উত্তর-পূর্ব ভারতের আসাম রাজ্যে কাজিরাঙ্গা ন্যাশনাল পার্ক, যেখানে গণ্ডার, বাঘ, হাতি আর বুনো মোষদের বাস৷ কিন্তু পার্কের সীমানা ছাড়ালেই মানুষের বাস ও বসতি৷ কাজেই সংঘাত অনিবার্য – কিন্তু তারও সমাধান আছে৷
বিজ্ঞাপন
মানুষ আর পশুর সংঘাত
05:15
বাপ-মা নেই, এমন একটি বাচ্চা হাতিকে মানুষ করা সোজা কাজ নয়৷ বন্যপ্রাণী ত্রাণ ও সংরক্ষণ কেন্দ্রের কর্মীরা দিনের বেশ কয়েক ঘণ্টা সময় কাটান বাচ্চা হাতিগুলোকে আদর করে ও তাদের সঙ্গে খেলতে – নয়ত নাকি তারা বাঁচে না, অতীতে যেমন দেখা গেছে৷
বন্যপ্রাণী ত্রাণ কেন্দ্রের চত্বরে ১৩টি ছোট গণ্ডারের ছানা, এছাড়া হগ ডিয়ার, চিতাবাঘ ও নানা ধরনের বানর রাখা আছে৷ এদের অধিকাংশই এসেছে কাছের কাজিরাঙ্গা ন্যাশনাল পার্ক থেকে৷
এই বাচ্চা হাতিটিকে একটি নালা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে – যা প্রায়ই ঘটে থাকে৷ এছাড়া গাড়ি দুর্ঘটনা তো লেগেই আছে৷
হাতি পোষা
ইন্টারন্যাশনাল ফান্ড ফর অ্যানিমাল ওয়েলফেয়ার (আইএফএডাবলিউ) এবং ওয়াইল্ডলাইফ ট্রাস্ট অফ ইন্ডিয়া-এর (ডাব্লিউটিআই) ড. পাঞ্জিত বসুমাতারি বললেন, ‘‘বাচ্চা হাতিদের রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা খুব জোরদার নয়৷ কাজেই আমাদের খুব সাবধানে থাকতে হয়৷ আগে একটা বাচ্চা হাতির কাছে ২৪ ঘণ্টা একজন পরিচারক থাকত, কিন্তু তাও অনেক ভুল হতে পারে৷ বাচ্চা হাতিরা সর্বত্র তাদের শুঁড় ঢোকায় – মানুষের কাছ থেকে ওরা নানা ধরনের রোগ-জীবাণু পেতে পারে৷''
একটি হাতির পদচিহ্নে জীবনধারণ
হাতিরা সত্যিই অদ্ভুত সুন্দর এক প্রাণি৷ না, শুধু তাদের শুঁড়ের কারণে নয়, তাদের পা-ও ভীষণ স্বতন্ত্র৷ হাতিদের রেখে যাওয়া যে পদচিহ্নগুলো যখন জলে ভরে যায়, তখন তাতে অনেক প্রাণি এসে বাস করে৷ চলুন তাদের দেখে নেওয়া যাক...৷
ছবি: picture-alliance/Mary Evans Picture Library
প্রাকৃতিক প্রকৌশলী
হাতি ছাড়া আফ্রিকার কী দশা হতো একবার ভেবে দেখেছেন? পর্যটকদের বিরাট একটা আকর্ষণ যেত উধাও হয়ে৷ আফ্রিকাতে গিয়ে মস্ত কানের হাতিগুলোর আর দেখা মিলতো না৷ তবে বাস্তুসংস্থান এবং পরিবেশ রক্ষাতেও এই বিশাল প্রাণিগুলোর অবদান কিন্তু কম নয়৷
ছবি: CC BY 2.0/Benh LIEU SONG
বিশাল পায়ের পাতা
একটা বড় হাতির ওজন কমপক্ষে ৫ মেট্রিকটন৷ তাই এদের পায়ের পাতাও যে বিশালাকার হবে, সেটাই তো স্বাভাবিক৷ তাই না? তা হাতিরা যখন জঙ্গল বা শুষ্ক এলাকায় হেঁটে বেড়ায়, তখন মাটির ওপর পায়ের গভীর ছাপ রেখে যায় তারা৷ মানে তাদের পায়ের চাপে মাটিতে বিশাল বিশাল গর্তের সৃষ্টি হয়৷
ছবি: picture-alliance/Mary Evans Picture Library
ছোট্ট পুকুর
মাটির ধরনের ওপর নির্ভর করে হাতিদের পায়ের চাপে ঠিক কত বড় ও গভীর গর্ত হবে৷ যত নরম মাটি, তত গভীর গর্ত৷ তবে সাধারণত হাতির পায়ের ছাপ দেড় ফুট পর্যন্ত গভীর হয়৷ আর সেই গর্ত যখন পানিতে ভরে যায়, তখন তা রূপ নেয় একটা ছোট্ট পুকুরের৷ এবং নিমেষেই তা পোকা-মাকড়ের ঘরবসতি হয়ে ওঠে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/Senckenberg Museum of Natural History Görlitz/Viola Clausnitzer/
গণনা
সেনকেনব্যার্গ নেচার রিসার্চ সোসাইটি-র গবেষকরা রুয়ান্ডার কিবাল জঙ্গলে হাতির পায়ের ছাপ পরীক্ষা করে দেখেছেন৷ এক একটি পায়ের ছাপে কমপক্ষে ৬১ রকম প্রজাতির পোকা-মাকড়ের সন্ধান পেয়েছেন তারা৷ এদের মধ্যে পানির পোকাও রয়েছে৷
ছবি: picture-alliance/blickwinkel/A. Hartl
প্রজননের জন্য বিস্তর জায়গা
অনেক পোকা-মাকড় ডিম পাড়ার জন্য এ ধরনের ছোট্ট পুকুরকে বেছে নেয়৷ এর দু’টি উদাহরণ হলো – ফড়িং এবং মশা৷ তাই ডিম পাড়ার মাত্র পাঁচদিনের মধ্যেই এই গর্তগুলোর পানি শূককীটে ভরে যায়৷
ছবি: picture-alliance/blickwinkel/F. Fox
আমার এলাকা
পূর্ণ বয়স্ক ফড়িংরা তাদের এই পুকুরটিকে ভীষণ ভালোবাসে৷ শুধু তাই নয়, অন্যরা যাতে সেখানে ভাগ না বসায় সেটা প্রতিরোধ করে তারা৷ এ ধরনের সুন্দর একটা বাড়ি তো রক্ষা করাই উচিত, তাই না?
ছবি: picture-alliance/blickwinkel/P. Schuetz
অন্ধকার দিক
যেসব মশা ঐ পুলে জন্ম নেয়, সেগুলো ঐ এলাকার পাখিসহ অন্যান্য প্রাণিদের খাদ্য৷ অর্থাৎ এক্ষেত্রে বাস্তুসংস্থানেরও একটা গুরুত্ব রয়েছে৷ তবে ম্যালেরিয়া এবং ডেঙ্গুর মতো রোগ ছড়াতেও তাদের তুলনা নেই!
ছবি: picture alliance/dpa/AP Photo/F. Dana
7 ছবি1 | 7
যে কারণে ডক্টর বসুমাতারি বাচ্চা হাতিদের সঙ্গে তাদের মানুষ বাপ-মায়েদের ঘাঁটাঘাটি যতটা সম্ভব কম রাখার চেষ্টা করেন৷ তবে মায়ের শরীরের তাপ আবার বাচ্চা হাতিদের গরম রাখে – তাই বিকল্পের ব্যবস্থা করতে হয়েছে৷ দু'টি করে বাচ্চা হাতিকে এখন একটি কাঠের বেড়া দেওয়া চত্বরে রাখা হয় – দক্ষিণ আফ্রিকার মতো যাকে এখানেও ‘ক্রাল' বলা হয়৷ ‘ক্রালে' খেলবার জায়গা তো আছেই, এছাড়া ঢাকা দেওয়া একটি শোবার জায়গাও আছে৷ শীতের রাত্রে বাচ্চা হাতিদের গায়ে কম্বল ও পায়ে মোজা পরানো হয়৷
ড. বসুমাতারি জানালেন, ‘‘আমরা চেষ্টা করি, বাচ্চা হাতিগুলোকে যতদূর সম্ভব স্বাভাবিক ভাবে রাখতে, অর্থাৎ বাড়িতে না রেখে বাড়ির বাইরে রাখতে৷ সেটা অন্তত কিছুটা মুক্ত প্রকৃতির মতো, যখন ওরা ওদের মায়েদের সঙ্গে ছিল৷ এর ফলে পরে ওদের আবার জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া সহজ হয়৷''
চা-বাগান বাড়ছে
আসামে মানুষ আর বন্যপ্রাণী গা ঘেঁষাঘেষি করে থাকে৷ এদিকে পশু চিকিৎসা কেন্দ্র আর কাজিরাঙ্গা জাতীয় উদ্যানের মধ্যে রয়েছে এই এলাকার সবচেয়ে যানবহুল রাস্তা৷ এখানকার মানুষের জীবিকা চলে পর্যটন ও কৃষিকাজ থেকে৷ এছাড়া আছে অসংখ্য কাজের হাতি, পোষা হাতি৷ রাস্তার পাশ থেকেই উঠে গেছে চা-বাগানের পর চা-বাগান৷ সুবিখ্যাত ‘আসাম টি' এখানেই তৈরি হয়ে থাকে৷ তবে তার কুফলও আছে৷
চাষি পদ্ম গোগোই জানালেন, ‘‘সমস্যা বেড়েই চলেছে৷ চা-বাগানগুলো ক্রমেই পাহাড়ের ঢাল বেয়ে ওপরে উঠছে আর হাতিদের জন্য আরো কম জঙ্গল বাকি থাকছে৷ কাজেই ওরা এখানে নেমে এসে আমাদের ক্ষেতখামার তছনছ করে, বাড়িঘরদোর ভাঙে, মানুষ মারে৷ বুনো মোষরা ন্যাশনাল পার্ক ছেড়ে বাইরে আসে খাবার খুঁজতে৷ বাঘেরা তাদের পিছনে পিছনে আসে শিকারের খোঁজে৷ কাজেই বাঘের হাতে মানুষও মরে৷''
কাজিরাঙ্গা ন্যাশনাল পার্কে জীবজন্তুদের স্বচ্ছন্দ বিচরণ৷ এখানে গণ্ডারদের সংখ্যা যতটা স্থিতিশীল, সেটা বিশ্বের আর কোথাও নয়৷ কিন্তু এখানকার মানুষদের মাঝেমধ্যে মনে হয়, সরকারের কাছে যেন মানুষের চেয়ে জীবজন্তুর দামই বেশি!
ভারতের চা বিক্রেতাদের কথা
রেশম গেলাটলি এবং জ্যাক মার্কস-এর প্রকল্পের নাম ‘ভারতের চায়েওয়ালা’৷ এই প্রকল্পের অংশ হিসেবে ভারত চষে বেড়াচ্ছেন তাঁরা৷ তাঁদের মতে, ‘চায়ে’ বা চা ভারতের সমাজের এক গুরুত্বপূর্ণ অংশ৷ এই নিয়ে ছবিঘর৷
ছবি: R. Gellatly/Z. Marks
রাস্তায় ‘চায়ে’
ভারতের প্রায় প্রতিটি রাস্তার কিনারে ‘চায়ে’ বা চা বিক্রেতাদের দেখা মেলে৷ প্রত্যেক বিক্রেতার আবার রয়েছে নিজস্ব ‘রেসিপির’ চা৷ ছবিতে মুম্বই হাইকোর্টের কাছের চা বিক্রেতা বংশী তাঁর খদ্দেরের হাতে চা তুলে দিচ্ছেন৷ অনেক আইনজীবী, এমনকি বিচারকও বংশীর চায়ের বিশেষ ভক্ত৷
ছবি: R. Gellatly/Z. Marks
‘টি(ম) গেম’
এই ছবিটি রাজস্থানের ক্লক টাওয়ার মার্কেটের সামনে অবস্থিত শ্রী রাম টি স্টলের৷ মহিন্দ্র তাঁর খদ্দেরদের মাঝে চা বিতরণ করছেন৷ তিনিসহ তিনজনের একটি দল দোকানটি চালাচ্ছেন৷ রাজা চা তৈরি করেন, হরেশ কাগজের কাপে করে মার্কেটের বিভিন্ন দোকানে চা পৌঁছে দেন এবং মহিন্দ্র গ্লাস কাপে খদ্দেরদের চা দেন৷ চার কাপ চা এক হাতে ধরে নিয়ে যেতে বিশেষ পারদর্শী মহিন্দ্র৷
ছবি: R. Gellatly/Z. Marks
নারীর একক চেষ্টা
কলকাতার একটি আধুনিক শপিং কমপ্লেক্সের সামনে চা বানান মীনাক্ষী৷ পুরো চায়ের দোকান প্রায়শই একা সামলান তিনি৷ তাঁর স্বামী বাড়িতে তাদের চার বছরের ছেলেকে দেখাশোনা করেন৷
ছবি: R. Gellatly/Z. Marks
তারকাদের জন্য চা
বলিউড ছবি তৈরির সেটে ‘স্পট বয়দের’ দেখা মেলে, যাদের কাজ হচ্ছে ক্যামেরার ভারি যন্ত্রপাতি সরানো এবং চা তৈরি৷ বলিউডের বড় তারকাদের চা পান করিয়ে মুম্বইয়ে বেশ নাম করেছেন ছট্টু৷ প্রিয় তারকা সম্পর্কে জানতে চাইলে কূটনৈতিক সুরে ছট্টুর জবাব, ‘‘আমি নির্দিষ্ট একজনকে প্রিয় বলতে পারিনা, কারণ আমি সবার সঙ্গেই কাজ করি৷’’
ছবি: R. Gellatly/Z. Marks
কখনোই বুড়ো নয়
৭৩ বছরের জীবনের অধিকাংশ সময় কলকাতার বড় বাজারে পশু পালন করেছেন শিবনাথ রাই যাদব৷ কিন্তু দশ বছর আগে তাঁকে বলা হয় পশুর খামার শহরের বাইরে সরিয়ে নিতে৷ তখন চা বিক্রির নতুন পেশা শুরু করেন তিনি৷ তিনি চা তৈরিতে কোন পানি ব্যবহার করেন না৷ শুধু দুধ দিয়ে চা বানান৷ আর এটাই শিবনাথের বৈশিষ্ট্য৷
ছবি: R. Gellatly/Z. Marks
দৈনিক আয় বারো ইউরো
গঙ্গা নদীর তীরে একটি পিঁড়িতে বসে চা, বিস্কিট এবং সিগারেট বিক্রি করেন সুনীতা দেবী৷ তাঁর চায়ের খদ্দের মূলত নদীর এ পাড় থেকে ও পাড় মানুষ পারাপারের কাঠের নৌকার মাঝিরা৷ সুনীতা দিনে গড়ে দু’শো কাপ চা বিক্রি করেন৷ ইউরোর হিসেবে তাঁর দৈনিক আয় বারো ইউরোর মতো৷
ছবি: R. Gellatly/Z. Marks
পুজার সময় সারা রাত খোলা
শোভন বরওয়ার চায়ের দোকানের অবস্থান কলকাতার আলীপুরে৷ সাধারণ রাত দশটা পর্যন্ত দোকান খেলা রাখেন তিনি৷ কিন্তু দুর্গা পুজার সময় ভোর পাঁচটা অবধি চা বেঁচেন তিনি৷ পুজা দেখতে আসা দর্শনার্থীরা রাত জেগে বিভিন্ন প্যান্ডেল ঘুরতে চান৷ তাই তাদের সজাগ রাখতে সারারাত চা বেচেন শোভন৷
ছবি: R. Gellatly/Z. Marks
যাত্রীদের সহায়তা
গনেশের চায়ের দোকানের অবস্থান বিহারের পাটনা ট্রেন স্টেশনে৷ এই ছবি যখন তোলা হয়, তখন রাতের শেষ পট চা চুলায় চড়িয়েছেন তিনি৷ গনেশের দোকানের পাশেই রয়েছে আরেকটি চায়ের দোকান৷ তবে দুই দোকানি একে অপরকে প্রতিদ্বন্দ্বী মনে করেন না৷ বরং দু’টি দোকান হওয়ায় ব্যস্ত সময়ে যাত্রীদের কাছে দ্রুত চা পৌঁছানো যায়, এতেই সন্তুষ্ট গনেশ৷
ছবি: R. Gellatly/Z. Marks
‘চায়ে ওয়ালা’ প্রকল্প
মার্কিন সাংবাদিক রেশম গেলাটলি (বামে) এবং জ্যাক মার্কস (ডানে) ২০১০-২০১১ সালে ভারতে বসবাসের সময় প্রথম চাওয়ালাদের সঙ্গে পরিচিত হন৷ পরবর্তীতে ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলের চাওয়ালাদের কথা জানতে এবং তাদের কথা গোটা বিশ্বকে জানাতে আগ্রহী হন তারা৷ আর সেই আগ্রহ থেকেই চলছে তাদের প্রকল্প ‘ভারতের চায়ে ওয়ালা’৷
ছবি: R. Gellatly/Z. Marks
9 ছবি1 | 9
তাই মানুষজন নিজেরাই যেটুকু পারেন, তা করেন৷ গাঁয়ের পুরুষরা প্রতি রাত্রে জাতীয় উদ্যান আর তাদের ক্ষেতখামারের মাঝখানের সীমানায় টহল দেন৷ টর্চের আলো ফেলে তারা বুনো জন্তুদের পার্কে ফেরৎ পাঠানোর চেষ্টা করেন৷ সত্যিকারের বিপদ দেখা দিলে অবশ্য তাদের বিশেষ কিছু করবার নেই – তবে এই টহলদারির ফলে তাদের পরিবারের লোকজনেরা নাকি স্বস্তিতে ঘুমোতে পারেন৷
হাতিরা যাবে মানসে
হাতিদের আবার স্বাধীনভাবে বেঁচে থাকা শিখতে হবে৷ গত পাঁচ বছরের হাতির বাচ্চাদের নিয়ে একটা ছোটখাট দল তৈরি হয়েছে৷ রোজ হাঁটতে বেরিয়ে এই হাতিরা শেখে, জঙ্গলে তারা কী খেতে পারে অথবা না পারে – আর সেই সঙ্গে, কী করে মানুষের বসতি আর রাস্তা থেকে দূরে থাকতে হয়৷ পরের বছর তাদের অন্য একটা বড় ন্যাশনাল পার্কে নিয়ে গিয়ে ছেড়ে দেওয়া হবে৷
বাচ্চা হাতিদের পরিচারক তরুণ গোগোই বললেন, ‘‘আমরা ওদের বোতলে দুধ খাইয়ে বড় করছি৷ এর পর ওদের যখন মানস পার্কে নিয়ে যাব – তখন খুব মন খারাপ হবে৷ তবে আমি যদি কখনো-সখনো ওখানে গিয়ে ওদের নাম ধরে ডাকি, তাহলে ওরা আমাকে খুঁজতে আসে৷ ওদের স্বাভাবিক পরিবেশে ওদের দেখতে পেয়ে খুব ভালো লাগে: বনে-জঙ্গলে, সেখানেই তো ওদের জায়গা৷''
খোকা হাতিদের মানসে যেতে এখনও অনেক দেরি – তবে এরই মধ্যে ওদের দেখলে কে বলবে যে ওরা একটা হাতির পাল নয়?