1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

আর রোহিঙ্গা নেয়া সম্ভব নয়: বাংলাদেশ

১ মার্চ ২০১৯

নতুন করে আর কোনো রোহিঙ্গা শরণার্থী নেয়া সম্ভব নয় বলে জাতিসংঘকে জানিয়েছে বাংলাদেশ৷ বৃহস্পতিবার জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের অধিবেশনে পররাষ্ট্রসচিব শহীদুল হক এ কথা জানান৷

Migration - Rohingya-Flüchtlinge an der Grenze zu Myanmar
ছবি: Getty Images/AFP/Y. Aung Thu

‘‘আমি অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে এই কাউন্সিলকে জানাতে চাই যে, মিয়ানমার থেকে আসা নতুন কাউকে আর বাংলাদেশে জায়গা দেয়া সম্ভব নয়,'' বলেন তিনি৷

মিয়ানমারে নতুন করে সহিংসতা শুরু হয়েছে উল্লেখ করে পররাষ্ট্রসচিব বলেন, এ সহিংসতার জেরে আবারো রোহিঙ্গা শরণার্থীরা বাংলাদেশে আসতে শুরু করেছে৷ বর্তমানে বাংলাদেশে অবস্থানরত রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠানোর বিষয়টি নিয়ে উদ্বিগ্ন বাংলাদেশ৷ আর তাই বাংলাদেশের পক্ষে নতুন করে আর কোনো রোহিঙ্গা শরণার্থী নেয়া সম্ভব নয়, বলেন তিনি৷

বার্তা সংস্থা এপি'র এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৭ সালে রোহিঙ্গাদের উপর মিয়ানমার সেনাবাহিনীর নির্যাতনের ঘটনার সময় থেকে এ পর্যন্ত প্রায় সাত লক্ষ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে৷

ঘটনার তদন্ত শেষে, রোহিঙ্গাদের উপর মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর এ নির্যাতনকে‘জাতিগত নির্মূল অভিযান'হিসেবে চিহ্নিত করেছিল জাতিসংঘ৷

তবে জাতিসংঘের এ তদন্ত প্রত্যাখ্যান করে তাদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করেছে মিয়ানমার৷

এদিকে ঘটনার প্রায় এক বছর পর রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফেরত নেয়ার বিষয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে একটি দ্বিপাক্ষিক চুক্তি করে মিয়ানমার সরকার৷ চুক্তি অনুসারে, গত বছরের নভেম্বর মাসে রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফিরিয়ে নেয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছিল দুই দেশের সরকার৷ কিন্তু নিরাপত্তার অভাব দেখিয়ে রোহিঙ্গারা মিয়ানমারে ফিরে যেতেঅস্বীকৃতি জানানোয় প্রত্যাবসন প্রক্রিয়া আপাতত স্থগিত রয়েছে৷

বৃহস্পতিবারের অধিবেশনে পররাষ্ট্রসচিব বলেন, রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবসন বিষয়ে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে সব ধরনের চেষ্টা চালানো হয়েছে৷ কিন্তু অপর পক্ষের অসহযোগিতারকারণে কোনো চেষ্টাই সফল হয়নি বলে অভিযোগ তাঁর৷

এ সময় তিনি নিরাপত্তা পরিষদকে আবারো বাংলাদেশে এসে রোহিঙ্গাদের বর্তমান পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে তাঁদের বসবাসের জন্য মিয়ানমারে একটি ‘নিরাপদ স্থান' তৈরির আহ্বান জানান৷

অধিবেশনে জাতিসংঘে নিযুক্ত মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত হাউ ডো সুয়ান জানান, রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবসনের জন্য সব ব্যবস্থা নিচ্ছে তাঁর দেশ৷এ বিষয়ে মিয়ানমার সরকারের বেশ কিছু পরিকল্পনার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, রাখাইনের নিরাপত্তা পরিস্থিতি অনুকূলে আসার সাথে সাথেই তারা রোহিঙ্গাদের বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে৷

রাখাইনে চলমান রোহিঙ্গা সংকটের বিষয়টি অধিবেশনের একটি গুরুত্বপূর্ণ আলোচিত বিষয় ছিল৷ বিভিন্ন দেশ থেকে অধিবেশনে যোগ দেয়া প্রতিনিধিরা এ বিষয়ে তাঁদের মতামত দেন৷ মিয়ানমার সরকারের তার নাগরিকদের নিরাপত্তা প্রদানের বিষয়টি উপলদ্ধি করার সময় এসেছে মন্তব্য করে ডমিনিকান রিপাবলিকের প্রতিনিধি জোসে সিঙ্গার বলেন, নিরাপত্তা পরিষদকেও বিষয়টির সঠিক সুরাহার জন্য পদক্ষেপ নিতে হবে৷

তবে রোহিঙ্গাদের বিষয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে ধৈর্য্য ধরার আহ্বান জানান জাতিসংঘে নিযুক্ত চীনের সহকারী রাষ্ট্রদূত ও হাইটাও৷

আরআর/জেড এইচ (এপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

বাংলাদেশ