টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে স্কটল্যান্ডের কাছে হারের পর ওমানকে হারাল বাংলাদেশ। শেষ ১২-তে যাওয়ার আশা টিকে থাকল।
বিজ্ঞাপন
এই প্রথমবার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ক্রিকেটে খেলছে ওমান। নবাগত ওমানের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ জিতবে এটা প্রত্যাশিত ছিল। সেটাই হলো। আর এর ফলে শেষ ১২-তে যাওয়ার আশা জিইয়ে রাখল বাংলাদেশ। তবে ওমানের বিরুদ্ধে এই ম্যাচ জিতলেও বাংলাদেশের ব্যাটিং নিয়ে কিছু প্রশ্ন থেকেই গেল।
এই ম্যাচেও ব্যর্থ ওপেনিং জুটি। লিটন দাস ছয় রান করে ও মেহেদি হাসান শূন্য রান করে আউট হন। এরপর সাকিব ও নাঈম না সামলালে বাংলাদেশ বিপাকে পড়ত। নাঈম ৫০ বলে ৬৪ ও সাকিব ২৯ বলে ৪২ রান করেন। সাকিব রান আউট হন। এরপর বাংলাদেশের মিডল অর্ডার আবার ব্যর্থ হয়। একের পর এক উইকেট পড়তে থাকে। অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ১০ বলে ১৭ রান করলেও অন্য কেউ দুই অঙ্কের ঘরে পৌঁছাতে পারেননি।
বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি পরিসংখ্যান
রোববার শুরু হচ্ছে বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ মিশন৷ প্রথম পর্বের বাধা পেরোতে পারলে বিশ্বকাপের মূল পর্বে খেলতে পারবে টাইগাররা৷ তার আগে চলুন টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের বিভিন্ন পরিসংখ্যান জেনে নিই৷
ছবি: DIBYANGSHU SARKAR/AFP/Getty Images
জয়, পরাজয়ের হিসাব
২০০৬ সালে প্রথম টি-টোয়েন্টি খেলেছিল বাংলাদেশ৷ এখন পর্যন্ত ১১২টি ম্যাচ খেলে ৪১টিতে জিতেছে টাইগাররা৷ সবচেয়ে বেশি ১১টি জিতেছে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে৷ এরপর ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে পাঁচটি এবং অস্ট্রেলিয়া ও শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে চারটি করে ম্যাচ জিতেছে টাইগাররা৷ ভারত ও পাকিস্তানের সঙ্গে যথাক্রমে ১১ ও ১২টি ম্যাচ খেলে দশটিতেই হেরেছে তারা৷
ছবি: DIBYANGSHU SARKAR/AFP/Getty Images
দলীয় সর্বোচ্চ রান
২০১৮ সালের মার্চে কলম্বোতে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ২১৪ রান তুলেছিল স্বাগতিকরা৷ দুই বল বাকি থাকতে পাঁচ উইকেট হারিয়ে সেই রান তাড়া করে ফেলেছিল টাইগাররা৷ সেদিনে সংগ্রহ ২১৫ রানই টি-টোয়েন্টিতে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের সর্বোচ্চ সংগ্রহ৷ মুশফিক ৩৫ বলে ৭২ রান করে অপরাজিত ছিলেন৷ এছাড়া আরও দুবার দুশ রান পেরিয়েছে টাইগাররা৷ দুবারই দেশের মাটিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও জিম্বাবোয়ের বিরুদ্ধে৷
ছবি: ISHARA S. KODIKARA/AFP/Getty Images
দলীয় সর্বনিম্ন রান
২০১৬ সালের ২৬ মার্চ কলকাতায় টি-টোয়েন্ট বিশ্বকাপের এক ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের ১৪৫ রানের জবাবে খেলতে নেমে ৭০ রানে অলআউট হয়ে গিয়েছিল বাংলাদেশ৷ টাইগারদের পক্ষে শুভাগত হোম সর্বোচ্চ ১৬ রান করেছিলেন৷ তামিম তিন, সাকিব দুই, মাহমুদুল্লাহ পাঁচ রান করেছিলেন৷ রানের খাতা খোলার আগেই আউট হয়েছিলেন মুশফিক৷
ছবি: DIBYANGSHU SARKAR/AFP/Getty Images
সবচেয়ে বড় জয়
এখন পর্যন্ত রানের হিসেবে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় জয়টি এসেছে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে৷ ২০১২ সালের ১৮ জুলাই বেলফাস্টে আইরিশদের ৭১ রানে হারিয়েছিল বাংলাদেশ৷ এর পরেই তালিকায় আছে গত ৯ আগস্ট ঢাকায় অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ৬০ রানের জয়৷ আর উইকেট বিচারে বাংলাদেশ সবচেয়ে বড় জয় আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে৷ ২০১৪ সালে নয় উইকেটে আফগানদের হারিয়েছিল টাইগাররা৷ আফগানরা মাত্র ৭৩ রানের টার্গেট দিয়েছিল৷
ছবি: AFP/Getty Images
সবচেয়ে কম ব্যবধানে জয়
রানের বিচারে এই জয়টিও এসেছিল ২০১২ সালের ২০ জুলাই বেলফাস্টে আয়ারল্যান্ডের বিরুদ্ধে৷ ১৪৭ রানের টার্গেট দিয়ে মাত্র এক রানে জিতেছিল টাইগাররা৷ এর পরদিন আইরিশদের দুই উইকেটে হারিয়েছিল বাংলাদেশ৷ উইকেটের বিচারে সেটা টাইগারদের সবচেয়ে কম ব্যবধানে জয়৷
ছবি: Getty Images/AFP/M. Uz Zaman
সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত রান সংগ্রহ
৯৪ ইনিংসে এক হাজার ৭৭১ রান করে এই তালিকায় সবার উপরে আছেন মাহমুদুল্লাহ৷ তার চেয়ে সাত ইনিংস কম খেলা সাকিবের সংগ্রহ মাহমুদুল্লাহর চেয়ে মাত্র আট রান কম (১,৭৬৩)৷ এরপর আছেন তামিম (১,৭০১), মুশফিক (১,৩২১) ও সৌম্য সরকার (১,১০৯)৷
ছবি: MUNIR UZ ZAMAN/AFP/Getty Images
একমাত্র শতক তামিমের
২০১৬ সালে ওমানের বিপক্ষে অপরাজিত ১০৩ রান করেছিলেন তামিম৷ সেটিই এখন পর্যন্ত টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের একমাত্র শতক৷ দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রানটিও এসেছে তামিমের ব্যাট থেকে৷ ২০১২ সালে ঢাকায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে অপরাজিত ৮৮ রান করেছিলেন তিনি৷
ছবি: Randy Brooks/AFP/Getty Images
সর্বোচ্চ অর্ধশতক
এখন পর্যন্ত সাকিব ৯ বার অর্ধশতকের বেশি রান করেছেন৷ তার সর্বোচ্চ রান ৮৪৷ এছাড়া তামিম আটবার এবং সৌম্য সরকার, মুশফিক ও মাহমুদুল্লাহ পাঁচবার করে অর্ধশতক করেছেন৷
ছবি: Munir Uz Zaman/AFP
সবচেয়ে বেশি উইকেট
সাকিবের সংগ্রহ ১০৬ উইকেট৷ ৩২৫.৩ ওভার বল করে এই উইকেট পান তিনি৷ এরপর আছেন মুস্তাফিজুর রহমান৷ ১৮৯.৩ ওভারে তিনি ৭৬টি উইকেট পেয়েছেন৷
ছবি: Getty Images/AFP/G. Guercia
9 ছবি1 | 9
শেষ ১২তে পৌঁছাতে পারলে ব্যাটসম্যানদের অনেক বেশি দায়িত্ব নিতে হবে। স্কটল্যান্ড, ওমানের বোলিং সামলাতে গিয়ে তারা বিপাকে পড়েছেন। বিশেষত, ওপেনিং জুটি ও মিডল অর্ডারকে রান পেতে হবে।
ওমানের দুই ওপেনার লড়াই করেছিলেন। যতিন্দর সিং ৪০ ও কেশব প্রজাপতি ২১ রান করেন। বাকিরা বাংলাদেশের বোলিংয়ের সামনে দাঁড়াতে পারেননি। ১২৭ রানে শেষ হয় ওমানের ইনিংস।