1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘পরিবর্তন দরকার’

১১ এপ্রিল ২০১৩

আলফাজ৷ বাংলাদেশের অন্যতম সেরা ফুটবলার৷ সম্প্রতি অবসর নিয়েছেন৷ যোগ দিয়েছেন একটি স্কুলে৷ সেখানে তরুণদের ফুটবল প্রশিক্ষণ দেবেন৷ স্বপ্ন কোনো ক্লাবের কোচ হওয়া৷

ছবি: picture-alliance/dpa

অর্থাৎ খেলা ছাড়ার পরও ফুটবল নিয়েই থাকতে চান তিনি৷ পাশাপাশি করছেন মাশরুম চাষ৷ সুযোগ হলে ভবিষ্যতে মাশরুমের ব্যবসা করার কথাও ভাবছেন তিনি৷

ডয়চে ভেলের সঙ্গে সাক্ষাৎকারের শুরুতেই তিনি ফিরে গেলেন শৈশবে৷ বললেন, বাবার চাকরির সূত্রে ঢাকার পলাশিতে থাকতেন৷ সে সময় সবরকমের খেলাধুলাই করতেন৷ তবে ঐ সময়টায় ফুটবল বেশি জনপ্রিয় হওয়ার কারণে ওটা খেলতেই পছন্দ করতেন আলফাজ৷ এরপর কিশোর ফুটবল লিগ, পাইওনিয়ার লিগ, দ্বিতীয় বিভাগ হয়ে ১৯৯২ সালে প্রথম বিভাগ লিগে খেলা শুরু করেন তিনি৷

খেলোয়াড়ি জীবনের বেশিরভাগ সময়টা আলফাজের কেটেছে মোহামেডান ক্লাবের হয়ে৷ বিদায় বেলায় শেষ ম্যাচটাও খেলেছেন ঐ ক্লাবের হয়েই৷ কথা প্রসঙ্গে আলফাজ জানালেন, ছোটবেলা থেকে মোহামেডানের সমর্থক তিনি৷ তাই বড় হয়ে সেই দলের হয়েই বেশি খেলেছেন৷ অবশ্য পেশাদার ফুটবলার হিসেবে দেশের অন্য বড় দলগুলোতেও খেলা হয়েছে তাঁর৷

[No title]

This browser does not support the audio element.

শেষ ম্যাচটা খেলেছেন আবাহনীর বিপক্ষে৷ যে আবাহনী আর মোহামেডানের খেলা দেখার জন্য অধীর আগ্রহে থাকতো পুরো দেশ৷ স্টেডিয়াম থাকতো কানায় কানায় পূর্ণ৷ কিন্তু সেই পরিবেশ আর নেই৷ এখন আর মোহামেডান-আবাহনী ম্যাচ উত্তেজনা ছড়ায় না৷ তাহলে কি প্রতিদ্বন্দ্বিতা কমে গেছে? কমে গেছে কি খেলার মান? আলফাজ তা মানতে চান না৷ তিনি বলেন, এই দুই দলের খেলায় এখনো প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়৷ কিন্তু সমস্যা হচ্ছে আগের মতো আর দর্শক নেই৷ তাই উত্তেজনাটাও নেই৷

একটা বিষয়ে একটু খেদ দেখা গেল আলফাজের মনে৷ তিনি বলছেন, এখন একটা দলে অনেক বেশি বিদেশি ফুটবলার খেলছে৷ তাদের কারণে স্থানীয় ফুটবলাররা সুযোগ পাচ্ছে না৷

একসময় বাংলাদেশ জাতীয় দলের সেরা স্ট্রাইকার ছিলেন তিনি৷ এক মাসের জন্য হলেও হয়েছেন এশিয়ার সেরা ফুটবলার৷ ১৯৯৬ সালের আগস্ট মাসে তিনি এএফসির ‘প্লেয়ার অফ দ্য মান্থ' হয়েছিলেন৷

জাতীয় দলের জন্য সম্প্রতি নিয়োগ দেয়া নতুন ডাচ কোচ সম্পর্কে আলফাজ বলেন, তাঁদের টেকনিক বা চিন্তাধারা ভাল৷ এখন ফেডারেশন থেকে যদি তাদের পূর্ণ সহযোগিতা দেয়া হয়, তাহলে ভাল হবে৷ ‘‘আমাদের দেশে একটা প্রচলন আছে যে, জাতীয় দলের কোচ দীর্ঘমেয়াদে থাকতে পারেনা৷ তো এই ডাচ কোচ যদি দীর্ঘ সময় থাকতে পারে তাহলে ফুটবলের জন্য সেটা ভাল হবে৷''

ইতিমধ্যে একটি স্কুলের ক্রীড়া অ্যাকাডেমিতে যোগ দিয়েছেন আলফাজ৷ ইচ্ছা আছে নিজেকে কোচ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার৷

ফুটবলার আলফাজের আরেকটি পরিচয় মাশরুমচাষী হিসেবে৷ মিরপুরে নিজের বাড়ির পাশে মাশরুম চাষ করছেন তিনি৷ ‘‘এটাকে এখনো ব্যবসা হিসেবে নেই নাই৷ মানুষের উপকারের জন্য করা হচ্ছে বলতে পারেন৷ মাশরুম একটা ভাল ওষুধ৷ ভবিষ্যতে এর প্রতি মানুষের আগ্রহ বাড়লে ব্যবসা শুরু করবো৷''

আলফাজ বলেন বাংলাদেশের তরুণদের মধ্যে প্রতিভা রয়েছে৷ স্কুল পর্যায়ে ফুটবলের মান বাড়াতে তিনি স্কুল খোলা রাখার সময়সূচিতে পরিবর্তন আনত সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন৷ ‘‘বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত স্কুলে থাকার পর বাড়ি ফিরে আর খেলার সময় পায় না শিক্ষার্থীরা৷ তাই তিন'টার সময় যদি স্কুল বন্ধ করা যায় তাহলে ভবিষ্যতে হয়ত ভাল খেলোয়াড় পাওয়া যেতে পারে৷''

সাক্ষাৎকার: জাহিদুল হক
সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ