নিহত শ্রমিকের নাম কাউসার হোসেন খান৷  তিনি ম্যাঙ্গোটেক্স লিমিমিটেডের অপারেটর হিসেবে কর্মরত ছিলেন৷

আজ সোমবার দুপুর ১২টার দিকে বাইপাইল আব্দুল্লাহপুর সড়কের টঙ্গাবাড়ী এলাকায় মন্ডল গ্রুপের সামনে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে৷

গুলিবিদ্ধরা হলেন: আশুলিয়ার ন্যাচারাল ডেনিমসের শ্রমিক হাবিব ও ন্যাচারাল ইন্ডিগো কারখানার শ্রমিক নাজমুল হাসান, শ্রমিক রাসেল ও নয়ন৷

বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা যৌথবাহিনীর অন্তত পাঁচটি গাড়ি ভাংচুর করেন৷

দ্য ডেইলি স্টার বাংলার খবরে বলা হয়, সকালে মন্ডল গ্রুপের শ্রমিকদের সঙ্গে মালিকপক্ষ, শ্রমিক প্রতিনিধি ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর বৈঠক চলছিল৷ সমঝোতা না হওয়ায় শ্রমিকরা কারখানার বাইরে অবস্থান নেন৷ পরে অন্যান্য কারখানার শ্রমিকরাও সেখানে জড়ো হন৷

যৌথবাহিনী ও শ্রমিকরা মুখোমুখি অবস্থান নিলে শ্রমিকরা র‍্যাব ও পুলিশের কয়েকটি গাড়ি ভাংচুর করেন৷ যৌথবাহিনীর সদস্যরা লাঠিচার্জ করলে শ্রমিকরা আরো মারমুখী হয়ে ওঠেন৷ পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গুলি চালায়৷

ন্যাচারাল ডেনিমসের শ্রমিক মো. সুমনকে ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘‘আজ সকালে আমাদের কারখানায় সবাই কাজ করছিলেন৷ আমাদের কারখানায় কোনো আন্দোলন হয়নি৷ মণ্ডল গ্রুপের শ্রমিকরা কারখানার সামনে আন্দোলন শুরু করলে আমাদের শ্রমিকরা সংহতি জানিয়ে সেখানে যান৷ আরও কয়েকটি কারখানার শ্রমিকরাও যোগ দেন৷ যৌথবাহিনীর সদস্যরা শ্রমিকদের লাঠিচার্জ ও গুলি করেন৷ দুই জনের পায়ে গুলি লাগে৷ আমি তাদের একজনকে পিএমকে হাসপাতালে নিয়ে আসি৷''

আশুলিয়ার পিএমকে হাসপাতালের অ্যাডমিন ম্যানেজার নাজিম উদ্দিন বলেন, ‘‘দুই শ্রমিক নাজমুল ও হাবিবকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় আনা হয়৷ আরও দুই আহত শ্রমিককে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে৷''

অন্যদিকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় শ্রমিক কাউসার, নয়ন ও রাসেলকে সাভারের এনাম মেডিকেলে আনা হলে চিকিৎসকরা কাউসারকে মৃত ঘোষণা করেন৷

এনাম মেডিকেলের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. এনামুল হক ডেইলি স্টারকে বলেন, 'কাউসারকে মৃত অবস্থায় আনা হয়েছে৷ তার তলপেটে গুলি লেগেছে৷ নয়নের বুকের বাম পাশে গুলি লেগেছে৷ রাসেলের বুকে গুলি লেগেছে৷ এগুলো ছররা গুলি নয়৷ আহত দুই জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক৷ একজনকে নিবিড় পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে (আইসিইউ) স্থানান্তর করা হয়েছে৷''

সংবদমাধ্যমটির পক্ষ থেকে শিল্প পুলিশ-১ এর পুলিশ সুপার (এসপি) সারোয়ার আলমকে একাধিকবার ফোন দেওয়া হলেও কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি৷

আরআর/এসিবি (দ্য ডেইলি স্টার)