এর মধ্যে প্রায় ৯০ শতাংশের চিকিৎসা সহায়তা প্রয়োজন৷ দেশটির দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ শহর আলেপ্পোর পূর্বাংশের নিয়ন্ত্রণ এখন সরকারের হাতে৷ কয়েকবছর সেটি বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রণে ছিল৷ সম্প্রতি রাশিয়ার সহায়তায় সরকারি বাহিনী অভিযান চালিয়ে অঞ্চলটির নিয়ন্ত্রণ নেয়৷ এই অভিযান ছাড়াও গত কয়েক বছরের যুদ্ধে আলেপ্পোর হাসপাতাল ও ক্লিনিকগুলোর অবস্থা বেশ সঙ্গিন৷ সেখানে চিকিৎসা সেবা দেয়ার মতো পর্যাপ্ত অবকাঠামো এখন আর নেই৷ তাছাড়া যুদ্ধের ট্রমা কাটাতে আলেপ্পোর অধিবাসীদের এখন বিশেষজ্ঞ পরামর্শ প্রয়োজন৷
এই অবস্থার উন্নতি করতে জার্মানি ১৫ মিলিয়ন ইউরো দেবে বলে ঘোষণা দিয়েছে৷ উন্নয়নমন্ত্রী গ্যার্ড ম্যুলার বলেছেন, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় কয়েক দিন আগে অসহায়ভাবে আলেপ্পোতে বোমা বর্ষণ ও মানুষ হত্যা দেখেছে৷ এখন সেখানে জরুরি ভিত্তিতে মানবিক সহায়তা প্রয়োজন৷ ‘‘আমরা যদি এখনই এগিয়ে না যাই তাহলে সিরিয়ায় আরও একটি মানবিক দুর্যোগ দেখা দেবে'', বলে মন্তব্য করেন ম্যুলার৷
জার্মানির দেয়া অর্থ দিয়ে প্রায় এক হাজার ডাক্তার, নার্স আর ট্রমা বিশেষজ্ঞ আড়াই বছর তাঁদের কাজ চালিয়ে যেতে পারবেন৷
জার্মানির ১৫ মিলিয়ন ইউরো আসবে ‘ক্যাশ ফর ওয়ার্ক' প্রকল্প থেকে৷ সিরিয়া ও তার আশেপাশের দেশগুলোতে বসবাসরত প্রায় ৪৮ লক্ষ শরণার্থীর সহায়তায় এই প্রকল্প শুরু করে জার্মানি৷
২০১২ সালে সিরিয়ায় যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে জার্মানি এখন পর্যন্ত বিভিন্নভাবে প্রায় দেড় বিলিয়ন ইউরো অর্থ সহায়তা দিয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির উন্নয়ন সহায়তা বিষয়ক মন্ত্রণালয়৷ ২০১৮ সালে এই সংখ্যা ২ দশমিক ৩ বিলিয়ন ইউরোতে দাঁড়াবে৷ ফলে জার্মানি হবে সবচেয়ে বেশি অর্থ সহায়তা দেয়া তৃতীয় দেশ৷
চেজ ভিন্টার/জেডএইচ
আলেপ্পো-ঝলমলে প্রাণ প্রাচুর্যে ভরপুর সিরিয়ার একটা শহর৷ সবসময় যেখানকার বাজার থাকতো সরগরম৷ আর এখন আলেপ্পো যেন এক ভুতূরে শহর৷ আলেপ্পোতে গৃহযুদ্ধের আগের ও পরের কিছু ছবি থাকছে ছবিঘরে৷
৭১৫ সালে নির্মিত উমায়াদ মসজিদকে সিরিয়ার ‘মর্যাদাপূর্ণ স্থাপনা’ বলা হতো৷ এমনকি জাতিসংঘের বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকাতেও এর নাম রয়েছে৷
ছবি: Reuters/K. Ashawiসিরিয়ায় গৃহযুদ্ধ শুরুর পর ২০১৩ সালে হামলায় এই মসজিদও রেহাই পায়নি৷ প্রার্থনায় জায়গায়ও গোলাগুলি হয়৷ ২০১৬ সালের মার্চে একটি মিনার ধসে পড়ে৷ এখন জায়গাটি দেখলে একটা ধ্বংসস্তূপ মনে হয়৷
ছবি: Reuters/O. Sanadikiপুরানো আলেপ্পোর এই হাম্মাম পর্যটকদের কাছে ভীষণ জনপ্রিয় স্থান বলে পরিচিত ছিল৷
ছবি: Reuters/K. Ashawiগৃহযুদ্ধ শুরুর পর এই জায়গাটির চেহারা দেখে বোঝাই যায় না কতটা আরামের জায়গা ছিল এটি৷ এখানে এখন পানি আর গোসল করার জিনিসের বদলে যুদ্ধের ভয়ংকর ক্ষত চিহ্ন দেখতে পাওয়া যায়৷
ছবি: Reuters/O. Sanadikiআলেপ্পোর কেল্লা বিশ্বের অন্যতম বড় ও পুরানো কেল্লার তালিকায় স্থান পেয়েছে৷ ১২শ’ শতাব্দীতে দুর্গটির নির্মাণ কাজ শেষ হয়৷
ছবি: Reuters/S. Augerসময়ের সাথে লড়াই করে দীর্ঘ সময় ধরে টিকে থাকা দুর্গটি নিজের অধিবাসীদের ঝগড়া-বিবাদ সহ্য করতে পারেনি৷ যুদ্ধের প্রভাবে দুর্গটি তার পুরোনো জৌলুস হারিয়েছে৷
ছবি: Reuters/O. Sanadiki২০০৮ সালের নভেম্বর মাসে তোলা এই ছবিটি৷ পুরানো শহর তার চাকচিক্যে ঐতিহ্যে ঝলমল করছে৷
ছবি: Reuters/O. Sanadikiএই ছবিটি ২০১৬ সালের ১৩ ডিসেম্বরের৷ পুরানো শহরের চাকচিক্যের ছিটেফোটাও এখন আর নেই৷ যেন এক ভুতূরে নগরী৷
ছবি: Reuters/O. Sanadiki২০০৯ সালের ডিসেম্বর, এই মল ক্রিসমাসের জন্য সাজানো হয়েছিল৷ ২০০৮ সালে নির্মিত এই শপিং মলের সাজ সজ্জা দেখতেই অনেক লোক এখানে যেতো৷
ছবি: Reuters/K. Ashawiগুগলে যদি এখন এই নামটি সার্চ করেন, তবে লেখা দেখবেন ‘চিরকালের জন্য বন্ধ’ ৷ ২০১৪ সালে হামলায় ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয় মলটি৷
ছবি: Reuters/A. Ismailআল-জারাব বাজার এর প্রধান দরজা৷ পুরোনো আমলের এই বাজারে ছবিটি ২০০৮ সালে তোলা৷
ছবি: Reuters/O. Sanadiki২০১৬ সালের ডিসেম্বর মাসে বাজারের এই ছবিটি তোলা হয়েছে৷ বাজারের বেশিরভাগ অংশই বিধ্বস্ত হয়েছে হামলায়৷
ছবি: Reuters/O. Sanadiki