1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সিরিয়া পরিস্থিতি

৩০ জুলাই ২০১২

সিরিয়ার আলেপ্পো শহরে সোমবার ভোরেও সরকারি বাহিনী ও বিদ্রোহীদের মধ্যে বিশাল সংঘর্ষের খবর পাওয়া গেছে৷ অচলাবস্থা কাটাতে নতুন করে কূটনৈতিক উদ্যোগ চলছে৷

A Free Syrian Army member aims his weapon after hearing shelling at Aleppo's district of al Sukkari July 29, 2012. REUTERS/Zohra Bensemra (SYRIA - Tags: POLITICS CONFLICT CIVIL UNREST MILITARY)
ছবি: Reuters

টানা তিন দিন ধরে আলেপ্পো শহরের নিয়ন্ত্রণের জন্য সংঘর্ষ চলছে৷ প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ'এর বাহিনী রাতে বিদ্রোহীদের হাত থেকে সালাহেদিন এলাকার উপর নিয়ন্ত্রণ ছিনিয়ে নিয়েছে বলে দাবি করছে৷ বিদ্রোহী ফ্রি সিরিয়ান আর্মি অবশ্য এই দাবি উড়িয়ে দিয়েছে৷ দুই পক্ষের মধ্যেই গোলাগুলির খবর পাওয়া যাচ্ছে৷

এএফপি'র সূত্র অনুযায়ী বিদ্রোহীরা আলেপ্পো'র উত্তর পশ্চিমে তুরস্ক সীমান্তে আনাদান'এর গুরুত্বপূর্ণ চেকপয়েন্ট'এর উপর কব্জা করে ফেলেছে৷ প্রায় ১০ ঘণ্টা ধরে সংঘর্ষের পর তারা এই সাফল্যের দাবি করছে৷ এএফপি'র এক সাংবাদিক ঘটনাস্থল থেকে জানিয়েছেন, যে ফ্রি সিরিয়ান আর্মি ৭টি সাঁজোয়া গাড়ি দখল করেছে৷ সীমান্তে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে তুরস্কের সেনাবাহিনীও তৎপরতা বাড়াচ্ছে৷

রাশিয়া ও চীনের আপত্তির কারণে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে সিরিয়ার সরকারের বিরুদ্ধে এখনো পর্যন্ত কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নিতে পারে নি৷ তা সত্ত্বেও হাল ছাড়তে রাজি নয় পশ্চিমা জগত৷ আলেপ্পো শহরের পরিস্থিতির আলোকে ফ্রান্স নিরাপত্তা পরিষদে মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকের ডাক দিয়েছে৷ ফ্রান্সের পররাষ্ট্রমন্ত্রী লোরঁ ফাবিউস বলেছেন, কূটনৈতিক অচলাবস্থা কাটাতে ও আরও প্রাণহানি বন্ধ করতেই এই উদ্যোগ৷ তিনি প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ'কে ‘জল্লাদ' আখ্যা দিয়ে বলেন, সিরিয়ায় গণহত্যা আটকাতে জাতিসংঘের সর্বশক্তি প্রয়োগ করতে হবে৷

রাশিয়ার প্রধানমন্ত্রী দিমিত্রি মেদভেদেভ অবশ্য দাবি করেছেন, যে সিরিয়ার পরিস্থিতিকে কেন্দ্র করে পশ্চিমা জগতের সঙ্গে তাঁর দেশের মতপার্থক্য আসলে সীমিত৷ তাঁর মতে, কেউই সিরিয়ায় পুরোপুরি গৃহযুদ্ধ চায় না৷ তবে সিরিয়ার মানুষকেই নিজেদের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করতে হবে৷ রাশিয়া বাইরে থেকে হস্তক্ষেপ মেনে নেবে না৷

জাতিসংঘের সূত্র অনুযায়ী ২০ লক্ষ জনসংখ্যার শহর আলেপ্পো ছেড়ে প্রায় দুই লক্ষ মানুষ পালিয়ে গেছে৷ রেড ক্রস ও রেড ক্রেসেন্ট'এর হিসাবের ভিত্তিতে এই তথ্য দিয়েছেন জাতিসংঘের জরুরি সাহায্য সমন্বয়ক ভ্যালেরি আমোস৷ প্রতিবেশী দেশ জর্ডন সিরিয়ার শরণার্থীদের আশ্রয় দিতে রবিবারই প্রায় ২,০০০ তাঁবুর ব্যবস্থা করেছে৷ প্রায় ১৩০,০০০ শরণার্থী সেদেশে আশ্রয় নিয়েছে৷ অনেক শরণার্থী লেবানন ও তুরস্কেও আশ্রয় নিয়েছে৷

এসবি / ডিজি (রয়টার্স, এএফপি, ডিপিএ)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ