1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা

২০ আগস্ট ২০১২

আসামে সাম্প্রদায়িক উত্তাপ ও ভিন রাজ্যের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় মানুষের মনে আতঙ্ক ছড়াতে পাকিস্তানের সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটগুলি ইন্ধন যোগাচ্ছে৷ এ নিয়েই ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কথা বলেন পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে৷

ছবি: Reuters

আসামের সহিংস ঘটনার জেরে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা এবং ভারতের ভিন রাজ্যে বসবাসকারী উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যের বাসিন্দাদের মনে আতঙ্ক ছড়িয়ে দিতে পাকিস্তানের সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটগুলি ইন্ধন যোগাচ্ছে, এই অভিযোগে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুশীল শিন্ডে টেলিফোনে কথা বলেন পাকিস্তানের স্বরাষ্টমন্ত্রী রেহমান মালিকের সঙ্গে৷ অভিযোগ অস্বীকার করে পাকিস্তান জানায়, প্রমাণ দিলে, তদন্ত করা হবে৷ ভারত প্রমাণ দেবে বলে জানিয়েছে৷

ভারতের অভিযোগ, পাকিস্তান থেকে আপলোড করা হচ্ছে ভুয়ো ছবি ও ক্লিপিংস৷ সেইসব ছবির সঙ্গে আসামের ঘটনার কোনো যোগ নেই৷ আছে মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের ঘর ছাড়ার এবং নার্গিস ঝড় বিধ্বস্ত মিয়ানমারের মানুষের ছবি৷ আছে তিব্বতে ও থাইল্যান্ডে ঝড়বৃষ্টি, বন্যা ও ভূমিকম্প বিধ্বস্ত ঘরবাড়ির ছবি৷ ঐ এলাকার অধিবাসীদের চেহারার মধ্যে একটা মিল থাকায়, তা আসামের বলে চালাতে সুবিধা হয়৷ ১৩ই জুলাই থেকে পাকিস্তানের জঙ্গিগোষ্ঠী এই ওয়েব বার্তা ছড়ানোর কাজ শুরু করে৷ তাতে ভীত হয়ে ভিন রাজ্যে ছড়িয়ে থাকা উত্তর-পূর্ব ভারতের লোকজন ঘরে ফিরতে শুরু করে৷

আতঙ্ক বাড়ছে....তাই ঘরছাড়া হয়েছেন অনেকেই...ছবি: dapd

এরপর ৭০টির মতো বিপজ্জনক পাকিস্তানি এবং অন্য ওয়েবসাইট ব্লক করে দিয়েছে সরকার৷ আরো ৮০টি ওয়েবসাইট ব্লক করা হচ্ছে৷ সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং-এ ভুয়ো প্রোফাইল বানিয়ে ভিডিওগুলি পোস্ট করা হচ্ছে৷ যেসব কম্পিউটার থেকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ভুয়ো ছবি আপলোড করা হচ্ছে, ভারত গুগলের কাছে সেগুলির আইপি অ্যাড্রেস চেয়েছে৷

বিজেপি'র এক বড় নেতা মনে করেন, পাকিস্তানের ভারত বিদ্বেষ জানা কথা৷ তাদের দিকে নতুন করে অভিযোগের আঙুল না তুলে যারা ভারতীয় পাসপোর্ট নিয়ে ষড়যন্ত্রীদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে দেশের সুস্থিতি নষ্ট করতে চাইছে, তাদের শাস্তি দেয়া হোক৷

ঈদ-উপলক্ষ্যে ভারতের বিভিন্ন মুসলিম সংগঠন ও নেতারা গুজবে কান না দিয়ে সাম্প্রদায়িক শান্তি ও সদ্ভাব বজায় রাখার আবেদন জানিয়ে বলেন, উত্তর-পূর্ব রাজ্যের মানুষের প্রতি মুসলিমদের কোনো বিদ্বেষ নেই৷

প্রতিবেদন: অনিল চট্টোপাধ্যায়, নতুন দিল্লি

সম্পাদনা: দেবারতি গুহ

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ