দারিদ্র্য, প্রাকৃতিক দুর্যোগ অথবা সচ্ছল জীবনের স্বপ্ন – এ সব কারণেই বাংলাদেশে শহরমুখিতা বাড়ছে৷ ফলে আজও বহু শিশু গ্রামাঞ্চল থেকে চলে আসছে রাজধানী ঢাকায়, কখনও পরিবারসহ, আবার কখনও বাবা-মা ছাড়াই৷
বিজ্ঞাপন
গরিব ঘরের মেয়ে৷ কিন্তু রং ছিল আশ্চর্যরকম ফরসা, তার সঙ্গে কোঁকড়া, কালো কুচকুচে চুল, গোলগাল মুখের গড়ন৷ ঠিক যেন দুগ্গা প্রতিমা৷ তাই তো নানি আদর করে ওর নাম রেখেছিলেন – দেবী৷ সিলেটে আমাদের দেশের বাড়িতে ওর বাবা চাষ-বাসের কাজ করতো৷ অভাবের সংসার বলে নানি-ই ওকে নিয়ে এসেছিলেন ঢাকায়৷ আমার তখন সাত বছর বয়স৷ তার মানে ওর ১২ হবে৷ নানিকে ‘মা' ডাকতো, তাই আমি বলতাম – দেবী মাসি৷
বাড়িতে রান্না, ঘর ঝাড় দেয়া-মোছা, বাসন মাজা – সব কিছুর জন্যই লোক ছিল৷ কিন্তু এরপরও সমস্ত ফাই-ফরমাস কাজে ডাকা হতো দেবী মাসিকে৷ গাছে জল দেয়া, ফুল তোলা, কবুতরকে খাওয়ানো, আটা মাখা, পূজার কাজে নানিকে সাহায্য করা, নানার পা টেপা, ঘর গোছানো, ছাদ থেকে জামা-কাপড় তোলা, তারপর সেগুলো ইস্ত্রি করা, অ্যাকিউরিয়াম পরিষ্কার করা, মাছগুলোকে খাবার দেয়া – এমন কোনো কাজ ছিল না, যা ওকে করতে হতো না৷ সারা দিনে কতজন যে ওকে কতবার ডাকতো, তার কোনো হিসেব নেই৷ তার ওপর আবার রান্নার সখ ছিল দেবী মাসির৷ নানির কাছে থেকে বছরের পর বছর সব শিখে নিয়েছিল সে৷ পোলাও-বিরিয়ানি তো বটেই, পেস্ট্রি, প্যাটিস, সামোসা তৈরিতেও তার জুড়ি মেলা ছিল ভার৷ কিন্তু এত সব শিখলেও, পড়াশোনাটা আর হয়নি দেবী মাসির৷ আমার থেকে মাত্র ৫ বছরের বড়৷ তাই আমি যখন পড়তে বসতাম, সুযোগ পেলেই ছুটি চলে আসতো৷ আমার বইগুলো, অঙ্কের খাতাগুলো ওপর হুমড়ি খেয়ে বসতো৷ প্রথম প্রথম বাংলা বইগুলো, ছোট-খাট যোগ-বিয়োগ করতেও দেখেছি তাকে৷ কিন্তু ধীরে ধীরে আমি যখন উঁচু ক্লাসে উঠতে লাগলাম, পিছিয়ে পড়লো দেবী মাসি৷ তারপর একটা সময় বন্ধই করে দিল পড়ার ঘরে আসা৷ আমার খারাপ লাগতো, রাগ হতো নানির ওপর৷ কেন স্কুলে ভর্তি করিয়ে দিচ্ছে না মাসিকে?
ক্যামেরার চোখে বাংলাদেশে শিশু শ্রম
বাংলাদেশে ৪৫ লাখ শিশু ঝুঁকিপূর্ণ কাজে নিয়োজিত৷ তাদের মধ্যে ১৭ লাখের বেশি আবার কাজ করে রাজধানী ঢাকায়৷ আমাদের আলোকচিত্রী মুস্তাফিজ মামুন শিশুশ্রমের কিছু চিত্র তুলে এনেছেন আপনাদের জন্য৷
ছবি: Mustafiz Mamun
বেলুন কারখানায় শিশু শ্রমিক
ঢাকার কামরাঙ্গীর চরের একটি বেলুন তৈরির কারখানায় কাজ করছে দশ বছরের এক শিশু৷ সরকারি তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশে ৪৫ লাখেরও বেশি শিশু ঝুঁকিপূর্ণ কাজে নিয়োজিত, যার প্রায় ১৭ লাখেরও বেশি শিশু শ্রমিক খোদ রাজধানীতেই৷
ছবি: Mustafiz Mamun
নেই কোনো নজরদারি
কামরাঙ্গীর চরের এই বেলুন কারখানায় খোলামেলাভাবে নানা ধরনের রাসায়নিকের মাঝে কাজ করে শিশু শ্রমিকরা৷ বাংলাদেশ সরকার ঝুঁকিপূর্ণ ৩৮টি কাজে শিশুশ্রম নিষিদ্ধ করলেও আদতে তা মানা হচ্ছে না৷ সরকারিভাবে নেই কোনো নজরদারির ব্যবস্থা৷
ছবি: Mustafiz Mamun
সিংহভাগই শিশু শ্রমিক
ঢাকার কামরাঙ্গীর চরে কমপক্ষে দশটি বেলুন তৈরির কারখানা আছে, যেগুলোর সিংহভাগেই শিশু শ্রমিক কাজ করে৷ সড়ক থেকে একটু আড়ালে ভেতরের দিকেই কাজ করানো হয় শিশুদের৷ সপ্তাহে সাত দিনই সকাল-সন্ধ্যা কাজ করতে হয় তাদের৷ তবে শুক্রবারে আধাবেলা ছুটি মেলে৷
ছবি: Mustafiz Mamun
অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ
ঢাকার কেরাণীগঞ্জে সিলভারের তৈজসপত্র তৈরির কারখানায় কাজ করে শিশু শ্রমিক আলী হোসেন৷ মারাত্মক উচ্চ শব্দের মধ্যে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ কাজ করতে হয় তাকে৷
ছবি: Mustafiz Mamun
ট্যানারি কারখানায় শিশু শ্রমিক
ঢাকার হাজারীবাগের একটি ট্যানারি কারখানায় বাইরে কাজ করে নোয়াখালীর আসিফ৷ বয়স মাত্র বারো৷ রাসায়নিক মিশ্রিত চামড়া শুকানোর কাজ করে সে৷ দিনে ১২ ঘণ্টারও বেশি কাজ করে সামান্য যে মজুরি পায় তা দিয়ে সংসার চালাতে মাকে সাহায্য করে আসিফ৷
ছবি: Mustafiz Mamun
মায়ের সঙ্গে রাব্বি
কামরাঙ্গীর চরের একটি প্লাস্টিক বোতল প্রক্রিয়াকরণ কেন্দ্রে মায়ের সঙ্গে কাজ করে চাঁদপুরের রাব্বি৷ এই কেন্দ্রের মালিক নাকি শিশু শ্রমিক নিয়োগের বিরোধী৷ মায়ের অনুরোধে রাব্বিকে কাজ দেয়া হয়েছে বলে দাবি তাঁর৷ কারণ রাব্বির মা সারাদিন খেটে যে মজুরি পান তাতে সংসার চলে না৷ সংসার চালাতে তাই কাজ করতে হচ্ছে রাব্বিকে৷
ছবি: Mustafiz Mamun
হিউম্যান হলারে শিশু হেল্পার
ঢাকার রাস্তায় চলাচলকারী হিউম্যান হলারগুলোতে শিশু শ্রমিক চোখে পড়ার মতো৷ বাহনগুলো দরজায় ঝুলে ঝুলে কাজ করতে হয় এ সব শিশুদের৷ চলন্ত গাড়ি থেকে পড়ে গিয়ে প্রায়ই দুর্ঘটনার শিকারও হয় এসব শিশুরা৷
ছবি: Mustafiz Mamun
ব্রিক ফিল্ডে শিশুরা
ঢাকার আমিন বাজারের বিভিন্ন ব্রিক ফিল্ডেও কাজ করে শিশু শ্রমিকরা৷ প্রতি হাজার ইট বহন করে পারিশ্রমিক পায় ১০০-১২০ টাকা৷ একটি কাঁচা ইটের ওজন কমপক্ষে তিন কেজি৷ একেকটি শিশু ৬ থেকে ১৬টি ইট এক-একবারে মাথায় নিয়ে পৌঁছে দেয় কমপক্ষে ৫০০ গজ দূরে, ইট ভাটায়৷ তাদের কোনো কর্মঘণ্টাও ঠিক করা নেই৷ একটু বেশি উপার্জনের আশায় রাত পর্যন্ত কাজ করে তারা৷
ছবি: Mustafiz Mamun
লেদ কারখানায় ঝুঁকিপূর্ণ কাজে শিশুরা
পুরনো ঢাকার লালবাগের একটি লেদ কারখানায় কাজ করে ১১ বছরের শিশু রহিম৷ সারাদিন লোহা কাটা, ভারি যন্ত্রপাতি মেরামত, হাতুরি পেটানোসহ নানা রকম ঝুঁকিপূর্ণ কাজ করে সে৷
ছবি: Mustafiz Mamun
9 ছবি1 | 9
দেবী মাসিকে নানি একজন দর্জির সঙ্গে বিয়ে দিয়েছিলেন৷ জমি-জমা দিয়েছিলেন, এমনকি টেইলারিং-এর একটা কোর্স-ও করিয়েছিলেন৷ কিন্তু পড়াশোনা না করতে পারার দুঃখ দেবী মাসির কোনোদিন যায়নি৷ তবে হ্যাঁ, এটা ঠিক যে দেবী মসি যদি সিলেটের সেই গণ্ডগ্রামেই থেকে যেত, তাহলে হয়ত ঢাকা শহরের মাঝে আজকের এই ‘রাজধানী টেইলার্স' আর তার দেওয়া হতো না৷ হতো না নিজের মেয়েকে কলেজে পড়ানো অথবা থাকতো না ছেলেকে মানুষের মতো মানুষ করার স্বপ্ন৷
মাত্র কয়েক টাকার জন্য
আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা আইএলও-র হিসাব অনুযায়ী, বিশ্বের প্রায় ১৬ কোটি ৮০ লাখ শিশু-কিশোরকে খনি, কারখানা ও কৃষিখাতের বিভিন্ন চরম প্রতিকূল পরিবেশে কাজ করতে বাধ্য করা হয়৷
ছবি: AFP/Getty Images
শিশুশ্রম নিষিদ্ধ
১৯৯৯ সালে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা আইএলও-র সদস্য রাষ্ট্রগুলো একটি কনভেনশনে স্বাক্ষর করে৷ সেখানে ১৮ বছরের কমবয়সি শিশু-কিশোরদের শ্রমিক কিংবা যৌনকর্মী হিসেবে কাজ করানোর বিষয়টি নিষিদ্ধ করা হয়৷
ছবি: imago/Michael Westermann
তোয়ালে ‘মেড ইন ইন্ডিয়া’
ভারতের তামিলনাড়ু রাজ্যে তোয়ালে তৈরির কারখানায় কাজ করে এই শিশুটি৷ আইএলও-র হিসাবে এশিয়ায় প্রায় সাত কোটি ৮০ লাখ শিশু কাজ করছে৷ অর্থাৎ ৫ থেকে ১৭ বছর বয়সি শিশু-কিশোরের প্রায় ১০ শতাংশ কাজেকর্মে নিয়োজিত৷
ছবি: imago/imagebroker
দিনে ৬৫ টাকা
লেখাপড়ার পরিবর্তে এই শিশুটি ইট তৈরি করছে৷ চরিম দরিদ্রতার কারণে ভারতের অনেক পরিবার তাদের শিশুদের কাজে পাঠিয়ে থাকে৷ দিন প্রতি মাত্র ৮০ সেন্ট, অর্থাৎ প্রায় ৬৫ বাংলাদেশি টাকা পায় তারা৷ এ জন্য তাদের কমপক্ষে ১০ ঘণ্টা কাজ করতে হয়৷
ছবি: imago/Eastnews
সস্তা শ্রম
ভারতের সবশেষ আদমশুমারি অনুযায়ী, দেশটিতে প্রায় এক কোটি ২৬ লাখ শিশু-কিশোর শ্রমিক হিসেবে কাজ করছে৷ তারা পণ্য বিক্রি থেকে শুরু করে রান্না করা, রেস্টুরেন্ট পরিষ্কার করা – সব কাজই করে৷ এমনকি ইট কাটা, মাঠে তুলা তোলা ইত্যাদি কাজও করে থাকে শিশুরা৷
ছবি: imago/imagebroker
অমানবিক অবস্থা
২০১৩ সালে প্রকাশিত আইএলও-র একটি প্রতিবেদন বলছে, বিশ্বের শিশু শ্রমিকদের প্রায় অর্ধেক বিপজ্জনক পরিবেশে কাজ করে৷ তাদের অধিকাংশকেই কোনোরকম চুক্তিপত্র ও চাকরির অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা ছাড়াই কাজ করতে হয়৷
ছবি: AFP/Getty Images
‘মেড ইন বাংলাদেশ’
জাতিসংঘের শিশু কল্যাণ সংস্থা ইউনিসেফ-এর হিসাবে, বাংলাদেশের প্রায় ৫০ লক্ষ শিশু-কিশোর তৈরি পোশাক কারখানায় কাজ করে৷
ছবি: imago/Michael Westermann
কম্বোডিয়ার পরিস্থিতি
কম্বোডিয়ায় স্কুল পড়ুয়া শিশু-কিশোরের সংখ্যা অনেক কম৷ বেশিরভাগই তাদের মা-বাবার সঙ্গে কাজ করে৷ এছাড়া হাজার হাজার শিশু রাস্তায় বাস করে কম্বোডিয়ায়৷ এই যেমন এই শিশুটি৷
ছবি: picture-alliance/dpa
পরিস্থিতির উন্নতি হয়নি
২০০০ সালের পর বিশ্বব্যাপী শিশু শ্রমিকের সংখ্যা কমলেও এশিয়ার অনেক দেশ যেমন বাংলাদেশ, আফগানিস্তান, নেপাল, কম্বোডিয়া ও মিয়ানমারে পরিস্থিতির এখনও ততটা উন্নতি হয়নি৷
ছবি: AFP/Getty Images
8 ছবি1 | 8
তাহলে? নানি কি ছোট্ট দেবীকে গ্রাম থেকে শহরে নিয়ে এসে ঠিক করেছিলেন? আজও ভারত-বাংলাদেশের অজস্র পরিবারগুলো বাচ্চা বাচ্চা ‘কাজের লোক' রেখে কি ঠিক করছে? যে শিশুর শৈশবকে হত্যা করা হচ্ছে তাকে স্থানান্তরিত করে, ছুটে-বেড়ানোর বয়সে তাকে ভারি কাজ করতে বাধ্য করে, ছোট্ট কাঁধে বাপ-মা-ভাই-বোনকে দেখার দায়িত্ব চাপিয়ে দিয়ে, তার ভবিষ্যৎ কি অভাব-অনটনের সংসারে থাকা বা বন্যার জলে ভেলে যাওয়া কোনো শিশুর ভবিষ্যৎ থেকে উজ্জ্বল নয়?
এ সব প্রশ্নের উত্তর বিচার করবেন আপনারা৷ আমি শুধু বলতে পারি, শিশুশ্রম বন্ধ করতে হলে প্রথমে সব শিশুকে সম অধিকার দিতে হবে, পারিবারিক দরিদ্রদশা দূর করতে হবে, বৃদ্ধি করতে হবে সামাজিক সচেতনতা৷ আর তার জন্য জন্ম নিবন্ধন নিশ্চিত করে প্রতিটি শিশুকে শুধু বাধ্যতামূলক শিক্ষাই নয়, দু'বেলা পেট ভরা খেতে দিতে হবে৷
বলা বাহুল্য, বাংলাদেশে শিশুশ্রম নিরসনে আইএলও কনভেনশন ১৩৮ অনুস্বাক্ষর একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়৷ কিন্তু সমস্যা হলো এর বাস্তবায়ন৷ জাতিসংঘ শিশু অধিকার সনদ অনুযায়ী, একটি শিশুকেও তার জীবিকা নির্বাহের জন্য কোনোরকম শ্রমে নিয়োজিত করার কথা নয়৷ কিন্তু এ দেশের শিশুরা মূলত দরিদ্রদশার কারণে শ্রমের সাথে জড়িত৷ তার ওপর বাংলাদেশের বিভিন্ন আইন ও নীতিমালায় বয়সের বিভিন্নতার কারণে শিশুদের শ্রম থেকে দূরে রাখা সম্ভব হচ্ছে না৷ শুধু তাই নয়৷ সহস্রাব্দের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে ইতিমধ্যে ঝুঁকিপূর্ণ শিশুশ্রমের চূড়ান্ত তালিকা ও শিশু আইন ২০১৩ অনুমোদন করেছে সরকার৷ কিন্তু নীতিমালায় গৃহিত হওয়া মানেই তো আর শিশুশ্রম নিরসন নয়! তাই সরকার এ বছরের মধ্যে ঝুঁকিপূর্ণ খাতগুলো থেকে শিশুশ্রম শূন্যে নামিয়ে আনার প্রতিশ্রুতি দিলেও, এখনো সেই সব খাতে শিশুশ্রমিক আছে এবং সংখ্যাটা বেড়েছে বৈ তো কমেনি৷ সরকারি তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশে আজও ৪৫ লাখেরও বেশি শিশু ঝুঁকিপূর্ণ কাজ করছে৷
‘মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন' বেশ কয়েক বছর ধরে শিশুদের নিয়ে, বিশেষ করে শিশু অধিকার নিয়ে কাজ করছে৷ সংগঠনটির প্রকল্প সমন্বয়ক আবদুল্লাহ আল-মামুন জানান, ‘‘প্রধানত অনানুষ্ঠানিক খাত, যেমন ওয়েল্ডিং, মোটর গ্যারেজ, মোল্ডিং, ইটের ভাটা ইত্যাদি কাজে শিশুশ্রমের সংখ্যা বাড়ছে৷'' সে তুলনায় বাড়িতে ফাই-ফরমাস খাটা তো দুধ-ভাত৷ তাই নয় কি? তাছাড়া বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক প্রেক্ষাপটে অভিভাবক ও মালিক – দুই পক্ষই শিশুদের শ্রমে নিয়োজিত করে৷ আমার দেবী মাসির বাবাই তো তাকে নানির হাতে তুলে দিয়েছিলেন, যাতে ছয় বোনের মধ্যে সে একটু ভালো খায়, একটুখানি ভালো থাকে৷ তাই আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ছাড়া শিশুশ্রম নিরসন করা তো যাবেই না, আর করা গেলেও তাতে শিশুরা যে ভালো থাকবে, সুস্থ, সুন্দর থাকবে, তার কি কোনো গ্যারান্টি আছে?
দেবারতি গুহ’র বক্তব্যের সঙ্গে আপনিও কি একমত? ভিন্নমত থাকলে লিখুন নীচের মন্তব্যের ঘরে৷