1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মেসি ও তাঁর চার সহযোদ্ধা

৩ জুন ২০১৪

আবার বিশ্বকাপ জয়ের অভিযানে নামছে আর্জেন্টিনা৷ দলের প্রাণভোমরা লিওনেল মেসি৷ বিশ্বকাপে তৃতীয় সাফল্যের জন্য গনজালো ইগুয়াইন, সার্খিও রোমেরো, ফার্নান্দো গাগো আর সার্খিও আগুয়েরোর কাছেও বিশেষ কিছু আশা করছে আর্জেন্টিনা৷

Interaktiver WM-Check 2014 Keyplayer Argentinien Messi
ছবি: Juan Mabromata/AFP/GettyImages)

লিওনেল মেসি

১৯৭৮ আর ১৯৮৬ – এই দুবারের বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা৷ '৮৬-র আসরটাতো মারাদোনা ম্যাজিকের জন্যই স্মরণীয়৷ ২০০৬ সালে মেসির কাছ থেকেও সেরকম কিছু আশা করেছিল আর্জেন্টিনা৷ কিন্তু বার্সেলোনার হয়ে ততদিনে মাঠ মাতাতে শুরু করলেও মেসি সেবার তেমন কিছুই করতে পারেননি৷ চার বছর পর দক্ষিণ আফ্রিকাতেও কোয়ার্টার ফাইনাল থেকেই বিদায় নেয় আর্জেন্টিনা৷ পেলে, মারাদোনা, বেকেনবাওয়ার, জিদানদের মতো বিশ্বকাপ জিতে ক্যারিয়ারের একটা অপূর্ণতা দূর করতে এবার মেসি তাই অনেক বেশি মরিয়া৷

লিওনেল মেসিছবি: Daniel Garcia/AFP/Getty Images

এতকাল সমালোচকরা বলতেন, মেসি বার্সেলোনার হয়ে যেমন খেলেন, দেশের হয়ে তেমন খেলতে পারেননা৷ এ ক্ষেত্রে তাঁর আন্তরিকতা নিয়েই প্রশ্ন তোলা হতো৷ দিন বদলেছে৷ ব্রাজিল বিশ্বকাপ যত এগিয়েছে বার্সেলোনায় মেসির উজ্বলতা ততটাই কমতে দেখে সমালোচকরা হালে উল্টো কথা বলতে শুরু করেছেন৷ তাঁদের মতে, মেসি এবার বিশ্বকাপের জন্য নিজের সামর্থ্যের অনেকটাই তুলে রাখছেন৷ আর্জেন্টিনার সমর্থকদের তো তাতে খুশিই হওয়ার কথা৷ ব্রাজিল থেকে মেসি বিশ্বকাপ নিয়ে দেশে ফিরবেন- সমর্থকরা তো তা-ই চান!

গনজালো ইগুয়াইন

সাত মৌসুমে ১২১ গোল করেও রেয়াল মাদ্রিদের সেরা একাদশে স্থানটা পাকা হচ্ছিল না তাঁর৷ আর নিয়মিত সুযোগ না পেলে নজর কাড়বেন কী করে? আর্জেন্টিনার মতো দলের হয়ে বিশ্বকাপ খেলার নিশ্চয়তাই বা পাবেন কী করে? গনজালো ইগুয়াইন সেই নিশ্চয়তা পেয়েছেন রেয়াল ছেড়ে নাপোলিতে নাম লিখিয়ে৷ ইটালির এই ক্লাবে ইগুয়াইন আবার ফিরে পেয়েছেন নিজেকে৷ এ মৌসুমে নাপোলির সর্বোচ্চ গোলদাতা তিনি৷ বিশ্বকাপ বাছাই পর্বেও আর্জেন্টিনার হয়ে করেছেন ৯টি গোল৷ তাই এবার এই স্ট্রাইকারের কাছে ২০১০-এর আসরের চেয়েও বেশি আশা আর্জেন্টিনার৷ দক্ষিণ কোরিয়ার বিপক্ষে একটি হ্যাট্রিকসহ গত আসরে চারটি গোল করেছিলেন ইগুয়াইন৷ কিন্তু আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ মিশন শেষ হয়েছিল কোয়ার্টার ফাইনালে৷ সেই থেকে ফাইনাল জিতে বিশ্বকাপ শেষ করার স্বপ্নই দেখছেন ইগুয়াইন৷

গনজালো ইগুয়াইনছবি: picture-alliance/dpa

সার্খিও রোমেরো

কয়েক বছর ধরেই গোলপোস্টের নিচে তিনিই আর্জেন্টিনার সেরা পছন্দ৷ সার্খিও রোমেরোর ওপর এবারও আস্থা রাখছে আর্জেন্টিনা৷ রোমেরো বিশ্বকাপে তাঁর সেরা সময়ে থাকবেন কিনা এ নিয়ে অনেকের মনেই সংশয় আছে৷ ফরাসি লিগে মোনাকোর হয়ে পুরো ম্যাচ খেলার সুযোগ খুব কমই পেয়েছেন রোমেরো৷ মোনাকো নামের এক ক্লাবের হয়েই যিনি নিয়মিত খেলতে পারেন না তাঁকে জাতীয় দলের প্রথম পছন্দ মানতে তো কষ্ট হবেই৷ কোচ আলেসান্দ্রো সাবেলার হাতে অবশ্য আর ভালো কোনো বিকল্পও নেই৷ দলের দ্বিতীয় গোলরক্ষক মারিয়ানো আন্দুজার৷ ইটালির কাতানিয়া ক্লাবের সেরা একাদশে তিনিও অনিয়মিত৷ এ অবস্থায় অভিজ্ঞতায় অনেক এগিয়ে থাকা রোমেরোর দিকে না তাকিয়ে উপায় কী!

রোমেরো অবশ্য ২০১০ বিশ্বকাপে ভালো করেননি৷ সেই ব্যর্থতার দায় অবশ্য আর্জেন্টিনার নড়বড়ে ডিফেন্সেরই বেশি৷

ফার্নান্দো গাগো

মিডফিল্ডার গাগোও এক সময় রেয়াল মাদ্রিদের হয়ে খেলেছেন৷২০০৬ সালে বোকা জুনিয়র্স থেকে ২৭ মিলিয়ন ইউরো খরচ করে তাঁকে দলে ভেড়ায় রেয়াল৷ কিন্তু অনেক তারার ভিড়ে গাগোও নিয়মিত সুযোগ পাচ্ছিলেন না৷ শুধু বেশি ম্যাচ খেলেননি বলেই ২০১০ বিশ্বকাপের আর্জেন্টিনা দলে সুযোগ পাননি তিনি৷ তবে রেয়াল ছেড়ে ফের বোকা জুনিয়র্সে ফিরে নিয়মিত খেলা অন্তত নিশ্চিত করেছেন এবং সেই সুবাদে বিশ্বকাপ দলেও ডাক পেয়েছেন৷ গাগোর প্রতিভা নিয়ে সংশয় নেই৷ বিশ্বকাপে সেই প্রতিভার বিচ্ছুরণ কিছু দেখাতে পারেন কিনা সেটাই এখন দেখার৷

সার্খিও আগুয়েরোছবি: Alejandro Pagni/AFP/Getty Images

সার্খিও আগুয়েরো

আগুয়েরো আর্জেন্টাইন লিগে যখন নজর কাড়লেন তখন তাঁর বয়স মাত্র ১৫৷ তখন থেকেই আর্জেন্টিনার মানুষ ‘কুন' বলে ডাকে তাঁকে৷ ফরোয়ার্ড হিসেবে ক্লাব ফুটবলে দক্ষতা ও প্রতিভার স্বাক্ষর বেশ কয়েকবার রেখেছেন৷ ২০০৮ সালে আর্জেন্টিনাকে জিতিয়েছেন অলিম্পিক ফুটবলের সোনা৷ এ ছাড়া অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদকে জিতিয়েছেন ইউরোপা লিগ (২০১০)৷ তারপর ২০১২ সালে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে যোগ দিয়েই ম্যানচেস্টার সিটির শো-কেসে তুলে দেন লিগ শিরোপা৷ কুইন্স পার্ক রেঞ্জার্সের বিপক্ষে শেষ ম্যাচে ইনজুরি টাইমে তাঁর করা গোলই চার দশক পর লিগ শিরোপা জিতিয়েছিল ম্যান সিটিকে৷ আগুয়েরোর কাছ থেকে এবার বিশ্বকাপে তেমন চমকই দেখতে চায় আর্জেন্টিনা৷

এসিবি/জেডএইচ (এপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ