বুধবার এবিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত জানাতে পারেন জার্মান চ্যান্সেলর। অন্যদিকে ডিনিপ্রোয় রাশিয়ার মিসাইল হামলা।
বিজ্ঞাপন
সম্প্রতি ইউক্রেনের ডিনিপ্রো অঞ্চলে একের পর এক মিসাইল হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। কার্যত ধ্বংস করে দেয়া হয়েছে এলাকা। তারপরেই মঙ্গলবার রাতের বক্তৃতায় জেলেনস্কি বলেছেন, পশ্চিমা দেশগুলির কাছ থেকে আরো ট্যাঙ্ক, সাজোয়া গাড়ি এবং গোলাবরুদ প্রয়োজন। অত্যন্ত দ্রুত তা ইউক্রেনের সেনার হাতে আসা দরকার। নইলে রাশিয়াকে আটকে রাখা যাবে না।
বাঙ্কারে প্রশিক্ষণ নেয়া সেই শিশুরা যেভাবে বুদাপেস্ট মাতালো
এক সময় রুশ সৈন্যদের বোমার আঘাতে অনিবার্য মৃত্যুর শঙ্কায় থেকেও সার্কাসে নিজেদের দক্ষতা বাড়ানো চেষ্টা করেছে ইউক্রেনের শিশুরা৷ তাদের দেখে বুদাপেস্ট বিস্মিত, মুগ্ধ! ছবিঘরে বিস্তারিত....
ছবি: MARTON MONUS/REUTERS
তাদের স্বপ্নের উৎস
ইউক্রেনে সার্কাস খুব জনপ্রিয়৷ দেশটির অসংখ্য শিশু সার্কাসে অংশ নেয়ায় অভ্যস্ত৷ ২০১০ সাল থেকে শিশুদের জন্য সেখানে একটা আন্তর্জাতিক উৎসব আয়োজন করা হচ্ছিল৷ ব্রাইট কান্ট্রি (ইউক্রেন) নামের এক বেসরকারি সংস্থার সেই আয়োজনে প্রতি বছর ইউক্রেন এবং ইউক্রেনের বাইরের এক হাজারেরও বেশি শিশু অংশ নিতো৷ ওপরের ছবিতে বুদাপেস্টে ইউক্রেনীয় শিশুদের অনুশীলন৷
ছবি: MARTON MONUS/REUTERS
ওরা অকুতোভয়
ইউক্রেনে যখন যুদ্ধ চলছে, সার্কাস ভালোবাসে এমন অনেক শিশু তখনও স্বপ্ন দেখেছে৷ স্বপ্ন দেখেছে- একদিন যুদ্ধ থামবে, আবার তারা নানা ধরনের কলাকৌশল দেখিয়ে মুগ্ধ করবে দর্শকদের৷ সেই স্বপ্ন নিয়ে খারকিভ, কিয়েভ, দ্নিপ্রো, ওডেসা, দনেৎস্ক শহরের বম্ব শেল্টারে অনুশীলন চালিয়ে গেছে তারা৷ ওপরের ছবিতে বুদাপেস্টের উৎসবে ইউক্রেনের ইয়াসক্রাভা অ্যারেনা দ্নিপ্রো ইন্টারন্যাশনাল চিল্ড্রেন’স ফেস্টিভেলের সার্কাস শিল্পীরা৷
ছবি: MARTON MONUS/REUTERS
বুদাপেস্টে স্বপ্নপূরণ
যুদ্ধের বিভিন্ন পর্যায়ে শিশুরা বিদেশে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়৷ এখন কারো ঠিকানা তাই জার্মানি বা হাঙ্গেরি, কারো বা সুইজারল্যান্ড, মেক্সিকো কিংবা ইটালি৷ এসব দেশে আশ্রয় নেয়া ছয় থেকে ১৭ বছর বয়সি শিশুরা হাঙ্গেরির রাজধানী বুদাপেস্টের ক্যাপিটেল সার্কাসে আয়োজিত এক উৎসবে অংশ নিলো গেল সপ্তাহান্তে৷ ইউক্রেনীয় যুবা সার্কাস উৎসব নামের আয়োজনটিতে অংশগ্রহণকারীরা ৩০ ধরনের পারফর্ম্যান্স দেখায়৷ দেখে দর্শকরা মুগ্ধ!
ছবি: MARTON MONUS/REUTERS
মারিয়াদের বর্তমান এবং ভবিষ্যৎ
১৩ বছর বয়সি মারিয়া ক্রাভচেঙ্কো অনেকদিন ইউক্রেনের দ্নিপ্রো শহরে বোমার আঘাত থেকে বাঁচার জন্য তৈরি বাঙ্কারে থেকেছে৷ সেই অবস্থায়ও সার্কাস ছাড়েনি৷ অন্ধকারে মোমবাতি জ্বালিয়ে প্রচণ্ড শীতেও চালিয়ে গেছে অনুশীলন৷ বুদাপেস্টে দীর্ঘদিনের অনুশীলনের ফসল দেখাতে পেরে মারিয়া ভীষণ আনন্দিত৷ তার মতো অনেক শিশুরই এখন একটাই স্বপ্ন- একদিন যুদ্ধ থামবে, নিজের দেশে আনন্দে মাতার সুযোগও আসবে একদিন!
ছবি: MARTON MONUS/REUTERS
স্বপ্নবাস্তবতা
বুদাপেস্টে ইউক্রেনীয় শিশুদের সার্কাস-প্রতিভা দেখে সবাই মুগ্ধ৷ আলো-আঁধারিতে নানা ধরনের কলা-কৌশলে তাদের অবিশ্বাস্য দক্ষতা দেখে অনেকেরই মনে হচ্ছিল যেন স্বপ্ন দেখছেন!
ছবি: MARTON MONUS/REUTERS
5 ছবি1 | 5
বস্তুত, পোল্যান্ড, ফিনল্যান্ড, লিথুয়ানিয়া এবং যুক্তরাজ্য দ্রুত অস্ত্র পাঠাতে চায় ইউক্রেনকে। কিন্তু তারা সকলেই তাকিয়ে আছে জার্মানির দিকে। বুধবার এবিষয়ে জার্মানি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিতে পারে।
সোমবার ডাভোসে ওয়ার্ল্ড ইকনমিক ফোরামের বৈঠক শুরু হয়েছে। বুধবার সেখানে বক্তৃতা করার কথা জার্মান চ্যান্সেলর ওলফ শলৎসের। সেখানেই এবিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তের কথা জানাতে পারেন তিনি। শলৎস অবশ্য আগেই বলেছেন, সব দিক বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এবিষয়ে সকলের সঙ্গে আলোচনা করাও প্রয়োজন।
বস্তুত, পোল্যান্ডের কাছে ১৪টি লিওপার্ড ট্যাঙ্ক আছে। এই ট্যাঙ্ক তারা ইউক্রেনকে পাঠাতে চায়। কিন্তু ট্যাঙ্কগুলি জার্মানির কাছ থেকে পাওয়া। ফলে জার্মানি অনুমতি না দিলে তারা তা ইউক্রেনকে দিতে পারবে না।
ডাভোসের বৈঠকে পোল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট আরো একটি প্রস্তাব দিয়েছেন। তার বক্তব্য, সকলে মিলে ইউক্রেনে অন্তত একটি আর্মার্ড ব্রিগেড পাঠানো উচিত। বুধবার এবিষয়েও শলৎস মন্তব্য করতে পারেন।
এদিকে জেলেনস্কির বক্তব্য, অত্যন্ত দ্রুত তাদের হাতে ভারী অস্ত্র পৌঁছানো প্রয়োজন। কারণ, রাশিয়া একের পর এক মিসাইল আক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে পাল্টা আক্রমণ দরকার। সে কারণেই তাদের ট্যাঙ্ক প্রয়োজন। জেলেনস্কি আরো একটি বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন। তার বক্তব্য, ইউক্রেনের বহু বাসিন্দাকে জোর করে রাশিয়ায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। রাশিয়ার বিভিন্ন জেল এবং ডিটেনশন সেন্টারে তাদের আটকে রাখা হয়েছে। কোনো আন্তর্জাতিক সংগঠনকে সেখানে যেতে দেয়া হচ্ছে না। পশ্চিমা দেশগুলির এবিষয়েও ব্যবস্থা নেয়া উচিত।