1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

আর্থিক তদন্তের মুখে ড. ইউনূস

৯ ডিসেম্বর ২০১৬

শান্তিতে নোবেল জয়ী এবং গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও পরিবারের সদস্যদের আর্থিক বিষয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে৷ তলব করা হয়েছে তাঁদের ব্যাংকের হিসাব৷ তবে ইউনূস ছাড়াও তলব করা হয়েছে আরো ১১ জনের ব্যাংক হিসাব৷

ড. ইউনূস
ছবি: picture-alliance/dpa

বাংলাদেশ ব্যাংক-এর ফাইন্যানশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) এবং এনবিআর আলাদা আলাদাভাবে চিঠি দিয়ে তাঁদের ব্যাংক হিসাবের নানা তথ্য চেয়েছে৷ এনবিআর-এর পক্ষ থেকে চিঠি দিয়েছে সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স সেল (সিআইসি)৷

ড. ইউনূসকে এনবিআর যে চিঠি পাঠিয়েছে, তাতে ড. ইউনূস ও তাঁর স্ত্রীসহ গ্রামীণ ব্যাংকের নামে এফডিআর, মেয়াদি আমানত, সঞ্চয়ী হিসাব, চলতি হিসাব, ঋণ বিতরণের তথ্য, ফরেন কারেন্সি অ্যাকাউন্ট, ক্রেডিট কার্ড, লকার, ভল্ট এবং সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগের তথ্য পাঠাতে বলা হয়েছে৷ এছাড়া তাঁর ট্যাক্স সংক্রান্ত তথ্যও চাওয়া হয়েছে৷ গ্রামীণ ব্যাংক বা গ্রামীণ ব্যাংক সশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের সঙ্গেও তাঁর, তাঁর স্ত্রী এবং পরিবারের সদস্যদের আর্থিক লেনদেনের হিসাব চওয়া হয়েছে৷ ড. ইউনূসের স্ত্রী আফরোজী ইউনূসের ব্যাংক হিসাবের তথ্য চেয়েও আলাদা চিঠি দেয়া হয়েছে বলে খবর৷

এ নিয়ে ইউনূস সেন্টারের মুখপাত্র সাব্বির ওসমান কাতার ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরাকে বলেন, ‘‘এনবিআর-এর নোটিস সম্পর্কে আমার পক্ষে কোনো মন্তব্য করা সম্ভব নয়৷''

তবে ড. ইউনূসের আয়কর রিটার্ন-এর তথ্য সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘‘প্রফেসর ইউনূস তাঁর আয়কর সম্পর্কিত সব তথ্য সব সময়ই সময়মত দিয়েছেন৷’’

এনবিআর চিঠি দিয়েছে ১৭ নভেম্বর৷ এরপর চিঠি দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক৷ তাদের চিঠি অনুযায়ী এরইমধ্যে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকগুলোর ঐ সব তথ্য পাঠানোর কথা৷

এর আগে ২০১৫ সালে এনবিআর ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে  ১৫ কোটি ৩৯ লাখ টাকা ‘দান কর’ না দেওয়ার অভিযোগ করে তা পরিশোধে নোটিস দেয়৷

এদিকে শুধু ড. মুহাম্মদ ইউনূসই এবং তাঁর স্ত্রীই শুধু নয়, আরো অন্তত ১১ জনের ব্যাংকের হিসাব ও আয়করের নানা তথ্য নেয়া হচ্ছে বলে জানা গেছে৷ সরকারে কয়েকটি গোয়েন্দা সংস্থার দেয়া তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশ ব্যাংক এবং এনবিআর তাদের ব্যাংক হিসাবের খবর নিচ্ছে৷ অবশ্য গোয়েন্দাদের হাতে কী তথ্য রয়েছে তা জানা যায়নি৷ তাছড়া এই চিঠির ব্যাপারের বাংলাদেশ ব্যাংক এবং এনবিআর-এর আনুষ্ঠানিক কোনো মন্তব্যও পাওয়া যায়নি৷

‘‘বিশিষ্ট ব্যক্তিদের হয়রানির উদ্দেশ্যে হলে তা হবে দুঃখজনক’’

This browser does not support the audio element.

এ বিষয়ে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)-এর নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘রাজস্ব আয় বাড়ানো এবং করফাঁকি রোধে এনবিআর এ ধরনের উদ্যোগ নিতেই পারে৷ এটা তাদের এখতিয়ার৷ তবে সেটা যদি রাজস্ব ফাঁকি রোধে না হয়ে বিশিষ্ট ব্যক্তিদের হয়রানির উদ্দেশ্যে হয় তা হবে দুঃখজনক৷’’

ড. মুহাম্মদ ইউনূস ১৯৮৩ সালে ক্ষুদ্রঋণ তিবরণকারী প্রতিষ্ঠান গ্রামীণ ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করেন৷ প্রতিষ্ঠার সময়কাল থেকেই তিনি এর ব্যবস্থাপনা পরিচালকের (এমডি) দায়িত্ব পালন করছিলেন৷ ২০০৬ সালে তিনি ও গ্রামীণ ব্যাংক শান্তিতে নোবেল পায়৷ কিন্তু ২০১১ সালে তাঁকে ঐ পদ থেকে অপসারণ করা হয়৷ ড. ইউনূসের কিরুদ্ধে আদালতে গেলেও সরকারের সিদ্ধান্তই বহাল থাকে৷

২০০৭ সালে সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় রাজনৈতিক দল গঠনের চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন ড. মুহাম্মদ ইউনূস৷

প্রিয় পাঠক, আপনি কিছু বলতে চাইলে নীচে মন্তব্যের ঘরে লিখুন৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ