1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

অন্তর্বাসে বোমা

৯ মে ২০১২

অন্তর্বাস বোমা নিয়ে তোলপাড়ের মধ্যেই নতুন খবর৷ যে ‘জঙ্গি’ ওই বোমাটি বহন করে ধরা পড়েছে, সে আসলে সিআইএ-র নিজের চর৷ ঘটনাচক্রে সে ব্যক্তি এখন ডাবল এজেন্ট৷

ছবি: DW

একেই বলে উল্টো বুঝলি রাম! আল-কায়েদার ভিতরে নিজেদের লোক যে সিআইএ ঢোকাতে শুরু করেছে এবং সে কাজটা চলছে অনেকদিন ধরেই, তা এতদিনে বোঝা গেল স্পষ্ট করে৷ আল-কায়েদার মধ্যপ্রাচ্যের শাখা ‘আল-কায়েদা ইন অ্যারাবিয়ান পেনিনসুলা' বা একিউএপি-র সদস্য ওই বোমা সহ ধরা পড়েছিল বলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র জানায়৷ সেই ‘জঙ্গি' নাকি যুক্তরাষ্ট্রগামী একখানা বিমান উড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টায় ছিল৷

আসল ঘটনা কিন্তু অন্য৷ জানা গেছে, ওই ‘জঙ্গি' আসলে একজন ডাবল এজেন্ট৷ একদিকে সে সিআইএ-র গোয়েন্দা, আবার অন্যদিকে সেই গোয়েন্দাকে একিউএপি-তে পাঠানো হয়েছিল৷ সেখানে আল-কায়েদার নেতাদের ধোঁকা দিয়ে সে নিজেকে বেশ উন্নত স্থানে নিয়ে যায় জঙ্গি সংগঠনের মধ্যে৷ তারপরে বোমা নিয়ে হামলা করার বদলে সে বোমাটিকে তুলে দেয় সিআইএ-র হাতে৷

খবরের এখানেই শেষ নয়৷ নিউ ইয়র্ক টাইমস জানাচ্ছে, সৌদি গোয়েন্দা দপ্তর আর মার্কিন সিআইএ - এই দুই বাঘা ইন্টেলিজেন্স একজোটে এই ইয়েমেনি চরকে আল-কায়েদার হাতে তুলে দেয়৷ তারপর বোমা নিয়ে সে যখন অপারেশনে যায়, তখন সে বোমাটি তুলে দেয় সিআইএ-র হাতে৷ জানা গেছে, বর্তমানে এই ‘জঙ্গি' এজেন্ট সৌদি আরবে কড়া নিরাপত্তার মধ্যে রয়েছে৷ নিরাপত্তার কারণটিও সহজেই অনুমেয়, কারণ তার কাছে আল-কায়েদার অনেক গোপন তথ্য রয়েছে৷ স্বভাবতই আল-কায়েদা কোন না কোনভাবে তাকে মেরে ফেলতে চেষ্টা করবেই৷

অন্তর্বাস বোমা প্রসঙ্গে একটি তথ্য জানিয়ে রাখা ভালো৷ ২০০৯ সালে সৌদি আরবের সন্ত্রাসদমন বিভাগের প্রধান কর্তা প্রিন্স মোহাম্মদ বিন নায়েফকে হত্যার চেষ্টা করতেই প্রথম অন্তর্বাস বোমার ব্যবহার দেখা যায়৷ সেই হামলায় বোমা ফেটে হামলাকারী নিজেই নিহত হয়েছিল৷ প্রিন্স নায়েফ ভাগ্যবশত প্রাণে বেঁচে যান৷ অন্তর্বাস বোমার যাত্রা শুরু সেই তখন থেকে৷

প্রতিবেদন: সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়

সম্পাদনা: দেবারতি গুহ

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ