1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

আয়লানের বাবার আক্ষেপ, ‘এখনও মানুষ মরছে'

রিচার্ড কনর/এসি২ সেপ্টেম্বর ২০১৬

এক বছর আগে তুরস্কের তটভূমিতে ভেসে উঠেছিল তিন বছর বয়সের সিরীয় শিশু আয়লান কুর্দির লাশ৷ দুনিয়ার বিবেকের ভিত নড়িয়ে দিয়েছিল সেই ছবি৷ জার্মানির ‘বিল্ড' পত্রিকার সঙ্গে এবার কথা বলেছেন আয়লানের বাবা আবদুল্লাহ কুর্দি৷

আয়লানের লাশ তুলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে
ছবি: picture-alliance/AP Photo/DHA

জার্মানির সবচেয়ে জনপ্রিয় ট্যাবলয়েড ‘বিল্ড' পত্রিকায় বৃহস্পতিবার প্রকাশিত হয়েছে সেই সাক্ষাৎকার৷ আবদুল্লাহ কুর্দির সবচেয়ে বড় দুঃখ হলো, সিরিয়ায় যুদ্ধ ও সহিংসতা এখনও বন্ধ হয়নি, যেমন সমুদ্র পাড়ি দিতে গিয়ে উদ্বাস্তুদের মৃত্যুও সমানে চলেছে৷

৪১-বছর-বয়সি আবদু্ল্লাহ ইজিয়ান সাগরে হারিয়েছেন তাঁর স্ত্রী ও আয়লানসহ দুই সন্তানকে৷ ‘‘আমার পরিবারের মানুষদের মৃত্যুর পর রাজনীতিকরা বলেছিলেন, ‘আর কখনো নয়!''' - বিল্ড পত্রিকাকে বলেন আবদুল্লাহ কুর্দি৷ ‘‘সকলেই কিছু করতে চেয়েছিলেন, ছবিটা এমনভাবে তাদের নাড়া দিয়েছিল৷ কিন্তু এখন কী হচ্ছে? এখনও মানুষ মরছে, অথচ কেউ কিছু করছে না৷

আয়লানের বাবা আবদুল্লাহ কুর্দিছবি: Reuters/G. Gurbuz

‘বিভীষিকার অন্ত চাই'

আয়লান ছাড়াও, আবদুল্লাহ কুর্দি তাঁর সেই অভিশপ্ত সমুদ্রযাত্রায় হারান বড় ছেলে গালিব ও স্ত্রী রেহাবকে৷ সকলকে সমাধি দেওয়া হয়েছে কোবানি শহরে৷ আবদুল্লাহ এখন থাকেন ইরবিল শহরে৷ ইরাকের কুর্দি সরকারের আমন্ত্রণে সেখানে গিয়েছেন তিনি৷

তাঁর মৃত শিশুসন্তানের ছবি যে সিরিয়া থেকে পলায়নপর মানুষদের ট্র্যাজেডির প্রতীক হয়ে দাঁড়িয়েছে, আবদুল্লাহ তাতে বিচলিত নন৷ ‘‘ও রকম একটা ঘটনা মানুষকে দেখাতে হবে, যাতে তারা বুঝতে পারে, কী ঘটছে৷ কিন্তু ছবির কারণে বিশেষ কিছু বদলায়নি৷ সিরিয়ার বিভীষিকা - সেই সঙ্গে যারা পালাচ্ছে তাদের বিপর্যয় বন্ধ করতে হবে৷''

আই ওয়ে ওয়ে-র প্রতীকী পদক্ষেপ

চীনা শিল্পী আই ওয়ে ওয়ের বিতর্কিত পদক্ষেপছবি: Rohit Chawla/India Today via AP

চীনা শিল্পী আই ওয়ে ওয়ে যে ঠিক আয়লানের মতো সৈকতে শুয়ে পড়ে তাঁর প্রতিবাদ ও সহানুভূতি জানান, আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমে তা বিপুলভাবে সমালোচিত হয়েছিল৷ আবদুল্লাহও চমকে দেয় আই ওয়ে ওয়ে'র সেই ছবি, কেননা, ‘‘আমাকে আগে জিজ্ঞেস করা হয়নি, কাজেই আমি ভীষণ চমকে গিয়েছিলাম৷ আমি জানি যে আই ওয়ে ওয়ে উদ্বাস্তুদের জন্য কিছু করতে চেয়েছিলেন, সেটা ভালো কথা৷ কিন্তু আমার কথা ভাবা উচিৎ ছিল৷ আমি (আয়লানের) বাবা, আমাকে সেই স্মৃতি নিয়ে বেঁচে থাকতে হবে৷''

ব্লাড পয়জনিং নিয়ে এক মাস হাসপাতালে ছিলেন আবদুল্লাহ৷ তাই ডাক্তারদের পরামর্শে স্ত্রী ও দুই সন্তানের কবরে যাননি৷ ‘‘আমি সর্বক্ষণ আয়লান, গালিব আর রেহাবের কথা ভাবি,'' বললেন আবদুল্লাহ কুর্দি৷ জানালেন, তিনি যখন ইটালির উপকূলে বিপন্ন উদ্বাস্তুদের ছবি দেখেন, তখন ‘‘সেই নৌকার বিভীষিকার কথা মনে পড়ে; আমি আর দেখতে পারি না৷''

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ