1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

খালেদার বিরুদ্ধে আরেক মামলা

হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৫

বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে এ পর্যন্ত ছয়টি মামলায় হুকুমের আসামি করা হয়েছে৷ বিএনপি বলছে, তাঁকে চাপে রাখতেই মিথ্যা মামলা দেয়া হয়েছে৷ ওদিকে আওয়ামী লীগ বলছে, নাশকতা ও হত্যার মাধ্যমে ক্ষমতায় যেতে চাইছেন খালেদা৷

Bangladesch Khaleda Zia vor dem Gericht in Dhaka
ফাইল ফটোছবি: M. Uz Zaman/AFP/Getty Images

৬ই জানুয়ারি থেকে শুরু হওয়া বিএনপির নেতৃত্বে ২০ দলীয় জোটের অবরোধ-হরতালে এ পর্যন্ত ৮০ জন নিহত হয়েছে৷ এর মধ্যে পেট্রোল বোমা এবং আগুনে নিহত হয়েছেন ৫২ জন৷ এ সব নাশকতা ও হত্যার ঘটনায় মামলা হচ্ছে ঢাকা এবং ঢাকার বাইরে৷ এই মামলাগুলোর মধ্যে কয়েকটিতে বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়াকে আসামি করা হয়েছে৷

খালেদাকে হুকুমের আসামি করে সর্বশেষ মামলাটি হয়েছে মঙ্গলবার, ঢাকার আদালতে৷ সোমবার নৌ-পরিবহণ মন্ত্রী শাজাহান খানের নেতৃত্বে খালেদার গুলশান কার্যালয় ঘেরাওয়ের সময় ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় করা হয়েছে মামলাটি৷

এর আগে ঢাকার আদালতেই হরতাল-অবরোধে ৪২ জনকে হত্যার ঘটনায় খালেদা জিয়াকে হুকুমের আসামি করে মামলা হয় ২রা ফেব্রুয়ারি৷এছাড়া খুলনা, পঞ্চগড় এবং কুমিল্লাতেও চারটি মামলায় খালেদাকে হুকুমের আসামি করা হয়৷

আইজীবী মাহবুবুর রহমান ডয়চে ভেলেকে জানান, ‘‘কোনো অপরাধে যদি কেউ প্ররোচনা দেন, তাহলে সেই অপরাধের মামলায় তাঁকে হুকুমের আসামি করা যেতে পারে৷ এর মানে হলো, অপরাধে প্ররোচনাদানকারীই হলেন হুকুমের আসামি বা অ্যাবেটর৷'' তিনি বলেন, ‘‘এই প্ররোচনা প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষ – দু'ভাবেই হতে পারে৷ আর প্ররোচনার উপায় নানা রকমের হতে পারে৷ অস্ত্র, ভাষা, বক্তব্য, বিবৃতি, আদেশ প্রভৃতি৷''

দণ্ডবিধির ১১৪, ১০৯ এবং ১৪৯ ধারায় হুকুমের আসামি বিষয়টি পরিষ্কার করা হয়েছে বলেও তিনি জানান৷

তিনি বলেন, ‘‘খালেদা জিয়ার বক্তব্য, বিবৃতি বা আদেশে যদি হত্যা বা নাশকতার কথা না থাকে, তাহলে হরতাল-অবরোধে নাশকতা বা হত্যায় তাঁকে হুকুমের আসামি হিসেবে আদালতে প্রমাণ করা কঠিন হবে৷কারণ আইনে হুকুমের আসামি হিসেবে প্রমাণ করতে হলে হুকুমদাতা সুনির্দিষ্টভাবে কোনো অপরাধ করতে প্ররোচনা দিয়েছেন বলে প্রমাণ করতে হয়৷''

এদিকে বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট আহমেদ আযম খান ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘খালেদা জিয়া শান্তিপূর্ণ অবরোধ-হরতাল চালিয়ে যাচ্ছেন৷ তিনি কোনো নাশকতা করছেন না বা নাশকতা করার নির্দেশও দিচ্ছেন না৷ সরকারের লোকজনই নাশকতা করে উল্টে বিএনপির ওপর দায় চাপাচ্ছে৷ খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিচ্ছে তারা৷''

গুলশানের গেট বন্ধ (ফাইল ফটো)ছবি: MUNIR UZ ZAMAN/AFP/Getty Images
অবরোধ-হরতাল, আগুন জ্বলেছে (ফাইল ফটো)ছবি: picture-alliance/epa/A. Abdullah

তাঁর কথায়, ‘‘খালেদা জিয়াকে চাপে রাখতেই এইসব মিথ্যা মামলা হচ্ছে৷ এরকম ১০০টি মিথ্যা মামলা দিয়েও খালেদা জিয়াকে চাপে রাখা যাবে না৷''

তবে তিনি বলেন, ‘‘সত্যিই যদি কেউ অপরাধের হুকুমদাতা হন, তাহলে অবশ্যই তিনি হুকুমের আসামি হবেন৷ তাঁর শাস্তি অপরাধীর সমান৷ আর খালেদার বিরুদ্ধে যাঁরা মিথ্যা মামলা করছেন, মামলা সাজাচ্ছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে উল্টে মামলা হওয়া উচিত৷ কারণ বাংলাদেশের আইনে মিথ্যা মামলা করা অপরাধ৷''

তিনি দাবি করেন, ‘‘অতীতে আন্দোলনের নামে নাশকতা করার জন্য বরং শেখ হাসিনাকে তখন হকুমের আসামি করা যেত৷''

অন্যদিকে আওয়ামী লীগের সহ সম্পাদক মনিরুজ্জামান মনির ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘খালেদা জিয়া কোনো গণতান্ত্রিক আন্দোলন করছেন না৷ তিনি অবরোধ-হরতালের নামে পেট্রোল বোমা, আগুনে মানুষ পোড়ানো, মানুষ হত্যা করে ক্ষমতায় যেতে চাইছেন৷ তার বড় প্রমাণ হলো, তাদের কোনো নেতা-কর্মী মাঠে নেই৷ তাদের নেতারা দৃশ্যমানভাবে নয়, গোপনে বিবৃতি দিয়ে কর্মসূচি ঘোষণা করেন৷সেই কর্মসূচি বাস্তবায়নের একমাত্র উপায় হিসেবে তারা বেছে নিয়েছে বোমা ও পেট্রোল বোমা হামলা, আগুন৷ আর তাতে সাধারণ মানুষের প্রাণ যাচ্ছে৷''

তিনি বলেন, ‘‘এইসব হত্যা এবং নাশকতার দায় তাই খালেদা জিয়ার৷ সে'কারণেই তাঁকে হুকুমের আসামি করা হচ্ছে৷''

আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, ‘‘অতীতে শেখ হাসিনা গণআন্দোলন করেছেন৷ সেখানে যে টুকটাক সহিংসতা হয়নি তা নয়, তবে তা ছিল গণরোষের বহিঃপ্রকাশ৷ আন্দোলন সফল করার উপায় নয়৷ আন্দোলনে নেতা-কর্মীসহ সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছেন৷ রাজনেতিক আন্দোলন হয়েছে৷ তাই সেই আন্দোলনকে সহিংস বলে শেখ হাসিনাকে দায়ী করা যাবে না৷ তাছাড়া বিএনপি যা করছে, তা সন্ত্রাস৷''

মনিরুজ্জামান মনির আরো বলেন, ‘‘ভবিষ্যতে কেউ যদি জনবিচ্ছিন্ন হয়ে আন্দোলনের নামে এখনকার মত সহিংসতা করে, তাদেরও আইনের আওতায় আনা হবে৷ আন্দোলন করতে হবে মানুষকে সাথে নিয়ে, সহিংসতা দিয়ে নয়৷''

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ