1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

এখনও সংকটে ইউক্রেন

১৬ মে ২০১৪

ইউক্রেনের সংকট এখনও কাটছে না৷ তাই ২৫শে মে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে আলোচনার মাধ্যমে আপোশ মীমাংসার চেষ্টা চলছে দেশটিতে৷ এদিকে রাশিয়ার উপর চাপ বাড়াতে আরও নিষেধাজ্ঞার হুমকি দিচ্ছে পশ্চিমা বিশ্ব৷

ছবি: Vasily Maximov/AFP/Getty Images

ইউক্রেনে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আর ১০ দিনও বাকি নেই৷ অথচ দেশ ঐক্যবদ্ধ নয়৷ পূবের অনেক এলাকায় নির্বাচনের আয়োজন করাই কার্যত অসম্ভব হয়ে উঠেছে৷ সেক্ষেত্রে নির্বাচনের ফলাফল গ্রহণযোগ্য হবে কিনা, সেটাও একটা বড় প্রশ্ন৷ তবে শেষরক্ষার চেষ্টাও চলছে৷ রাশিয়ার সঙ্গে উত্তেজনা সত্ত্বেও ইউরোপ শান্তির প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে৷ নিরাপত্তা ও সহযোগিতা সংগঠন ওএসসিই-র উদ্যোগে বুধবারই কিয়েভে জাতীয় ঐক্য আলোচনা শুরু হয়েছে৷ কিন্তু তাতে রুশপন্থি বিদ্রোহীদের আমন্ত্রণ জানানো হয়নি৷ আগামী শনিবার দ্বিতীয় দফার আলোচনা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা৷ ইউক্রেনের অন্তর্বর্তীকালীন প্রশাসন বলছে, বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সঙ্গে আলোচনায় কোনো আপত্তি নেই৷ তবে প্রথমে তাদের অস্ত্র ত্যাগ করতে হবে৷ বিদ্রোহীদের পালটা দাবি, তাদের এলাকায় বৈঠক আয়োজন করতে হবে৷

প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সাফল্য নিশ্চিত করতে পশ্চিমা বিশ্ব রাশিয়ার উপর চাপ আরও বাড়াচ্ছে৷ মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি লন্ডনে বলেন, মস্কো যদি ইউক্রেনের নির্বাচন বানচাল করার চেষ্টা করে, তাহলে রাশিয়ার কয়েকটি শিল্পক্ষেত্রের উপর নিষেধাজ্ঞা চাপানো হবে৷ রাশিয়াও ইউক্রেনের উপর পালটা চাপ দিতে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি দিয়েছে৷ আগামী মাস থেকে আগাম মাশুল দিলে তবেই ইউক্রেনকে গ্যাস সরবরাহ করবে রাশিয়ার গাসপ্রম কোম্পানি৷ এই মুহূর্তে ইউক্রেনের বকেয়া মাশুলের মাত্রা প্রায় সাড়ে তিনশো কোটি ডলার৷ উল্লেখ্য, ইউক্রেনের মধ্য দিয়েই পশ্চিম ইউরোপে গ্যাস সরবরাহ করা হয়৷ ফলে বর্তমান সংকটের জের ধরে সেই পথও সাময়িকভাবে বন্ধ হয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে৷

রাশিয়ার সঙ্গে উত্তেজনা সত্ত্বেও ইউরোপ শান্তির প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেছবি: Yuriy Lashov/AFP/Getty Images

অন্যদিকে রাশিয়া এখনো ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চল থেকে সেনা প্রত্যাহারের ডাক দিয়ে চলেছে৷ এর জবাবে জেনিভায় জাতিসংঘে ইউক্রেনের রাষ্ট্রদূত রাশিয়ার উদ্দেশ্যেও সীমান্ত থেকে সেনা প্রত্যাহারের ডাক দিয়েছেন৷ সে ক্ষেত্রে কিয়েভ উত্তেজনা কমাতে ওএসসিই-র প্রস্তাবিত রোডম্যাপ-এর খসড়ায় স্বাক্ষর করতে প্রস্তুত৷ তবে বিষয়টি নিয়ে রাশিয়ার দূতের সঙ্গে কোনো ঐকমত্য সম্ভব হয়নি৷ উল্লেখ্য, রাশিয়া ইউক্রেনের বর্তমান সরকারের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে আসছে৷ তাদের একগুঁয়ে মনোভাবের কারণে ইউক্রেনে শান্তি বিঘ্নিত হচ্ছে বলে মস্কো দাবি করে চলেছে৷ এই অবস্থায় ইউক্রেনে গৃহযুদ্ধের আশঙ্কাও প্রকাশ করছে মস্কো৷

আলোচনার পথ খোলা রাখলেও ইউক্রেনের সরকার বিচ্ছিন্নতাবাদীদের বিরুদ্ধে দমন অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে৷ সরকারি বাহিনী রুশপন্থি বিদ্রোহীদের দুটি সামরিক ঘাঁটি ধ্বংস করেছে৷

এসবি/ডিজি (এএফপি, রয়টার্স, এপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ