1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

আর্থিক সংকটের বিরুদ্ধে বিক্ষোভের ভিত্তি বামপন্থী চিন্তা: নীলোৎপল বসু

৭ নভেম্বর ২০১১

‘অকুপাই ওয়াল স্ট্রিট’ আন্দোলন আজ গোটা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে৷ ধণতন্ত্র ও পুঁজিবাদের অন্তর্নিহিত সংকটই বর্তমান পরিস্থিতির কারণ বলে মনে করেন বামপন্থী নেতা নীলোৎপল বসু৷

In this Oct. 1, 2011 photo, police arrest a protester on New York's Brooklyn Bridge during Saturday's march by Occupy Wall Street. Protesters speaking out against corporate greed and other grievances attempted to walk over the bridge from Manhattan, resulting in the arrest of more than 700 during a tense confrontation with police. The majority of those arrested were given citations for disorderly conduct and were released, police said. (Foto:Stephanie Keith/AP/dapd)
‘অকুপাই ওয়াল স্ট্রিট’ আন্দোলনের এক বিক্ষোভকারীকে ধরে নিয়ে যাচ্ছে পুলিশ (ফাইল ছবি)ছবি: dapd

গত সপ্তাহান্তে জি-টোয়েন্টি শীর্ষ সম্মেলন শেষ হয়েছে৷ কিন্তু বিশ্বজুড়ে চলমান আর্থিক ও অর্থনৈতিক সংকটের কোনো স্পষ্ট সমাধানসূত্র সেখানে উঠে আসে নি৷ তাহলে কি ধরে নিতে হবে, যে কমিউনিজমের পর পুঁজিবাদ বা ধনতান্ত্রিক ব্যবস্থারও চূড়ান্ত পতনের সময় ঘনিয়ে আসছে?

বর্তমান এই পরিস্থিতির মূল্যায়ন করেছেন ভারতের মার্ক্সবাদী কমিউনিস্ট পার্টির নেতা ও নীলোৎপল বসু৷ ডয়চে ভেলের সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে পশ্চিমা দেশগুলি ফাটকাবাজির উপর নির্ভর করে আন্তর্জাতিক লগ্নিপুঁজির যে রাস্তা নিয়েছিল, সেটার অবধারিত ফল আজকের এই পরিস্থিতি৷ কারণ তারা যে রাস্তায় চলছিল, তার ফলে একদিকে গরীব ও বড়লোক দেশগুলির মধ্যে বৈষম্য বাড়ছিল৷ অন্যদিকে তাদের নিজেদের সমাজেও গরীব ও বড়লোক শ্রেণীর মধ্যে ফারাক বাড়ছিল৷ বাড়ছিল বেকারত্বও৷ লগ্নি ও পুঁজির সঙ্গে যুক্ত মুষ্টিমেয় মানুষের স্বার্থেই তারা চলেছে, যার ফলশ্রুতি বিশ্বজোড়া সংকট৷ সেই সংকটের বোঝাও চাপানো হলো সাধারণ মানুষের ঘাড়ে৷ অন্যদিকে যারা এই সংকটের জন্য দায়ী, তাদের বিভিন্নভাবে সহায়তা করতে এগিয়ে এল এসব দেশের সরকার৷ তার ফলে কোনো সমাধান হওয়ার বদলে সংকট আরও ঘনীভূত হয়েছে৷

এই অবস্থায় বামপন্থী ভাবধারা নতুন করে প্রাসঙ্গিক হয়ে পড়েছে বলে মনে করেন নীলোৎপল বসু৷ শেষ পর্যন্ত পুঁজিবাদ এমন এক ব্যবস্থা, যার অনিবার্য পরিণতি হলো সংকট৷ তার আসল রূপ আজ স্পষ্ট হয়ে গেছে৷ আজ সংগঠিতভাবে বামপন্থী রাজনৈতিক দল না থাকতে পারে৷ দেখা যাচ্ছে যে সারা পৃথিবী জুড়ে যে প্রশ্নকে সামনে রেখে সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমেছেন, তারা হয়তো অনেকেই আনুষ্ঠানিকভাবে বামপন্থা কী, সেটা জানেনও না বা সেটা উপলব্ধিও করেন না৷ কিন্তু যে বিশ্লেষণ তাদের বর্তমান বাস্তবতাটাকে বুঝতে সাহায্য করছে, সেটা কিন্তু বামপন্থী চিন্তা প্রসূত৷ এটাই বড়ো কথা এবং এই নীতির পরিবর্তন দরকার৷ তবে শুধু নয়া উদারবাদী বিশ্বায়ন নয়, বর্তমান সংকটের আরও একটা কারণ আগ্রাসী যুদ্ধের নীতি৷ মুখে গণতন্ত্র বা শান্তির কথা বলে ইরাক ও আফগানিস্তান সহ বিভিন্ন জায়গায় যুদ্ধ বাঁধাচ্ছে তারা৷ সেই যুদ্ধের খরচ মেটানো হচ্ছে সেই অর্থ দিয়ে, যা সাধারণ মানুষের অনেক চাহিদা মেটাতে পারতো৷ গোটা বিশ্বকে নিয়ন্ত্রণ করতে গিয়ে তারা এখন নিজেরাই বেসামাল হয়ে গেছে৷

সাক্ষাৎকার: সঞ্জীব বর্মন

সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ