1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সিরিয়া

২৮ জুলাই ২০১২

সিরিয়ার আলেপ্পোতে বিদ্রোহীদের ওপর সাঁড়াশি হামলা চালিয়েছে আসাদ বাহিনী৷ পাল্টা জবাব দিয়ে যাচ্ছে হাল্কা অস্ত্রে সজ্জিত বিদ্রোহীরা৷ এদিকে আসাদ প্রশাসনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক মহলের যৌথ উদ্যোগের প্রয়োজনীয়তা ব্যক্ত করলো তুরস্ক৷

epa03318493 A Syrian rebel patrols after fighters occupied a military base near Aleppo, Syria, 26 July 2012. According to media reports, Syrian rebels and government forces on 26 July 2012 fought fierce battles for control of Syria's two largest cities of Damascus and Aleppo, opposition activists said. EPA/SINAN GUL/ANADOLU AGENCY TURKEY OUT HANDOUT EDITORIAL USE ONLY/NO SALES/NO ARCHIVES
Syrien Rebellen Aleppoছবি: picture-alliance/dpa

সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কের পরই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এলাকা আলেপ্পো৷ এই শহরকে বিদ্রোহীমুক্ত করতে সর্বাত্মক আক্রমণ শুরু করেছে আসাদ সমর্থিত সেনাবাহিনী৷ বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, শনিবার সকাল আটটা থেকে আলেপ্পোর সালাহেদ্দিন জেলাতে হামলা শুরু করে আসাদ বাহিনী৷ সারি সারি ট্যাংক নিয়ে সেনাবাহিনী ঢুকে পড়েছে আলেপ্পোতে৷ আকাশে টহল দিচ্ছে প্রচুর হেলিকপ্টার গানশিপ৷ বিদ্রোহীদের অবস্থান লক্ষ্য করে একের পর এক রকেট ছুঁড়ছে তারা৷ এদিকে ফ্রি সিরিয়ান আর্মিও এই হামলার জবাব দিয়ে যাচ্ছে, তবে তাদের হাতে রয়েছে বড়জোর মেশিনগান আর গ্রেনেড চালিত রকেট লাঞ্চার৷ ফ্রি সিরিয়ান আর্মির কর্নেল আবদেল জাব্বার আল ওকাইদি দাবি করেছেন, তারা এখন পর্যন্ত আটটি সেনা যান ধ্বংস করেছে৷ এদিকে বিদ্রোহী সমর্থক সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস জানিয়েছে সংঘর্ষে ১০ সেনা ও ছয় বিদ্রোহী নিহত হয়েছে৷

সরকার সমর্থক সংবাদ মাধ্যম আলেপ্পোর যুদ্ধকে ‘মাদার অব অল ব্যাটল' বলে আখ্যা দিয়েছে৷ সামরিক বিশেষজ্ঞদের মতে, এই যুদ্ধে জিতে নিজেদের সামরিক সামর্থ্যের পরিচয় দিতে বদ্ধপরিকর আসাদ প্রশাসন৷ তা সত্ত্বেও দেশের অন্যান্য জায়গায় তাদের দখল হাতছাড়া হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে৷ গত প্রায় দেড় বছরের আসাদ বিরোধী আন্দোলনে একটি সন্ধিক্ষণে পরিণত হয়েছে আলেপ্পোর যুদ্ধ৷

এক বিদ্রোহী সেনাছবি: picture-alliance/dpa

এদিকে কেবল আলেপ্পো নয়, আরও অনেক জায়গাতেও সেনাদের অভিযান চলছে৷ বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায় আলেপ্পোর বাইরে দেরা, হোম্স এবং হামাতেও বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে অভিযান চালাচ্ছে সেনাবাহিনী৷

এদিকে আসাদ প্রশাসন বহির্শত্রুর বিরুদ্ধে রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহারের যে হুমকি দিয়েছে তার পর থেকেই নড়েচড়ে বসেছে তুরস্কের সরকার৷ তুর্কি প্রধানমন্ত্রী রেচেপ তায়েপ এরদোয়ান শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, ‘‘সম্প্রতি ব্যাপক বিধ্বংসী অস্ত্রের ব্যবহার নিয়ে যে কথা বলা হয়েছে তারপর আমরা কেবল দর্শক হয়ে বসে থাকতে পারি না৷ এখন জাতিসংঘ, ওআইসি এবং আরব লিগের যৌথ উদ্যোগ নেওয়া প্রয়োজন৷'' অন্যদিকে জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি মুনও সিরিয়ার রাসায়নিক অস্ত্র নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন৷ উল্লেখ্য, প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের একসময়ের মিত্র তুরস্ক এখন পুরোপুরি আসাদ প্রশাসনের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে৷

আরআই / এএইচ (রয়টার্স, এএফপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ