1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান
স্বাস্থ্যবাংলাদেশ

আয়ানের মৃত্যুতে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সামনে প্যান্ডোরার বাক্স

হারুন উর রশীদ স্বপন ঢাকা
১৬ জানুয়ারি ২০২৪

দেশে যখন ভোট-গণনা চলছে, শিশু আয়ানের জীবনপ্রদীপ নিভছে তখন রাজধানীর এক হাসপাতালে৷ নির্বাচনের পর স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেয়েছেন ডা. সামন্ত লাল সেন৷

ঢাকার রাস্তায় ছুটে চলা অ্যাম্বুলেন্স
পাঁচ বছরের শিশু আয়ানের মৃত্যুর পর অবৈধ ক্লিনিক ও হাসপাতালের বিষয়টি আবার সামনে এসেছেছবি: Md. Rakibul Hasan/Pacific Press Agency/imago images

অভিনন্দিত হওয়ার সময়ে আয়ান ও আয়ানের মতো অসংখ্য শোকার্ত বাবা-মায়ের দুঃখ লাঘবের দায়িত্বও পেলেন তিনি৷

ঢাকার ইউনাইটেড মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে শিশু আয়ানের মৃত্যুর ঘটনায় আবারো আলোচনায় দেশের অবৈধ ক্লিনিক এবং হাসপাতাল৷ সদ্য দায়িত্বপ্রাপ্ত স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন ইতিমধ্যে দেশের সব অনিবন্ধিত হাসপাতাল ও ক্লিনিক বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছেন৷

আয়ানের ভুল চিকিৎসার অভিযোগে অভিযুক্ত ইউনাইটেড হাসপাতালের কোনো লাইসেন্স নেই৷ তাই স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ইতিমধ্যে হাসপাতালটি বন্ধ করে দিয়েছে৷

মঙ্গলবার হাইকোর্ট আয়ানের পরিবারকে কেন পাঁচ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দেয়ার নির্দেশ দেয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন৷ পাশাপাশি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরকে লাইসেন্স আছে এবং লাইসেন্সবিহীন সব ধরনের হাসপাতাল এবং ক্লিনিকের তালিকা তিন মাসের মধ্যে জমা দিতে বলেছেন৷ এছাড়া আয়ানের মৃত্যুর ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে সাত দিনের মধ্যে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে তদন্ত রিপোর্ট জমা দিতে বলেছেন হাইকোর্ট৷

অভিযোগে প্রকাশ, গত ৩১ ডিসেম্বর বাড্ডার সাঁতারকুলে ইউনাইটেড মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে শিশু আয়ানকে তার বাবা-মায়ের সম্মতি ছাড়াই অতিরিক্ত অ্যানেসথেশিয়া দিয়ে খৎনা করানো হয়৷ এরপর পাঁচ বছরের শিশুটির জ্ঞান ফেরেনি৷ ৭ জানুয়ারি রাতে আয়ান মারা যায়৷ এরপর ওই হাসপাতালের দুই চিকিৎসক ও পরিচালকসহ আরো কয়েকজনকে আসামি করে বাড্ডা থানায় মামলা করেন আয়ানের বাবা শামীম আহমেদ৷ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের টিম ওই মামলার পর হাসপাতালটি পরিদর্শন করলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কোনো লাইসেন্স দেখাতে না পারায় হাসপাতালটি বন্ধ করে দেয়৷ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (হাসপাতাল ও ক্লিনিক) ডা. মো. মনিরুল আহসান ডয়চে ভেলেকে জানান, ‘‘তারা লাইসেন্স ছাড়াই হাসপাতালটি চালু করেছিলেন৷”

ওই হাসপাতালের ম্যানেজার ( জনসংযোগ) আরিফুল হক স্বীকার করেন তাদের লাইসেন্স নেই৷ তবে তার দাবি লাইসেন্সের আবেদন করা হয়েছে৷ আবেদন করেই হাসপাতাল বা ক্লিনিক চালু করে দেয়া বেআইনি বলে জানান স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক৷ তিনি বলেন, ‘‘দেশে বেসরকারি অবৈধ ক্লিনিক বা হাসপাতালের বড় একটি অংশ এভাবেই চলছে৷”

মঙ্গলবার সকালে শিশু আয়ানের বাবা শামীম আহমেদসহ পরিবারের তিন সদস্য স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামান্ত লাল সেনের সঙ্গে দেখা করেন৷ স্বাস্থ্যমন্ত্রী তখনই দেশের সব অবৈধ ক্লিনিক ও হাসপাতাল বন্ধ করার নির্দেশ দেন৷ আয়ানের বাবা বলেন, ‘‘স্বাস্থ্যমন্ত্রী আমাদের বিচারের আশ্বাস দিয়েছেন৷ তদন্ত রিপোর্ট পাওয়ার পরই দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবেন বলেছেন৷ কিন্তু মামলার পর এখনো দায়ী চিকিৎসক ও নার্সদের গ্রেপ্তার করা হয়নি৷ আর হাসপাতালটি বাইরে থেকে বন্ধ রাখলেও ভিতরে কী হচ্ছে জানি না৷ সেখানে সাংবাদিকদের ঢুকতে দেয়া হচ্ছে না৷ সাংবাদিকরা ঢুকতে চাইলে তাদের ওপর হামলাও হয়৷”

তালিকা দেয়ার পরও ব্যবস্থা নিতে দেখি না: ওয়াকিলুর রহমান

This browser does not support the audio element.

দেশজুড়ে অবৈধ হাসাপাতাল ক্লিনিক
সারা দেশে কতগুলো অবৈধ হাসপাতাল ও ক্লিনিক আছে তার হিসাব নেই স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কাছে৷ তারা ২০২২ এবং২০২৩ সালে অভিযান চালিয়ে মোট দুই হাজারের বেশি হাসপাতাল ও ক্লিনিক বন্ধ করা হয়৷ এর মধ্যে ২০২২ সালের মে মাসে চার দিনের বিশেষ অভিযানে এক হাজার ১৪৯টি হাসপাতাল ও ক্লিনিক বন্ধ করে দেয়৷ এর মধ্যে ঢাকা বিভাগ ও শহরে ২৯৬টি ৷ ঢাকার বাইরে বন্ধ করা ৮৬৩টির মধ্যে চট্টগ্রামে ২৮৬টি, রাজশাহীতে ১৩৫টি, রংপুরে ১৪টি, ময়মনসিংহে ১২১টি, বরিশালে ৬৫টি, সিলেটে ৩৫টি এবং খুলনায় ৩০৩টি৷

মঙ্গলবার সাভার ও ময়মনসিংহসহ কয়েক জায়গায় খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সেগুলোর অধিকাংশই আবার চালু হয়েছে৷ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (হাসপাতাল ও ক্লিনিক) ডা. মো. মনিরুল আহসান বলেন, ‘‘যেগুলো বন্ধ করা হয়েছে তার মধ্যে লাইসেন্সপ্রাপ্তও আছে৷ তাদের যে ত্রুটি ছিল তারা তা ঠিক করায় আবার চালু হয়েছে৷ আর অবৈধগুলো কিভাবে চালু হয় আমরা বলতে পারবো না৷ এগুলো আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর দেখার কথা৷ আর আমরা তো বন্ধ করতে পারি না৷ আমরা ম্যাজিষ্ট্রেট নিয়ে বন্ধ করি আদালতের সহায়তায়৷ তারা আবার আদালতে যায়৷ অনেকের লাইসেন্সের আবেদন করা আছে বা ট্রেড লাইসেন্স আছে এসব দেখিয়ে আবার চালু করে৷”

দেশে নিবন্ধিত বেসরকারি ক্লিনিক হাসপাতাল ও স্বাস্থ্য সেবা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা এখন ১৫ হাজার ৫০০৷ গত বছরের প্রথম দিকে এই সংখ্যা ছিল ১২ হাজার৷ এক বছরেই বেড়েছে সাড়ে তিন হাজার৷ কিন্তু অবৈধ বেসরকারি ক্লিনিক ও হাসপাতাল কতগুলো তার হিসাব নেই৷ তার হিসাব বুঝতে কয়েকটি নমুনা দেয়া যাক৷ ঢাকার সাভারে নিবন্ধিত ক্লিনিক ৩০টি৷ কিন্তু সেখানে বেসরকারি ক্লিনিক হাসপাতাল ও স্বাস্থ্য সেবা প্রতিষ্ঠান আছে কমপক্ষে ২০০৷ সাভারের বেবসরকারি ক্লিনিক ও হাসপতাল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ওয়াকিলুর রহমান বলেন, ‘‘এখানে অবৈধদের দাপট বেশি৷ আমরা অবৈধ ক্লিনিকের তালিকা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে দেয়ার পরও তেমন ব্যবস্থা নিতে দেখি না৷ মাঝেমধ্যে অভিযান চললেও আবার সব স্বাভাবিক হয়ে যায়৷ তাদের সঙ্গে উপরের যোগাযোগ আছে৷ ওইসব ক্লিনিকে প্রায়ই ভুল চিৎসার খবর পাওয়া যায়৷ মৃত্যুর ‘অভিযোগ'ও পাওয়া যায়৷”

ময়মনসিংহে নিবন্ধিত ক্লিনিকের সংখ্যা ১২০টি৷ কিন্তু সেখানে চালু আছে কমবেশি ৩০০৷ ক্লনিক মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ডা. তারা গুলন্দাজ বলেন, ‘‘এখানে অনেক মানহীন এবং অবৈধ ক্লিনিক আছে৷” কুমিল্লায় নিবন্ধিত ক্লিনিকের সংখ্যা ৪০৪টি৷ কিন্তু বাস্তবে আছে এক হাজার ২০০৷’’

বাংলাদেশে বৈধ ক্লিনিক ও হাপপাতালের চেয়ে অবৈধর সংখ্যা দুই গুনের বেশি হবে বলে মনে করেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক এক পরিচালক৷ তিনি বলেন, ‘‘ওইসব নিয়ে কথা বলতে গিয়ে আমি বিপদে পড়েছি৷ অনেক ঝামেলা পোহাতে হয়েছে৷ তাদের যোগাযোগ অনেক উপরে৷ এ নিয়ে এখন আর কথা বলতে চাই না৷ অবসরে আছি৷ নতুন করে ঝামেলায় পড়তে চাই না৷”

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বর্তমান পরিচালক ডা. মো. মনিরুল আহসান বলেন, ‘‘অবৈধ ক্লিনিক নিয়ে আমরা কোনো জরিপ করিনি৷ তবে আমরা গত দেড়-দুই বছরে আটশ 'র মতো অবৈধ ক্লিনিক পেয়েছি৷ তাদের অধিকাংশই আবেদন করে বা ট্রেড লাইসেন্স দিয়ে ক্লিনিক চালাচ্ছিল৷ এবার হাইকোর্ট আদেশ দিয়েছে৷ তাই আমরা একটা জরিপ করবো৷”

‘‘আর অবৈধ ক্লিনিকের বিরুদ্ধে আমরা নিয়মিত কার্যক্রম পরিচালনা করি৷ তারপরও স্বাস্থ্যমন্ত্রী মহোদয়ের নির্দেশ আমরা পেয়েছি৷ বড় অভিযান শুরু করবো,” বলেন এই কর্মকর্তা৷

লাইসেন্স ছাড়াই হাসপতালটি চালু করেছিল: ডা. মো. মনিরুল আহসান

This browser does not support the audio element.

বৈধগুলোর অবস্থা
হাসপাতাল বা ক্লিনিকের লাইসেন্স পেতে কিছু শর্ত পূরণ করতে হয়৷ ১০ শয্যার একটি ক্লিনিকের লাইসেন্স পেতে হলে ওই ক্লিনিকে কমপক্ষে তিনজন এমবিবিএস ডাক্তার, ছয়জন নার্স ও দুইজন ক্লিনার থাকতে হবে৷ প্রত্যেকটি বেডের জন্য কমপক্ষে ৮০ বর্গফুট জায়গা থাকতে হবে৷ অপারেশন থিয়েটার হতে হবে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত৷ সেইসঙ্গে আধুনিক যন্ত্রপাতি যা থাকতে হবে তার একটি তালিকাও দেওয়া আছে৷ এর সঙ্গে থাকতে হবে ট্রেড লাইসেন্স, টিআইএন নম্বর, বিআইএন নম্বর, পরিবেশ ও নারকোটিকস বিভাগের লাইসেন্স৷ তবে আউটডোর, জরুরি বিভাগ ও অপারেশন থিয়েটার সব ক্লিনিকের জন্য বাধ্যতামূলক নয়৷ হাসপাতালের ধরন অনুযায়ী শর্ত নির্ধারণ করা হয়৷

বাংলাদেশের জেলা, পৌরসভা ও উপজেলা পর্যায়ে যেসব বৈধ বেসরকারি ক্লিনিক ও হাসপাতাল আছে তার অধিকাংশই ১০ বেডের লাইসেন্স দিয়ে চলছে৷ কিন্তু যেসব শর্তের কথা বলা হয়েছে বাস্তবে তা নেই৷ পর্যাপ্ত চিকিৎসক নেই, টেকনিশিয়ান নেই, কয়েকজন নার্স দিয়ে চালানো হয়৷ আবার নার্সরাও রেজিষ্টার্ড নয়৷ তাহলে ওইসব হাসপাতাল লাইসেন্স পায় কীভাবে? এ নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক পরিচালক (হাসপাতাল ও ক্লিনিক) ডা. আমিনুল হাসান বলেন, ‘‘লাইসেন্স দেয়ার আগে হাসপাতাল ভিজিটে যায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের টিম৷ এটা আগেই তাদের জানিয়ে যাওয়া হয়৷ ওই ক্লিনিকের লোকজন তখন এমবিবিএস ডাক্তার, রেজিষ্টার্ড নার্স এবং যন্ত্রপাতি ভাড়া করে আনে৷ বেডগুলোর দূরত্ব ঠিক রাখা হয়৷ টিম চলে গেলে বেড আরো বাড়ানো হয়৷ আর ডাক্তাররা তো থাকেন না, ফলে মানহীন হাসপাতাল লাইসেন্স পায়৷ পরে এগুলো যে সেগুলো পরিদর্শন করা হবে সেই লোকবল স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নাই৷”

বাংলাদেশ বেসরকারি ক্লিনিক, হাসপাতাল ও ডায়াগনষ্টিক সেন্টার মালিক সমিতির সভাপতি ডা. মো. মনিরুজ্জামান বলেন, "সারা দেশে লাইসেন্সপ্রাপ্ত বেসরকারি ক্লিনিক, হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা সাড়ে ১৫ হাজার হলেও আমাদের সদস্য ১২ হাজার৷ লাইসেন্স নাই এবং মানহীন কোনো স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানকে আমরা সদস্য করি না৷”

তার কথা, ‘‘আমরাও চাই অবৈধ হাসাপাতাল ও ক্লিনিক বন্ধ করে দেয়া হোক৷ মানহীনগুলোও বন্ধ করা হোক৷ কিন্তু তারপরও আছে কীভাবে তা স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এবং আইন-শৃঙ্খলা বাহিনি বলতে পারবে৷”

চিকিৎসকেও আসল-নকল
বাংলাদেশে জেলা উপজেলা তো বটেই খোদ ঢাকা শহরেও অনেক ভুয়া চিকিৎক আছেন৷ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানে মাঝেমধ্যে তারা ধরাও পড়েন৷ কিন্তু তারপরও তাদের দমানো যায় না৷ এই ভুয়া চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন করতে গিয়ে গত বছর ঢাকায় একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের সাংবাদিক হামলারও শিকার হয়েছেন৷ তবে সবচেয়ে আতঙ্কের কথা হলো বাংলাদেশ মেডিকেল ও ডেন্টাল কাউন্সিল (বিএসডিসি) থেকে জালিয়াতি করে চিকিৎসক সনদ নেয়ার ঘটনাও ধরা পড়েছে৷ এরকম ১২ জন ভুয়া চিকিৎসকের সনদ নেয়ার ঘটনা ধরা পড়েছে ২০২২ সালে৷ বাংলাদেশে এখন রেজিষ্টার্ড চিকিৎসকের সংখ্যা ৮০ হাজারের মতো৷

বিএমডিসির ষ্ট্যান্ডিং রিকগনিশন কমিটির সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. এম এ আজিজ বলেন, ‘‘এখন তো অনেক ভুয়া ডাক্তার ৷ ভুয়া ডাক্তারদের ব্যাপারে কোনো ব্যবস্থা নেয়ার এখতিয়ার বিএমডিসির নেই৷ এটা আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কাজ৷”

তিনি বলেন, "তবে নিবন্ধন নেয়ার ক্ষেত্রে জালিয়াতি হলে সেটা দেখা বিএমডিসির কাজ৷ যেমন কোনো চিকিৎসক মারা গেলে তার নামে ভুয়া নিবন্ধন অন্যজন নিয়েছেন এমন হয়েছে৷ আবার একই নামে আরেকজন ভুয়া ডাক্তারও নিবন্ধন নিয়েছেন এরকম ঘটনাও ধরা পড়েছে৷ আরেকটি বড় বিষয় হলো অনেক চিকিৎসক বিএমডিসির নিবন্ধন না নিয়েই চিকিৎসা সেবা দিচ্ছেন৷ তাদের ব্যাপারে ব্যবস্থা নেয়া উচিত বিএমডিসির৷ তারা তো নিবন্ধন ছাড়া চিকিৎসা সেবা দিতে পারেন না৷ এটা বেআইনি৷”

তিনি আরেক প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘‘বিএমডিসির নিবন্ধন আগে কেউ কেউ নবায়ন করতেন না, অনীহা ছিল৷ এখন এটা কঠোর করা হয়েছে৷ নবায়ন না করা হলে ব্যবস্থা নেয়া হয়৷ আর অনলাইনেই নবায়ন করা যায়৷”

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ