ব্রাজিলের বৃহত্তম শহর সাওপাওলোর প্রধান যে কার্নেভাল অ্যারেনা, তা এই প্রথম খুলে দেয়ার হচ্ছে ব্রাজিলের চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভক্তদের জন্য৷ ব্রাজিলের বিশ্বকাপ স্টেডিয়ামগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বড় স্টেডিয়াম সাও পাওলো অ্যারেনা৷
সাও পাওলোর কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, আর্জেন্টিনার এই ভক্তদের যাঁরা টিকেট পাননি তাঁদের জন্য ম্যাচ দেখার বিশেষ ব্যবস্থা করেছেন তাঁরা৷ বিপুল সমর্থকের কারণে মঙ্গলবারের ম্যাচকে ঘিরে নিরাপত্তা দ্বিগুণ করেছেন সাও পাওলো-র কর্মকর্তারা৷ তাঁরা বলছেন, ‘আর্জেন্টিনা-সুইজারল্যান্ড' মধ্যকার ম্যাচে সবচেয়ে চিন্তার বিষয় যাঁদের কাছে টিকেট নেই সেই ভক্তদের সামলানো৷ তাই সমর্থকদের আশেপাশের পানশালায় গিয়ে খেলা দেখার আহ্বান জানিয়েছেন তাঁরা৷
প্রিয় দলের প্রতি সমর্থন নানাভাবে প্রকাশ করেন ফুটবল ভক্তরা৷ কেউবা বেছে নেন উদ্ভট বেশভূষা, কেউবা নিজের মুখটা রাঙান পতাকার রঙে৷ আজকাল আবার লেন্সও পাওয়া যাচ্ছে পতাকার রঙে৷ ফুটবল ভক্তদের কিছু ব্যতিক্রমী বেশভূষা পাবেন এখানে৷
ছবি: picture-alliance/dpaক্যামেরন এবং ক্রোয়েশিয়ার ম্যাচ দেখতে আসা এক ব্রাজিলের ভক্ত এভাবেই সাজিয়েছেন নিজেকে৷ পুঁতির তৈরি বিকিনিতে বিশেষভাবে ব্রাজিলের পতাকা ফুটিয়ে তোলা হয়েছে৷ ফুটবল ভক্তদের ব্যতিক্রমী বেশভূষার কিছু নমুনা পাবেন এই ছবিঘরে৷
ছবি: picture alliance/PIXSELLদেখলে মনে হবে, জার্মানির এক ফুটবলভক্ত চোখের মণিতে এঁকেছেন জাতীয় পতাকা৷ আসলে তিনি কন্ট্যাক্ট লেন্স ব্যবহার করছেন৷ আর সেই লেন্সটাতে রয়েছে পতাকার রং৷
ছবি: picture-alliance/dpaব্রাজিলে ঘানা এবং যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার ম্যাচের সময়কার গ্যালারির ছবি এটি৷ ঘানার সমর্থকদের দেখা যাচ্ছে সে দেশের ঐতিহ্যবাহী পোশাকে৷
ছবি: picture-alliance/dpaদেখে মনে হচ্ছে দলকে জেতাতে রীতিমত ঝাড়ফুঁক দিচ্ছেন ঘানার এই ফুটবল ভক্ত৷ ছবিটি ১৬ই জুন ঘানা এবং যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার খেলার সময় তোলা৷
ছবি: picture-alliance/dpaইকুয়েডরের এক ফুটবল ভক্তের ফুটবল মাস্ক এটি৷ হন্ডুরাস এবং ইকুয়েডরের খেলা দেখতে এভাবেই মাঠে হাজির হন তিনি৷
ছবি: picture-alliance/dpaএবারের বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্যায় পার হতে পারেনি পর্তুগাল৷ কিন্তু এ জন্য কিন্তু ভক্তদের দোষ দেয়া যাবে না কিছুতেই৷ বরং তারা কিন্তু দলকে উজ্জীবিত রাখতে সর্বাত্মক চেষ্টাই করেছেন৷ এক পর্তুগিজ ফুটবল যুগল মাঠে এসেছিলেন এই লেবাসে৷
ছবি: picture-alliance/dpaইনি একজন মার্কিন সমর্থক৷ পর্তুগাল এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের খেলা দেখতে ২২শে জুন এভাবে মাঠে হাজির হন তিনি৷ সে খেলায় অবশ্য শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত ছিল টানটান উত্তেজনা৷
ছবি: picture-alliance/dpaউত্তর খুঁজতে কষ্ট করার দরকার নেই৷ এরা মেক্সিকোর সমর্থক৷ ২৩শে জুন তাঁরা একটু বাড়তিই উচ্ছ্বসিত ছিলেন৷ কেননা সেদিন তাঁদের দল ৩-১ গোলে হারায় ক্রোয়েশিয়াকে৷
ছবি: picture-alliance/dpaআগের ছবিতে যাদের কথা বলেছি, ইনিও তাঁদেরই একজন৷ তবে তাঁর লেবাস কিছুটা ভিন্ন৷ এমন বেশভূষা দীর্ঘসময় পরে থাকা কিন্তু সহজ কথা নয়৷ তবে ভক্তরা সবই পারেন৷
ছবি: picture-alliance/dpaযাঁদের মাথায় চুল নেই তাঁরা এটাকে বাড়াবাড়ি মনে করতেই পারেন৷ তবে এই ফুটবল ভক্ত ব্রাজিল এবং ঘানার মধ্যকার ম্যাচ দেখতে এত বড় চিরুনি নিয়েই হাজির হন৷
ছবি: picture alliance/augenklick/firo Sportphotoজার্মানির এই দুই সমর্থক তাঁদের ঠোঁট রাঙিয়েছেন জাতীয় পতাকার আদলে৷ জার্মানিতে এমন চর্চা প্রচুর৷ খেলা শুরুর আগে ফুটবল ভক্তরা ছোট্ট করে গালে এঁকে নেন জাতীয় দলের পতাকা কিংবা ঠোঁট রাঙিয়ে নেন এভাবে৷
ছবি: DW/E.de Sá খেলা শুরুর দুই সপ্তাহ আগে থেকেই কোপাকাবানা সৈকতে যত কারাভান, গাড়ি, ট্রাক ও ভ্যান মাইলের পর মাইল রাস্তা দখল করেছে, তার বেশিরভাগই এসেছে আর্জেন্টিনা থেকে৷ আর যতই সময় গড়াচ্ছে এগুলোর সংখ্যা বাড়ছে বই কমছে না৷ এ সপ্তাহে আর্জেন্টিনা ও ব্রাজিলের দক্ষিণ সীমান্তের শহর পোর্তো আলোগরেতে জড়ো হয়েছেন লাখো আর্জেন্টিনীয়৷ অবৈধভাবে প্রবেশের সময় আটক করা হয়েছে আরো ৩০ জনকে৷ শুধু তাই নয়, টিকেট কালোবাজারি করতে গিয়ে সেখান থেকে ধড়া পড়েছে ছয়জন৷
বুধবারের ম্যাচ চলার সময় হাতাহাতির এক পর্যায়ে গুলিতে নিহত হয়েছে এক আর্জেন্টাইন সমর্থক৷ ফলে ফাইনালে আর্জেন্টিনা ও ব্রাজিল – এই দুই মহারথী মুখোমুখি হলে যে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটবে, সে আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে৷
এপিবি/ডিজি (এপি, রয়টার্স)