1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সিরিয়ায় বিক্ষোভ

১০ ফেব্রুয়ারি ২০১২

সিরিয়ায় হিংসালীলা থামার কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না৷ শুক্রবার উত্তরের আলেপ্পো শহরে জোড়া বিস্ফোরণে হতাহতের সংখ্যা বাড়ছে৷ বাড়ছে সিরিয়ার ঘনিষ্ঠ মদতদাতা রাশিয়ার উপর চাপ৷

ছবি: AP

আলেপ্পোর হামলা

হোমস, দারা সহ সিরিয়ার অনেক শহরে সরকার বিরোধী বিক্ষোভ চরম পর্যায়ে পৌঁছলেও উত্তরের আলেপ্পো শহর ছিল অপেক্ষাকৃত শান্ত৷ সেখানে প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের বিরুদ্ধে আন্দোলন তেমন দানা বাঁধে নি৷ শুক্রবার শহরে জোড়া বিস্ফোরণের লক্ষ্য ছিল সেনাবাহিনী ও নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠানগুলি৷ এই গাড়ি বোমা হামলায় কমপক্ষে ২৫ জন নিহত হয়েছে, আহতের সংখ্যা প্রায় ১৭৫৷ তাদের মধ্যে বেশ কয়েকজন নিরীহ মানুষও রয়েছে বলে জানানো হয়েছে৷ সিরিয়ার সরকারি টেলিভিশন এই হামলাকে বিদেশি মদতপুষ্ট সন্ত্রাসবাদীদের কাজ হিসেবে তুলে ধরছে৷ ঘটনাস্থলের ভয়াবহ দৃশ্য তুলে ধরা হয়েছে টেলিভিশনের পর্দায়৷ পথে ছড়িয়ে থাকা মৃতদেহ ও দেহের অংশবিশেষও দেখানো হয়েছে৷ এক পথচারী সরাসরি কাতার ও তুরস্কের নেতাদের এই অবস্থার জন্য দায়ী করেন, যারা আসাদের বিরুদ্ধে জোরালো অবস্থান নিয়েছেন৷

অভিযোগ – পাল্টা অভিযোগ

ছবি: Reuters

এখনো পর্যন্ত কোনো গোষ্ঠী এই হামলার দায় স্বীকার করে নি৷ তবে গত কয়েক দিনে প্রেসিডেন্ট আসাদের বাহিনী যেভাবে আরও কড়া হাতে বিরোধীদের দমন করে চলেছে, তার ফলে এই হামলায় বিদ্রোহীদের হাত থাকতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে৷ তবে বিদ্রোহী ‘ফ্রি সিরিয়ান আর্মি'র এক প্রতিনিধি এই অভিযোগ পুরোপুরি উড়িয়ে দিয়ে বলেছেন, বিরোধী পক্ষ ও তার বাহিনী কোনো অবস্থায় নিরীহ নাগরিকদের হত্যা করে না৷ বিদ্রোহী বাহিনী উল্টে আসাদ প্রশাসনকেই এই হামলার জন্য দায়ী করেছেন৷

আসাদ-বিরোধীদের বিক্ষোভ

হোমস শহরে বিরোধীদের প্রধান ঘাঁটি হোমস শহরে শুক্রবার পরিস্থিতি থমথমে৷ শহরের বিভিন্ন এলাকার বাইরে সেনাবাহিনীর বিশাল সংখ্যক ট্যাংক মোতায়েন করা হয়েছে৷ সকাল থেকেই গোলাগুলি শুরু হয়ে গেছে বলে বিরোধীরা জানাচ্ছে৷

আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক তৎপরতা

সিরিয়ার আসাদ সরকারের প্রতি মনোভাব বদলাতে রাশিয়ার উপর চাপ আরও বাড়ছে৷ সৌদি আরবের বাদশাহ আব্দুল্লাহ সিরিয়ার বিরুদ্ধে প্রস্তাব আনতে ব্যর্থ হওয়ায় সরাসরি জাতিসংঘের সমালোচনা করেন, যদিও তাঁর মন্তব্যের লক্ষ্য ছিল রাশিয়া ও চীন৷ সিরিয়ার বিরুদ্ধে আরও পদক্ষেপ নেওয়ার বিষয়ে সৌদি আরব সক্রিয় ভূমিকা পালন করছে৷ এদিকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্র বিষয়ক কর্মকর্তা ক্যাথরিন অ্যাশটন রাশিয়ার উদ্দেশ্যে বাস্তব পরিস্থিতি খতিয়ে দেখার ডাক দিয়েছেন৷ সিরিয়ায় এমন হিংসালীলা আর চলতে দেওয়া যায় না, বলেন তিনি৷ ইউরোপীয় ইউনিয়ন পরিষদের প্রেসিডেন্ট হ্যারমান ফান রাম্পয় কড়া ভাষায় সিরিয়ার সরকারি বাহিনীর কুকর্মের নিন্দা করেন৷ তিনিও রাশিয়া ও চীনের ভূমিকার সমালোচনা করেন৷

প্রতিবেদন: সঞ্জীব বর্মন

সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ