আরব উপদ্বীপের আল কায়েদা নেতা কাসিম আল-রিমিকে মারল আ্যামেরিকা৷ মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প এই খবরের সত্যতা স্বীকার করে নিয়েছেন৷
বিজ্ঞাপন
এ বার ইয়েমেনে সন্ত্রাস বিরোধী অভিযান চালালো অ্যামেরিকা৷ তাদের বিমানহানায় আল কায়েদার আরব উপদ্বীপের নেতা কাসিম আল-রিমির মৃত্যু হয়েছে৷ এরপর ডনাল্ড ট্রাম্প বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছেন, ''ইয়েমেনে মার্কিন সন্ত্রাস বিরোধী অভিযান সফল হয়েছে৷ আরব উপদ্বীপে আল কায়েদার প্রতিষ্ঠাতা কাসিম আল-রিমিকে মারা সম্ভব হয়েছে৷'' কেন রিমিকে মারল অ্যামেরিকা তার যুক্তি দিয়ে ট্রাম্প বলেছেন, ''রিমির নেতৃত্বে আল কায়েদা ইয়েমেনে সাধারণ মানুষের বিরুদ্ধে বিবেকহীন হিংসা করেছে৷ তারা মার্কিন বাহিনীকেও বার বার আক্রমণ করেছে৷''
ট্রাম্পের দাবি, ''রিমির মৃত্যুর ফলে আরব উপদ্বীপ ও বিশ্বজুড়ে আল কায়েদার শক্তি কমল৷ আর এই সন্ত্রাসবাদী সংগঠনকে নির্মুল করার দিকে আরও একটা বড় পদক্ষেপ নেওয়া সম্ভব হল৷ এই সন্ত্রাসবাদী সংগঠন অ্যামেরিকার নিরাপত্তার সামনে বড় বিপদ হয়ে দেখা দিয়েছে৷''
কয়েকটি উগ্র মতাদর্শ
ধর্ম, বর্ণ, স্বাধীনতা নানা নামে উগ্রবাদ ছড়ায় বিশ্বে৷ বিভিন্ন মতাদর্শের উপর ভর করে গড়ে ওঠে জঙ্গি সংগঠন কিংবা সশস্ত্র বাহিনীও, যা অনেক সময় রূপ নেয় সন্ত্রাসে৷
ছবি: Reuters
ইসলামিক স্টেট, আইএস
একসময় পোশাকি নাম ছিল ‘ইসলামিক স্টেট অব ইরাক অ্যান্ড দি লিভ্যান্ট’৷ সংক্ষেপে আইএসআইএল কিংবা আইএসআইএস৷ তবে বেশি পরিচিত আইএস বা দায়েশ নামে৷ বিশ্বজুড়ে ইসলামি খেলাফত প্রতিষ্ঠার ঘোষণা দিয়ে ২০১৪ সালে তারা আত্মপ্রকাশ করে৷ ২০১৫ সালের শেষ পর্যন্ত বিশ্বের ৮৫টি দেশ থেকে প্রায় ৩০ হাজার যোদ্ধা জঙ্গি গোষ্ঠীটিতে যোগ দেয়৷ সিরিয়া, ইরাকের একটি বড় অংশ দখল করে নিয়েছিল তারা৷ তবে সম্প্রতি শেষ ঘাঁটিটিও হারিয়েছে আইএস৷
ছবি: Reuters
আল-কায়দার উত্থান
জর্ডান-প্যালেস্টেনিয়ান মুসলিম ধর্মীয় গুরু আব্দুল্লাহ আজম৷ একটি জিহাদি জার্নালে আফগানিস্তানে লড়াইয়ের জন্য মুজাহিদিন বা বিদেশি যোদ্ধাদের বাহিনী গড়ার ধারণা দেন তিনি৷ ১৯৮৯ সালে মারা গেলেও তাঁর মতবাদই বৈশ্বিক জিহাদি ধারণার জন্ম দেয়৷ যার উপর ভিত্তি করে ১৯৮৮ সালে আল-কায়েদা প্রতিষ্ঠা করেন ওসামা বিন লাদেন৷ আফগানিস্তান থেকে রাশিয়ার সৈন্য প্রত্যাহারের পরে আল-কায়দার শাখা ছড়িয়ে পড়ে অনেক মুসলিম দেশে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/Ausaf
দেশে দেশে আল-কায়দা
বিভিন্ন দেশে ভিন্ন ভিন্ন নামেও আল-কায়দার জিহাদি মতাদর্শের উপর ভিত্তি করে জঙ্গি সংগঠন গড়ে ওঠে৷ তারই একটি আল শাবাব৷ সোমালিয়ায় শরিয়া আইন প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্য নিয়ে ২০০৬ সালে গোষ্ঠীটি প্রতিষ্ঠিত হয়৷ দেশটিতে বহু বিদেশি নাগরিক হত্যার জন্য দায়ী তারা৷ আফ্রিকার এমন আরেকটি জঙ্গি গোষ্ঠী নাইজেরিয়ার বোকো হারাম৷ ২০১৪ সালে ৩০০ স্কুল ছাত্রী অপহরণের ঘটনায় গোষ্ঠীটি আন্তর্জাতিকভাবে আলোচনায় আসে৷
ছবি: Reuters/J. Penney
‘‘সাদারাই সেরা’’
বর্ণবাদী মতবাদের উপর ভিত্তি করে বিশ্বে যুগে যুগে নানা গোষ্ঠীর উত্থান হয়েছে৷ বিংশ শতকে ‘হোয়াইট সুপ্রিমেসি’ বা সাদাদের শ্রেষ্ঠত্বের ধারণার উপর ভিত্তি করে অ্যামেরিকায় গড়ে ওঠে ‘কু ক্লুক্স ক্ল্যান’ নামের কট্টর বর্ণবাদী গোষ্ঠী৷ বর্ণবাদের উপর ভর করে ইউরোপে উত্থান হয় ফ্যাসিবাদের৷
ছবি: picture alliance / ZUMAPRESS.com
উগ্র ডানপন্থা
সাম্প্রতিক সময়ে নতুন করে পশ্চিমা দুনিয়ায় উগ্র ডানপন্থার প্রকটতা বাড়ছে৷ অ্যামেরিকা, ইউরোপ থেকে শুরু করে অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড পর্যন্ত এই মতাদর্শ ছড়িয়ে পড়ছে৷ ভিন্ন ধর্ম, বর্ণ, জাতি ও সংস্কৃতির মানুষের প্রতি এর অনুসারীরা রক্ষণশীল৷ সবশেষ নিউজিল্যান্ডে হামলা করে ৫০ জনকে হত্যায় অভিযুক্তও তেমনই একজন৷
ছবি: Reuters/M. Mitchell
বামপন্থিদের সশস্ত্র লড়াই
সমাজতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থা কিংবা কমিউনিস্ট রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য সশস্ত্র সংগ্রামের পথ বেছে নেয় বিশ্বের অনেক উগ্র বামপন্থি সংগঠন৷ রাষ্ট্রের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী থেকে শুরু করে, সরকারি কর্মকর্তা, সম্পদশালী মানুষদের তারা শত্রু বিবেচনা করে৷ ফিলিপিন্সের কমিউনিস্ট পার্টি নিও পিপলস আর্মি বা ভারতের মাওবাদী কমিউনিস্ট পার্টি তারই উদাহরণ - যাদেরকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হিসেবে অভিহিত করে আসছে দেশগুলোর সরকার৷
ছবি: picture-alliance/AP Photo/M. Quraishi
স্বাধীনতাকামীদের সংগ্রাম
ইসরায়েলের দখলদারিত্বের অবসান ঘটিয়ে একটি স্বাধীন প্যালেস্টাইন রাষ্ট্রের জন্য দীর্ঘদিন ধরে সংগ্রাম করে আসছে ফিলিস্তিনিরা৷ এজন্য সশস্ত্র যুদ্ধের পথ বেছে নিয়েছে হামাস, প্যালেস্টাইন লিবারেশন ফ্রন্ট, প্যালেস্টাইন ইসলামিক জিহাদ৷ উগ্রতার কারণে এই দলগুলোকে সন্ত্রাসী হিসেবে অভিহিত করে আসছে যুক্তরাষ্ট্র৷ এমন স্বাধিনতাকামী সংগঠন আছে আয়ারল্যান্ড, রাশিয়া, পাকিস্তান ভারতসহ বিশ্বের নানা দেশে৷
ছবি: picture-alliance
7 ছবি1 | 7
ট্রাম্পের পূর্বসূরি প্রেসিডেন্ট ওবামার আমলে অ্যামেরিকা ওসামা বিন লাদেনকে পাকিস্তানে গিয়ে হত্যা করেছিল৷ লাদেন-পুত্রকে অবশ্য অ্যামেরিকা মেরেছে ট্রাম্পের আমলেই৷ তারপর আল কায়েদার আরও কয়েকজন নেতা মার্কিন হানায় মারা গিয়েছেন৷ তবে ট্রাম্পের নির্দেশে সম্প্রতি ইরানের ইসলামিক রেভলিউশনারি গার্ডের নেতা সুলেইমানিকে মেরেছিল অ্যামেরিকা৷ সেই সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রচুর চাপান-উতোর হয়েছে৷ ট্রাম্প বিরোধীরা অভিযোগ করেছিলেন, আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জেতার কথা মাথায় রেখে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ওই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন৷
পাকিস্তানে সন্ত্রাসীদের অন্যতম ঘাঁটি ফাটা
পাকিস্তানে ‘ফেডারেলি অ্যাডমিনিস্টার্ড ট্রাইবাল এরিয়াস’ (ফাটা) এলাকাকে বিশ্বের ত্রাস বলা হয়৷ আল-কায়েদা ও তালেবানি সন্ত্রাসীদের আশ্রয়স্থলটি এখন খাইবার পাখতুন খোয়া প্রদেশে যুক্ত করা হচ্ছে৷ ছবিঘরে দেখুন এই এলাকার বিশেষত্ব৷
ছবি: AFP/Getty Images/A. Qureshi
সবচেয়ে ভয়ানক জায়গা
অ্যামেরিকার প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা পাকিস্তানের এই ‘ফেডারেলি অ্যাডমিনিস্টার্ড ট্রাইবাল এরিয়াস’ বা ফাটা এলাকাটিকে বিশ্বের সবচেয়ে ভয়ংকর এলাকা বলেছিলেন৷ এই পাহাড়ি এলাকাই তালেবান এবং আল-কায়দা সন্ত্রাসীদের সুরক্ষিত ঘাঁটি৷
ছবি: picture-alliance/AP Photo
খাইবার পাখতুনের অংশ
এখন এই অর্ধস্বায়ত্ত এলাকাটিকে পাকিস্তানের খাইবার পাখতুন (পাশতুন) খোয়া প্রদেশের অংশ করে দেওয়া হচ্ছে৷ এবার উপজাতি নিয়ম-কানুন আর চলবে না৷ এখন এখানে পাকিস্তান সরকারের প্রশাসন এবং নিয়মকানুন চালু হবে৷
ছবি: A Majeed/AFP/Getty Images
সাতটা জেলা
আফগানিস্তানের সীমায় অবস্থিত পাকিস্তানের উপজাতি এলাকাটিতে সাতটা জেলাকে সাতটা এজেন্সি নামে চিহ্নিত করা হয়৷ সংঘবদ্ধভাবে প্রশাসিত এই উপজাতি এলাকাকেই ‘ফেডারেলি অ্যাডমিনিস্টার্ড ট্রাইবাল এরিয়াস’ বা ইংরেজিতে ফাটা বলা হয়৷
কারও বশ্যতা পছন্দ নয়
ফাটা-র জনসংখ্যা কমপক্ষে ৫০ লক্ষ৷ এর মধ্যে পাখতুন বা পাশতুনের লোকই বেশি৷ ইংরেজ শাসন আমলেই এই এলাকাকে ‘ফাটা’ নাম দেওয়া হয়েছিল৷ এখানের পাঠান যোদ্ধারা নিজেদের স্বাধীনতা বজায় রাখতে ইংরেজদের বিরুদ্ধে লড়াই করেছিল ৷
ছবি: Reuters
সস্তায় বন্দুক
এখনও পর্যন্ত এই এলাকা পাকিস্তান আর আফগানিস্তানের মাঝে এক ‘বাফার জোন’ হিসেবে আছে৷ এই এলাকা সস্তা বন্দুকের বাজার হিসেবে বেশ বদনাম কুড়িয়েছে৷ খোলা বাজারে আফিমের সঙ্গে চোরাই মালও বিক্রি হয়৷
ছবি: Getty Images/AFP/A. Majeed
উপজাতির রাজত্ব
১৯০১ সালে ইংরেজ কর্তারা এই এলাকার জন্য ‘ফ্রন্টিয়ার ক্রাইমস রেগুলেশন’ তৈরি করেছিলেন৷ এর উপর নির্ভর করেই রাজনীতিতে যুক্ত মানুষেরা এখানে শাসনের অধিকার পান৷ এমনকি এঁদের একজন ব্যক্তির অপরাধের সাজা পুরো গোষ্ঠীকে দেওয়ার ক্ষমতা আছে৷
ছবি: Reuters
স্বায়ত্ত শাসনের লোভ
১৯৭৪ সালে পাকিস্তানের জন্মের পরেও ফাটা এলাকায় আগের মতোই শাসন চলতে থাকে, যেমনটা ইংরেজ আমলে চলছিল৷ পাকিস্তান সরকার এই এলাকার বাসিন্দাদের স্বায়ত্ত শাসনের লোভ দেখায়, যাতে কিনা এরা পাকিস্তানের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যায়৷
ছবি: picture-alliance/AP
উন্নতি হয়নি
স্বায়ত্তশাসনের অনেক মূল্য দিতে হয়েছে এই এলাকাকে৷ এলাকার উন্নতির জন্য কোনো অনুদান এখানে কোনোদিনই পৌঁছাতে পারেনি৷ এর ফলে পাকিস্তানের সঙ্গে এই এলাকার আকাশ পাতাল পার্থক্য হয়েছে৷
ছবি: A Majeed/AFP/Getty Images
সন্ত্রাসের পীঠস্থান
বঞ্চিত মানুশের মধ্যেই হতাশা জন্মে৷ তাই এই এলাকা চরমপন্থার পীঠস্থান হয়ে দাঁড়াল৷ পাকিস্তান তো বটেই এমনকি প্রতিবেশী দেশ আফগানিস্তানের সুরক্ষার জন্যও ফাটা চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিল৷
ছবি: Getty Images/AFP/C. Khan
সোভিয়েত ইউনিয়নের বিরুদ্ধে
১৯৭৯ সালে আফগানিস্তানে যখন রাশিয়ার হামলা হলো, ফাটা সোভিয়েত ইউনিয়নের বিরুদ্ধে সিআইএ সমর্থিত মুজাহিদিন লড়াইয়ের মুখ্য ঠিকানা হয়ে দাঁড়াল৷ বিশ্বের সব ইসলামি যোদ্ধারা এখানে এসে পৌঁছাল, যাদের মধ্যে কিছু যোদ্ধা কিছুদিন পরে আল-কায়েদা তৈরি করল৷
ছবি: AP
চরমপন্থার আশ্রয়স্থল
২০০১ সালে ১১ সেপ্টেম্বর যখন অ্যামেরিকা আফগানিস্তানে হামলা করেছিল, তখন ওখান থেকে তালেবান আর আল-কায়দা জঙ্গিরা এখানেই আশ্রয় নিয়েছিল৷ এখানেই জন্ম হয়েছে ‘তাহরিক-ই-তালেবান’-এর৷
ছবি: picture-alliance/dpa/B. Arbab
ড্রোন হামলা
অ্যামেরিকা বহু বছর ধরে এই এলাকায় ড্রোন হামলা চালিয়ে জঙ্গি নিধন চালিয়েছে৷ অবশ্য পাকিস্তান সবসময় এরকম হামলাতে নিজের সার্বভৌম ক্ষমতা নষ্ট করা হচ্ছে বলে দাবি করে আসছে৷
ছবি: picture-alliance/AP Photo/K. Wigglesworth
পাকিস্তান সরকারের দাবি
পাকিস্তান সরকার অবশ্য বারবারই বলে আসছে যে এই এলাকায় সন্ত্রাসবাদী আশ্রয়স্থলগুলি ধ্বংস করে দেওয়া হচ্ছে৷ কিন্তু অ্যামেরিকার দাবি, আফগানিস্তানে নাটো এবং আফগান সেনার উপর হামলাকারী সন্ত্রাসীরা ফাটাকেই আশ্রয়স্থল হিসেবে ব্যবহার করে৷
ছবি: AFP/Getty Images/A. Qureshi
13 ছবি1 | 13
গত ডিসেম্বরে আরব উপদ্বীপের আল কায়েদা জঙ্গিরা মার্কিন নৌ ঘাঁটিতে আক্রমণ শানিয়েছিল৷ তারপরই অ্যামেরিকা জানায়, তারা আল কায়েদার এই সংগঠনকে অত্যন্ত ভয়ঙ্কর জঙ্গি গোষ্ঠী বলে মনে করে৷ রিমি ১৯৯০ সালে আল কায়েদায় যোগ দিয়েছিল৷ আয়মান আল জওয়াহিরির ডেপুটি রিমি ছিল সংগঠনের অত্যন্ত প্রভাবশালী নেতা৷ ফলে এ ক্ষেত্রে ট্রাম্প অতিকথন করেননি বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা৷ রিমির মৃত্যুতে আল কায়েদা ধাক্কা খেতে বাধ্য বলে তাঁদের ধারণা৷
প্রেসিডেন্ট হওয়ার পরই রিমিকে মারতে চেয়েছিলেন ট্রাম্প৷ কিন্তু এতদিন তা সম্ভব হয়নি৷ এ জন্য অতীতে রিমির বিদ্রুপের মুখেও পড়তে হয়েছিল ট্রাম্পকে৷ অধিকাংশ বিশেষজ্ঞ মনে করেন, রিমির সংগঠন হল আল কায়েদার সব থেকে মারাত্মক শাখা৷ এই সংগঠনকে শেষ করতে অ্যামেরিকা ২০১৭তে ইয়েমেনে ১৩১ বার বিমানহানা করে, ২০১৮তে ৩৬টি বিমানহানা হয়৷ অবশেষে ২০২০তে সাফল্য পেল তারা৷