1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

চাপে বিএনপি-জামায়াত

হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা১ ফেব্রুয়ারি ২০১৪

চট্টগ্রামে ১০ ট্রাক অস্ত্র মামলার রায় বিএনপি-জামায়াতকে নতুন করে চাপে ফেলছে৷ আর একুশে আগস্টের গ্রেনেড হামলা মামলার রায় হলে এই চাপ আরো বাড়তে পারে৷ এছাড়া আছে দুর্নীতির মামলা৷

ছবি: Reuters

বিএনপির নীতি নির্ধারকরা বিষয়গুলো নিয়ে চিন্তিত৷ এদিকে, জামায়াত অস্ত্র মামলায় নিজামীর ফাঁসির রায়ের প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার সারাদেশে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল ডেকেছে৷ চেষ্টা করছে বিদেশি বন্ধুদের কজে লাগাতে৷

২০০৪ সালের ১০ ট্রাক অস্ত্র চোরাচালান মামলায় সেসময়ের স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর এবং জামায়াত নেতা ও তৎকালীন শিল্পমন্ত্রী মতিউর রহমান নিজামীসহ শীর্ষ গোয়েন্দা কর্তকর্তাদের ফাঁসির আদেশ হয়েছে৷ এছাড়া এই অস্ত্র চোরাচালানে তখনকার প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া এবং সেই সময়ের আলোচিত হাওয়া ভবনের ভূমিকা নিয়ে পর্যবেক্ষণ দিয়েছেন আদালত

রায়ের দিন সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরছবি: Reuters

সাবেক কূটনীতিক হুমায়ুন কবির বলেছেন, ২০০৪ সালের ঘটনা বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বিশ্বাস এবং আস্থার সম্পর্ক ক্ষতিগ্রস্ত করেছে৷ আর এথেকে আমাদের ভবিষ্যতে শিক্ষা নেয়ার আছে৷

বিএনপি অবশ্য এই মামলার রায়কে ষড়যন্ত্রমূলক বলে মন্তব্য করেছে৷ বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রিজভী আহমেদ দাবি করেছেন, যারা অস্ত্র আটক করেছে তাদেরই শাস্তি দেয়ায় প্রমাণ হয়েছে এটা প্রহসনের রায়৷ আর জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত আমীর ড. মকবুল আহমেদ এক বিবৃতিতে দাবি করেছেন, সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী অস্ত্র চোরাচালান মামলার রায় হয়েছে৷ তাদের আমীর মাওলানা মতিউর রহমান নিজামীকে ফাঁসির দণ্ড দেয়ার প্রতিবাদে দলটি সোমবার সারাদেশ সকাল-সন্ধ্যা হরতাল ডেকেছে৷ আর পাকিস্তান জামায়াত এক বিবৃতিতে মুসলিম দেশগুলোকে হাসিনা সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টির আহ্বান জানিয়েছে৷ পাকিস্তান জামায়াতের আমীর সৈয়দ মুনাওয়ার হাসান দাবি করেছেন নিজামীকে মিথ্যা মামলায় দণ্ড দেয়া হয়েছে৷

পাকিস্তান জামায়াতের আমীর সৈয়দ মুনাওয়ার হাসানছবি: Tanvir Shahzad

এদিকে ২০০৪ সালের ২১শে আগস্ট ঢাকার বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে গ্রেনেড হামলার মাধ্যমে শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টা মামলার বিচারকাজও চলছে৷ বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে ঐ হামলায় শেখ হাসিনা প্রাণে বেঁচে গেলেও ২৪ জন নিহত হন৷ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ে এই মামলার অধিকতর তদন্ত হয়৷ তাতে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান, জামায়াত নেতা মতিউর রহমান নিজামী এবং তখনকার বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের কয়েকজন মন্ত্রীসহ ৩০ জনকে আসামি করে সম্পূরক চার্জশিট দেয়া হয়৷ এই মামলায় আদালতে ৫২ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়েছে৷

তারেক রহমানছবি: AP

মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল ডয়চে ভেলেকে জানান, এপর্যন্ত ৭৩ জন সাক্ষীর জবানবন্দি নিয়েছেন আদালত৷ আরো ২০/২৫ জনের সাক্ষ্য নেয়া হবে৷ আর এই বছরেই মামলার বিচারকাজ শেষ হতে পারে৷

এদিকে, তারেক রহমান অর্থপাচার মামলায় খালাস পেলেও রাষ্ট্রপক্ষ আপিল করেছে৷ তাঁকে আত্মসমর্পণের আদেশ দিয়েছেন আদালত৷ খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধেও একাধিক দুর্নীতির মামলা সচল আছে৷

অন্যদিকে শীর্ষ জামায়াত নেতাদের একটি অংশ ইতিমধ্যেই যুদ্ধাপরাধ মামলায় দণ্ড পেয়েছেন৷ বাকিদের মামলাও দ্রুতগতিতে এগোচ্ছে৷

সবমিলিয়ে আরো মামলার চাপে পড়তে যাচ্ছে বিএনপি-জামায়াত৷ এই মামলাগুলোর বিচারে দণ্ড হলে বিএনপি-জামায়াতের শীর্ষ অনেক নেতা নির্বাচনের অযোগ্য হতে পারেন৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ