দক্ষিণ অ্যামেরিকার আন্ডিস পর্বতমালায় বৃক্ষরেখার উপরে যে তুন্দ্রা বা তৃণভূমি, সে এলাকাটিকে বলে পারামোস – যেমন কলম্বিয়ায়৷ এই পারামোস-এর কিছু গাছপালা মেঘ থেকে আর্দ্রতা সঞ্চয় করে তা ধরে রাখতে পারে৷
বিজ্ঞাপন
কলম্বিয়ার রাজধানী বোগোটা-র বোট্যানিক্যাল গার্ডেনের গবেষকরা এমন একটি উদ্ভিদের খোঁজে ছিলেন, যা বিগত ৫০ বছর ধরে দেখা যায়নি৷ গবেষকরা এবার সেই দুষ্প্রাপ্য গাছটি সন্ধান পেয়েছেন৷ গাছগুলি আকাশের মেঘ থেকে আর্দ্রতা শুষে নিয়ে তা ধীরে ধীরে ছড়াতে থাকে৷ এভাবেই আন্ডিস পর্বতমালার আর্দ্র এলাকাগুলি গ্রীষ্মেও ঝর্ণা ও নদীগুলিতে জল থাকার ব্যবস্থা করে৷ অর্থাৎ এই আর্দ্র এলাকাগুলি কলম্বিয়ায় পানীয় জলের সবচেয়ে জরুরি উৎস৷
পার্বত্য এলাকার এই অ্যালপাইন তুন্দ্রা বা নিওট্রপিক্যাল হাইল্যান্ড এলাকাগুলো যে শুধু জলবায়ু পরিবর্তনের প্রকোপে পড়েছে, এমন নয়৷ সেই সঙ্গে রয়েছে কয়লা ও অপরাপর খনিজ পদার্থের খনি এবং ক্রমবর্ধমান কৃষিকাজ৷ বটানিস্ট মাউরিসিও দিয়াসগ্রানাদোস বোঝালেন, ‘‘এখানকার চাষিরা ‘পারামোস'-এ আগুন ধরিয়ে পরে সেখানে গরু চরানোর ব্যবস্থা করেন৷ পশুপালনের ফলে জমি, গাছপালা, এ সবই বদলে যায়, যার ফল দাঁড়ায় এই যে, পারামোস-গুলো আরো কম পানি ধরে রাখতে পারে, গোটা পরিবেশ প্রণালীটা আর কাজ করে না৷''
জার্মানির বন-জঙ্গল
জার্মানরা বন-জঙ্গলে ঘুরে বেড়াতে পছন্দ করেন৷ এভাবে অবসর সময় কাটাতে আর হাঁটতেও ভালোবাসেন তাঁরা৷ চলুন সে রকমই জার্মানির কিছু বনানির সাথে আপনাদের পরিচয় করিয়ে দেওয়া যাক৷
ছবি: picture-alliance/Thomas Muncke
জাতীয় পার্ক ইয়াসমুন্ড
ইয়াসমুন্ডের এই পার্কটি জার্মানির জাতীয় পার্কগুলোর মধ্যে সবচেয়ে ছোট পার্ক৷ বিখ্যাত ব়্যুগেন দ্বীপের একেবারে উত্তরে অবস্থিত এই পার্কের সৌন্দর্য পর্যটকদের আকর্ষণ করে, করে মুগ্ধ৷ ইউনেস্কো ২০১১ সালে ইয়াসমুন্ড পার্কটিকে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের কারণে বিশ্ব ঐতিহ্যের অংশ হিসেবে স্বীকৃতি দেয়৷
ছবি: Scoopshot/ac-images
এলবে নদীর নিসর্গ
প্রকৃতি সৃষ্ট নিসর্গের মধ্যে অন্যতম নদী পরিবেষ্টিত চরগুলি৷ নিয়মিত বন্যা হওয়ার কারণে এই সব চরে গাছপালা এবং পশুপাখিরা আনন্দে বেঁচে থাকে৷ যেমনটা এখানে, ব্রান্ডেনবুর্গের এলবে নদীতে৷ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের জন্য এলবে নদীর এই চরটিকে ১৯৭৯ সালে ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যর অন্তর্ভুক্ত করা হয়৷
ছবি: picture-alliance/ZB
হারৎস
জার্মানির মধ্যভাগে অবস্থিত হারৎসের পাহাড়ি অঞ্চল শুধু জার্মানির সবচেয়ে বড় বনভূমি নয়, জার্মানির সবচেয়ে জনপ্রিয় বনাঞ্চলও বটে৷ ১৮২৪ সালে অন্যতম জার্মান লেখক হাইনরিশ হাইনে তাঁর ভ্রমণ কাহিনিতে এই অঞ্চলকে তুলে ধরেন৷ যাঁরা হাঁটতে পছন্দ করেন তাঁদের কাছে জায়গাটি খুবই প্রিয়৷
ছবি: picture-alliance/ZB
হাইনিশ জাতীয় পার্ক
জার্মানির ট্যুরিঙ্গেন রাজ্যে রয়েছে ‘বুখেন’ বা বীচ গাছে ঘন জঙ্গল৷ এই বনের কয়েকটা গাছ আবার গত ৮০০ বছর ধরে এইভাবে একেবারে সাড়ি দিয়ে দাঁড়িয়ে আছে৷ এর জন্যই ইউনেস্কো ২০১১ সালে এই বনভূমিকে বিশ্ব প্রাকৃতিক ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে৷ এখানে বনবিড়ালের মতো অনেক বিরল প্রাণীও দেখা যায়৷
ছবি: DW/C. Hoffmann
স্পেসার্ট
জার্মানির দক্ষিণে অবস্থিত বাভারিয়া এবং হেসেন রাজ্যের মাঝামাঝি একটি পাহাড়ি এলাকায় অবস্থিত এই বনটি৷ আগে স্পেসার্ট ছিল ধনী ও বিশপদের শিকার করার জায়গা৷ শুধু তাই নয়, ঊনিশ শতকে এই জঙ্গলেই আস্তানা গড়েছিল জার্মানির কুখ্যাত ডাকাতরা৷ ১৮২৭ সাল থেকে ‘‘দাস ভির্টহাউস ইম স্পেসার্ট’’ নামে পরিচিতি লাভ করে এই ঘন বনাঞ্চল৷
ছবি: picture-alliance/Thomas Muncke
ব্ল্যাক ফরেস্ট
ব্ল্যাক ফরেস্ট বা কৃষ্ণ অরণ্য নিয়ে নানা রকম ভূতের গল্প প্রচলিত আছে জার্মানিতে৷ আছে এই জঙ্গলের নামে একটি কেক-ও৷ সে জন্যই হয়ত এই কৃষ্ণ অরণ্যের জাতীয় পার্কের মর্যাদা পাওয়া উচিত বলে মনে করেন অনেকে৷ আবার অন্যদের আশঙ্কা, জাতীয় পার্ক হলে এখান থেকে আর ফল সংগ্রহ বা গাছ কাটা যাবে না – জার্মানিতে পরিবেশ রক্ষা সত্যিই যে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়!
ছবি: picture-alliance/Ronald Wittek
বাভারিয়ার জাতীয় পার্ক
রাখেল লেক বাভারিয়ার তিনটি গুরুত্বপূর্ণ হ্রদের মধ্যে একটি৷ লেকটি ঘিরে প্রায় ১০৭০ মিটার এলাকা জুড়ে অবস্থিত এই বন, যেখানে গত কয়েক দশকে একটি গাছও কাটা হয়নি৷ খুবই নিরিবিলি ও শান্ত পরিবেশ এখানে৷ তাই হাঁটার জন্যও খুব উপযোগী এই অঞ্চল৷ ১৯৭০ সালে এই পার্কটিকে জার্মানির প্রথম জাতীয় পার্ক হিসেবে ঘোষণা করা হয়৷
ছবি: picture-alliance/dpa
জাতীয় পার্ক ব্যার্শটেসগাডেন
এটা আলপস পর্বতমালায় অবস্থিত জার্মানির একমাত্র জাতীয় পার্ক৷ পার্কটি উচ্চ পাহাড়ি অঞ্চলে অবস্থানের কারণে পর্যটকরা এখানে এলে বিরল প্রাণীর দেখা পান৷ তাই তো পক্ষীপ্রেমী আর বন্যপ্রাণী গবেষকদের জন্য এটা দারুণ একটা জায়গা৷
ছবি: picture-alliance/Thomas Muncke
8 ছবি1 | 8
অন্নসংস্থান ও পরিবেশ সংরক্ষণ
আন্ডিস পার্বত্য এলাকার বাসিন্দারা চিরকালই চাষবাস করে খান৷ এখানকার ছোট চাষিরা কলম্বিয়ার দরিদ্রতম মানুষদের অন্যতম৷ বোগোটার বোট্যানিক্যাল গার্ডেনের প্রকল্পটির কর্মীরা এই ছোট চাষিদের নিয়ে কাজ করতে এবং তাদের পরিবেশ সংরক্ষণের গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতন করে তুলতে চান৷ বোগোটা-র বোট্যানিকাল গার্ডেন্স-এর কর্মী সল লিনারেস বললেন, ‘‘আমাদের বাস্তবকে মেনে নিতে হবে৷ চাষিরা তাদের চাষবাস ছেড়ে দেবেন না৷ কেননা সেটা তাদের জীবিকা, ওই দিয়ে তাদের অন্নসংস্থান হয়৷ কাজেই আমাদের একটা যৌথ নীতি উদ্ভাবন করতে হবে, যাতে চাষবাসও থাকে, আবার পানি সম্পদের সুরক্ষা হয়৷''
পাহাড় থেকে আসা পানি দিয়েই রাজধানী বোগোটার মানুষদের প্রয়োজন মেটে৷ বোগোটা-র ৮০ লক্ষ মানুষ পারামোস থেকে আসা পানির উপর নির্ভর করেন৷ অপরদিকে বোগোটার বোট্যানিক্যাল গার্ডেনে শুধু শহরের মাঝখানে একটি সবুজ মরুদ্যানই নয়, একটি গুরুত্বপূর্ণ গবেষণাকেন্দ্রও বটে৷ বিজ্ঞানীদের চিন্তা হল পারামোসগুলোর সংরক্ষণ নিয়ে৷
উদ্ভিদবৈচিত্র্য
পাহাড়ি তুন্দ্রাতে পাওয়া যায়, এমন প্রায় এগারো হাজার বিভিন্ন ধরনের উদ্ভিদ ও গাছপালা নথিবদ্ধ করেছেন গবেষকরা৷ প্রতিদিনই নানা নতুন নমুনা আসে ল্যাবোরেটরিতে৷ সেক্ষেত্রে এই এয়ারকন্ডিশন করা কক্ষটি বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ, কেননা এখানে লুপ্তপ্রায় উদ্ভিদদের চারা তৈরি করা হয় – কিছুটা গবেষণা, আবার কিছুটা সংরক্ষণের জন্য৷ বেশিরভাগই আসে পারোমোস থেকে৷ বটানিস্ট বেলকিস পেরেস মার্তিনেস জানালেন,‘‘ওষুধ তৈরিতে এ সব গাছপালা কাজে লাগে, আবার খাদ্য হিসেবেও৷আন্ডিস পার্বত্য অঞ্চলে এমন বহু উদ্ভিদ ও গাছপালা পাওয়া যায়, যেগুলো ওষুধ হিসেবে কাজে লাগে কিনা তা আমাদের জানা না থাকলেও, সেগুলো আমাদের খাদ্যের অঙ্গ হয়ে দাঁড়িয়েছে৷''
ধ্বংস হচ্ছে আমাজন
আমাজনের রেইনফরেস্ট ক্রমেই ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে৷ গাছ কাটা এবং জঙ্গল পোড়ানোর কারণে কেবল এই বছরেই ধ্বংস হয়েছে ৫ হাজার বর্গ কিলোমিটার বন৷
ছবি: Reuters
দগ্ধ পৃথিবী
২০১৩ সালে ব্রাজিলের রেইনফরেস্ট উজারের চিত্রটা আরো পরিষ্কার হয়ে গেছে৷ ওয়ারশ শহরে অনুষ্ঠিত বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলনে ব্রাজিলের পরিবেশমন্ত্রী ইসাবেলা টেইশেইরা উল্লেখ করেন, এ বছরের নভেম্বরের মধ্যে আমাজনের ৫,৮৪৩ বর্গ কিলোমিটার বন উজাড় হয়েছে৷ ২০১২ সালে যেখানে ৪,৫৭১ বর্গ কিলোমিটার বন উজাড় হয়েছিল৷ ২০০৪ সালে আমাজনের ২৭ হাজার বর্গ কিলোমিটার বন উজাড় হয়েছিল, যা একটি রেকর্ড৷
ছবি: picture alliance/Wildlife
গমের জন্য কাঠের বাণিজ্য
সয়া এবং গম চাষ আমাজনের রেইনফরেস্ট উজাড়ের জন্য অনেকটা দায়ী৷ ব্রাজিলের পারা রাজ্যের বন এ কারণে সবচেয়ে বেশি উজাড় হয়েছে৷ ২০১২ সালের আগস্ট থেকে ২০১৩-র জুন পর্যন্ত সেখানে ১৩৬ ভাগ বন ধ্বংস হয়েছে৷ পারার কাছের নভো প্রোগ্রেসো শহর গড়ে তুলতে ৪০০ হেক্টর জমি পুড়িয়ে ফেলা হয়েছিল৷
ছবি: Reuters
শহরগুলোর বাঁধ
আমাজনে ব্রাজিলের ২০ কোটি মানুষের মধ্যে মাত্র পাঁচ ভাগ আদিবাসী থাকলেও, সেখানে বাঁধ নির্মাণ ক্রমেই বেড়ে চলছে৷ আমাজন অঞ্চলে টেলেস পিরেস পানি বিদ্যুৎকেন্দ্রটি ২০১৫ সালে চালু হওয়ার কথা৷ এর মধ্যে মাত্র একভাগ আমাজনের অধিবাসীদের জন্য ব্যবহৃত হবে৷ ব্রাজিলের জাতীয় শক্তি কেন্দ্র ২-৩০ সালের মধ্যে এ ধরনের কার্যক্রম বাড়ানোর পরিকল্পনা করছে৷
ছবি: Reuters
ভালো ব্যবসা?
বন উজাড় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই বিক্রি হয়ে যাচ্ছে সেখানকার কাঠ৷ অবৈধভাবে উজাড় হওয়া আমাজন এখন চারণ ক্ষেত্র হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে৷ ব্রাজিলের আইন অনুযায়ী, কেউ যদি ঐ জমিতে উৎপাদনশীল কাজ করে তাহলে প্রতি পাঁচ বছরের জন্য জমি ‘লিজ’ নিতে পারবে৷ প্রসঙ্গত, উজাড় হওয়া জমির প্রতি হেক্টরের দাম ৩ হাজার ইউরো করে৷
ছবি: Reuters
গাছ যেখানে প্রধান পণ্য
গত বছর ব্রাজিল সরকার ঘোষণা করে যে, ২০২০ সালের মধ্যে প্রতি বছর ৪,০০০ বর্গ কিলোমিটার বন রেইনফরেস্ট ধ্বংস রোধের৷ কিন্তু স্বর্ণ সন্ধানকারী এবং কৃষি কোম্পানিগুলোর কারণে গাছের সংখ্যা বাড়ছে না৷
ছবি: Reuters
ধ্বংসের পথ
৩,০০০ কিলোমিটার ‘ট্রানস-আমাজনিকা’ মহাসড়কটি ব্রাজিলের সাথে প্রতিবেশী দেশ পেরু ও বলিভিয়ার সংযোগ স্থাপন করছে৷ ৪০ বছর ধরে সড়কটি চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে৷ চলছে এটির সংস্কার কাজ, যা এখনো শেষ হয়নি৷ তবে পরিবেশবাদী সংগঠনগুলো এই সড়ক সংস্কারের বিপক্ষে৷
ছবি: Evaristo Sa/AFP/GettyImages
স্বর্ণের সন্ধানে
স্বর্ণের খোঁজে যারা আমাজন চষে বেড়ায়, তারা অনেক সময় নিজেদের এলাকা থেকে নানা ধরনের রোগ বহন করে নিয়ে আসে৷ সেই সব রোগের সংক্রমণে স্থানীয় ‘ইয়ানোমামি’ গোষ্ঠী আক্রান্ত হয়৷ শুধু তাই নয়, এ পর্যন্ত কয়েকশ’ ইয়ানোমামি মারাও গেছে৷ এ বছরের জুনে তাই ব্রাজিলের সেনাবাহিনী ভেনেজুয়েলা সীমান্তের ৯৫ লাখ হেক্টর জমি থেকে অবৈধ স্বর্ণ সন্ধানকারীদের আস্তানা তুলে দেয়৷
ছবি: Fiona Watson/Survival
চারকোলের উৎস
কৃষ্ণ স্বর্ণ: ‘আল্টো রিও গুয়ামা’ সংরক্ষিত এলাকার মধ্যাঞ্চলের দৃশ্য এটি৷ অবৈধভাবে কেটে ফেলা গাছগুলোকে চারকোলে পরিণত করা হয়৷ এ বছরের সেপ্টেম্বরে একটি পুলিশ হেলিকপ্টার থেকে এই ছবিটি তোলা হয়েছে৷ ব্রাজিলের পারা রাজ্যে অবস্থিত সংরক্ষিত এই এলাকাটিতে ‘নোভা এসপেরাঙ্কা’ সম্প্রদায়ের বসবাস৷
ছবি: Reuters
8 ছবি1 | 8
গাছটিকে বলে ‘ক্রেস্টেড রোজ' বা এস্পেলেশিয়া৷ গবেষণা পরিচালক দিয়াসগ্রানাদোস এগুলোর উপর নজর রাখেন৷ উদ্ভিদটি উচ্চ পার্বত্য এলাকায় তাপমাত্রার ওঠানামা অনায়াসে সামলে নিতে পারে, কিন্তু জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব এড়াতে অক্ষম৷ দিয়াসগ্রানাদোস বলেন, ‘‘আমরা জানি যে, আগামী কয়েক বছরে আরো কয়েক প্রজাতির গাছপালা লোপ পাবে৷ এই গাছগুলোকে জলবায়ু পরিবর্তনের হাত থেকে কী ভাবে রক্ষা করা যায়, আমরা তা নিয়ে চিন্তাভাবনা করছি৷''
গাছপালার বৈচিত্র্যের বিচারে কলম্বিয়া বিশ্বের সমৃদ্ধতম দেশগুলির মধ্যে পড়ে৷ গবেষকরা এখানে প্রায়ই নতুন প্রজাতির উদ্ভিদ আবিষ্কার করেন৷ উদ্ভিদবিজ্ঞানীদের আশা, জ্ঞান ও সচেতনতা বাড়ার ফলে এই মূল্যবান পরিবেশ বাঁচানো সম্ভব হবে৷ কেননা পারামোস হল কলম্বিয়ার কয়েক লক্ষ মানুষের জীবনধারা৷