1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

আরব বসন্তের দেশগুলোতে নারী অধিকার নিয়ে আলোচনা

২২ ডিসেম্বর ২০১১

একটু স্বাধীনতা, আর একটু মুক্তি - সেজন্যই আন্দোলন শুরু করেছিল টিউনিশিয়া, মিশর আর লিবিয়ায় মানুষ৷ তাতে সফলও হওয়া গেছে৷ তাহলে কী এবার আশা পূরণ হবে?

আরব বসন্তে এগিয়ে এসেছিলেন মেয়েরাওছবি: AP

‘আরব বসন্ত' শুরু হয়েছিল টিউনিশিয়ায়৷ ফলে সেখানেই প্রথম সরকার পরিবর্তন হয়েছে৷ ক্ষমতায় এসেছে নতুন দল৷ নাম এন্নাহদা পার্টি৷ ইতিহাস বলছে, তারা ইসলামপন্থী৷ অর্থাৎ তারা চাইবে ইসলামি আইন বাস্তবায়ন করতে৷ আর ইসলামি আইন মানেই মনে করা হয় যে, তাতে নারীর সমান অধিকার থাকবেনা৷ ফলে শঙ্কিত সেদেশের নারীরা৷ সাইদা গারাচ এদেরই একজন৷ পেশায় তিনি আইনজীবী৷ এছাড়া ‘টিউনিশিয়ান অ্যাসোসিয়েশন অব ডেমোক্রেটিক ওমেন'এর একজন সক্রিয় কর্মী৷ সাইদা বলছেন, ‘‘নারী স্বাধীনতা নিয়ে আমি এখন যতটা চিন্তিত সেটা আগে কখনো ছিলনা৷ হুমকি এখন সবখানে৷ নারী কী পরবে, কী নিয়ে চিন্তা করবে সবকিছু নিয়েই এখন কথা হবে৷ নারীরা যদি ইসলামপন্থী সরকারকে সমর্থন না করে তাহলে পদে পদে তাদের হেনস্তা করা হবে৷''

তবে এন্নাহদা পার্টি বলছে, তারা কঠোরভাবে ইসলামি আইন প্রয়োগ করবেনা, এবং নারী অধিকারকে সম্মান জানানো হবে৷ কিন্তু অনেক সেক্যুলার নারী বলছেন, এসব অঙ্গীকারে তাদের বিশ্বাস নেই৷

৩০ বছর বয়সি হুদা বেন জিদ বলছেন, জনসমর্থন চলে যেতে পারে এই কারণে এন্নাহদা এখন কোনো কিছু করবে না৷ কিন্তু পরবর্তীতে তারা এমন কিছু করতে পারে যেটা নারীদের জীবন হুমকির মুখে ফেলে দিতে পারে৷

টিউনিশিয়ার পর আন্দোলনের ঢেউ লেগেছিল মিশরে৷ সেখানেও ইসলামপন্থী দলগুলো ক্ষমতায় আসতে যাচ্ছে৷ ইতিমধ্যে, দুই পর্যায়ে সংসদ নির্বাচন হয়ে গেছে৷ বাকী আছে আর একটি৷ এখন পর্যন্ত ফলাফলে দেখা যাচ্ছে, মুসলিম ব্রাদারহুড সংগঠনের রাজনৈতিক দল ‘ফ্রিডম এন্ড জাস্টিস পার্টি' বেশি সংখ্যক ভোট পেয়েছে৷ আর দ্বিতীয় স্থানে আছে অতি-রক্ষণশীল সালাফি পার্টি৷

তবে মিশরীয় ভোটারদের অভয় দিয়ে দল দুটি বলেছে, মানুষের নৈতিকতা বোধ আরেকটু বাড়ুক সেটা তারা চান, কিন্তু তাই বলে ইসলামি আইনগুলো চাপিয়ে দেয়া হবেনা৷ নারীদের বোরকা পরতেও বাধ্য করবেন না বলে জানিয়েছেন৷

টিউনিশিয়ার পর আন্দোলনের ঢেউ লেগেছিল মিশরে...কিন্তু সেখানে নারীর অবস্থা কি?ছবি: dapd

এবার আসছি লিবিয়ার কথায়৷ পর্যবেক্ষকদের মতে, টিউনিশিয়া আর মিশরের চেয়ে লিবিয়ার সমাজ বেশি রক্ষণশীল৷ যেমন মিশরের ডাক বিভাগের এক কর্মী সামাহ আহমেদ বলছেন, মিশরের নারীরা লিবিয়ার চেয়ে বেশি সচেতন৷ যদি সরকার নারীদের জন্য কঠোর আইন করতে চায় তাহলে মিশরের সমাজ সেটা মেনে নেবেনা৷

তবে লিবিয়ার এক ষাটোর্ধ্ব নারী জামিলার বিশ্বাস, তার দেশের বেশিরভাগই মধ্যপন্থী মুসলমান৷ তবে বর্তমানে লিবিয়া শাসন করছে যে এনটিসি তার চেয়ারম্যান মুস্তফা আবদেল জলিলের একটি মন্তব্যে হতাশা প্রকাশ করেছেন জামিলা৷ গাদ্দাফির পতনের পর এক অনুষ্ঠানে লিবিয়ার ‘স্বাধীনতা' ঘোষণা করেন এনটিসি প্রধান৷ সেখানে দেয়া বক্তব্যে তিনি লিবিয়ায় ইসলামি আইনের ব্যাপারে অঙ্গীকার করেছিলেন এবং সেইসঙ্গে ‘বহুবিবাহ' আইন আরও সহজ করার কথা বলেছিলেন৷ যার মানে হচ্ছে, কোনো পুরুষ যদি নিজের স্ত্রী থাকা অবস্থায় আরেকটি বিয়ে করতে চায় তাহলে বর্তমান স্ত্রীর কাছ থেকে কোনো অনুমতি নিতে হবে না৷ অবশ্য এই বক্তব্য দেয়ার পর এনটিসি প্রধান হয়তো বুঝতে পেরেছেন যে, তাঁর এধরণের বক্তব্য দেয়া ঠিক হয়নি৷ তাই এখনকার কথাবার্তায় তিনি গোঁড়া ইসলামি আইন চালুর কথা আর বলছেন না৷

প্রতিবেদন: জাহিদুল হক

সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ