৬২৯ জন আশ্রয়প্রার্থীকে উদ্ধার করে ফ্রান্সের অ্যাকুয়ারিউস নামের একটি এনজিও'র জাহাজ কোথায় ভিড়বে তা নিয়ে দ্বন্দ্ব ছিল৷ শেষ পর্যন্ত স্পেন বলেছে, ভ্যালেন্সিয়ায় জাহাজটি ভিড়তে পারে৷ এর আগে ইটালি ও মাল্টা জাহাজটিকে অনুমতি দেয়নি৷
বিজ্ঞাপন
স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজের অফিস সোমবার এক বিবৃতিতে জানায়, ‘‘মানবিক এই সংকটের সময় এই মানুষগুলোকে নিরাপদে ভিড়তে দেয়া আমাদের নৈতিক দায়িত্ব৷’’
এর আগে, ইটালি ও মাল্টার কূটনৈতিক দ্বন্দ্বের বেড়াজালে আটকে ছিল ফ্রেঞ্চ এনজিও জাহাজটি৷ কোথায় যাবে তার নির্দেশনার অপেক্ষায় ছিল তারা৷ রোববার ইটালি এই জাহাজটিকে তাদের বন্দরে ভেড়ানোর অনুমতি দেয়নি৷ তাদের দাবি ছিল, জাহাজটি মাল্টায় ভেড়ানো হোক৷
অন্যদিকে, মাল্টা সে দাবি প্রত্যাখ্যান করে অভিযোগ করে বলেছে, জাহাজটিকে সমুদ্রে আটকে রেখে ইটালি আন্তর্জাতিক রীতিনীতি লঙ্ঘন করছে৷
ফ্রেঞ্চ সংস্থা এসওএস মেডিটারেনি বলেছে যে, জাহাজটিতে ৬২৯ জন আশ্রয়প্রত্যাশী আছে, যাদের ১২৩ জন অভিভাবকহীন শিশু এবং সাত জন সন্তানসম্ভবা নারী৷ এদের ৪শ' জনকে উদ্ধার করেছে ইটালির নৌবাহিনী ও বাণিজ্য জাহাজগুলো৷ এরপর তাদের অ্যাকুয়ারিউসে তুলে দেয়া হয়৷
ইটালির অতিডানপন্থি লীগের নেতা সালভিনি ও পরিবহণমন্ত্রী ফাইভ স্টার মুভমেন্টের নেতা দানিলো তোনিনেল্লি এক যৌথ বিবৃতিতে বলেন, ‘‘যখন মানুষের জীবনের সুরক্ষার বিষয় আসে, তখন আন্তর্জাতিক কনভেনশন অনুযায়ী মাল্টা সবসময় মুখ ফিরিয়ে রাখতে পারে না৷''
‘‘ভূমধ্য সাগরে এখানকার সীমানাবর্তী সব দেশের সাগর, এবং তাদের (মাল্টা) এটা ভাবা উচিত নয় যে, এই বিরাট সমস্যার (অভিবাসন) সমাধান কেবল ইটালিই করবে,'' মন্ত্রীদ্বয় বলেন৷
চোরাকারবারিদের পথ ধরে আসছেন শরণার্থীরা
ভূমধ্যসাগর পার হওয়ার ঝুঁকি না নিয়ে ক্রমেই আরো বেশি উদ্বাস্তু সীমান্তের এভ্রস নদী পার হয়ে তুরস্ক থেকে গ্রিসে আসছেন৷ কিন্তু এ পথেও বিপদ কিছু কম নয়৷
ছবি: Reuters/A. Konstantinidis
সীমান্ত বলতে এভ্রস নদী
মাত্র পাঁচ থেকে ছ’মিনিটের মধ্যে এভ্রস নদী পার হওয়া যায়৷ নদী ছোট হলেও তাতে স্রোতের কিছু কমতি নেই৷ এককালে স্মাগলাররা এই পথ দিয়ে মাল পাচার করতো৷ উদ্বাস্তুরা সে পথ ধরার পর থেকে এই রুটে দুর্ঘটনা ও প্রাণহানির সংখ্যা লক্ষণীয়ভাবে বেড়েছে৷
ছবি: Reuters/A. Konstantinidis
দু’দেশের সেন্ট্রি টাওয়ার
সীমান্তে উভয় দেশের সীমান্তরক্ষীদের একাধিক সেন্ট্রি টাওয়ার খাড়া রয়েছে৷ দৃশ্যত তা সত্ত্বেও উদ্বাস্তুরা এই পথ দিয়ে গ্রিসে ঢোকার চেষ্টা করে চলেছেন৷ জার্মান ‘স্পিগেল’ পত্রিকার বিবরণ অনুযায়ী, তুরস্ক জ্ঞাতসারে উদ্বাস্তুদের এই নতুন পথ ধরে ইউরোপে আসতে দিচ্ছে৷ এমনকি গ্রিসের দু’জন সৈন্য ভুলক্রমে সীমান্ত অতিক্রম করলে তুরস্কে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়৷ তারপর থেকে গ্রিস নীরব রয়েছে৷
ছবি: Reuters/A. Konstantinidis
এভ্রস পার হওয়ার পর
ভূমধ্যসাগর দিয়ে এলে গ্রিসের কোনো দ্বীপে ১৫,০০০-এর বেশি অধিবাসী সম্বলিত কোনো উদ্বাস্তু শিবিরে আশ্রয় নিতে হয় – তারপরেও তুরস্কে ফেরত পাঠানোর ভয় থাকে৷ এভ্রস রুট দিয়ে এলে সেখান থেকে বিনা বাধায় দেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করা যায়৷
ছবি: Reuters/A. Konstantinidis
রেললাইন ধরে হেঁটে পাইস শহর অভিমুখে
এভ্রস উদ্বাস্তুদের গ্রিসে ঢোকার পর রেজিস্ট্রি করা হয় ও গ্রিসে অবস্থানের জন্য তিন মাসের ভিসা দেওয়া হয়৷ শুধু এপ্রিল মাসেই ২,৯০০ উদ্বাস্তু এভ্রস হয়ে গ্রিসে ঢুকেছেন৷ গোটা ২০১৭ সালেই এসেছিল মাত্র ১,৪৫০ জন৷
ছবি: Reuters/A. Konstantinidis
রেল স্টেশনে বিশ্রাম
পাইস শহরটি এভ্রস নদী থেকে মাত্র কয়েক কিলোমিটার দূরে৷ উদ্বাস্তুরা এখানে খানিকটা জিরিয়ে নিয়ে আবার যাত্রা শুরু করেন৷ বিশেষ করে শিশুরা পথের কষ্ট আর অভাব-অনটনে কাহিল হয়ে পড়ে৷
ছবি: Reuters/A. Konstantinidis
নি ভিসা শহরের কাছে পুলিশের অপেক্ষায়
এখান থেকে পুলিশ উদ্বাস্তুদের প্রাথমিক রেজিস্ট্রেশন কেন্দ্রে নিয়ে যাবে৷ উদ্বাস্তুদের সংখ্যা যেভাবে বাড়ছে তাতে স্থানীয় কর্মকর্তারা উদ্বিগ্ন৷ সিরিয়া বা ইরাক যুদ্ধের তীব্রতা বাড়লে এভাবেই উদ্বাস্তুদের আগমন বাড়ে৷
ছবি: Reuters/A. Konstantinidis
পুলিশের গাড়িতে চড়ে প্রাথমিক রেজিস্ট্রেশন কেন্দ্রে
উদ্বাস্তুদের ফিলাকিও শহরে অবস্থিত প্রাথমিক রেজিস্ট্রেশন কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে৷ তবে সেখানেও কর্মকর্তারা বিপুল সংখ্যক উদ্বাস্তুর আগমন সামলাতে হিমশিম খাচ্ছেন৷
ছবি: Reuters/A. Konstantinidis
কাঁটাতারের বেড়ার পিছনে
ফিলাকিও-র প্রাথমিক রেজিস্ট্রেশন কেন্দ্র দেখলে মন খুশি না হওয়ারই কথা৷ উদ্বাস্তুদের আগমন বাড়ার ফলে জায়গা ও পর্যাপ্ত কর্মকর্তার অভাব৷ এভ্রস রুট আপাতত সীমান্ত নিরাপত্তা সম্পর্কে ইইউ আর তুরস্কের চুক্তির আওতায় পড়ে না৷ এর ফলে উদ্বাস্তুরা শীঘ্রই প্রয়োজনীয় কাগজপত্র পেয়ে যান৷
ছবি: Reuters/A. Konstantinidis
বাসে চড়ে বড় শহরে
ফিলাকিও-য় রেজিস্ট্রি করার অল্প পরেই উদ্বাস্তুদের বাসে করে এথেন্স বা থেসালোনিকিতে নিয়ে যাওয়া হয়৷ কিন্তু সেখানেও উদ্বাস্তু শিবিরগুলিতে তিলধারণের জায়গা নেই, কর্মকর্তারাও ব্যতিব্যস্ত৷
ছবি: Reuters/A. Konstantinidis
9 ছবি1 | 9
মাল্টা অ্যাকুয়ারিউসকে গ্রহণ করতে অস্বীকৃতি জানিয়ে এক বিবৃতি দিয়েছে৷ সেখানে তারা বলেছে, লিবিয়ার জলসীমা থেকে আশ্রয়প্রার্থীদের তুলেছে অ্যাকুয়ারিস এবং উদ্ধার করা হয়েছে ইটালির তত্ত্বাবধানে৷ তাই এটি মাল্টার দায় নয়৷
এমনকি ইটালির প্রধানমন্ত্রী জুসেপে কন্টে মাল্টার সরকার প্রধান জোসেফ মুসকাটকে অনুরোধ করেছেন, অন্তত মানবিকতার খাতিরে জাহাজের যাত্রীদের গ্রহন করা হোক৷ কিন্তু মুসকাট তা প্রত্যাখ্যান করেন৷
গত পাঁচ বছরে লিবিয়া থেকে ছয় লাখেরও বেশি আফ্রিকান আশ্রয়প্রার্থী ইটালি গিয়েছেন৷ স্বেচ্ছাসেবী জাহাজগুলো এসব আশ্রয়প্রার্থীকে পাচার করছে বলে অভিযোগ করেছেন ডানপন্থি রাজনীতিবিদরা৷
আশ্রয়প্রার্থীদের এই ঢল ইউরোপের দেশগুলোতে জাতীয়তাবাদী চেতনাকে উস্কে দিচ্ছে৷ সালভিনি এর আগে বলেছিলেন, ইটালি আর ‘‘ইউরোপের শরণার্থী ক্যাম্প হবে না৷''
এর আগে অন্য দেশে যাওয়ার রুট হিসেবে ইটালিকে ব্যবহার করতেন শরণার্থীরা৷ কিন্তু ডাবলিন রেগুলেশনের ফলে এখন প্রথম যে দেশে শরণার্থীরা আসেন, সে দেশেই তাঁদের আশ্রয়ের আবেদন করতে হয়৷
ইউরোপ জুড়ে শরণার্থীদের চলাচল সীমিত করতে এবং একাধিক দেশে আবেদন ঠেকাতে এই রেগুলেশনে একমত হয় ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলো৷ কিন্তু এর ফলে ইটালিতে ব্যাপক হারে বেড়েছে শরণার্থীর চাপ৷
ইউরোপে বাংলাদেশিদের আশ্রয় পাওয়ার হার বাড়ছে
ইউরোপীয় কমিশনের পরিসংখ্যান বিষয়ক সংস্থা ‘ইউরোস্ট্যাট’-এর গত ১০ বছরের হিসেব বলছে, ইউরোপের বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশিদের আশ্রয়ের আবেদন সফল হওয়ার হার বাড়তির দিকে৷
ছবি: Getty Images/AFP/S. de Sakutin
তিন ধরনের সুরক্ষা
শরণার্থী, হিউম্যানিটারিয়ান ও সাবসিডিয়ারি – এই তিন ক্যাটাগরিতে আশ্রয় দেয়া হয়ে থাকে৷ যাঁরা শরণার্থী স্ট্যাটাসের যোগ্য নন, কিন্তু দেশে ফিরে গেলে মারাত্মক ক্ষতির মুখে পড়ার ঝুঁকিতে আছেন, তাঁদের সাবসিডিয়ারি সুরক্ষা দেয়া হয়৷ আর অসুস্থতা ও অভিভাবকহীন শিশুদের মানবিক (হিউম্যানিটারিয়ান) বিবেচনায় আশ্রয়ের ব্যবস্থা করা হয়৷
ছবি: picture-alliance/R. Schlesinger
২০১৭
বাংলাদেশি নাগরিকদের পক্ষ থেকে ইউরোপের বিভিন্ন দেশে গতবছর ১৬,০৯৫টি আশ্রয়ের আবেদন পড়েছে৷ আর একই সময়ে বাংলাদেশিদের করা ২,৮৩৫টি আবেদন সফল হয়েছে৷ শতকরা হিসেবে সেটি ১৭ দশমিক ৬ শতাংশ৷ জার্মানিতে আবেদন পড়েছে ২,৭২৫টি৷ সফল হয়েছে ৩১৫টি৷ এমনিভাবে অন্য কয়েকটি দেশের পরিসংখ্যান এরকম – যুক্তরাজ্য (আবেদন ১,৬৩০; সফল ৬৫), ইটালি (আবেদন ৫,৭৭৫; সফল ১,৮৮৫) এবং ফ্রান্স (আবেদন ৪,১১৫; সফল ৪৪০)৷
ছবি: imago/Cronos
২০১৬
বাংলাদেশিরা ১৪,০৮৫টি আবেদন করেছেন৷ ইতিবাচক সিদ্ধান্ত দেয়া হয়েছে ২,৩৬৫টি৷ অর্থাৎ সফলতার হার ১৬ দশমিক ৮ শতাংশ৷ কয়েকটি দেশের পরিসংখ্যান – জার্মানি (আবেদন ৬৬৫; সফল ১১০), যুক্তরাজ্য (আবেদন ১,৪০৫; সফল ৮০), ইটালি (আবেদন ৬,২২৫; সফল ১,৬১০) এবং ফ্রান্স (আবেদন ৪,১১০; সফল ৪৪০)৷
ছবি: picture alliance/dpa/D. Kalker
২০১৫
সেবছর সফলতার হার ছিল ১৫ দশমিক ৯ শতাংশ৷ আবেদন পড়েছিল ১১,২৫০টি৷ ইতিবাচক সিদ্ধান্ত ১,৭৮৫টি৷ কয়েকটি দেশের পরিসংখ্যান – জার্মানি (আবেদন ২৬৫; সফল ৩৫), যুক্তরাজ্য (আবেদন ১,০১৫; সফল ১২০), ইটালি (আবেদন ৫,০১০; সফল ১,২২৫) এবং ফ্রান্স (আবেদন ৩,৫৬০; সফল ৩১৫)৷
ছবি: Imago/Frank Sorge
২০১৪
আবেদন ৭,৫৮০টি৷ সফল ৭৮৫৷ শতকরা হার ১০ দশমিক ৩৷ কয়েকটি দেশের পরিসংখ্যান – জার্মানি (আবেদন ৪৬৫; সফল ৫০), যুক্তরাজ্য (আবেদন ৭০০; সফল ৭৫), ইটালি (আবেদন ৭৩৫; সফল ৩১৫) এবং ফ্রান্স (আবেদন ৩,৮৭০; সফল ২৬৫)৷
ছবি: Megan Williams
২০১৩
সফলতার হার ৭ দশমিক ১ শতাংশ৷ আবেদন ৮,৩৩৫৷ সফল ৫৯৫৷ কয়েকটি দেশের পরিসংখ্যান – জার্মানি (আবেদন ২৫০; সফল ২০), যুক্তরাজ্য (আবেদন ৮৩০; সফল ৫৫), ইটালি (আবেদন ৫৯০; সফল ৩০০) এবং ফ্রান্স (আবেদন ৩,৬১৫; সফল ১৪৫)৷
ছবি: picture alliance/robertharding/A. Robinson
২০১২
সফলতার হার ১৩ দশমিক ৪ শতাংশ৷ কয়েকটি দেশের পরিসংখ্যান – জার্মানি (আবেদন ১৯০; সফল ১০), যুক্তরাজ্য (আবেদন ৮০০; সফল ৫০), ইটালি (আবেদন ১,৪১০; সফল ১,০৪৫) এবং ফ্রান্স (আবেদন ৩,৭৫৫; সফল ৮৫)৷
ছবি: Imago/Rainer Weisflog
২০১১
সফলতার হার ২ দশমিক ৮ শতাংশ৷ কয়েকটি দেশের পরিসংখ্যান – জার্মানি (আবেদন ১১০; সফল ০), যুক্তরাজ্য (আবেদন ৪৮০; সফল ৪০), ইটালি (আবেদন ৮৬৫; সফল ৬৫) এবং ফ্রান্স (আবেদন ৩,৭৭০; সফল ৪৫)৷
ছবি: picture-alliance/ZUMAPRESS.com/M. Cohen
২০১০
সফলতার হার ৪ দশমিক ৮ শতাংশ৷ কয়েকটি দেশের পরিসংখ্যান – জার্মানি (আবেদন ১০৫; সফল ০), যুক্তরাজ্য (আবেদন ৪৬০; সফল ৫৫), ইটালি (আবেদন ২১৫; সফল ৪০) এবং ফ্রান্স (আবেদন ২,৪১০; সফল ২৫)৷
ছবি: picture-alliance/dpa/T. Uhlemann
২০০৯
সফলতার হার ৩ দশমিক ৮ শতাংশ৷ কয়েকটি দেশের পরিসংখ্যান – জার্মানি (আবেদন ৪০; সফল ০), যুক্তরাজ্য (আবেদন ৩৭৫; সফল ৪৫), ইটালি (আবেদন ৮৮৫; সফল ৮৫) এবং ফ্রান্স (আবেদন ১,৭৮০; সফল ৩৫)৷
ছবি: Getty Images/AFP/S. de Sakutin
২০০৮
সফলতার হার ৩ দশমিক ৬ শতাংশ৷ কয়েকটি দেশের পরিসংখ্যান – জার্মানি (আবেদন ৪০; সফল ০), যুক্তরাজ্য (আবেদন ৩৯৫; সফল ৯৫), ইটালি (আবেদন ৯৫০; সফল ৫০) এবং ফ্রান্স (আবেদন ১,৬৬০; সফল ৩৫)৷
ছবি: picture alliance/dpa/D. Kalker
৩২ দেশের হিসাব
ইউরোপীয় ইউনিয়নের ২৮ সদস্যরাষ্ট্র এবং ‘ইউরোপিয়ান ফ্রি ট্রেড এগ্রিমেন্ট’ বা ইএফটিএ-এর অন্তর্ভুক্ত আইসল্যান্ড, লিখটেনস্টাইন, নরওয়ে ও সুইজারল্যান্ডের পরিসংখ্যান অন্তর্ভুক্ত করেছে ইউরোস্ট্যাট৷ আরও পরিসংখ্যান জানতে উপরে (+) চিহ্নে ক্লিক করুন৷