আরো ৩২টি নতুন গ্রহের সন্ধান লাভ
২৬ অক্টোবর ২০০৯বিজ্ঞানের ব্যাপক অগ্রগতির সঙ্গে সঙ্গে এই না জানার পরিধিটাও যেন বেড়ে চলেছে৷ অর্থাৎ প্রাচীনকালে মহাকাশের পরিধি সম্পর্কে মানুষের যে ধারণা ছিল এখন তা লক্ষ কোটি গুন বেশি৷ মহাকাশে কত গ্রহ নক্ষত্র থাকতে পারে সেই সংখ্যাটা দিন দিন বেড়ে চলেছে৷ আবার দুরবিনের উন্নতির কারণে গ্রহ নক্ষত্র আবিষ্কারের সংখ্যাটাও একই সঙ্গে বাড়ছে৷
আমরা জানি সৌরজগতে নয়টি গ্রহ রয়েছে, কখনো সেটি ১০ আবার ১১টিও বলে ধরা হয়৷ সর্বশেষ জানা গেছে যে প্লুটো গ্রহটিও নাকি সৌরজগতের মধ্যে পড়ে না৷ সৌরজগতের বাইরেও নাম না জানা গ্রহ রয়েছে কোটি কোটি৷ তার মধ্যে এখন পর্যন্ত মাত্র ৪০০ টি গ্রহকে সনাক্ত করতে সক্ষম হয়েছেন বিজ্ঞানীরা৷ সর্বশেষ একসঙ্গে ৩২টি গ্রহকে সনাক্ত করার ঘোষণা দিয়েছেন ইউরোপের বিজ্ঞানীরা৷ এই সবগুলো গ্রহই সৌরজগত থেকে লক্ষ কোটি মাইল দুরে৷ এসব গ্রহ কোন না কোন নক্ষত্রকে কেন্দ্র করে ঘুরছে যেমনটি আমাদের সৌরজগতের গ্রহগুলো সুর্যকে কেন্দ্র করে ঘুরছে৷ নতুন চিহ্নিত এসব গ্রহের আকার পৃথিবীর চেয়ে অন্তত পাঁচগুন বেশি৷ কোনটি আবার সৌরজগতের বৃহত্তম গ্রহ বৃহস্পতির তুলনায় নাকি প্রায় পাঁচ গুন বড়৷ বিজ্ঞানীদের মতে মহাশূন্যে ছুটে চলা হাজার হাজার কোটি নক্ষত্রের অন্তত ৪০ ভাগ নক্ষত্রকে ঘিরে তার নিজস্ব গ্রহজগত প্রদক্ষিণ করে চলেছে৷
ল্যাটিন আমেরিকার দেশ চিলিতে অবস্থিত ইউরোপের দক্ষিণাঞ্চলীয় মহাকাশ পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র থেকে সম্প্রতি ৩২টি গ্রহ সনাক্ত করার ঘোষণা দেওয়া হয়৷ আরো বেশ কয়েকটি গ্রহ নাকি সনাক্ত করা হয়েছে তবে সেগুলোর কথা জানানো হবে এই বছরের শেষ নাগাদ৷ ইউরোপীয় পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রটিতে রয়েছে প্রায় ১২ ফুট আয়তনের টেলিস্কোপ যার নাম হাই এ্যাকুরেসি রেডিয়াল ভেলোসিটি প্ল্যানেট সার্চার বা হার্পস৷ এই টেলিস্কোপ দিয়ে নতুন গ্রহগুলোর স্পষ্ট ছবি তোলা সম্ভব না হলেও বিজ্ঞানীরা গ্রহগুলোর আকার এবং অবস্থান নির্ণয় করতে পেরেছেন৷ এই নিয়ে হার্পস ৩০টি ভিন্ন নক্ষত্রকে প্রদক্ষিণ করে চলা ৭৫টি গ্রহকে সনাক্ত করতে সক্ষম হল৷ এই ব্যাপারে জেনেভা মহাকাশ পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের স্টেফান উদ্রি বলেন, প্রকৃতি কোন জায়গা খালি ফেলে রাখতে পছন্দ করে না, তাই কোন জায়গা যদি খালি থাকে সেখানে কোন না কোন গ্রহ থাকেই৷
তাই বিজ্ঞানীদের প্রচেষ্টা থেমে নেই, তারা এখনও খুঁজে বেড়াচ্ছেন পৃথিবীর মত কোন একটি গ্রহকে যেখানে হয়তো মিলবে জীবনের সন্ধান৷
প্রতিবেদক: রিয়াজুল ইসলাম, সম্পাদনা: আবদুল্লাহ আল-ফারূক