেসবুকে বলছেন, আমরাও কী তবে পশ্চিম থেকে ইসলামোফোবিয়া আমদানী করলাম?

আরেকদিকে একথা সত্য বিশ্বজুড়ে নানা ধরনের সন্ত্রাসে আরবেরা অংশ নিয়েছেন৷ খোদ হোলি আর্টিজানের কুশীলবও প্রায় একই ধরনের পোশাক পরেছেন গর্বের সঙ্গে৷ পোশাক নামক প্রতীক বিবেবচনা করলে কুয়েটের মেধাবীরা পোশাকটি দৈবচয়ন করেছেন কিনা তা-ও একটি ভেবে দেখার বিষয়৷

খালেদ মুহিউদ্দীন, প্রধান, ডয়চে ভেলে বাংলা বিভাগছবি: DW/P. Böll

কিন্তু আমরা বলতে চাই, সব ক্ষেত্রেই প্রশ্ন তোলা বা গেল গেল বলা আমাদের একরকম প্রবৃত্তি হয়ে গেছে কিনা৷

আমরা আর কতরকমের আতঙ্কে থাকব বা আমদানী করব? আমাদের মেয়েরা কপালে টিপ দিলে বা চুল খুলে হাঁটলে আমাদের ইসলাম কাতর হয়ে পড়ে৷ কয়েকটা ছাত্র আরবীয় পোশাক পরলে আমাদের সংস্কৃতি আইসিইউতে চলে যায়৷ আমরা তাহলে কী করব? উত্তর হতে পারে নিজস্ব সংস্কৃতি আর ঐতিহ্য নিয়ে থাকব৷

সিরিয়াসলি?

আমাদের প্রতিদিনের জীবনাচরণে আমরা যা কিছু খাই, ঘুমাই, করি বা পরি তার কোনটি কোনটি আমার সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকে অনুসরণ করে চর্চিত? সেই ঐতিহ্যের বয়স কতদিন? আমাদের সংস্কৃতিই বা কোনটা- ভাষা, জাতি না ধর্মভিত্তিক?

এই প্রশ্নগুলোর উত্তর খুঁজতে গেলে আরো বেশি প্রশ্ন জন্ম নেওয়ার কথা৷ এজন্য তা পরের জন্য তোলা থাক৷ আপাতত একটা বিষয় বোধহয় আমাদের সবারই মাথায় রাখা দরকার৷ বিষয় না বলে শব্দ বলাই ভালো৷ আর সেটি হলো পরমতসহিষ্ণুতা৷ আমার মনে হয় এখন বোধহয় সহিষ্ণুতা শুধু নয়, পরের মতকে একটু শ্রদ্ধা করাও আমাদের একটু কষ্ট করে শিখতে হবে৷

খালেদ মুহিউদ্দীন ডয়চে ভেলের বাংলা বিভাগের প্রধান। ২০ বছরেরও বেশি সময় ধরে সাংবাদিকতার সঙ্গে যুক্ত।
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ