আড়াই হাজার বছরের প্রাচীন স্যুপ খুঁজে বের করলো চীন
১৪ ডিসেম্বর ২০১০এর আগে আর কখনও হাড়সহ স্যুপের বাটি পাওয়া যায়নি৷ শানশি প্রদেশের প্রত্নতত্ত্ব ইনস্টিটিউটের লিউ দাইয়ূন বলছেন,‘‘ চীনের প্রত্নতাত্ত্বিক ইতিহাসে এই ধরণের আবিষ্কার এটাই প্রথম৷ খ্রিষ্টপূর্ব ৪৭৫ থেকে ২২১ অব্দের সময়কার খ্যাদ্যাভ্যাস এবং সংস্কৃতি জানতে এই আবিষ্কার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে৷''
সীলমোহর করা তামার একটি ছোট পাত্রে এই স্যুপ এবং হাড় পাওয়া গেছে৷ শিয়ান বিমানবন্দরের জন্য জায়গা সম্প্রসারণ করার সময় একটি সমাধিক্ষেত্রে খননকাজ চালাতে গিয়ে পাওয়া যায় স্যুপের পাত্রটি৷ চীনের বিখ্যাত টেরাকটা যোদ্ধাদের মূর্তি পাওয়া গিয়েছিল এই শিয়ান এলাকাতেই৷
এতোদিন তামার পাত্রে থাকার কারণে তরল স্যুপ ও হাড় সবুজ রং ধারণ করেছে৷ এটা যে আসলেই স্যুপ এবং কী ধরণের উপকরণ দিয়ে এই স্যুপ তৈরি করা হয়েছিলো তা নিশ্চিত হতে এখন বিজ্ঞানীরা চালাবেন পরীক্ষা-নিরীক্ষা৷ প্রত্নতাত্ত্বিকরা মাটির নীচে ব্রোঞ্জের আরেকটি পাত্র পেয়েছেন৷ সেই পাত্রের মধ্যে রয়েছে গন্ধবিহীন তরল পদার্থ৷ ধারণা করা হচ্ছে, এখানে জোতদার শ্রেণীর কারো সামরিক কোনো কর্মকর্তার কবর ছিলো৷
প্রায় এগারোশ বছর আগে চীনের রাজধানী ছিলো শিয়ান৷ জিয়াবোতে রয়েছে কিন শিহুয়াং এর সমাধিস্থল৷ খিষ্টপূর্ব ২২১ অব্দে তাঁরই নেতৃত্বে চীন হয় একত্রিত৷ তিনিই চীনের প্রথম সম্রাট হিসেবে নিজেকে ঘোষণা করেন৷ তাঁর সমাধির জায়গাতেই পাওয়া গেছে সৈন্যদের পোড়ামাটির মূর্তি৷ ১৯৭৪ সালে শিয়ানের কয়েকজন কৃষক মাটি খনন করার সময় খুঁজে পান পোড়ামাটির সৈন্য ও ঘোড়ার মূর্তি৷ পাওয়া যায় ব্রোঞ্জের তৈরি তলোয়ারের মতো বিভিন্ন যুদ্ধসামগ্রী৷ ১৯৮০ সালে মাটি খোঁড়ার সময় দু'টি বড় আকারের ব্রোঞ্জের তৈরি রথ ও ঘোড়া পাওয়া গিয়েছিলো শিয়ানে৷
প্রতিবেদন: জান্নাতুল ফেরদৌস
সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক