মাশরাফী বিন মোর্ত্তজার অবসর নিয়ে নাটক৷ সাকিব আল হাসানের আইপিএল খেলতে যাওয়া নিয়ে ধারাবাহিক নাটক৷ এখন হুট করে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের টেস্ট-অবসরের ক্লাইমেক্স৷
বিজ্ঞাপন
কিছু দিন পরপরই যেন বাংলাদেশের ক্রিকেট হয়ে যাচ্ছে নাটকের মঞ্চ৷ যেখানে ক্রিকেটার ও ক্রিকেট বোর্ড মুখোমুখি পরষ্পরের! কেন?
ছড়িয়ে থাকা ফুল কুড়িয়ে মালা গাঁথা যায়৷ ছিঁটানো কাঁটাগুলো এক হয়েও তো তেমনি তৈরি হতে পারে মুকুট৷ সেই কাঁটার মুকুটই এখন বাংলাদেশ ক্রিকেটের কলঙ্ক৷ একের পর এক ঘটনা যে ঘটেই চলেছে, যার সর্বশেষ সংযোজন মাহমুদউল্লাহর টেস্ট অবসর৷
বাইরে থেকে তাই যতই সুখী পরিবারের ছবি দেখাক না কেন, অসুখটা আড়াল করা যাচ্ছে কই!
বেশ ছিলেন মাহমুদউল্লাহ; অন্তত ফুরফুরে মেজাজেই তো থাকার কথা৷ প্রায় দেড় বছর পর টেস্ট দলে ডাক পেয়েছেন৷ সেটিও কুড়িয়ে পাওয়া চৌদ্দ আনার মতো সুযোগ৷ সুযোগটা কাজে লাগিয়ে ক্যারিয়ারসেরা দেড়শ রানের ইনিংস খেললেন জিম্বাবোয়ের বিপক্ষে৷ গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে এই ফরম্যাট থেকে বাদ দেবার সময় কোচ রাসেল ডমিঙ্গো এপিটাফ লিখে ফেলেছিলেন মাহমুদউল্লাহর টেস্ট ক্যারিয়ারের৷ তার জন্য এমন প্রত্যাবর্তন তো রূপকথার মতোই!
আমিনুল ইসলাম বুলবুল
অথচ ওই ইনিংস খেলার পর, ম্যাচের মাঝপথেই কিনা সতীর্থদের জানিয়ে দেন, সাদা পোশাকে এই তার শেষ ম্যাচ! মাহমুদউল্লাহ কিংবা বোর্ডের তরফ থেকে তখন কিংবা এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানানো হয়নি৷ কিন্তু কারো তা জানতে বাকিও থাকেনি৷ বিসিবি ও ক্রিকেটারদের সম্পর্কের দগদগে ঘায়ে আরো একবার ঘা পড়ে তাতে৷
সেই যে মাশরাফির অবসরের মতো৷ সাকিবের আইপিএল-যাত্রার মতো৷
বাংলাদেশ জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক আমিনুল ইসলাম বুলবুল৷ এখন আইসিসিতে কর্মরত; থাকেন মেলবোর্নে৷ ওই সুদূরে থেকেও মাহমুদউল্লাহর টেস্ট অবসর ভাবিয়ে তোলে তাকে৷ কেন এমনটা হলো, সে কারণ বিশ্লেষণে তিনি আলো ফেলতে চান ক্রিকেটারদের সঙ্গে বোর্ডের চুক্তিতে, ‘‘এ চুক্তি কতটা দুই পক্ষের সমঝোতার ভিত্তিতে হয় এবং চুক্তির শর্তগুলো কেমন অনুসরণ করা হচ্ছে, সেগুলো দেখতে হবে৷ একজন ক্রিকেটারের কিভাবে বিদায় নিতে হবে, সে ধারা ক্রিকেটারদের মুখস্ত থাকা উচিত৷ একইভাবে বোর্ডের পক্ষ থেকে ক্রিকেট অপারেশন্স বিভাগ কিংবা প্রধান নির্বাহীরও এ ব্যাপারে পরিষ্কার থাকা উচিত৷ তারা ক্লিয়ার থাকলে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেবার সুযোগ থাকে৷ নইলে গোঁজামিল দিয়ে চলতে হবে৷ এটাই হচ্ছে এখন৷
মাহমুদউল্লাহর অবসরে দুই পক্ষের পারস্পরিক শ্রদ্ধার ঘাটতি বেশি করে চোখে পড়ছে আমিনুলের, ‘‘রিয়াদেরটা সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত ব্যাপার৷ তবে এখানে ফিরে যেতে হবে ওই চুক্তিতে৷ সে অনুযায়ী কি ও যখন-তখন অবসর নিয়ে ফেলতে পারে? নাকি খেলতেই হবে? এখানে আবেগের ব্যাপার আছে, আবার পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধের জায়গাটিতে ক্ষত হয়েছে বলেই মনে হয়েছে৷’’
ক্রিকেট ইতিহাসে বোর্ড ও ক্রিকেটারের বিবাদ
ক্রিকেটের বোর্ড বা ব্যবস্থাপকদের সঙ্গে খেলোয়াড়দের দ্বন্দ্বে জড়ানোর অনেক উদাহরণ আছে৷ এমনকি ডন ব্র্যাডম্যানও বাদ যান না সেই তালিকা থেকে৷ কয়েকটি ঘটনা তুলে ধরা হলো ছবিঘরে৷
ছবি: Hulton Archive/Getty Images
ব্র্যাডম্যানের হুমকি
ক্রিকেট ইতিহাসের সর্বকালের সেরাকেও বোর্ডের সঙ্গে বিবাদে জড়াতে হয়েছিল৷ সময়টা ১৯৩১ সাল৷ লেখালেখির জন্য অ্যাসোসিয়েট নিউজপেপারের সঙ্গে দুই বছরের চুক্তি করেন ডন ব্র্যাডম্যান৷ অস্ট্রেলিয়ান বোর্ড অব কন্ট্রোল তাতে বাধ সাধে৷ ব্র্যাডম্যানও সাফ জানিয়ে দেন প্রয়োজনে ক্রিকেট ছাড়বেন তবু চুক্তির অসম্মান করবেন না৷ বিষয়টির সুরাহা হয়েছিল অ্যাসোসিয়েট নিউজপেপারের সম্পাদকীয় প্রধানের মধ্যস্থতায় চুক্তি বাতিলের মাধ্যমে৷
ছবি: Getty Images/Allsport Hulton
অসিদের টালমাটাল দশক
১৯৭০-এর দশকে খেলোয়াড়াদের সঙ্গে বোর্ডের টানাপোড়েনে অচলাবস্থা তৈরি হয় অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটে৷ বেতন বাড়ানোর দাবিতে ১৯৭৫ সালে এক পর্যায়ে ক্রিকেটাররা ধর্মঘটেরও হুমকি দেন৷ জবাবে একটি সংবাদমাধ্যমকে দেয়া সাক্ষাৎকারে তখনকার ক্রিকেট বোর্ডের সেক্রেটারি অ্যালান বার্নার বলেছিলেন, পাঁচ লাখ ক্রিকেটার আছেন, যারা বিনা পয়সায় অস্ট্রেলিয়ার হয়ে খেলতে চাইবেন৷ ছবিতে, ১৯৬৩ সালের অস্ট্রেলিয়া জাতীয় ক্রিকেট দলের সদস্যরা৷
ছবি: Albert McCabe/Daily Express/Hulton Archive/Getty Images
ক্যারি প্যাকারের ‘বিদ্রোহী লিগ’
অস্ট্রেলিয়ার ‘মিডিয়া টাইকুন’ হিসেবে পরিচিত ছিলেন ক্যারি প্যাকার৷ ১৯৭৬ সালে নিজের মালিকানার চ্যানেল নাইনকে টেস্ট ম্যাচ সম্প্রচারের স্বত্ত্ব না দেয়ায় বোর্ডের উপর ক্ষুব্ধ হন৷ প্রতিশোধ হিসেবে ওয়ার্ল্ড সিরিজ ক্রিকেট নামে আলাদা লিগ চালু করেন৷ ব্যক্তি মালিকানার সেই টুর্নামেন্টের ছিল তিন দল, অস্ট্রেলিয়া, ওয়েস্ট ইন্ডিজ আর বিশ্ব একাদশ৷ বিভিন্ন দেশের ক্রিকেট বোর্ডে বড় ধাক্কা লাগে এই টুর্নামেন্টের জেরে৷
ছবি: John Minihan/Hulton Archive/Getty Images
গ্রেগ চ্যাপেল থেকে টনি ক্রেগ
বেতন নিয়ে বনিবনা না হওয়ায় গ্রেগ চ্যাপেলের নেতৃত্বে অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটাররা নাম লেখান প্যাকারের টুর্নামেন্টে৷ এমনকি ইংল্যান্ডের অধিনায়ক টনি ক্রেগ, ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্লাইভ লয়েড, পাকিস্তানের ভবিষ্যৎ অধিনায়ক ইমরান খান, নিউজিল্যান্ডের রিচার্ড হ্যাডলি পর্যন্ত যোগ দিয়েছিলেন বিতর্কিত এই সিরিজে৷ মাত্র তিন বছর চললেও দিবারাত্রি ম্যাচ, সাদা বল থেকে শুরু করে আধুনিক ক্রিকেটের অনেক কিছুরই অবদান এই টুর্নামেন্টের৷
ছবি: Hulton Archive/Getty Images
ভারতের বৃহৎ ছয়
সময়টা ১৯৮৮৷ অধিনায়ক দিলীপ ভেংসরকারের (ছবিতে) সাথে বিসিসিআই-এর সম্পর্ক আগে থেকেই খারাপ যাচ্ছিল৷ সঙ্গে যোগ দেন কপিল দেব, কিরণ মোরে, অরুন লাল, আজহারউদ্দিন ও রবি শাস্ত্রী৷ ম্যানেজমেন্টকে শর্ত মানাতে বাধ্য করে চুক্তি সই করেন তারা৷ এক বছর পর ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে গিয়ে ক্যানাডা ও যুক্তরাষ্ট্রে প্রদর্শনী ম্যাচে অংশ নেয়ায় ছয়জনকে দুই বছরের জন্য নিষিদ্ধ করে বোর্ড৷ আদালতের মধ্যস্থতায় পরে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়া হয়৷
ছবি: Simon Bruty/Getty Images
বিতর্কিত কপিল
ভারতের ক্রিকেট গ্রেটদের তালিকায় কপিল দেবের নামটি চোখ বন্ধ করেই আসবে৷ তার হাতেই উঠেছিল দেশটির প্রথম বিশ্বকাপ শিরোপাও৷ কিন্তু বিতর্কের পাল্লাটাও কম ভারি নয় কপিলের জন্য৷ খেলোয়াড়ী জীবনে সতীর্থ সুনিল গাভাস্কারের সঙ্গে ‘কথিত’ দ্বন্দ্ব আর খেলা ছাড়ার পরে বিদ্রোহী ক্রিকেট লিগ হিসেবে পরিচিত আইসিএল দিয়ে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের চক্ষুশূল হয়েছেন সর্বকালের অন্যতম সেরা এই অলরাউন্ডার৷
ছবি: AP
নির্বাচকরা জোকারের দল!
ভারতের আরেক কিংবদন্তী ক্রিকেটার মহিন্দর অমরনাথ৷ সুনীল গাভাস্কার যাকে ভারতের ইতিহাসের সবচেয়ে সাহসী ব্যাটসম্যান হিসেবে অভিহিত করেছিলেন৷ তবে টেস্ট দলে তার জায়গাটা তেমন পাকাপোক্ত ছিল না৷ সব সময়ই থাকতেন আসা-যাওয়ার মধ্যে৷ এমন পরিস্থিতিতে ১৯৮৮ সালে তিনি ভারতীয় নির্বাচকদের অভিহিত করেছিলেন ‘একগুচ্ছ জোকার’ বলে৷ পরে নিজেও অবশ্য নির্বাচক হয়েছেন৷ বোর্ডের সঙ্গে সেসময় দ্বন্দে জড়িয়ে খবরের শিরোনামও হয়েছেন৷
ছবি: Adrian Murrell/Getty Images
হিথ স্ট্রিক ও সতীর্থরা
দল নির্বাচন নিয়ে প্রতিবাদ ও নির্বাচকদের সমালোচনার জেরে ২০০৪ সালে বরখাস্ত হন জিম্বাবোয়ের অধিনায়ক হিথ স্ট্রিক৷ মাত্র ৩০ বছর বয়সেই খেলোয়াড়ী জীবনের ইতি টানতে বাধ্য হন দেশটির বিশ্বমানের এই বোলার৷ তবে স্ট্রিকের বিদায়ের প্রতিবাদ, ন্যুনতম মজুরি ও খোলোয়াড়দের অ্যাসোসিয়েশন গঠনের দাবিতে দরখাস্ত দেন তার ১৫ সতীর্থ৷ পরে তারাও দেশের হয়ে খেলতে অস্বীকৃতি জানান৷
ছবি: Graham Chadwick/Getty Images
গেইলদের বিদ্রোহ
২০০৫ সালের স্পন্সর চুক্তির পর থেকেই খেলোয়াড়দের নিয়ে সংকটে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট বোর্ড৷ সবচেয়ে বড় তিক্ততাটি তৈরি হয় ২০০৯ সালের বার্ষিক চুক্তির সময়ে৷ ক্রিস গেইল, শিবনারায়ন চন্দরপাল, ডোয়াইন ব্রাভোসহ আরো দশ খেলোয়াড় চুক্তি করতে অস্বীকৃতি জানায়৷ ফলাফল বাংলাদেশের বিরুদ্ধে আনকোরা দল নিয়ে ভরাডুবির শিকার হয় ক্যারিবীয়রা৷ খেলোয়াড়-বোর্ডের এই দ্বন্দ্বে এখনও ধুঁকছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট৷
ছবি: AP
সাম্প্রতিক উদাহরণ
বোর্ডের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো ছিল না ইংল্যান্ডের সাবেক অধিনায়ক কেভিন পিটারসনের৷ পাওনা নিয়ে খেলোয়াড়দের অ্যাসোসিয়েশন আর বোর্ডের দ্বন্দ্বে অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটে অচলাবস্থা তৈরি হয় ২০১৭ সালেও৷ পাকিস্তানেও বোর্ডের সঙ্গে ক্রিকেটারদের দূরত্ব আছে৷ সবশেষ পেসার আমীর নিজের ক্যারিয়ারের জন্য দুষেছেন বোর্ডকে৷ ১১ দফা দাবিতে সাকিবের নেতৃত্বে ২০১৯ সালে নজিরবিহীন ধর্মঘটের ডাক দেন বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা৷
ছবি: bdnews24.com
10 ছবি1 | 10
মাহমুদউল্লাহ অবসরের ঘোষণা সতীর্থদের দিয়েছেন ম্যাচের মাঝপথে৷ মাশরাফীর অবসর আর নেয়াই হয়নি৷ আমিনুল নিজেও অবসর নেননি আনুষ্ঠানিকভাবে৷ নিজের সঙ্গে মিল খুঁজছেন না, তবে ক্রিকেটারদের অবসর-প্রক্রিয়ার একটা মানদণ্ড দেখতে চান বাংলাদেশের এই সাবেক অধিনায়ক, ‘‘আমি এর মধ্যে নিজেকে আনবো না৷ কারণ, আমি তো অবসরই নিতে পারিনি৷ আমার মতো হয়ত অনেকেই আছে, যারা সেই সুযোগটা পায়নি৷ আরেকটু পিছিয়ে গেলে দেখবেন, আমরা মাশরাফীকে অবসর নেয়ানোর জন্য জিম্বাবুয়েকে উড়িয়ে আনার প্ল্যান করেছিলাম কয়েক কোটি টাকা খরচ করে৷ জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের মধ্যে এই ধরনের বৈষম্য থাকা উচিত না৷ কারণ, দুটো টেস্ট খেলে যে বিদায় নিচ্ছে, সে-ও জাতীয় দলের খেলোয়াড়৷ (ক্রিকেটারদের অবসরের) একটা স্ট্যান্ডার্ড কিছু থাকা দরকার৷’’
সেই ‘স্ট্যান্ডার্ড’ বাংলাদেশ ক্রিকেটর কোন জায়গায়ই-বা আছে!
ক্রিকেট কোচ ও বিশ্লেষক জালাল আহমেদ চৌধুরীর দুঃখটাও সেখানে৷ মাহমুদউল্লাহর টেস্ট-অবসরের কারণ অনুসন্ধানে দুয়ে দুয়ে চার মেলাচ্ছেন তিনি, ‘‘রিয়াদ তো টেস্ট স্কোয়াডে ছিল না৷ বিশেষ বিবেচনায়, বিশেষ পরিস্থিতিতে তাকে নেয়া হয়েছে৷ সে সাগ্রহে গিয়েছে৷ এখান থেকে জিম্বাবোয়েতে যাওয়া এবং ওখানে টেস্ট চালু অবস্থায় পরিবেশটা একজন সিনিয়র প্লেয়ারের জন্য হয়ত খুব সম্মানজনক ছিল না৷ নিশ্চয়ই এমন কোনো খোঁচখুচি হয়েছে, যেটি ওর কলিজার লেগেছে৷ সামগ্রিকভাবে বিবেচনা করলে খেলোয়াড় ম্যানেজমেন্ট প্রসেসটা ঠিক না৷ এটা নির্দিষ্টভাবে বললে ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটির দায়িত্ব৷’’
জালাল আহমেদ চৌধুরী
সেই ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটির চেয়ারম্যান আকরাম খান, যার কাজ নিয়ে কিছু দিন আগেই প্রশ্ন তুলেছেন বিসিবির আরেক পরিচালক এবং জাতীয় দলের আরেক সাবেক অধিনায়ক খালেদ মাহমুদ সুজন৷ বাংলাদেশ ক্রিকেটের কার্যক্রমে তাই হতাশ জালাল আহমেদ চৌধুরী, ‘‘জিম্বাবোয়ে যাবার আগে আগে দুই বোর্ড পরিচালকের মধ্যে ব্যাপারটা, এরপর মাহমুদুল্লাহর টেস্ট অবসর- এসব বারবার প্রমাণ করে যে, আমাদের ক্রিকেট ভালো নেই৷’’
ভালো না থাকা বাংলাদেশ ক্রিকেটের বিবেকও খুঁজে পাচ্ছেন না জালাল আহমেদ চৌধুরী, ‘‘অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে, বোর্ডের মধ্যে কোনো বিবেক নেই৷ সেটি ব্যক্তি হতে পারে, নীতিও হতে পারে৷ বিবেক মানে কী? যার বিবেচনা আছে৷ ক্রিকেট বোর্ডে এখন ‘অবিবেচক' অনেক কাজ দেখি৷ হয় পদ্ধতি, নয় ব্যক্তি- কোনো একজনের তো বিবেকের ভূমিকা নেয়া উচিত; যাত্রায় যেমন থাকে৷’’
যাত্রাপালায় বিবেক থাকে৷ কিন্তু বাংলাদেশের ক্রিকেট-যাত্রা এখন যেন বিবেকহীন৷ ক্রিকেটার ও ক্রিকেট বোর্ড দুই তরফের ‘অবিবেচক' কাজের বহরটা Iসামনে তাই বাড়তেই থাকবে- এমন আশঙ্কা অমূলক তো নয় কিছুতেই!