আল-কায়েদার ভারতীয় উপমহাদেশ শাখার (একিউআইএস) বাংলাদেশি প্রধান সমন্বয়কারী ও উপদেষ্টাসহ ১২ জঙ্গিকে আটক করেছে র্যাব৷ রাজধানী ঢাকার কয়েকটি এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয় বলে জানা গেছে৷
বিজ্ঞাপন
জঙ্গিদের কাছ থেকে বিস্ফোরক দ্রব্য, বোমা তৈরির উপকরণ, বিভিন্ন ধরনের ছুরি এবং জিহাদি বই উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে র্যাব৷ তারা জানায়, গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে মুফতি মাইনুল ইসলাম একিউআইএস-এর বাংলাদেশি প্রধান সমন্বয়ক এবং মাওলানা জাফর আমিন উপদেষ্টা৷ আর বাকি ১০ জন সংগঠনটির সক্রিয় সদস্য৷
র্যাবের গণমাধ্যম শাখার সহকারী পরিচালক মাকসুদুল আলম জানান, ‘‘মাইনুল ইসলাম একটা সময় হরকাতুল জিহাদ আল ইসলামীর (হুজি) সঙ্গেও জড়িত ছিলেন৷ লেখক অভিজিৎ রায় ও ব্লগার অনন্ত বিজয় দাস খুন হওয়ার পর একিউআইএস-এর পক্ষ থেকে দায়িত্ব স্বীকার করে বার্তা দেওয়া হয়েছিল৷''
র্যাব-এর গণমাধ্যম শাখার পরিচালক মুফতি মাহমুদ খান বলেন, ‘‘ঈদের পর রাজধানীতে বড় ধরনের নাশকতা চালিয়ে নিজেদের অস্তিত্বের জানান দিতে চেয়েছিল আল-কায়েদার ভারতীয় উপমহাদেশ বাংলাদেশ শাখার জঙ্গিরা৷'' তিনি জানান, বুধবার সকাল সাড়ে ৬টায় রাজধানীর সদরঘাট এলাকা থেকে জঙ্গি সংগঠন একিউআইএস-র প্রধান সমন্বয়কারী মাইনুল ইসলাম, উপদেষ্টা মুফতি জাফর আমিন, সক্রিয় সদস্য সাইদুল ইসলাম, মোশাররফ হোসেন এবং আব্দুর রহমান বেপারীকে আটক করা হয়৷ এরপর তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে বিমানবন্দর রেলস্টেশন থেকে একই দিন সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় সংগঠনটির সক্রিয় সদস্য আল-আমিন, মোজাহিদুল ইসলাম, আশরাফুল ইসলাম, আবুল হাশেম, রবিউল ইসলাম এবং হাবিবুল্লাহ আটক হয়৷ পরবর্তীতে তৃতীয় দফায় বুধবার দিবাগত রাত ১টায় মিরপুর-১ নম্বর এলাকার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ৬৮ বর্ধনবাড়ি এলাকার একটি ভাড়া বাসা থেকে শহিদুল ইসলাম, আলতাব হোসেনকে আটক করে র্যাব৷
আইএস কী, কোথায় এবং কেন?
প্রতিদিনই খবরে আইএস৷ কোনোদিন নৃশংস হত্যাকাণ্ডের জন্য, কোনোদিন হয়তো ইরাক বা সিরিয়ায় কোনো অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ নেয়ার জন্য৷ আইএস বলছে, ইসলামি খেলাফত কায়েম করার জন্য যুদ্ধে নেমেছে তারা৷ ছবিঘরে আইএস সম্পর্কে কিছু তথ্য....
ইসলামিক স্টেট বা আইএস আসলে কী?
আল কায়েদা থেকে তৈরি হওয়া সুন্নি মুসলমানদের জঙ্গি সংগঠন আইএস৷ সাদ্দাম পরবর্তী সময়ে ইরাকে এবং বাশার আল আসাদের আমলে সিরিয়ায় সুন্নিদের হতাশা থেকেই জন্ম সংগঠনটির৷ আইএস-এর পতাকায় লেখা থাকে, ‘মুহাম্মদ (সা.) আল্লাহর নবী’ এবং ‘আল্লাহ ছাড়া আর কোনো সৃষ্টিকর্তা নেই৷’
ছবি: AP
আইএস কোথায় সক্রিয়?
শরিয়া আইন অনুযায়ী পরিচালিত হবে এমন রাষ্ট্র, বা ইসলামি খেলাফত প্রতিষ্ঠা করতে চায় আইএস৷ সিরিয়া এবং ইরাকেই প্রত্যক্ষভাবে সক্রিয় তারা৷ দুটি দেশেই রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার সুযোগে বেশ বড় অঞ্চল দখল করে নিয়েছে আইএস৷
আইএস কেন আলাদা?
মূলত নিষ্ঠুরতার জন্য৷ শত্রুপক্ষ এবং নিরীহ মানুষের মনে আতঙ্ক ছড়াতে তারা এমন বর্বরতা এবং নিষ্ঠুরতা প্রদর্শন করে যা আগে কেউ করেনি৷ জবাই করে ভিডিও প্রচার, পুড়িয়ে মারা, বাবার সামনে মেয়েকে জবাই করা এবং তার তার ভিডিও প্রচার, মেয়েদের যৌনদাসী বানানো আর পণ্যের মতো বিক্রি করা – এসব নিয়মিতভাবেই করছে আইএস৷ কোনো অঞ্চল দখলে নেয়ার পর সেখানে শাসন প্রতিষ্ঠায় মন দেয় আইএস৷
ছবি: gebphotography - Fotolia.com
অন্য জঙ্গি সংগঠনগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক
আইএস যদিও শুধু সিরিয়া এবং ইরাকেই সক্রিয়, তবে বিশ্বের অন্যান্য ইসলামি জঙ্গি সংগঠনগুলো থেকে বিচ্ছিন্ন নয়৷ নাইজেরিয়ার জঙ্গি সংগঠন বোকো হারাম কয়েকদিন আগেই জানিয়েছে, আইএস-কে তারা সমর্থন করে৷ দুটি সংগঠনের মধ্যে একটি জায়গায় মিলও আছে৷ আইএস-এর মতো বোকো হারামও নিষ্ঠুরতা এবং বর্বরতার প্রতিভূ হয়ে উঠেছে৷ অন্য ধর্মের নারীদের প্রতি দুটি সংগঠনের দৃষ্টিভঙ্গি এবং আচরণই মধ্যযুগীয়৷
ছবি: Getty Images/A. Katib
আইএস-এর অনুসারী কারা?
অনুসারী সংগ্রহের সাফল্যেও আইএস অন্য সব জঙ্গি সংগঠনের চেয়ে আলাদা৷ এ পর্যন্ত অন্তত ২০ হাজার বিদেশী যোদ্ধা আইএস-এ যোগ দিয়েছে৷ তাদের মধ্যে ৪ হাজারই পশ্চিম ইউরোপ এবং উত্তর অ্যামেরিকার৷
আইএস-কে রুখতে অন্য দেশগুলো কী করছে?
যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে বেশ কিছু পশ্চিমা এবং আরব দেশ সিরিয়া ও ইরাকে আইএস ঘাঁটির ওপর বিমান থেকে বোমা হামলা চালাচ্ছে৷ বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, এ পর্যন্ত সিরিয়ায় ১৪২২ এবং ইরাকে ২২৪২ বার হামলা হয়েছে৷ কোনো কোনো সরকার দেশের অভ্যন্তরেও কিছু ব্যবস্থা নিচ্ছে৷ সিরিয়া ফেরত অন্তত ৩০ জন সন্দেহভাজন জঙ্গির বিচার শুরু করবে জার্মানি৷ গত মাসে সৌদি পুলিশও ৯৩ জন সন্দেহভাজন আইএস জঙ্গিকে গ্রেপ্তার করেছে৷
6 ছবি1 | 6
তাদের হেফাজত থেকে আড়াই লিটার সালফিউরিক অ্যাসিড, এক লিটার এসিটন, এক কেজি গন্ধক, এক কেজি সালফার, ৪শ' গ্রাম পটাশিয়াম ক্লোরেট, ৫৫০টি মার্বেল, ২ লিটার গ্লিসারিন, ৫ কেজি সোডিয়াম-বাই কার্বনেট, ৫টি জার, ৫ কেজি অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট, ১৫টি বিস্ফোরক ডিভাইসহ বিভিন্ন ধরনের বিস্ফোরক দ্রব্যও জিহাদি বই উদ্ধার করা হয়৷ তাদের কাছে নগদ ৪৯ হাজার ৪শ' ৯৪ টাকাও পাওয়া যায় বলে খবর৷
আটকদের জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে র্যাব-এর গণমাধ্যম শাখার পরিচালক জানান, ‘‘ঈদের পর রাজধানীতে হামলা চালাতে তারা রাজধানীর মিরপুরে বাসা ভাড়া করে বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক মজুদ করেছিল৷'' তারা জঙ্গি হামলার বিভিন্ন ধরনের প্রশিক্ষণের জন্য বগুড়ার একটি মাদ্রাসা নির্ধারণ করেছিল৷ এছাড়া কিছু সদস্য ইতিমধ্যে রাজধানীতে এসে নেতাদের সঙ্গে দেখা করে প্রশিক্ষণ নিতে বগুড়ায় গেছে বলে জানান তিনি৷
হত্যা, আতঙ্ক আর ঘৃণায় আইএস
শুধু ইরাক আর সিরিয়া নয়, আজকাল বিশ্বের অনেক দেশেই ইসলামিক স্টেট বা আইএস-এর তৎপরতার কথা শোনা যায়৷ খেলাফত কায়েমের কথা বলে মধ্যপ্রাচ্যে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করা জঙ্গি সংগঠনটিকে নিয়েই আমাদের আজকের ছবিঘর৷
ছবি: picture-alliance/dpa/Jordan News Agency
তাদের কাছে নারী যেন বাজারের পণ্য
অনেক সময় আটক নারী ও শিশুদের আইএস জঙ্গিরা যৌন দাস হিসেবে ব্যবহার করে৷ সম্প্রতি আইএস-এর কবল থেকে পালিয়ে আসা ৪০ জনেরও বেশি ইয়াজিদি নারীর সঙ্গে কথা বলে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল৷ নারী ও শিশুদের সঙ্গে আইএস-এর এমন আচরণে নিন্দা জানিয়েছেন সবাই৷
ছবি: DW/Andreas Stahl
সাংবাদিক, এনজিওকর্মী হত্যা করে হুমকি
তাদের বিরুদ্ধে বিমান হামলা বন্ধ না করায় যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটেনের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করতে নিরপরাধ মানুষ হত্যার বেশ কিছু নজীর গড়েছে আইএস৷ বিমান হামলার প্রতিশোধের কথা বলে যুক্তরাষ্ট্রের দু’জন সাংবাদিক, একজন এনজিও কর্মী এবং ব্রিটেনের দু’জন এনজিও কর্মীর শিরশ্ছেদ করেছে তারা৷ ওপরের ছবিতে দেখা যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের সাংবাদিক জেমস ফলিকে৷ গত আগস্টে তাঁর শিরশ্ছেদ করে ভিডিওচিত্র প্রচার করে আইএস৷
ছবি: dapd
মুসলমান হলেও রক্ষা নেই....
ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে সিরীয় শরণার্থীদের সেবায় আত্মনিয়োগ করেছিলেন পিটার কাসিগ৷ মুসলমান হিসেবে তাঁর নাম হয়েছিল আব্দুল রহমান কাসিগ৷ গত নভেম্বরে শুধু যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক হওয়ায় তাঁকেও হত্যা করে আইএস৷ হত্যার পর ভিডিও চিত্রও প্রকাশ করা হয়৷ নৃশংস এ ঘটনাকে ‘শয়তানের কাজ' হিসেবে বর্ণনা করেন বারাক ওবামা৷
ছবি: picture-alliance/AP/Kassig Family
জিম্মি করে মুক্তিপণ দাবি, তারপর...
জাপানের দুই নাগরিককে জিম্মি করে প্রথমে ২০০ মিলিয়ন ডলার মুক্তিপণ দাবি করে আইএস৷ মুক্তিপণ না পাওয়ায় হারুনা ইউকাওয়াকে হত্যা করলেও সাংবাদিক কেনজি গোতোকে আটকে রাখে৷ গোতো এবং জর্ডানের বৈমানিক আইমান মাজ-আল-কাসাবেহকে জিম্মি করে তাঁদের প্রাণের বিনিময়ে জর্ডানে আটক আইএস-এর এক নারী যোদ্ধার মুক্তি দাবি করা হয়৷ তাঁকে মুক্তি না দেয়ায় কেনজি গোতো এবং আইমান মাজ-আল-কাসাবেহকে হত্যা করে আইএস৷
ছবি: Reuters/www.reportr.co via Reuters TV
ইরাকে শুরু....
গত বছরের জুন মাসে ঝটিকা আক্রমণের ইরাকের মোসুল দখল করে নেয় আইএস৷ সুন্দিদের এই জঙ্গি সংঠনটি তারপর ইরাকের বেশ বড় একটা অংশে কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করে৷ সিরিয়াতেও দখল করে নেয় কিছু এলাকা৷
ছবি: picture-alliance/AP Photo
বাংলাদেশেও তৎপর আইএস...
আইএস সরাসরি যুদ্ধ করছে ইরাক আর সিরিয়ায়৷ যোদ্ধা সংগ্রহ করা হচ্ছে বিশ্বের প্রায় সব প্রান্ত থেকে৷ জার্মানি, বৃটেন, ফ্রান্স, বেলজিয়ামের মতো ইউরোপীয় দেশগুলো থেকে জঙ্গি মনোভাবাপন্নরা গিয়েছে ইরাক, সিরিয়ায়৷ এশিয়ার দেশগুলোতেও তৎপর আইএস৷ বাংলাদেশেও আইএস সমর্থক সন্দেহে গ্রেপ্তার করা হয়েছে কয়েকজনকে৷
ছবি: Reuters
জুতার নীচে আইএস!
আইএস-এর প্রতি ঘৃণাও বাড়ছে সারা বিশ্বে৷ ইরাকের স্থপতি আকীল খ্রীফ তো আইএস জঙ্গিদের প্রতি ঘৃণা প্রকাশ করতে বেছে নিয়েছেন অভিনব এক উপায়৷ পুরোনো জুতা সংগ্রহ করে তার নীচে জুতার পরিত্যক্ত ফিতা, বোতাম ইত্যাদি দিয়ে ফুটিয়ে তুলছেন আইএস জঙ্গিদের চেহারার আদল৷ আকীল খ্রীফ মনে করেন, আইএস জঙ্গিদের স্থান জুতার নীচেই হওয়া উচিত৷
ছবি: Armend Nimani/AFP/Getty Images
বৈমানিককে পুড়িয়ে মারা এবং জর্ডানের ‘প্রতিশোধ’
আটক নারী যোদ্ধাকে মুক্তি না দেয়ায় জর্ডানের বৈমানিক আইমান মুয়াত আল-কাসেসবেহ-কে নৃশংসভাবে পুড়িয়ে মারে আইএস৷ ক্ষুব্ধ হয়ে পাল্টা ব্যবস্থা নিতেও দেরি করেনি জর্ডান৷ আইমান মুয়াত আল-কাসেসবেহ-কে (ওপরের ছবি) হত্যা করে আইএস ভিডিও প্রকাশের পরই তাদের নারী যোদ্ধা সাজিদা আল-রিশোয়াই ও আরেক কর্মীকে ফাঁসিতে ঝোলায় জর্ডান সরকার৷
ছবি: picture-alliance/dpa/Jordan News Agency
8 ছবি1 | 8
মুফতি মাহমুদ খান বলেন, ‘‘আটক জঙ্গিদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে যে, তারা হরকাতুল জিহাদের (হুজি) সক্রিয় সদস্য৷ জঙ্গি গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট বা আইএস-এর সঙ্গে এদের মতাদর্শের মিল না থকালেও উদ্দেশ্যের মিল থাকায় একিউআইএস-র হয়ে কাজ করছিলেন৷''
তিনি দাবি করেন, ‘‘২১শে আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার আসামি হুজির যে সব সদস্য কারাগারে রয়েছে, তাদের এক কারাগার থেকে অন্য কারাগারে হস্তান্তরের সময় হামলা চালিয়ে অথবা আদালত থেকে হামলা চালিয়ে মুক্ত করে নেওয়ার পরিকল্পনাও রয়েছে তাদের৷''
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশে জঙ্গি সংগঠন আনসারুল্লাহ বাংলা টিম-এর সঙ্গে আল-কায়েদার যোগাযোগের কথা আগেই জানা গেছে৷ এবার হুজির সঙ্গে যোগাযোগের কথা জানা গেল৷ আনসারুল্লাহ বাংলা টিমকে গত মাসে নিষিদ্ধ করেছে বাংলাদেশ সরকার৷ আর হুজি আগেই নিষিদ্ধ করা হয়৷
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশে এ পর্যন্ত মোট ছয়টি জঙ্গি সংগঠনকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে৷ সংগঠনগুলো হলো – জামায়াতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশ (জেএমবি), জাগ্রত মুসলিম জনতা বাংলাদেশ (জেএমজেবি), হরকাতুল জিহাদ আল ইসলামী বাংলাদেশ (হুজি), শাহাদাৎ-ই আল-হিকমা, হিযবুত তাহরীর ও আনসারুল্লাহ বাংলা টিম৷