1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সিরিয়ায় ‘খতমের শাসন’

২৭ মে ২০১২

সিরিয়ার হাওলা শহরে ৩২টি দশ বছরের কম বয়সী শিশু সহ ৯০ জনকে হত্যা করার ঘটনার পর গোটা দুনিয়ায় প্রতিক্রিয়া তীব্র হচ্ছে৷ আসাদ প্রশাসনের জবাব, এ কাজ জঙ্গি গোষ্ঠীর৷

ছবি: Reuters

খতমের অনুশাসন

সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের প্রশাসন কী এভাবেই নির্বিচারে হত্যার শাসন চালিয়ে যাবেন আর গোটা দুনিয়া চুপ করে মুখ বুঁজে থাকবে? এ প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে ২৬ মে, ২০১২ তারিখের পর৷ হাওলা শহরে নৃশংস বর্বরতা চালিয়েছে আসাদের সেনাবাহিনী৷ ১০ বছরের কম বয়সী শিশুদেরকেও তারা রেয়াৎ করেনি৷ অবিরাম গোলাবর্ষণ করে মোট ৯০ জনকে হত্যা করেছে তারা৷ মিডিয়া মারফৎ গোটা বিশ্বে সে খবর ছড়িয়ে পড়ের পর স্বভাবতই তার প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে সর্বত্র৷ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দাবি, আসাদের এই ‘হত্যার শাসন' বন্ধ করার সময় এসে গিয়েছে৷ ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী উইলিয়াম হেগ বলছেন, জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে এই সপ্তাহেই একটি জরুরি বৈঠক ডেকে সেখানেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে৷ সেই বৈঠকের তোড়জোড় শুরু করেছে জাতিসংঘ৷ তীব্র প্রতিবাদে মুখর আরব দুনিয়ার আরব লিগ, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, ফ্রান্স, জার্মানি সহ বিশ্বের প্রতিটি দেশ এবং অঞ্চল৷

দুমা শহরে জাতিসংঘের পর্যবেক্ষকদের একাংশছবি: picture-alliance/dpa

কীভাবে এই গণহত্যা?

হাওলা শহরটি হোমস এলাকার মধ্যেই পড়ে৷ বিদ্রোহীদের ছত্রভঙ্গ করতে যে হোমস এলাকায় বিগত বেশ কয়েক সপ্তাহ ধরে ক্রমাগত গোলাবর্ষণ করে চলেছে সিরিয়ার সেনাবাহিনী৷ প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ান থেকে জানা যাচ্ছে, শুক্রবার হাওলা শহরে একটি প্রতিবাদ মিছিলের আয়োজন করা হয়েছিল৷ সেই মিছিলের পরেই শুরু হয় হাওলা শহরে গোলাবর্ষণ৷ কিছু মানুষ গোলায় নিহত হয়৷ তারপরে সেখানে নামে আসাদের কুখ্যাত ‘শাবিহা' মিলিশিয়া বাহিনী৷ সব মিলিয়ে ভয়ংকর মৃত্যুর তান্ডব চলে শহর জুড়ে৷

সিরিয়ায় জাতিসংঘের পর্যবেক্ষকরা থাকা স্বত্ত্বেও এই ঘটনা

কিছুতেই আসলে এখন কিছু যায় আসেনা আসাদ প্রশাসনের৷ জাতিসংঘের তরফে পর্যবেক্ষকদের উপস্থিতি পরিস্থিতির কোন পরিবর্তন ঘটাতে পারেনি৷ এবং যথারীতি আসাদ প্রশাসনের তরফে দাবি করা হয়েছে, সেনাবাহিনী নয়, এই হত্যাকান্ড চালিয়েছে সশস্ত্র জঙ্গিবাহিনী৷ উল্লেখ্যে, এ পর্যন্ত সিরিয়ায় সহিংসতার প্রসঙ্গে অধিকাংশ ক্ষেত্রে সেনাবাহিনীকে সবসময়েই আড়াল করে চলেছে আসাদ প্রশাসন৷ এবারেও সেই একই ছবি৷ তবে আন্তর্জাতিক চাপ যেভাবে বাড়ছে এই ঘটনার প্রতিক্রিয়ায়, তাতে এই সপ্তাহের মধ্যে নতুন কোন দিকনির্দেশ মিলতেই পারে৷

প্রতিবেদন: সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায় (ডিপিএ, এপি, এএফপি)

সম্পাদনা: জাহিদুল হক

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ