আর্ন্তজাতিক মহলের আহ্বান উপেক্ষা করে যুদ্ধ অব্যাহত
১২ জানুয়ারি ২০০৯এই পর্যায়ে ইসরায়েলী পররাষ্ট্র মন্ত্রী সিপি লিভনি বলেছেন, কেবল ইসরায়েলই বলতে পারে কখন এই যুদ্ধের অবসান হবে৷ তিনি বলেন, আমরা আতঙ্কিত হয়ে এটা করছি না৷ সচেতনভাবেই করছি৷
বিভিন্ন সংবাদ সংস্থার রিপোর্ট অনুসারে সেখানে এখন মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৯০০তে৷ আহত কয়েক হাজার৷ গভীর রাতে সেখানে ইসরায়েলী বিমান থেকে বোমা হামলা চালানো হয়েছে৷ এই হামলা সোমবার দিনের বেলাতেও অব্যাহত রয়েছে৷ এদিন বিমান হামলায় কমপক্ষে ১০ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে৷
ইসরায়েলী পদাতিক বাহিনীর সঙ্গে হামাস বাহিনীর যুদ্ধ চলছে উত্তর গাজায়৷ জানা গেছে, গাজায় এ যুদ্ধে ইসরায়েল অনিয়মিত বাহিনী পাঠিয়েছে৷ সতেরো দিন ধরে চলা এই আগ্রাসনে এই প্রথম সেখানে অনিয়মিত বাহিনী পাঠালো ইসরায়েল৷
গাজায় সাংবাদিকদের প্রবেশাধিকার বন্ধ করে দেয়া হয়েছে৷ নতুন করে সাংবাদিকদের কাজের উপর করে বিধি নিষেধ আরোপ করেছে ইসরায়েল৷ এই অবস্থার মধ্যে ইসরায়েলে কাজ করছে এমন আটটি মানবাধিকার সংগঠন সংবাদমাধ্যমে দেয়া বিবৃতিতে গাজায় ইসরায়েলী কর্মকান্ডের সমালোচনা করেছে৷ সেই সঙ্গে ইসরায়েলী সংবাদমাধ্যমগুলোতে গাজার পরিস্থিতি বিষয়ে সংবাদ প্রকাশে সরকারী বিধি নিষেধেরও সমালোচনা করেছে৷
গাজা পরিস্থিতি এবং ইসরায়েলী কর্মকান্ড বিষয়ে আলোচনা করতে আগামী ১৭ই জানুয়ারী বৈঠকে বসছে আবর দেশগুলোর পররাষ্ট্র মন্ত্রীরা৷ কাতার জরুরি বৈঠক ডাকার আহ্বান জানানোর পর কুয়েত সিটিতে এটি অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে৷
গত ২৭ ডিসেম্বর বিমান হামলার মধ্য দিয়ে গাজা আগ্রাসন শুরু করে ইসরায়েল৷ যুদ্ধবিরতির আন্তর্জাতিক চাপ উপেক্ষা করে আগ্রাসন অব্যাহত রাখার প্রতিবাদে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে বিক্ষোভ চলছে৷
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী এহুদ ওলমার্ট বলেছেন, তারা গাজা অভিযানে তাদের লক্ষ্যের কাছাকাছি পৌঁছে গেছে এবং এ অভিযান চলবে৷ বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, ধারণা করা হচ্ছে হামাসের অস্ত্র সরবরাহের প্রধান রাস্তা গাজা-মিশর টানেলে জোর মাত্রায় হামলা চালাতে পারে ইসরায়েল৷ এছাড়া গাজার শহরগুলোতে হামলাও বাড়িয়ে দিতে পারে তারা৷
গণমাধ্যমের খবরে জানা গেছে, হামাস ও মিসরের মধ্যে কূটনীতিক প্রচেষ্টায় অগ্রগতি হয়েছে এবং এ বিষয়ে আলোচনা করার জন্য সোমবার মিশরের পথে যুক্তরাজ্যের সাবেক প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ার৷