1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

আলো-ছায়ার শিল্পকর্ম

ইয়ানা ওরটেল/এসবি৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

এমন শিল্পীও আছেন, যিনি নতুন করে কিছু সৃষ্টি না করে অন্যের সৃষ্টিকে মায়াজালে ঘিরে ফেলতে পারেন৷ ডেনমার্কের এক শিল্পী অস্ট্রিয়ায় সে রকমই এক অভিনব প্রদর্শনীর আয়োজন করেছেন৷

Wien Olafur Eliasson-Ausstellung Baroque Baroque
ভিয়েনায় ‘বারোক বারোক' প্রদর্শনীছবি: picture-alliance/dpa/R. Jaeger

শিল্পকর্মকে মায়াজালের মোড়ক দেন ডেনমার্কের শিল্পী

04:19

This browser does not support the video element.

ভিয়েনার শীতকালীন প্রাসাদের সিঁড়িতে হলুদ ও কমলা রঙের ছোঁয়া৷ শিল্পী ঔলাভুয়র এলিয়াসসন তাঁর ইনস্টলেশন-এর মাধ্যমে বারোক যুগের এই প্রাসাদকে সমসাময়িক সাজে সাজিয়ে তুলেছেন৷ ঔলাভুয়র এলিয়াসসন শুধু নিজস্ব উপলব্ধি নিয়ে খেলেন না, বারোক যুগের শিল্পীদের সম্পর্কে তাঁর বিশেষ আগ্রহও রয়েছে৷ ঔলাভুয়র বলেন, ‘‘এতে বোঝা যাচ্ছে, যে আমাদের নিজস্ব কল্পনাশক্তি কাজে লাগানো উচিত৷ কল্পনা, সৃজনশীলতা, স্বপ্নের জগতের প্রতি আস্থা রাখতে হবে৷ কিন্তু অলীক, অবাস্তবকে আঁকড়ে ধরলে চলবে না৷ কোনো কিছু যে একই সঙ্গে কল্পনা ও বাস্তবের মেলবন্ধন হতে পারে, সেটা বিশ্বাস করতে হবে৷''

ছবি: www.frankvinken.com

আলো-ছায়ার খেলার মতো সৃষ্টি দিয়ে ডেনমার্কের এই শিল্পী দর্শকদেরও শিল্পকর্মের সঙ্গে সম্পৃক্ত করেন৷ নিজেদের ইন্দ্রিয়গুলিকে আরও সজাগ করা বা সেগুলির বোধশক্তি সম্পর্কে প্রশ্ন তোলাই এর উদ্দেশ্য৷ তাঁর শিল্পসৃষ্টি বারোক যুগের পরিবেশে যে আবহ সৃষ্টি করেছে, তা দেখে তিনি নিজেই বিস্মিত৷ যেমন গ্রহের কক্ষপথের নকল করে তৈরি এক ঝুলন্ত আলো-পাখার খেলা৷ ঔলাভুয়র এলিয়াসসন বলেন, ‘‘এই ঘরটি সত্যি খুব সুন্দর৷ এর আগে আমার এই সৃষ্টি মোটেই এত সুন্দর দেখতে ছিল না৷ কারণ দেওয়ালে অনেক কিছু দর্শনীয় বস্তু রয়েছে৷ কখনো সবকিছু পুরোপুরি শান্ত থাকে, কখনো দ্রুত গতি দেখা যায়৷ আমার মনে হয়, অত্যন্ত সুন্দর ও শান্ত এক পরিবেশ সৃষ্টি হয়৷''

ছবি: Imago/Westend61

এই প্রদর্শনী উপলক্ষ্যে ফ্রানচেস্কা ফন হাব্সবুয়র্গ ও পাট্রিসিয়া ভ্যারগেস তাঁদের শিল্পসংগ্রহের একটা বড় অংশ ভিয়েনায় নিয়ে এসেছেন৷ অর্থাৎ প্রদর্শনীর অনেক বস্তুই পুরোপুরি নতুন নয়৷ যেমন ২০০১ সালের একটি ক্যালেইডোস্কোপ সাধারণত বুয়েনস আইরেস-এ হুয়ান ও পাট্রিসিয়া ভ্যারগেস-এর সংগ্রহে থাকে৷ পাট্রিসিয়া ভ্যারগেস বলেন, ‘‘আমার সংগ্রহে ব্যাকলাইট হিসেবে হলুদ রং থাকে৷ এখানে সেটা লাল৷ সম্পূর্ণ আলাদা৷ সত্যি বড় সুন্দর, কারণ প্রাসাদের দেওয়ালের সঙ্গে যেন এক সংলাপ চলছে৷ আমি এক রূপান্তর দেখতে পাচ্ছি৷ মনে হচ্ছে এটা যেন নতুন এক শিল্পকর্ম৷''

ছবি: Getty Images/Afp/Patrick Kovarik

২০০৩ সালে ঔলাভুয়র এলিয়াসসন লন্ডনে টেট মডার্ন মিউজিয়ামে এক ‘স্থায়ী সূর্যাস্ত' সৃষ্টি করেছিলেন৷ ২০ লক্ষেরও বেশি দর্শক সেই শিল্পকর্ম দেখে মুগ্ধ হয়েছিলেন৷ পানির গ্লাসে ঘূর্ণি – প্রকৃতি ও প্রকৃতির নিয়মের উপর ভিত্তি করে সৃষ্ট এক শিল্প প্রকল্প৷ ২০১১ সালে তিনি ডেনমার্কের অরহুস শহরের শিল্প মিউজিয়ামে এমন এক রামধনু সৃষ্টি করেন, যার উপর পায়ে হাঁটা যায়৷ ২০১৪ সালে তিনি কোপেনহেগেন শহরের কাছে লুইসিয়ানা শিল্প মিউজিয়ামের কয়েকটি ঘরকে নদীর অববাহিকায় রূপান্তরিত করেছিলেন৷ ঔলাভুয়র এলিয়াসসন বলেন, ‘‘আমার কোনো নির্দিষ্ট প্রধান বিষয় নেই বলে আমি বিশ্বাস করি৷ আমি নানা ধরনের মিডিয়াম নিয়ে কাজ করি৷ ভাস্কর্য, তৈলচিত্র, চলচ্চিত্র ও ছবি এবং ইনস্টলেশন ইত্যাদি৷ আমি মানুষ এবং মানুষের পরিবেশ সম্পর্কে আগ্রহী৷''

শিল্পী ঔলাভুয়র এলিয়াসসনছবি: DW/T.Walker

ভিয়েনায় ‘বারোক বারোক' নামের প্রদর্শনীতে এই শিল্পী জানালার সামনে এক বিশাল আয়না বসিয়েছিলেন৷ বাস্তবে তিনি আসলে অর্ধেক রিং তৈরি করে এক নিখুঁত ভ্রম সৃষ্টি করেছেন৷ ঔলাভুয়র বলেন, ‘‘এই সব ছবি একেবারে মিলিটারি পর্যায়ের, অত্যন্ত বিশাল আকারের৷ স্বাভাবিক পরিবেশে পিছিয়ে গিয়ে সেগুলি ভালো করে দেখা সম্ভব নয়৷ অথচ আয়নার প্রতিফলনে সেগুলির গভীরতা ও কম্পোজিশন স্পষ্ট হয়ে ওঠে৷''

প্রদর্শনী দেখে দর্শকদের মনে হতে পারে, যে বাস্তব আসলে উপলব্ধির প্রশ্ন৷

বন্ধু, শিল্পী ঔলাভুয়র এলিয়াসসনের শিল্পকর্ম কি আপনাকে অভিভূত করেছে? জানান আমাদের৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ