1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

আসছে ইমোশন রিকগনিশন প্রযুক্তি

১৯ জানুয়ারি ২০২১

জার্মানির গবেষণা প্রতিষ্ঠান ফ্রাউনহফার ইন্সটিটিউট ইমোশন রিকগনিশন নিয়ে কাজ করছে৷ ফেসিয়াল রিকগনিশনের মতো এই প্রযুক্তিও ভবিষ্যতে নজরদারিতে ব্যবহৃত হতে পারে৷

Symbolbild l Feminismus und Artificial Intelligence AI
ছবি: Axel Bueckert/Zoonar/picture-alliance

একেক মানুষ একেকভাবে মনের ভাব প্রকাশ করে৷ তাই একই আবেগ প্রকাশ করতে গিয়ে একেকজনের মুখের অভিব্যক্তি একেকরকম হয়৷ জার্মানির ফ্রাউনহফার ইন্সটিটিউট আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স দিয়ে এসব অভিব্যক্তি চেনার সফটওয়্যার তৈরির চেষ্টা করছে৷ কিন্তু সব সংস্কৃতির মানুষই কি একইভাবে রাগ, ভালো লাগা প্রকাশ করে?

ফ্রাউনহফার ইন্সটিটিউটের ইয়েন্স গারবাস বলেন, ‘‘মুখের অনেক অভিব্যক্তি দেখে আবেগ বোঝা যায়৷ যেমন পেশীর নড়াচড়া, হাসি, রাগ, দুঃখ ইত্যাদি৷ বেশিরভাগ সংস্কৃতিতে বিষয়টা একই৷ মানুষ হিসেবে আমি মুখ দেখে যতটা আবেগ বুঝতে পারি সেটা সফটওয়্যারকেও শেখানো যায়৷ এবং এক্ষেত্রে সফলতার হার অনেক বেশি৷''

ফ্রাউনহফারের বিজ্ঞানীরা মুখের অভিব্যক্তির ছবি দিয়ে সফটওয়্যারকে প্রশিক্ষণ দেয়ার চেষ্টা করছে৷ কিন্তু এটা প্রয়োজন কেন?

গারবাস বলেন, ‘‘একটা সাধারণ ব্যবহার হচ্ছে মেশিন ও মানুষের মধ্যে ভাব বিনিময়৷ যেমন এর মাধ্যমে সোশ্যাল সিগন্যাল ও মুখের অভিব্যক্তি সম্পর্কে অটিস্টিক শিশুদের প্রশিক্ষণ দিতে রোবটকে ব্যবহার করা যায়৷ এছাড়া গাড়ি চালানোর সময়ও এর ব্যবহার আছে৷ চালকের মানসিক অবস্থা বোঝা, তিনি বেশি চাপে আছেন কিনা, কোনো কিছু নিয়ে অন্যমনস্ক হয়ে আছেন কিনা, তা বোঝা যেতে পারে৷’’

তাহলে ইমোশন রিকগনিশন প্রযুক্তি কি নিরাপদ?

অনুভূতিও শনাক্ত করবে প্রযুক্তি

03:39

This browser does not support the video element.

ইয়েন্স গারবাস বলেন, ‘‘এই প্রযুক্তি দিয়ে মানুষের উপর নজর রাখা, তাকে নিয়ন্ত্রণ করা যেতে পারে৷ তাই এই প্রযুক্তির ব্যবহার নিয়ে সতর্ক থাকা জরুরি৷ সেটা তখনই সম্ভব যখন আমরা ভালোভাবে জানবো যে, এটা দিয়ে কী করা যায়, আর কী যায় না৷ এছাড়া প্রযুক্তির নিয়ন্ত্রণ নিজেদের কাছে থাকাটাও জরুরি৷’’

তাদের সফটওয়্যার দিয়ে এখনও নজরদারি করা হচ্ছে না বলে জানান ফ্রাউনহফারের বিজ্ঞানীরা৷

ফেসিয়াল রিকগনিশন প্রযুক্তির উন্নতির কারণে এখন সেটা দিয়ে নজরদারি চালানো হচ্ছে৷

ভবিষ্যতে ইমোশন রিকগনিশন প্রযুক্তি কাজ শুরু করলে মানুষের আচরণে পরিবর্তন আসতে পারে৷

আইটি বিশেষজ্ঞ ও সাংবাদিক মার্কুস বেকেডাল বলেন, ‘‘তখন আমরা ভাব প্রকাশে আরো সতর্ক হবো৷ ফলে স্বাধীনভাবে ভাব প্রকাশ করতে পারবো না৷ সবসময় মনে হবে আমাদের কেউ দেখছে৷ সুতরাং হাসো৷ নইলে ভবিষ্যতে এই ছবি তোমার বিরুদ্ধে ব্যবহার হতে পারে৷ ইতিমধ্যে চীনে এমন পরিস্থিতি তৈরি হওয়া শুরু করেছে৷ আমার আশা, জার্মানিতে যেন কখনও এমন অবস্থা তৈরি না হয়৷’’

চীনে ব্যাপকভাবে ফেসিয়াল রিকগনিশন প্রযুক্তির ব্যবহার হচ্ছে৷ উদ্দেশ্য মানুষকে নিয়ন্ত্রণে রাখা৷

হলিউডের মাইনোরিটি রিপোর্ট মুভিতে ২০ বছর আগে যা দেখানো হয়েছে এখন সেটা বাস্তবে চলে এসেছে৷ টম ক্রুজ যেমন নজরদারির মধ্যে ছিলেন, এখন চীনে সেটা হচ্ছে৷ অর্থাৎ আমরা যতটা ভাবছি, ভবিষ্যৎ তার চেয়েও কাছে চলে এসেছে৷

টোমাস হিলেব্রান্ডট/জেডএইচ

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ