1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

পঞ্চাশের কম বয়সে আল-আকসায় প্রবেশ নিষেধ

২৮ জুলাই ২০১৭

ইসরায়েল আবার ৫০-এর কম বয়সের পুরুষদের জুম্মাবারের নামাজ পড়ার জন্য জেরুসালেমের পবিত্র আল-আকসা মসজিদে প্রবেশ নিষিদ্ধ করেছে৷ ইতিপূর্বে বিভিন্ন সংঘর্ষে শতাধিক মানুষ আহত হন৷

Israel Jerusalem Palästinenser dürfen wieder zur al-Aqsa-Moschee
ছবি: picture-alliance/abaca/M. Alkharouf

ইসরায়েল শুক্রবার সম্ভাব্য ‘‘গোলযোগ ও বিক্ষোভ প্রদর্শন'' সম্পর্কে সাবধান করে দেয় ও ঘোষণা করে যে, টেম্পল মাউন্টে যাওয়ার সুযোগ সীমিত করা হবে৷ স্থানটি ফিলিস্তিনিদের কাছে হারাম আল-শরিফ বা পবিত্র স্থান বলে পরিচিত, আল-আকসা মসজিদ যার অংশ৷

‘‘শুধু ৫০-এর বেশি বয়সি পুরুষদের ও সব বয়সের মহিলাদের প্রবেশ করতে দেওয়া হবে'', বলে পুলিশ একটি বিবৃতিতে ঘোষণা করে৷ ‘‘শহরের প্রাচীন অংশের কয়েকটি রাস্তায় প্রবেশাধিকার সীমিত থাকবে ও যে কোনো ধরনের সহিংসতা রোখা ও তার মোকাবিলা করার জন্য যাবতীয় প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে,'' জানায় পুলিশ৷

আল-আকসা মসজিদের লায়ন গেটে নামাজের পর ইসরায়েলের নিরাপত্তা বাহনী প্লাস্টিক বুলেট, স্টান গ্রেনেড ও টিয়ার গ্যাস ছুঁড়ে ছত্রভঙ্গ করে ফিলিস্তিনিদের (ছবি: ২৫ জুলাই, ২০১৭)ছবি: picture alliance/dpa/AA/M. Alkharouf

গত কয়েক সপ্তাহ ধরে পবিত্র স্থানটিকে ঘিরে সংঘাত দানা বাঁধছে৷ বৃহস্পতিবার শতাধিক ফিলিস্তিনি পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে আহত হয়৷ ফিলিস্তিনিরা পাথর ও বোতল ইত্যাদি ছুঁড়লে পর পুলিশ স্টান গ্রেনেড ব্যবহার করে৷

‘‘আমরা আল-আকসার জন্য মরতে রাজি!'' জনতা ধ্বনি দেয়৷ পুলিশ জনতাকে নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করে৷

‘‘আমরা শুধু শান্তিতে নামাজ পড়তে চাই'', জেরুসালেমে এক ফিলিস্তিনি ডয়চে ভেলের সাংবাদিকা টানিয়া ক্রেমারকে বলেন৷

সাফিয়া নামের এক ফিলিস্তিনি মহিলা – যিনি তাঁর পুরো নাম বলতে চাননি – বৃহস্পতিবার ডয়চে ভেলেকে বলেন: ‘‘আমি সত্যিই আশা করি যে, ওরা সব গেট খুলে দেবে৷'' নয়ত গোলযোগ থামবে না, বলে তাঁর আশঙ্কা৷

ফিলিস্তিনি বয়কটের অন্ত

আল-আকসা প্রাঙ্গণে নতুন নিরাপত্তা ব্যবস্থার বিরুদ্ধে প্রতিবাদে ফিলিস্তিনিরা গত দু'সপ্তাহ ধরে যে বয়কট চালিয়ে আসছে, বৃহস্পতিবার ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস তার অন্ত  ঘোষণা করেন৷ কিন্তু তার পরেই নতুন সংঘর্ষের সূত্রপাত ঘটে৷

Muslim worshippers return to Al Aqsa Mosque for prayer

00:56

This browser does not support the video element.

‘‘ওরা আমাদের নিয়ে খেলা করছে: কখনো একটা গেট খুলছে, কখনো অন্য গেটগুলো বন্ধ করছে৷ আমরা শুধু আমাদের মসজিদে গিয়ে নামাজ পড়তে চাই'', মোহাম্মেদ নামের এক ফিলিস্তিনি ডয়চে ভেলেকে বলেন৷ সাফিয়ার মতো ইনিও নিজের পুরো নাম বলতে চাননি৷

এ মাসের সূচনায় আল-আকসা মসজিদের প্রবেশপথে তিনজন আরব বন্ধুকধারী গুলি চালিয়ে দু'জন ইসরায়েলি পুলিশ কর্মকর্তাকে হত্যা করার পর ইসরায়েল মেটাল ডিটেক্টর ও সিসিটিভি ক্যামেরা বসানোর নির্দেশ দেয়৷ ফিলিস্তিনিরা এই পদক্ষেপকে টেম্পল মাউন্টের উপর ইসরায়েলিদের নিয়ন্ত্রণ বাড়ানোর প্রচেষ্টা হিসেবে গণ্য করে৷

নতুন নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়োগের পর যে সংঘাত চলেছে, তাতে পাঁচজন ফিলিস্তিনি ও চারজন ইসরায়েলি নিহত হয়েছেন৷

ফিলিস্তিনি তরুণের জন্য মৃত্যুদণ্ড?

যে ১৯ বছর বয়সি ফিলিস্তিনি তরুণ পশ্চিম তীরের একটি ইসরায়েলি বাসভবনে ঢুকে তিনজন ইসরায়েলিকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করে, তাকে মৃত্যুদণ্ড দেবার প্রস্তাব দিয়েছেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনইয়ামিন নেতানিয়াহু৷ শোকাহত পরিবারটির সঙ্গে সাক্ষাতের পর নেতানিয়াহু বলেন, ‘‘আমি পরিবারটিকে বলেছি, চরম ঘটনার ক্ষেত্রে সন্ত্রাসবাদীদের মৃত্যুদণ্ড দেবার সময় এসেছে৷'' তাঁর ফেসবুক পেজে পোস্ট করা ভিডিও-তে নেতানিয়াহু এই মন্তব্য করেন৷

ইসরায়েলি আইনে মৃত্যুদণ্ডের ব্যবস্থা আছে – তবে তা এযাবৎ মাত্র একবার প্রয়োগ করা হয়েছে৷ ১৯৬২ সালে নাৎসি যুদ্ধাপরাধী আডল্ফ আইখমানকে ইসরায়েলে ফাঁসি দেওয়া হয়৷

এসি/ডিজি (এপি, এএফপি, রয়টার্স)

 

ইসরায়েলের এই সিদ্ধান্তকে আপনি কিভাবে দেখছেন? মন্তব্য লিখুন নিচের ঘরে৷ 

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ