1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘‘আরব বসন্তে’’ টালমাটাল মার্কিন নীতির হাল ধরলেন ওবামা

২০ মে ২০১১

ওয়াশিংটনে স্টেট ডিপার্টমেন্টে দেওয়া বক্তৃতায় বললেন, ইসরায়েলকে ১৯৬৭’র সীমান্তে ফিরে যেতে হবে৷ নির্মমভাবে প্রতিবাদ দমনে বাহরাইনের সমালোচনা করলেন, কিন্তু সৌদি আরবের উল্লেখ পর্যন্ত করলেন না৷

ওয়াশিংটনে বক্তৃতা দিচ্ছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামাছবি: AP

২০০৯ সালে কায়রো বিশ্ববিদ্যালয়ে এ'ধরণের একটি সাড়া জাগানো বক্তৃতা দিয়েছিলেন ওবামা৷ সে বক্তৃতাতেও গণতান্ত্রিক আশা-আকাঙ্খার প্রতি মার্কিন সমর্থনের প্রতিশ্রুতি ছিল৷ কিন্তু গণতন্ত্র আসার কথা ছিল বাইরের, অর্থাৎ পশ্চিমের চাপে৷ এবার টিউনিশিয়া কি মিশরে যে বিপ্লব সফল হয়েছে, অথবা ইয়েমেন, বাহরাইন, সিরিয়া কি লিবিয়ায় যে বিপ্লব এখনও সফল হয়নি, সেগুলো সাধারণ মানুষের বিপ্লব৷ সেই বিপ্লব ওয়াশিংটনকে তার নিজের ভূমিকা নিয়ে ভাবতে বাধ্য করেছে৷

ওদিকে ওবামা যে ইসরায়েলি-ফিলিস্তিনি শান্তি প্রক্রিয়াকে এক চুল এগিয়ে নিয়ে যেতে পারেননি, সেটাও একটা সমালোচনা ছিল৷ তাই এবার ওবামা ১৯৬৭'র সীমানায় ফিরে যাওয়ার ডাক দিলেন - ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস যাকে সঙ্গে সঙ্গে স্বাগত জানিয়েছেন, এবং ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু যা সঙ্গে সঙ্গে প্রত্যাখ্যান করেছেন৷ ওদিকে স্বদেশে রিপাবলিকানরা ওবামা'কে তুলোধোনা করছেন এই বলে যে, তিনি ইসরায়েলকে জলাঞ্জলি দিচ্ছেন৷ তা'ও আবার নেতানিয়াহুর যুক্তরাষ্ট্র সফরের ঠিক মুখে৷

ছবি: AP

ইসরায়েল-ফিলিস্তিনি প্রসঙ্গে ওবামার অবস্থানটা এই যে, ইসরায়েলের বসতি স্থাপন বা সম্প্রসারণের নীতিতে তিনি বিশেষ সুখী নন৷ এবার তিনি ইসরায়েলকে বললেন, কিছু ছাড় দেবার, আপোষ করার সময় এসেছে৷ অন্যদিকে তিনি ইসরায়েলকে ‘‘বৈধতাহীন করে তোলার'' ফিলিস্তিনি প্রচেষ্টার বিরোধী৷ ‘‘ইসরায়েলকে বিচ্ছিন্ন করার জন্য জাতিসংঘে প্রতীকী কার্যকলাপের''-ও তিনি পক্ষপাতী নন: কেননা ফিলিস্তিনিরা আগামী সেপ্টেম্বরে জাতিসংঘের সাধারণ সম্মেলনে তাদের রাষ্ট্রত্বের জন্য স্বীকৃতি পাবার পরিকল্পনা করছে৷ আবার ফাতাহ-হামাস সম্প্রীতি ইসরায়েলের জন্য কিছু ‘‘বৈধ প্রশ্নের'' সৃষ্টি করছে, বলে ওবামা যে মন্তব্য করছেন, তার অর্থ, এই সম্প্রীতি ওয়াশিংটনের দৃষ্টিতে শান্তি প্রক্রিয়ার পথে কোনো প্রতিবন্ধক নয়৷

সিরিয়ার আসাদ কিংবা লিবিয়ার গাদ্দাফির ক্ষেত্রে ওবামা শক্ত অবস্থান নিতে পেরেছেন, মিশর এবং টিউনিশিয়ার ক্ষেত্রে কোটি কোটি ডলার সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দিতে পেরেছেন৷ সব মিলিয়ে, আরব বিশ্বে মার্কিন কূটনীতি আর একটু সফল, আর একটু বিশ্বাসযোগ্য হবার কথা৷ কিন্তু আরব বিশ্লেষকরা বলছেন, ওবামার কথা শোনার মতো বৈকি, তবে তিনি এ'সব কথা বড় দেরীতে বললেন৷ আর এক মিশরি আন্দোলনকারী টুইটারে লিখেছেন: ‘‘ওবামা বক্তৃতা দিয়েছেন নাকি? সত্যি? তা'তে আমার কী এসে যায়?''

প্রতিবেদন: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী

সম্পাদনা: হোসাইন আব্দুল হাই

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ